নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই সমাজ- ৩৭

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০



প্রতিদিন টিভিতে খবর দেখা আমার অভ্যাস।
কমপক্ষে দুইটা টিভি চ্যানেলের খবর আমাকে দেখতেই হয়। তা না হলে আমার ভালো লাগে না। দিনটাই যেন মাটি যায়। একবেলা না খেয়ে থাকতে রাজী আছি- কিন্তু খবর মিস করতে রাজী নই। দীর্ঘদিনের অভ্যাস। একটা টিভি চ্যানেল ডায়লগ দেয়, ২৪ ঘন্টাই খবর। আসলে তারা ২৪ ঘন্টা খবর দেখায় না। তারা খবর দেখায় দশ ঘন্টা। বাকি ১৪ ঘন্টা তারা বিজ্ঞাপন দেখায়। আমি টিভিতে খবর দেখতে বসেছি, বিজ্ঞাপন নয়। আমার সময়ের দাম আছে। অথচ টিভিওয়ালারা এক মিনিট নিউজ দেখায়, সাত মিনিট বিজ্ঞাপন দেখায়। আবার এক মিনিট নিউজ দেখায় সাত মিনিট বিজ্ঞাপন দেখায়। এরকমই চলছে। প্রচন্ড বিরক্ত লাগে। আধা ঘন্টা খবর দেখতে সময় পার করতে হয় দেড় ঘন্টা। মানুষের কি সময়ের দাম নাই। আর বিজ্ঞাপন গুলোতো আনন্দময় কিছু না। প্রচন্ড বিরক্তকর। বিজ্ঞাপন মানেই তাদের কোম্পানী ভালো। তাদের পোডাক্টই সেরা। আরেহ ভাই আমি বাজার করি, আমি ব্যবহার করি, আমি জানি কোন পোডাক্ট ভালো। কোনটা ভালো না। নিজের ঢোল নিজে পিঠানো বন্ধ করেন।

দেশের সব টিভি চ্যানেলের একই অবস্থা।
উন্নত পরিচ্ছন্ন স্বচ্ছ খবর কেউ দেখায় না। আমাদের দেশে এত টিভি চ্যানেল, এত এত পত্রিকা, এত এত অনলাইন নিউজ পোর্টাল অথচ কেউ স্বচ্ছ না। কেউ নিরপেক্ষ না। প্রথম আলোকে নিরপেক্ষ ভেবেছিলাম। তারাও এখন ব্যবসায়ী হয়ে গেছে। টাকা ছাড়া কিচ্ছু বুঝে না। হ্যা আমি জানি টিভি চ্যানেল বা পত্রিকা চালাতে গেলে অনেক খরচ। অনেক টাকা লাগে। তবে বাংলাদেশে যারা টিভি বা পত্রিকা ব্যবসাতে নামেন তাদের টাকার অভাব নাই। তারা টাকার জন্য এই ব্যবসায় নামেন না। তাদের উদ্দেশ্য অন্য। বেশির ভাগ পত্রিকা অফিস এবং অনলাইন গুলোতে দক্ষ এবং পেশাদার লোক নেই। অল্প টাকায় তারা কাজ করে। অনলাইন মানেই যেন কপি পেষ্ট, কপি পেষ্ট খেলা। টিভির স্ক্রল দেখে নিউজ করে। বানান ভুল, শব্দ গঠিওন ভুল। অবশ্য নিউজ কেউ পড়ে না। দেখেও না। অনলাইন ওয়ালারা খুব ভালো করেই জানে। এলেক্সাতে একশ' মধ্যেও এসব পত্রিকা আর নিউজ পোর্টাল গুলো খুজে পাওয়া যায় না। যদিও তারা ভুংভাং করে টিকে আছে- এটা অনেক বড় কথা।

