নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

দূর্নীতি ও বাংলাদেশ

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫



বাংলাদেশ গরীব দেশ নয়।
অথচ ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি আমাদের দেশটা গরীব। একে তো গরীব তার উপরে মানুষ বেশি। দেশে সমস্যার শেষ নেই। দেশ স্বাধীন হলো কত বছর হয়ে গেলো তবুও আমরা গরীব। কিন্তু আমাদের গরীব থাকার কথা ছিলো না। সরকারি আয়ের প্রধান উৎস হলো কর রাজস্ব বাবদ সংগৃহীত অর্থ। সারা বছর কর থেকে যত টাকা ইনকাম হয় সরকারের তার চেয়ে বেশী ইনকাম করা সম্ভব। কিভাবে? দেশের সমস্ত দূর্নীতিবাজের কাছে যে পরিমান অর্থ আছে, সেই টাকা ও সম্পদ গুলো নিয়ে নিলে অথবা দূর্নীতি বন্ধ করতে পারলে আমাদের টাকার অভাব হবে না।

প্রতিটা দূর্নীতিবাজের ঘরে কমপক্ষে পাঁচ শ' কেজি সোনা আছে। এবং নগদ টাকা যে পরিমানে আছে, সেই টাকা একটা ব্যাংকেও নেই। একজন দূর্নীতিবাজকে গর্ব করে বলতে শুনেছি, সারা বাংলাদেশে ক্যাশ টাকা আমার চেয়ে বেশি আর কারো কাছে নেই। প্রতিটা দূর্নীতিবাজের কাছে প্রচুর ক্যাশ টাকা আছে। আলমারিতে থরে থরে সাজানো টাকা। এমন কি তারা সেই টাকা নানান পরিচিত মানুষের কাছে গচ্ছিত রেখেছে। নানান নামে ব্যাংকে তো রেখেছেই। দূর্নিতিবাজদের ঘর সার্চ করলে বস্তা-বস্তা ভর্তি টাকা পাওয়া যাবে। যাবেই। প্রতিটা দূর্নীতিবাজের দুই তিন হাজার বিঘা করে জমি আছে। বিদেশে কি কি করেছে সেই সঠিক হিসাব আমার কাছে নেই। অথচ দেশে বেকারের অভাব নেই। দরিদ্র লোকের অভাব নেই।

রাজস্ব আয়ের বাইরে সরকারের জন্য অর্থের উৎস হচ্ছে ঋণ নেওয়া। কিন্তু ঋণ নেওয়ার কোনো দরকার নাই সরকারের। দূর্নীতিবাজদের ধরে ধরে তাদের টাকা এবং সম্পদগুলো নিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে। চারিদিকে এত এত দূর্নীতিবাজ যে সরকার তাদের সম্পত্তি জব্দ, ক্রোক ও বাজেয়াপ্ত করলে দেশে টাকা আর সম্পদের অভাব হবে না। কৃষক, কামার, কুমার, জেলে এদের কাছে টাকা এবং সম্পত্তি পাওয়া যাবে না। কিন্তু যারা রাজনীতি করে, যারা সরকারী চাকরি করে, মন্ত্রী, এমপি, সচিব, জনপ্রতিনিধি এবং যারা রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় থাকে তাদের টাকার অভাব নাই। তাদের শহর ও গ্রামের ঘরবাড়ি, সিন্ধুক, উঠান, স্টোর রুম, পুকুর, গোয়াল ঘর, ইত্যাদি তল্লাশি করলে যে পরিমান ক্যাশ টাকা, গহনা, এবং ডলার পাওয়া যাবে তা দিয়ে সরকার দেশটা সুন্দর করে সাজাতে পারবে। অবশ্য এসব চোরেরা শেখ হাসিনার আশে পাশেই থাকে। সব সম্পদই রাষ্ট্রের। অথচ ওরা নিজের বাপের সম্পদ মনে করে দখল করে আছে। সরকার নিরব, যেন কিছুই জানে না।

