নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
একজন শাষক যার নাম আবরাহা।
আবরাহা দেখলেন সবাই হজ্ব করতে কাবা ঘরের দিকে যায়। তাই সে চিন্তা করলো যেহেতু মক্কাবাসী কাবা ঘরের কারণে উন্নত হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, সম্মান, প্রভাব-প্রতিপত্তির দিক দিয়ে। তাই আবরাহা নিজে যদি আরেকটি কাবা তৈরী করে তবে লোকেরা তার ঘরকেও পরিদর্শন করতে আসবে, সেও সম্মানিত হবে। এবং তার ভালো ব্যবসা হবে।
যেই ভাবা সেই কাজ।
সে অনেক টাকা খরচ করে ঘর তৈরী করল, চারিদিকে প্রচার করলো সবাই যেনো তার কাবায় হজ্ব করতে আসে, কিন্তু কেউ তার ডাকে সাড়া দিল না। এত টাকা খরচ করে সম্মানিত হবার যে আশা আবরাহা করেছিল সেই আশা ভঙ্গ হয়ে সে বরং অপমানিত বোধ করল। ফলে সে প্রতিশোধ নেয়ার কথা ভাবল এবং বিরাট সৈন্যবাহিনী গঠন করল।
মক্কায় কাবা ঘরের দেখাশুনা করেন তখন কুরাইশ বংশ।
যাদের নেতা ছিলেন মহানবী (সা.) এর দাদা আব্দুল মুত্তালিব। আবরাহা সৈন্যবাহিনী নিয়ে গিয়ে আব্দুল মুত্তালিব-এর উট ধরে এনে আটকে রাখলো। যাতে কুরাইশরা আগে হামলা করে। কিন্তু, আব্দুল মুত্তালিব তার সঙ্গে দেখা করতে যান একা। গিয়ে তার উট ফিরিয়ে দিতে বলেন। একথা শুনে আবরাহা হাসিতে ফেটে পড়েন। আবরাহা বলেন, তুমি নিজের উট ফিরিয়ে নিতে এসেছো? অথচ আমি তো তোমাদের কাবা ধ্বংস করে ফেলবো। জবাবে মুত্তালিব বলেন, আমি উটের মালিক তাই উট নিতে এসেছি, যিনি কাবার মালিক তিনি তার কাবা নিজেই রক্ষা করবেন। তিনি তার উট নিয়ে চলে গেলেন।
কোন বাধা ছাড়াই কাবা ঘর ধ্বংস করা যাবে ভেবে আবরাহা নিশ্চিন্তে বিশাল বাহিনী নিয়ে গমণ করেন। এমতাবস্থায় লাখ লাখ আবাবিল পাখি যা খুবই ক্ষুদ্রাকার। আবাবিল পাখি দুই পায়ে দুইটি ও মুখে একটি করে মোট তিনটি পাথর নিয়ে আবরাহার বাহিনীকে হামলা করে এবং আজব এই পরিস্থিতিতে আবরাহার বাহিনী ধ্বংস হয়ে যায়।
(এ ঘটনা পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করে মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা ফিল (ফিল-হাতি) নাযিল করেছেন। আবরাহার বাহিনীতে অনেক হাতি ছিল বলে তাদেরকে হস্তী বাহিনী এবং ওই সালকে হস্তীবর্ষ বলা হয়। ইসলামের ইতিহাসে হস্তী বর্ষ (হাতী সাল) বলা হয় ৫৭০ খিস্ট্রাব্দের সময়কে।)
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: কোন হিসাবে শক্তিশালী?
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:১৮
এভো বলেছেন: নীচের লিংকটি পড়ুন, ধন্যবাদ
Click This Link target='_blank' >ক্লিক করুন
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: লিংক এ কিছু নাই। সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
কি একটা যেন বলতে হয়? ওহ, আপনাকে উত্তম ঝা ঝা দেয়া হোক!