আজ এসব আমার লেখার বিষয় না।
করোনার প্রতিষেধক নিয়ে লিখব ভেবেছিলাম। টিভিতে দেশ বিদেশের করোনা নিউজ শুনলে আত্মা কেঁপে উঠে। আবার বাইরে চারপাশ দেখলে মনে হয় করোনা একেবারে বিদায় নিয়েছে দেশ থেকে। টিভিতে বিজ্ঞাপন গুলো দেখলে মনে হয়- বাংলাদেশ করোনার ওষুধ আবিস্কার করে ফেলেছে। একটা সাবানের বিজ্ঞাপন দেখায়, সেখানে বলে ১০০% করোনা প্রতিশেষক সাবান। এই সাবান ব্যবহার করলে করোনা মরে যাবে। আরেক কোম্পানী বলছে তাদের স্প্রে ব্যবহার করোনা বাপ বাপ করে পালিয়ে যাবে। এই স্প্রে গাড়িতে, বাড়িতে, লিফটে সব জাগায় স্প্রে করা যাবে। এক কোম্পানী এমন হ্যান্ড ওয়াশ বের করেছে, সেটা ব্যবহার করলে আপনি নিশ্চিন্ত। সারা বিশ্ব ঘুরে ফেললেন, কিন্তু করোনা আপনার কাছ থেকে দূরে থাকবে। মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে এরা যখন এত করে ১০০% গ্যারান্টি দিচ্ছে, তাহলে এত ভয় কিসের? কিছু সাবান খেয়ে ফেললেই হয়। মুখের ভিরতে কিছু হ্যান্ড ওয়াশ দুই চা চামুচ খেয়ে নিলেই নিশ্চিন্ত। তাহলে করোনা থেকে বেঁচে যাই। এসব বিজ্ঞাপনওয়ালাদের শাস্তি হওয়া উচিত। এবং তাদের চ্যানেলে এরকম বিজ্ঞাপন দেখায় তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত।

এ প্রসঙ্গে আরেকটা কথা মনে পড়লো-
বাংলাদেশের সব রড আর সিমেন্ট কোম্পানী ভালো। তাদের রড সিমেন্ট এতই ভালো যে- পদ্মা সেতু বানাতে তাদের কোম্পানীর সিমেন্ট এবং রড ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রত্যেক কোম্পানীই একই কথা বলছে। বারবার বলছে। এই করোনার মধ্যে সাবান, হ্যান্ড ওয়াশ, স্প্রে, রড আর সিমেন্ট নিয়ে সবাই যেন ফাজলামো শুরু করেছে। এদেরকে থাপড়ানো দরকার। দুই হাজার টাকা দিলে আপনি যে কারো বিরুদ্ধে একটা নিউজ করতে পারবেন অনলাইন গুলোতে। তিন হাজার টাকা দিলে যে কোনো নিউজ পত্রিকাতে ছাপাতে পারবেন। পাঁচ হাজার টাকা দিলে আপনার কোম্পানীর সুনাম ছড়িয়ে বিরাট নিউজ করে দেওয়া হবে। নানান টালবাহানা করে আপনার কাছ থেকে তথাকথিত সাংবাদিকেরা টাকা নিবেই। আর যদি টাকা না দেন তাহলে আপনার বা আপনার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন সব কথা লিখবে যা আপনিও জানেন না। এই ভয়ে বহু প্রতিষ্ঠান পত্রিকা অফিসে এবং টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপনের নাম দিয়ে টাকা দেয়। দিতেই থাকে। এজন্য কোম্পানী গুলোর প্রতি বছর প্রচুর বাজেট থাকে।