ভূমি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি হচ্ছে সেই রকম।
ঘুষ ছাড়া কাজ হয়েছে এমন ঘটনা বিরল সরকারী অফিস গুলোতে। বছর তিনেক আগে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে শতকরা ৮০ শতাং। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি ছিল নজীরবিহীন ঘটনা। সরকারের তরফ থেকে যুক্তি দেখানো হয়েছিল, বেতন ভাতা বৃদ্ধি করলে সরকারি অফিসে দুর্নীতির প্রবণতা কমে আসবে। কিন্তু বাস্তবে সেটির কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। পৃথিবীর কোন দেশেই শুধু বেতন বাড়িয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা যায়নি। দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতে হবে- এটা দুদক নিশ্চিত করতে পারে নি আজও। রাষ্ট্রযন্ত্রের যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে দুর্নীতি কমিয়ে আনা সময়ের ব্যাপার মাত্র। বাংলাদেশের রাজনীতি কিছু পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই পরিবার গুলো সিন্দাবাদের ভূতের মতো বাংলাদেশের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে আছে। স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষ হয়েও নিজেদের দুর্নীতির কারণে আমরা তলিয়ে যাচ্ছি ক্ষুধা, দারিদ্র্য, হতাশা আর সামাজিক সংকটের অতল সমুদ্রে।

একটি প্রবাদ আছে- ‘যে লঙ্কায় যায়, সেই রাবণ হয়।’
অর্থাৎ যে ব্যক্তি ক্ষমতা হাতে পায় সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে। ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা সবাইকে তাদের হাতের মুঠোয় নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সকলের ওপর তাদের কর্তৃত্ব থাকে। তাই তারা নির্বিঘ্নে দুর্নীতি করতে পারে। তাদেরকে কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। দুর্নীতি দেশকে আরো বেশি দরিদ্র করে ফলে। দেশের সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে। বাংলাদেশে পরিবার থেকেই শিশুরা ছোটখাটো অন্যায় শিখে বড় হয়। শৈশবে পরিবার থেকে, সমাজ থেকেই সাধুতার শিক্ষা, নীতি এবং নৈতিকতার শিক্ষা মানুষ পায়। ছোটখাট অপরাধই বড় অন্যায় ও দুর্নীতির দিকে মানুষকে নিয়ে যায়। দুর্নীতি দমন কমিশন বড় দুর্নীতিবাজদের ধরতে পারছে না। ফলে দুর্নীতি কমছে না। বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি কখনো থামেনি, দুর্নীতিও কমেনি। দু'টোই বাড়ছে।

বঙ্গবন্ধু বেপরোয়া দুর্নীতিপরায়নদের শায়েস্তা তো দূরের কথা, নিয়ন্ত্রণও করতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। আমরা তো সাধারণ মানুষ। দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতা ও পেশি শক্তির কাছে আমরা নিতান্তই নিরীহ। সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে, ব্যথা পেলে শিশু হাসে না, জনসংখ্যা প্রতিদিন বাড়ে এবং দুর্নীতিও বাড়ে। সরকারের সর্বস্তরের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করা উচিত। মাদকের চেয়ে দুর্নীতি বেশী খারাপ। হোক সে আমলা, রাজনীতিবিদ বা সরকারের যে কোনো উঁচু পদের কেউ। সব দুর্নীতিবাজদের প্রতি সমান ঘৃণা। কারন আমি আমার দেশটাকে ভালোবাসি। যারা এই দেশটার বারোটা বাজাচ্ছে তাদের জন্য আছে একরাশ ঘৃণা।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



দুর্নীতির জন্য কোন জাতি গরীব হয় না, গরীব হয়, মানুষের যখন কাজ থাকে না, মানুষ যখন বেকার থাকে; মানুষ কাজে গিয়ে যখন কাজ করে না; সরকার ও প্রশাসনের লোকজন যখন কাজ করে না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: শায়েস্তা খাঁর আমলে এক টাকায় আটমন ধান পাওয়া যেত,তখন দেশ আজকের থেকেও গরিব ছিল।গ্রামে দুই একজনের কাছে এক টাকা ছিল।