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: যখনই ভাবি ধর্ম সংত্রান্ত সব কিছু থেকে দূরে থাকবো। তখন জানি কি হয়। আর পোষ্ট দিয়ে দেই।
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৫৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আরবে হাতিতে চড়ে যুদ্ধ হত এমন ঐতিহাসিক প্রমান নেই।উটে চড়ে যুদ্ধ হতে পারে।ওখানে কিছুই ছিল না যে লোকে যুদ্ধ করতে আসবে।নবী( সঃ) মৃত্যুর দুই শত বছর পর নবীর জীবনী লিখেন,তার আগের কোন লিখিত ইতিহাস নেই।
হস্তিবাহিনির একটা যুদ্ধের কথা তাওরাতে আছে।খৃষ্টানরা ইহুদিদের জেরুজালেম আক্রমণ করেছিল হস্তিবাহিনীর সাহায্যে।সেই যুদ্ধের কথাই এখানে ডুকে গেছে হয়তো।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: কিছু ব্যবসায়ী আরবে হাতী নিয়ে এসেছিলো। আরেবের শেখরা টা কিনে নিয়েছিলো চড়া মূল্যে।
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:১৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ওয়াজ!
আমিন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়ার সমস্ত ভালো কথা গুলোই ওয়াজ।
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:০৮
ঈশ্বরকণা বলেছেন: ব্লগে মাঝে মাঝে কারো কারো ঐতিহাসিক মন্তব্যের জন্যই আমার মনে হয় তাদের নিশ্চই ইতিহাসে গোটা কয়েক ডক্টরেট ডিগ্রি আছে ! এই লেখায় একজনের মন্তব্য থেকে যেমন হচ্ছে ! আরবরা হাতি বাহিনী দিয়ে আবরাহার বিরুদ্ধে বা অন্য কোথাও যুদ্ধ করেছে সেটা কি কুরআনে বলা হয়েছে কোথাও? রাজীব নূরওতো বলছেন আব্দুল মুত্তালিবের উট আবরাহা আটক করেছিল আর তার হাতী বাহিনী ছিল। কুরাইশরা হাতি দিয়ে তাদের সাথে যুদ্ধ করেছিল সেটা রাজীব নূরের লেখায় কোথাও কুরআনের রেফারেন্স দিয়ে বলা হয়েছে ? আবরাহা সম্পর্কে যত বর্ণনা আছে তার সবগুলোতেই বলা হয়েছে সে হাতি বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করেছিল। তার সাথে আরবরা হাতীবাহিনী নিয়ে যুদ্ধ করেছিল এরকম একটাও বর্ণনা নেই । আবরাহা কি আরবের রাজা ছিল নাকি আফ্রিকার ইথিওপিয়ার রাজা ছিল? তার হাতি বাহিনী থাকতে বাধা কোথায়? আফ্রিকায়তো হাতি পাওয়া যায় নাকি ? আবরাহার অনেক আগেইতো গ্রিক আর রোমানরা হাতি দিয়ে যুদ্ধ করেছিল।তাহলে সে'রকম একটা হাতীবাহিনী আফ্রিকান একজন রাজা তৈরী করতেই পারবে না কেন বা সেই বাহিনী নিয়ে আরবই বা আক্রমণ করতে পারবে না কেন?(নিজস্ব দাবি অনুযায়ী) কিছু ব্লগবৃদ্ধের ইতিহাস নিয়ে ঐতিহাসিক মন্তব্য দেখা যাচ্ছে অব্যাহত ভাবে চরম বালক সুলভ আর বোধবুদ্ধিহীন ! ব্লগ পরিবেশ সুন্দর রাখাতে এদের ব্লগ কমেন্ট করার সুযোগ বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারিন্টিনে পাঠানো হোক।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমার ভুল হতে পারে। কেউ ভুল গুলো দেখিয়ে দিলো- আমি হাসি মুখে শুধরে নিবো।
৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি ভুল লজিক দিচ্ছেন।
হাতি মরুভূমির প্রাণী নয়।
মরুভূমির প্রাণী হচ্ছে উষ্ট্র। আক্রমণ হয়ে থাকলে সেটা উটের পিঠে চড়েই হতে পারত। হাতির পিঠে নয়।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: আরেহ ভাই, হাতী কি অন্য দেশ থেকে আসতে পারে না?
৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার এই জাতীয় ওয়াজ না করাই উত্তম ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: দাগ থেকেই দারুন কিছু।
৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩৩
এমেরিকা বলেছেন: ঈশ্বরকণা, আবরাহা যদি ইথিওপিয়ার রাজা হয়, তাহলেও প্রশ্ন থেকে যায়। ইথিওপিয়া থেকে হস্তি বাহিনী নিয়ে সে মক্কায় এল কি করে? অবশ্য ব্লগার মধুমিতার পোস্টে তার একটা ইঙ্গিত দেয়া আছে। মক্কা আক্রমণের জন্য যে অনেক ব্যয় করে পাথর ফেলে একটা রাস্তা তৈরি করেছিল - উক্ত ব্লগার তার ছবিও ব্লগে শেয়ার করেছিলেন। তবে আরব ভূখন্ডেও হাতির অস্তিত্ব ছিল। ইয়েমেনের রাজা হাতেম তাঈয়ের বাবার প্রিয় বাহন ছিল হাতি।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: উট সস্তা। হাতীর অনেক দাম। অল্প কিছু আরব ব্যবসায়ীর কাছে হাতী ছিলো।
১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৬
ঈশ্বরকণা বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন :
এই মন্তব্যটা করার আগে একটু উইকিপেডিয়াতাওতো একটু দেখে নিতে পারতেন ! মন্তব্যে এ'রকম ঐতিহাসিক ভুল কথা বললেতো সমস্যা । আপনার সুহৃদ চাঁদগাজীতো বলে ব্লগাররা জাতির আধুনিক জেনারেশন ! আপনি কি জানেন না যে হাতি তার চওড়া পায়ের জন্য মরুভূমির নরম বালিতে অনেক ভালো আর সহজে চলাচল পারে ? আফ্রিকার নামিবিয়াতে এখনো এক প্রজাতির হাতি আছে যেগুলোকে বলে "ডেজার্ট এলিফ্যান্ট" । মরুভূমির কঠিন পরিবেশে এদের টিকে থাকার অসাধারণ ক্ষমতার জন্যই এদের বলা হয় ডেজার্ট এলিফ্যান্ট (নামিবিয়ার সাফারি গাইড এদের ফটোও দেখতে পাবেন মরুভূমিতে চলচলের)। এদের মেয়ে প্রজাতির হাতি প্রতি তিনদিনে একবার পানি খায় আর ছেলে হাতিগুলো একবার পানি খেয়ে পাঁচদিন আর পানি না খেয়েও চলতে পারে। এই তথ্যগুলো কখনো শুনেছেন? হাতি পানির খোঁজে ১০০ মাইলেরও বেশি ভ্রমণ করে। এই তথ্যেও নিশ্চই আশ্চর্য হলেন তাই না ? ইথিওপিয়ায় এখনো অনেক হাতিই আছে। যার জন্য ইথিওপিয়ার একজন রাজার আরব আক্রমণে একটা হাতি বাহিনী নিয়ে যাওয়া খুবই যৌক্তিক একটা সিদ্ধান্ত । এখানে ভুল লজিকের কিছু নেই যদি হাতি সম্পর্কে একটু সঠিক ধারণা থাকে । অফ টপিক একটা কথা বলি, ঠিকঠাক পড়াশোনা না থাকায় ইসলাম পিনচিং করে আপনার মন্তব্যগুলো ব্লগের টিকে থাকার বিরুদ্ধে একটা ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে বলে আমার মনে হয়। দয়া করে ব্লগের সমস্যা আর বাড়াবেন না ধর্ম নিয়ে না জেনে মন্তব্য করে। শুধু মন্তব্য করার জন্যই উল্টাপাল্টা মন্তব্য করার ব্যাপারটা খুব বিরক্তিকর ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যটা পছন্দ হয়েছে।
১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৫
লর্ড ভ্যারিস বলেছেন: এখানের কমেন্ট বক্সে দেখি আবরার কে ইথিওপিয়ান রাজা বানানো হচ্ছে। আর বর্ণনায় তো আছে ইয়েমেনের বাদশাহ হিসেবে। ইয়েমেন আর ইথিওপিয়া কি এক!!!