সৎ এবং নিরপেক্ষ পত্রিকা, টিভি চ্যানেল আমাদের নেই।
সংবাদপত্রের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা বড় ভংকর হয়। এরা টাকা ছাড়া এক পা এগোয় না। তবে তাদের ইনকাম ভালো। ঢাকার সাংবাদিকদের থেকেও তাদের ইনকাম ভালো। জেলার সেরা দূর্নীতিবাজরা সাংবাদিকদের লালনপালন করেন। নিয়মিতভাবে প্রতিমাসে তাদের মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে টাকা ঢুকে যায়। ঢাকার বহু সাংবাদিক ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে হাত কচলায়। আগে শুধু ঈদের সময় হাত কচলাতো। এখন সারা বছর হাত কচলায়। দেশের ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার আসল তথ্য পাওয়া যায় ফেসবুক স্ট্যাটাস আর ব্লগ থেকে। ব্লগারেরা কারো তাবেদারি করে না। এরা মুখের উপর উচিত কথা বলে দেয়। কারন এরা কারো কাছ থেকে সহযোগিতা নেয় না। এদের বিকাশে নেতা এবং দূর্নীতিবাজদের কাছ থেকে টাকা আসে না। কাজেই একজন সাংবাদিকের চেয়ে একজন ব্লগার উত্তম। বহু অনলাইনওয়ালাদের দেখেছি ব্লগ থেকে লেখা নিতে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: এদেশেন চ্যানেলগুলো আকর্ষনীয় ভাবে খবর উপস্থাপন করতে পারে না।গুরুত্বহীন,গতানুগতিক খবরগুলো বেশী পরিবেশন করে।আমি বিবিসি বাংলা ,ভোয়া শুনি।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমারও তাই করতে হবে।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সিএনএন বা ফক্স নিউজ শুনলে বুঝতে পারবেন তাদের খবরের একটা উদ্দেশ্য আছে।পৃথীবির সকল দেশেরই তাই।যে শুনবে তাকে বুঝেনিতে হবে খবর প্রচারের উদ্দেশ্য কি।কেন সে খবরটাকে এভাবে প্রচার করছে।
ভোটের খবর প্রচারে প্রথম আলোয় দেখবেন সব ভোটার হিন্দু।মাথায় সিঁদুর।কারন কি? কারন একটা অবশ্যই আছে,হয়তো আমি আপনি বুঝি না।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী কারন আছে। সেই আক্রন কিছুটা বুঝতে পারি।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

এম ডি মুসা বলেছেন: ভাইয়া আমি মধ্যপ্রাচ্য গিয়েছিলাম , দেশের এত খুনের খবর নাই সেই দেশের টিভিতে ধর্ষণের খবর নাই।
আমাদের দেশের নাজেহাল অবস্থা কত আইন পাস করে গোড়ায় গলদ। আমাদের দেশের মানুষ আইন কে ভয় পাও আর না।
মিথ্যাবাদী আইনের আশ্রয় পায় তখনই এদেশের মানুষের আইনের প্রতি আশ্রয় এবং আস্থা হারায়।
এই মিথ্যাবাদীকে আল্লাহ যেন ধরিয়ে! দেক।। । এ দেশের উন্নতির খবর গরিব দুঃখীর পাশে দাঁড়ানোর খবর
আমাদের দেশে নাই।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: না আছে। ভালো ভালো খবর আছে। বিটিভিতে ভালো ভালো খবর দেখায়। বিটিভির খবর শুনলে আপনার মনে হবে দেশ আসলেই উন্নয়নের মহাসড়কে।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সঠিক।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বড় ভাই।

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের জাতির সততার মান ভয়ংকর পর্যায়ে এসে গেছে। এটা মনে হয় 'পয়েন্ট অব নো রিটার্ন' পর্যায়ে চলে গেছে। সাংবাদিকের ভণ্ডামির মুখোশ কিঞ্চিৎ উন্মোচনের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আরও বেশী লিখলে কেউ আপনাকে সাংবাদিকের চাকরী দিতে চাবে না। তাই যতটুক লিখেছেন সেটাই যথেষ্ট।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: মিডিয়াতে কাজ করার কোনো ইচ্ছা আমার নাই।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫২

আহা রুবন বলেছেন: সাংবাদিকদের দোষ দিয়ে আর লাভ কী? সংবাদপত্র এখন আর সাংবাদিকদের হাতে নেই। মালিকের মতে না থাকলে চাকরি নাই।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী মহা সত্য।

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রচ্ছদের ছবিটা অসাধারণ হয়েছে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.