দেশ এখন অনেক উন্নত কিন্তু যেটা হয়নি সেটা হল সম্পদের সুষম বন্টন।মানুষের জন্য মানুষের সহমর্মিতার অভাব।

খুদ্র শিল্পের বিকাশ ঠিকমত হয়নি।সঠিক পরিকল্পনার অভাব।তার পরও সবথেকে বড় ক্ষতি করে ফেলেছে বিএনপি।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বলেছেন।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনি কোন দেশে থাকেন।বাংলাদেশে এখন গভীর রাত।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আমস্টারডাম থাকি। হা হা হা---
না আমি আসলে যে দেশে জন্ম নিয়েছি সেই দেশেই থাকি।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:২৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: দুর্নীতির জন্য কোন জাতি গরীব হয় না, গরীব হয়, মানুষের যখন কাজ থাকে না, মানুষ যখন বেকার থাকে; মানুষ কাজে গিয়ে যখন কাজ করে না; সরকার ও প্রশাসনের লোকজন যখন কাজ করে না। - দুর্নীতি করলে আর কাজের ব্যবস্থা হবে কিভাবে? শিল্প কারখানা করার না্ম করে লক্ষ-কোটি টাকা চুরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ একটা ধনী দেশ।শুধূ এইসব চোরদের কারনেই গরীব।
এদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে দেশের সব নাগরিককে দিলে দেশে অভাব বলে কিছু থাকতো না।
তবে বাংলাদেশের ঘরে-ঘরে চোর।
তাই এদেশ কোনোদিনও দুর্নীতিমুক্ত হবে না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: একদম আমার মনের কথা বলেছেন।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


দুর্নীতিকে না বলুন।

কিন্তু যারা ঘুষ ইত্যাদি প্রদান করে তারা তো দুর্নীতিকে উৎসাহিত করেন।
তাদের কি উচিত এর বিরুদ্ধে কথা বলা?

আপনার কি মতামত?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি অধম তাই বলে কি উত্তম কথা বলতে পারবো না?

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমার খারাপ লাগে তখনই যখন দেখি দেশে ধার্মিকের সংখ্যা বেড়ে যাবার সাথে সাথে দূর্নীতিও বেড়ে যায়।
দূর্নীতি ধর্মের সাথে সম্পর্কিত নয়। কিন্তু যারা দূর্নীতি করে তারা বেহেস্তে যাবার আশায় নামাজ পড়ে কপাল কালো করে ফেলে।
এই নামাজের দাম আছে কি?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: সেই নামাজ আল্লাহ কবুল করেন না। এমন কি মসজিদ মাদ্রাসা বানালেও না।

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৪

স্থিতধী বলেছেন: ৪ নং মন্তব্যতে অনল ভাই ১ নং মন্তব্যের যে প্রতি উত্তরটি দিয়েছেন তাঁর সাথে শতভাগ একমত। আমি তো বলবো; দুর্নীতির আধিক্য একটি জাতির মেরুদন্ডটাকেই ভেঙ্গে দেয়। কাজ না করে মানুষ গরীব অবশ্যই হয়। কিন্তু কাজ করতে না চাওয়ার যে মানসিকতা, সেটার জন্ম কোথা থেকে হয় বলতে পারেন? অনেকগুলো সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারনের পাশাপাশি দুর্নীতির বিষবাস্প তাঁর একটি বড় কারন অবশ্যই। আমি যদি বুঝে যাই যে পরিশ্রম করে আমি আমার যে প্রাপ্য তা আমি পাবোনা তাহলে পরিশ্রম করে যাবার মোটিভেশনটা আমি কোথা থেকে পাবো? যে ছাত্র জানে যে যেই পরীক্ষার জন্য সে মন দিয়ে পড়াশোনা করে যাচ্ছে সেটার প্রশ্নপত্র সে খুব সহজেই ফাঁস করে নিয়ে পরীক্ষায় উচ্চ নাম্বার পেতে পারে তবে সে কেন পুরো সিলেবাস পড়ে আসবে? হয়তো একবার, দুইবার, তিনবার সে নিজেকে সংবরণ করে নিলো নীতি নৈতিকতা দিয়ে, কিন্তু যখন সে তাঁর চারপাশে তাকিয়ে দেখবে যে প্রায় সবাই ফাঁস করা প্রশ্নপত্র পেয়ে ভালো নম্বর নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে সে একাই পিছিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত; তখন কি সে আগের মতো পুরো সিলেবাস পড়ে পরীক্ষায় বসার আগ্রহবোধ করবে আর? আমি যদি বুঝে যাই যে আমার ব্যাবসা বা চাকরিটি আমি আমার দেশে সৎভাবে করলে টিকতে পারবোনা, তাহলে দুটো উপায় খোলা থাকে, এক, দেশের ভেতর অসৎ হয়েই জীবন যাপন করে যাওয়া। অথবা দু্‌ই , সুযোগ থাকলে দেশের বাইরে গিয়ে সে ব্যাবসা বা কাজটি চালিয়ে নেয়া যেখানে সমাজ ও দুর্নীতির বিষবাস্প এতো নেতিবাচক নয়।