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: আলোচনা চলুক। আলোচনা থেকেই সত্যটা বেরিয়ে আসবে।
১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৫
ঈশ্বরকণা বলেছেন: @লর্ড ভ্যারিস,
কুর্নিশ ! ঠিক বলেছেন --আবরাহা ইয়েমেনের রাজা ছিলেন।কিন্তু প্রথমে আবরাহা ছিলেন ইয়েমেনে ইথিওপিয়ার ক্রিশ্চিয়ান রাজার ভাইসরয় (আমাদের দেশে যেমন ব্রিটেনের রানীর ভাইসরয় ছিল ইংরেজ শাসনামলে সে'রকম)। সে নিজে কিন্তু ইয়েমেনি ছিলোনা। সে ছিল রোমান ক্রীতদাস । তাকে কেনা হয়েছিল 'আদুলিস' (Adulis) থেকে । সেটা সে সময়ের সম্ভবত ইথিওপিয়ার ক্রিশ্চিয়ান সাম্রাজ্যের অংশই ছিল।এখন ইথিওপিয়ার পাশের দেশ ইরিত্রিয়ার অংশ। আফ্রিকান হাতি/ 'ডেজার্ট এলিফ্যান্ট' সম্পর্কে তার জানার কথা সে'জন্যই। ইথিওপিয়ার ক্লোজ কানেকশনটা বলতে গিয়ে তাকে ইথিওপিয়ার রাজা লিখে ফেলেছি। সেটা ভুল হয়েছিল। ধন্যবাদ ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৭
ঈশ্বরকণা বলেছেন: @এমেরিকা,
আপনার কঠিন প্রশ্নের উত্তর নিশ্চয় লর্ড ভ্যারিসের মন্তব্য থেকে আর জিওগ্রাফিক গোলমাল সংক্রান্ত কারণটা লর্ড ভ্যারিসের মন্তব্যে আমার দেওয়া উত্তর থেকে খানিকটা ক্লিয়ার হয়েছে ? টেক কেয়ার ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ক্লিয়ার।
১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৮
লর্ড ভ্যারিস বলেছেন: ঈশ্বরকণা, আচ্ছা আচ্ছা বুঝলাম তাহলে ইয়েমেন ইথিওপিয়া দুটা একসাথে তালগোল পাকানোর ব্যাপারটা। জানতাম না এই ব্যাপার।
১৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সহজ সরল উপস্থাপনা। ভালো হয়েছে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার রাজীব দা
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সূরা ফীল (الفيل), আয়াত: ১
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَٰبِ ٱلْفِيلِ
উচ্চারণঃ আলাম তারা কাইফা ফা‘আলা রাব্বুকা বিআসহা-বিল ফীল।
অর্থঃ আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন?
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী হ্যা।
ধন্যবাদ।
১৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০
মরুর ধুলি বলেছেন: পড়লাম।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
১৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০
জিকোব্লগ বলেছেন:
মোসাদ যেমন ইসলামের শত্রু,আপনিও
তেমনি সামুতে ইসলামের চরম শত্রু।
নতুন ব্লগাররা ইহা বুঝতে পারে না।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভুল কথা বললেন।
আপনি হীরার টুকরা কে কাঁচের টুকরা ভাবছেন।
২০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্ম বাদে অন্য কিছু নিয়ে লেখেন। আপনার দ্বিমুখী আচরণের কারণে আপনার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: সমস্যা নেই। আমি বিষমুক্ত।
২১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সূরা ফীল মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১০৫ম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ৫।
