নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই সমাজ- ৩৬

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৭



নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এত বেশি কেন?
সরকার সঠিক ভাবে কোনো তদারকি করছে না কেন? দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মধ্যে পড়ছে খেটে খাওয়া মানুষরা। তাদের দুঃখকষ্ট দেখার মতো কেউ নাই। সরকারের দিক থেকেও পণ্যেরর বাজার দর নিয়ন্ত্রনে বিশেষ কোন পদক্ষেপ নেই কেন? গত ১২ বছরে প্রতিটা জিনিসপত্রের মূল্য গড়ে বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অনেক ক্ষেত্রে তিন গুণ। ৩য় বিশ্বের দেশ হওয়াতে আমাদের দুইটি জিনিসের খুব অভাব রয়েছে- এক. সচেতনতা, দুই. শিক্ষার অভাব। আমাদের দেশে অনিয়ম করাটা অনেকটাই সহজ। ফলে কোম্পানী গুলো খুব সহজেই অল্প সময়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। উন্নত বিশ্বে যে পোডাক্ট বা খাবার গুলোর অনুমোদন নেই সেই খাবার বা পোডাক্ট গুলোই আমাদের দেশে তুমুল ব্যবসা করে যাচ্ছে।

হারপিক তো সবাই চিনেন।
প্রতিটা ঘরেই লাগে টয়লেট ক্লিনার। এর মূল উপাদান হলো সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH), যা তীব্র ক্ষার! হারপিক টয়লেট ক্লিনার ১ লিটার সাথে একটি মগ ফ্রি ১৫৫ টাকা। মগ ছাড়া দাম ১৩০ টাকা। কিছুতেই একটা হারপিকের দাম ১৩০ টাকা হতে পারে না। সর্বোচ্চ দাম হতে পারে ৪৫ টাকা। অথচ তারা দাম নিচ্ছে ১৩০ টাকা। কেউ দেখার নাই। কেউ বলার নাই। এই কোম্পানী নিশ্চয়ই এতদিনে হারপিক দিয়েই সীমাহীন টাকার মালিক হয়ে গেছে। এদের কেউ কিচ্ছু বলছে না কেন? পত্রিকা আর টিভিতে বিজ্ঞাপন দেয়, তাই তারা চুপ থাকে। কিন্তু সরকার কেন তাদের কিছু জিজ্ঞেস করছে না?

হরলিক্স সবাই চিনেন।
শিশুকাল থেকেই দেখে আসছেন। হরলিক্সে আসলে এমন কোন উপাদান নেই, যা আমাদের ব্রেইন ডেভেলপ করে বা শরীরের গ্রোথ বৃদ্ধি করতে পারে। আমেরিকা এবং কানাডা তাদের দেশ থেকে হরলিক্স ব‍্যান করে দিয়েছে প্রায় অনেক সময় হয়ে গেছে। কৃত্রিম কোন খাবারে শরীরের উপকার নেই। প্রাকৃতিক খাবার খান, টাকাও বাঁচবে, সন্তানরাও রক্ষা পাবে। বাজারে চকলেট হরলিক্স- ৫৫০ গ্রাম এর দাম ৩৯০ টাকা। আর হরলিক্স ক্লাসিক মল্ট জার ১০৫০ গ্রাম এর দাম ৭৯৯ টাকা। অথচ এই হরলিকসের দাম হওয়া উচিত শুধু মাত্র ৮০ টাকা। কিন্তু তারা চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে যুগের পর যুগ ব্যবসা করে যাছে। অথচ তাদের কেউ কিচ্ছু বলছে না। এদিকে দেশ নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে।

স্যানিটারি ন্যাপকিন।
নারীরা মাসিকের সময় যে একটি জিনিস মূলত ব্যবহার করেন তা হচ্ছে- স্যানিটারি ন্যাপকিন। এই স্যানিটারি ন্যাপকিন বা প্যাডের দাম নিম্ন আয়ের নারীদের ক্রয় সীমার বাইরে। স্যানিটারি ন্যাপকিন (Super Thin Regular Use) এর দাম ২৬৫ টাকা। হুইস্পার ম্যাক্সি নাইটস এক্সএল উইংস এর দাম ২৫৩ টাকা। কি আছে এই স্যানিটারি ন্যাপকিনে? এত দাম কেন হবে? এই স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম হওয়া উচিত মাত্র ৩৫ টাকা। অথচ ৫/৭ গুন বেশি টাকা নিচ্ছে। কেউ দেখার নেই। কেউ বলার নেই। যুগের পর যুগ এই ভাবেই চলছে দেশ। অদৃশ্য ভাবে ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের প্রতিদিন গলা কাটছে।