অবশ্যই দুর্নীতি পৃথিবীর সবজায়গাতেই আছে। কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণসীমাতে রাখার মতো উপযুক্ত সব টুলস আছে। সেখানকার সেন্ট্রাল ও বিভিন্ন পেশাজীবী এন্টি কারাপশন সংস্থাগুলো আমাদের মতো নখ দন্তবিহীন বাঘ নয় কারন সেগুলো কে রাজনীতিকরা চাইলে ইচ্ছামতো ব্যাবহার করতে পারেনা। উন্নতদেশ এমনি এমনিই "ঊন্নত" বা আমাদের ভাষায় "ধনী" হয়ে যায়না। কর্মক্ষেত্রে নীতি নৈতিকতার বিসর্জন দেওয়াকে তারা সামাজিকভাবে ঘৃণা ও প্রতিরোধ করে। তাঁদের সরকারী ও বেসরকারি সবরকমের " ভোক্তা অধিকার সংস্থা" গুলো বেশ সক্রিয় ও বৈজ্ঞানিক পন্থায় কাজ চালিয়ে যায় সাধারণ ভোক্তার অধিকার রক্ষায়। সাধারণ ভোক্তারাও বিভিন্ন জায়গা বা সার্ভে তে তাঁদের সার্ভিস পাওয়ার অভিজ্ঞতা গুলো জানিয়ে ফীডব্যাক দেয়। সেই ফীডব্যাকগুলোকে গুরুত্বের সাথে বিশ্লেষণ করে সেবা দাতারা তাদের সেবার মানের দিকে দৃষ্টি দেয়।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সত্যিকার অর্থেই একটি দীর্ঘমেয়াদী সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কার্যক্রম প্রয়োজন বাংলাদেশে যার সফলতার সুফল একসময়ে বিপ্লবে পরিণত হবে। বাংলাদেশের পরিপূর্ণ পচন রোধ করতে এর আর কোন বিকল্প নেই । দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খুব ছোট ছোট ভাবে হলেও এমন কার্যক্রমের শুরু হয়ে যাওয়া উচিৎ আমাদের দেশে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৮

স্থিতধী বলেছেন: রাজীব ভাই মন খারাপ করবেন না। পৃথিবীর কিছু দেশের কিছু কিছু লোক কিন্তু বাংলাদেশকে এখন সৌদি আরবের মত অত্যন্ত ধনী শেখ দের দেশ মনে করে! একটা সত্যি ঘটনা বলি শোনেন ।