এ সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। ফীল আরবী শব্দ যার অর্থ হস্তী বা হাতি। এ সূরায়
হস্তীবাহিনীর ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে। তারা কা'বা গৃহকে ভূমিসাৎ করার উদ্দেশে
হস্তীবাহিনী নিয়ে মক্কায় অভিযান পরিচালনা করেছিল। আল্লাহ্ তাআলা নগণ্য পক্ষীকূলের
মাধ্যেমে তাদের বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে তাদের কুমতলবকে ধুলায় মিশিয়ে দেন।
খানসাবের বর্ণনায় এটুকু যোগ করছি যে, আবরাহার কাবা ঘরকে গুড়িয়ে দেবার জন্য
৫৭০ বা ৫৭১ খ্রিষ্টাব্দে ৬০ হাজার পদাতিক, ১৩টি হাতি (অন্য বর্ণনা মতে ৯টি হাতি)
সহকারে মক্কার পথে রওয়ানা হয়। আবরাহার মক্কাবাসীদের কাছে নিজের একজন
দূতকে পাঠায়। তার মাধ্যমে মক্কাবাসীদের কাছে এই মর্মে বাণী পাঠায়ঃ আমি
তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে আসিনি। আমি এসেছি শুধুমাত্র এই ঘরটি (কাবা)
ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে। যদি তোমরা যুদ্ধ না করো তাহলে তোমাদের
প্রাণ ও ধন-সম্পত্তির কোনো ক্ষতি আমি করবোনা। মক্কাবাসীরা যদি তার সাথে
কথা বলতে চায় তাহলে তাদের সরদারকে তার কাছে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয়।
(রসূলুল্লাহ্ (:সঃ)-এর দাদা) আবদুল মুত্তালিব তখন ছিলেন মক্কার সবচেয়ে বড় সরদার।
দূত তার সাথে সাক্ষাৎ করে আবরাহার পয়গাম তার কাছে পৌঁছয়ে দেয়। তিনি বলেন,
‘আবরাহার সাথে যুদ্ধ করার শক্তি আমাদের নেই।’ এটা আল্লাহ্র ঘর; তিনি চাইলে
তার ঘর রক্ষা করবেন। দূত বলে, ‘আপনি আমার সাথে আবরাহার কাছে চলুন।’
তিনি সম্মত হন এবং দূতের সাথে আবরাহার কাছে যান।
তিনি এতই সুশ্রী, আকর্ষণীয় ও প্রতাপশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন যে আবরাহা তাকে দেখে
অত্যন্ত প্রভাবিত হয়ে পড়ে। সে সিংহাসন থেকে নেমে তার সাথে এসে বসে। সে তাকে
জিজ্ঞেস করে, ‘আপনি কি চান?’ তিনি বলেন, ‘আমার যে উটগুলি ধরে নেয়া হয়েছে
সেগুলি আমাকে ফেরত দেয়া হোক।’ আবরাহা বলল, ‘আপনাকে দেখে তো আমি বড়
প্রভাবিত হয়েছিলাম। কিন্তু আপনি নিজের উটের দাবী জানাচ্ছেন, অথচ এই যে ঘরটা
আপনার ও আপনার পূর্ব পুরুষদের ধর্মের কেন্দ্র সে সম্পর্কে কিছুই বলছেন না,
আপনার এ বক্তব্য আপনাকে আমার দৃষ্টিতে মর্যাদাহীন করে দিয়েছে।’
প্রত্যুত্তরে তিনি বলল, ‘আমি তো কেবল আমার উটের মালিক এবং সেগুলির
জন্য আপনার কাছে আবেদন জানাচ্ছি। আর এই ঘর। এর একজন রব-মালিক
ও প্রভু আছেন। তিনি নিজেই এর হেফাজত করবেন।’ আবরাহা জবাব দেয়,
‘তিনি একে আমার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন না।’
আবদুল মুত্তালিব বলেন, ‘এব্যাপারে আপনি জানেন ও তিনি জানেন ‘ এ কথা
বলে তিনি সেখান থেকে উঠে পড়েন। আবরাহা তাকে তার উটগুলো ফিরিয়ে দেয়।
আবরাহা সেনাদল কাছে থেকে ফিরে এসে আবদুল মুত্তালিব কুরাইশদেরকে বলেন,
‘নিজ-নিজ পরিবার-পরিজনদের নিয়ে পাহাড়ের ওপর চলে যাও, এভাবে তারা ব্যাপক
গণহত্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে।’ অতপর তিনি ও কুরাইশদের কয়েকজন সরদার হারম