শিশুদের ডায়াপার পরানো হয়।
খুব বেশি দাম নিচ্ছে প্রতিটা কোম্পানী। অথচ এই জিনিসের এত দাম হতেই পারে না। Huggies wonder ডায়াপার প্যান্টস S (4-8kg) 42psc দাম নিচ্ছে ৮৯৯ টাকা। Huggies Belt Style ড্রাই ডায়াপার (4 - 8 Kg)- 60 Pcs দাম নিচ্ছে ১,৭০০ টাকা। Chu.Chu বেল্ট সিস্টেম বেবি ডায়াপার- 36pcs-Large দাম নিচ্ছে ৭৯৯ টাকা। Pampers বেবী ড্রাই প্যান্টস L (9-14kg) -30pcs দাম নিচ্ছে ৯৪৯ টাকা। তিন চার গুন বেশি দাম নিচ্ছে। যে যেরকম পারছে ইচ্ছে মতোন দাম নিচ্ছে। অথচ এসব ডায়াপারের দাম হওয়া উচিত সর্বোচ ১২০ টাকা। এসব তদারকি করবে?

সেদিন আমি দুপুর বেলা এক রেস্টুরেন্টে খেতে গেলাম।
মধ্যম মানের রেস্টুরেন্ট। না চাইতেই বেয়ারা ভাত নিয়ে এলো, সাথে একগাদা শাক ভাজি আর নানান রকমের ভর্তা। বেয়ারা বলল আর কি দিবো? এক পিছ রুই মাছের দাম চাইলো ১৮০ টাকা। ইলিশ মাছের দাম চাইলো ২০০ টাকা। চিংড়ি মাছ দুই পিছ ১৮০ টাকা। গরুর মাংস ২২০ টাকা। আমি গরুর মাংস নিলাম। খাওয়া শেষে আমার টোটাল বিল হলো- ৪৯০ টাকা। খাবারের মান ভালো না। যে খাবার খেয়েছি এর বিল হওয়ার কথা ১২০ টাকা। অথচ বিল দিলাম ৪৯০ টাকা। আমি বোকামো করেছি। যদি এক প্লেট মোরগ পোলাউ বা বিরানী নিতাম তাহলে আমার ৩৩০ টাকা বেঁচে যেত।

রাস্তায় একলোক ভ্যানে করে পেয়ারা বিক্রি করছে।
পেয়ারার দাম জিজ্ঞেস করলাম- পেয়ারা বিক্রেতা কোনো দাম না বলে দুই কেজি পেয়ারা মাপা শুরু করলো। আমি বললাম, পেয়ারা তো আপনাকে মাপতে বলি নাই। দাম জিজ্ঞেস করছি। মাছের বাজারে গিয়েছি, ইলিশ মাছের দাম জিজ্ঞেস করলাম, মাছ বিক্রেতা এক হালি ইলিশ পলিথিতে করে দিয়ে দিলো। আমি বললাম, আমি তো মাছ কিনতে আসি নাই। দামটা জানতে চাচ্ছিলাম। ফলের দোকানে গেলেও একই ঘটনা। দাম জিজ্ঞেস করলেই মাপতে শুরু করে। আজিব!