কানাডাতে বসবাস করা একজন বাংলাদেশী গেল দুই তিন বছর আগে ওখানকার এক শহরের একটি গাড়ির দোকানে গাড়ি কিনতে ঢুকেছে। তিনি বাংলাদেশী এই তথ্য টি জানতে পেরে গাড়ীর সেলসম্যান তাকে নিয়ে গেলো ওই শো রুমের সবচেয়ে দামি ব্রান্ডের গাড়িগুলোর কর্নারে আর দামী মডেলের গাড়ীগুলোর গুণাগুণ বর্ণনা শুরু করলো।বাংলাদেশী ভদ্রলোক টি কানাডার একজন সাধারণ চাকরিজীবী। তাই তিনি সেলসম্যানটি কে বললেন, ভাই তুমি আমাকে এসব মডেলের গাড়ী কেন দেখানো শুরু করে দিলে? তুমি আমাকে মাঝামাঝি দামের মডেলের কিছু গাড়ি দেখাও। সেলসম্যান ভদ্রলোক কে সরি বলে তখন তাকে অন্য মডেলের গাড়ী গুলো দেখানো শুরু করে। কথাপ্রসঙ্গে সেলসম্যানের কাছ থেকে ভদ্রলোক জানতে পারেন যে তাঁর আগের কয়েক মাসে ঐ শোরুম টিতে বেশ কয়জন বাংলাদেশী তরুণ এসে ওখান থেকে সবচেয়ে দামী মডেলের গাড়ী গুলো কিনেছিলো আর সেলসম্যান হিসেবে সে অনেক কমিশন লাভ করে। ওই সবগুলো তরুণ ই কানাডাতে ছাত্র হিসেবে বসবাস করছে। তাই যখন সেলসম্যান জানতে পারে ভদ্রলোক বাংলাদেশের মানুষ, সে তখন ধরেই নেয় যে ইনিও ওইসব দামী মডেলের গাড়ী কিনতে আগ্রহী।

তো বুঝতেই পারছেন, আমাদের অর্থ পাচারের কুমীরেরা তাঁদের অর্থ ও পরিবারকে কানাডার বেগমপাড়া সহ পৃথিবীর বিভিন্ন বেগমপাড়াতে পাঠিয়ে সেখানে পরিবারের লোক কে অত্যন্ত বিলাসী জীবনযাপন করিয়ে ওখানকার সাধারণ জনগণের মনে বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণাই বদলে দিচ্ছেন। এটি তো খুব গর্বের বিষয়! ;)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: হুম কানাডাতে বহু দূর্নিতিবাজদের ছেলেমেয়েরা থাকে। তারা দেশের টাকা দিয়ে রাজার হালে আছে।

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

জাহিদ হাসান বলেছেন: দেশ থেকে ৫ কোটি মানুষকে বিদেশে অভিবাসী করে দিতে পারলেই দেশ সমৃদ্ধ হবে। এমন ছোট্ট দেশে ১৬ কোটি মানুষ এটা অসম্ভব ব্যাপার। এই কারণেই দেশ ভুগতেছে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: জনসংখ্যা কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা হলো সরকার এই বিপুল জনসংখ্যাকে কাজে লাগাতে পারছে না।

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: কাজে লাগনো সম্ভব না। ভুমি কম , আমাদের কোন দামী খনিজ সম্পদ নাই, তার উপরে বন্যা ও নদীভাঙ্গন । সব মিলিয়ে একটা ভীতিকর অবস্থা। আমি তাই দেশ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিছি অনেক আগেই। তাতে যদি বাংলা মায়ের উপরে চাপ একটু কমে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: যদি সত্যিই চাপ কমাতে চান তাহলে দেশের মানুষের জন্য কিছু করুন।

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন:

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০১

রাজীব নুর বলেছেন: এই দুই ভাইয়ের সাথে আরো লোকজন আছে। এরা ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে। বাইরেই থাকবে।

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

লেখক বলেছেন: জনসংখ্যা কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা হলো সরকার এই বিপুল জনসংখ্যাকে কাজে লাগাতে পারছে না।


এটা বোকারা বললে মানায়।।

কোন বুদ্ধিমান লোক এই কথা বললে সেটা মানায় না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: বড় ভাই আপনার ভালোবাসা আমি টের পাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.