শরীফে হাযির হয়ে যান। তারা কাবার দরজার কড়া ধরে আল্লাহ্র কাছে এই বলে দোয়া
করতে থাকেন যে, তিনি যেন তার ঘর ও তার খাদেমদের হেফাজত করেন। সে সময়
কাবা ঘরে ৩৬০টি মূর্তি ছিল। কিন্তু এই সংকটকালে তারা সবাই এই মূর্তিগুলির কথা
ভুলে যায়। তারা একমাত্র আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করার জন্য হাত ওঠায়। ইতিহাসের
বইগুলিতে তাদের প্রার্থনার বাণীগুলি উদ্ধৃত হয়েছে, তার মধ্যে একটি হল নিম্নরূপঃ
হে আমার রব! তাদের মোকাবিলায়
তুমি ছাড়া কারো প্রতি আমার আশা নেই,
হে আমার রব! তাদের হাতে থেকে
তোমার হারমের হেফাজত করো।
এই ঘরের শত্রু তোমার শত্রু,
তোমার জনপদ ধ্বংস করা থেকে
তাদেরকে বিরত রাখো।
এ দোয়া করার পর আবদুল মুত্তালিব ও তার সাথীরাও পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন।
পরের দিন আবরাহা মক্কায় প্রবেশ করার জন্য এগিয়ে যায়। কিন্তু তার বিশেষ হাতি
মাহমুদ ছিল সবার আগে, সে হঠাৎ বসে পড়ে। কুড়ালের বাঁট দিয়ে তার গায়ে
অনেকক্ষণ আঘাত করা হয়। বারবার অঙ্কুশাঘাত করতে করতে তাকে আহত করে
ফেলা হয়। কিন্তু এত বেশি মারপিট ও নির্যাতনের পরেও সে একটুও নড়ে না।
তাকে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব দিকে মুখ করে চালাবার চেষ্টা করলে সে ছুটতে থাকে
কিন্তু মক্কার দিকে মুখ ফিরিয়ে দিলে সংগে সংগেই গ্যাঁট হয়ে বসে পড়ে। কোনো
রকমে তাকে আর একটুও নড়ানো যায় না।
এ সময় আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষুদ্রাকৃতি পাখি ঠোঁটে ও পাঞ্জায় ‘পাথর কণা’ (কঙ্কর) নিয়ে
উড়ে আসে। তারা সেনাদলের ওপর পাথর কণা (কঙ্কর) বর্ষণ করতে থাকে। যার ওপর পাথর
কণা পড়তো তার দেহ সংগে সংগে গলে যেতে থাকতো। ইবনে আব্বাসের বর্ণনা মতে, যার
ওপরই পাথর কণা পড়তো তার সারা গায়ে ভীষণ চুলকানি শুরূ হতো এবং চুলকাতে চুলকাতে
চামড়া ছিঁড়ে গোশত ঝরে পড়তে থাকতো। আবরাহা নিজেও এই অবস্থার সম্মুখীন হয়। তার
শরীর টুকরো টুকরো হয়ে খসে পড়তো এবং যেখান থেকে এক টুকরো গোশত খসে পড়তো
সেখান থেকে রক্ত ও পুঁজ ঝরে পড়তে থাকতো। বিশৃংখলা ও হুড়োহুড়ি ছুটাছুটি মধ্যে তারা
ইয়ামনের দিকে পালাতে শুরু করে। খাশ'আম এলাকা থেকে যে নুফাইল ইবনে হাবীব
খাশ'আমীকে তারা পথ প্রদর্শক হিসাবে নিয়ে আসে তাকে খুঁজে পেয়ে সামনে নিয়ে আসা
হয় এবং তাকে ফিরে যাবার পথ দেখিয়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু সে সরাসরি অস্বীকার করে
বসে। আবরাহা খাশ'আম এলাকায় পৌঁছে মারা যায়।
পবিত্র কোরআনের সুরা ফীল যে মুসলমান পড়েছেন জেনেছেন তারা যদি নানান প্রশ্ন তুলেন
তাদেরকে মুসলমান ভাবতে কষ্ট হবারই কথা। তারা কাকে বিশ্বাস করেন না, আল্লাহকে
না তার হাবীবকে না পবিত্র কোরআনকে? সবাই সহী মুসলমান ও ঈমাদার হবার
হেদায়েত নসীব হোক। আমিন
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০১
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুরুব্বী।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সুরা ফিল খুবই শক্তিশালী একটি সুরা।