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
, দেশের কিছু মানুষের হাতে ক্যাশ টাকা প্রচুর পরিমাণে আছে বোঝাই যায়। তাই বিক্রেতারাও বুঝে গেছে দামের জন্য কেউ বসে থাকবে না ।
প্যাকেট করলেই নিয়ে নিবে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ক্যাশ টাকা অবশ্যই আছে। বহু দূর্নীতিবাজ ব্যাংকে টাকা রাখলেও। নানান জায়গায় ক্যাশ ছড়িয়ে রাখে।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: ভালো লাগলো। প্রচুর নতুন জিনিস জানতে পারলাম।
আরেকটা কথা-
নতুন একটা পোস্ট করেছি এই মাত্র।
পোস্ট না বলে বলা ভালো বোমা ছুড়েছি। হা হা হা
আপনার কমেন্টের বোমা ফাটার অপেক্ষায় রইলাম। =p~

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। এখনই যাচ্ছি আপনার পোষ্টে।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পণ্যের ব্রান্ডিের জন্য অনেক কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। আপনাকে সেই খরচও ধরতে হবে। ব্রান্ডের কারনেই এত দাম। আর মাঝে মাঝে এরা ছাড় দিয়ে বেঁচে। এই ছাড় এদের business promotion cost যা স্বাভাবিক সময়ের লাভের থেকে সমন্বয় হয়। এছাড়াও হরেক রকমের বিজ্ঞাপনের পিছনে খরচ আছে। এদের Research and development খরচ কোটি কোটি টাকা। এগুলি আমরা চিন্তা করি না। কিন্তু এই খরচগুলি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: এই ফালতু খরচ গুলো বন্ধ করলেই পারে।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



৩য় বিশ্বে, বাজার দর কন্ট্রোল করতে হয়; কারন, অর্থনীতির সঠিক কোন নীতি নেই ও মানুষের ব্যবসায়িক মরাল নেই; সবচেয়ে, বড় ফ্যাক্টর কালো টাকা ও চাঁদাবাজদের বড় ধরণের ক্রয় ক্ষমতা।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: কালো টাকার উড়াউড়ি আমি দেখেছি।
অবশ্য সেসব লেখার সাহস আমার নেই।

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৫৪

এইচ তালুকদার বলেছেন: ১) নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ এর দাম হঠাত বেড়ে যাওয়া খুবই অস্বস্তিকর একটা ব্যাপার,এবং এটা সরকারের উদাসীনতার ফল। ২)হারপিক এর মত প্রোডাক্টগুলর দাম উপযোগ অনুযায়ী নির্ধারিত হয় উপাদান অনুযায়ি না, আর ১৩০ টাকার হারপিক এর বদলে ২০ টাকার ব্লিচিং পাউডার ব্যাবহারের অপশন তো আছেই।কিন্তু হারপিক এর কাজ ব্লিচিং পাউডার দিয়ে হয় না।
৩)হরলিক্স জীবনেও ভালো লাগে নাই,তবে মাইলো অসম্ভব পছন্দ করতাম।
৪)ব্রাকের কমদামে স্যানিটারি ন্যাপকিন বানানর একটা প্রজেক্ট ছিলো সেটার বর্তমান অবস্থা কি কে জানে।
৫)বেবী ডায়পার বাংলাদেশে তৈরী হয় কিনা আমার জানা নেই।তবে বিদেশে থাকা পরিচীতদের বয়ান শুনে মনে হচ্ছে এটা সারা দুনিয়াতেই বেশ দামি আইটেম
৬)ছাত্রাবস্থায় ৫বছর আর ঢাকায় ফেরত এসে কর্মস্থলে ২বছর নিয়মিত হোটেলে খেয়েছি(গত ১ বছর ধরে চাকরি করছিনা তাই বাইরেও খাওয়া হচ্ছে না)

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো মন্তব্য করেছেন।

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাজারে আলু মরিচ সবকিছুর দাম বেশী । তবে এখন সময় আসছে নতুন সবজি আবাদের যার যার জমি আছে সুযোগ আছে নিজ পরিবারের জন্য হলেও শাক সবজি চাষ করি।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কৃষি পন্যের দাম বেড়ে যায় মধ্যসত্বভূগীদের জন্য আর শিল্প পন্যের দাম বাড়ে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের জন্য।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২০

রাজীব নুর বলেছেন: সরকার করছে টা কি?

৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মানুষ নিজেরাও তো সততা ধারণ করতে পারে।
কেবল অন্যের দোষ ধরা।
বিশেষত সরকারের।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি অধম, তাই তুমি উত্তম হইবে না কেন?
এরকমই মন মানসিকতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.