নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আম্রপালী ছিলেন একজন অনিন্দ্য সুন্দরী।
তিনি ভালো নাচতে পারতেন, গাইতে পারতেন। দেখতেও ছিলেন দারুন রুপসী। প্রায় ২,৫০০ বছর আগে পুরুষ সমাজ যাকে বানিয়েছিল নর্তকী এবং পতিতা। আম্রপালী জন্মেছিলেন আজ থেকে ২,৫০০ বছর আগে ভারতে। তার বাবা মায়ের পরিচয় জানা যায় নি। তার রুপে পাগল ছিল পুরো পৃথিবী আর এই রুপই তার জন্য কাল হয়ে ওঠে। যার কারণে তিনি ছিলেন ইতিহাসের এমন একজন নারী, যাকে লোভী পুরুষদের আদেশে পতিতা বানানো হয়েছিল! সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবার সব সময় মেয়েদের পণ্য ভেবেছে۔ তাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। তবুও নারী নিজের স্থান ঠিক করে নিয়েছে ইতিহাসে। সেই নারীর জন্য সমসাময়িক পুরুষরা ইতিহাসে স্থান পেয়েছে।
একদা এক নিঃসন্তান দম্পতি-
একদিন ঘন আম বাগানে খুজে পেয়েছিলেন পরিত্যক্ত এক কন্যা শিশুকে। দম্পতি অতি সুন্দর সেই কন্যা শিশুটিকে নিয়ে যান নিজেদের বাড়িতে। আম বাগানে কুড়িয়ে পাওয়ায় মেয়েটির নাম দেন আম্রপাল। ভারতের বৈশালী শহরের ঘটনা। বৈশালী ছিল প্রাচীন ভারতের গণতান্ত্রিক একটি শহর, যেটি বর্তমানে ভারতের বিহার রাজ্যের অর্ন্তগত।
শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পা দিতেই আম্রপালীকে নিয়ে হইচই পড়ে যায়।
তার রুপে চারপাশের সব মানুষ পাগল হয়ে যান। দেশ-বিদেশের রাজা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ তার জন্য পাগলপ্রায় হয়ে যান। নানা জায়গায় থেকে তাকে নিয়ে দ্বন্দ, ঝগড়া আর বিবাদের খবরও আসতে থাকে। সবাই তাকে একনজর দেখতে চান, বিয়ে করতে চান। অথবা এক রাতের জন্য হলেও কাছে পেতে চায়। বিনিময়ে আম্রপালীর ওজন সমান স্বর্ণ দিতে আপত্তি নেই। এ নিয়ে আম্রপালীর মা-বাবা খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন। তারা তখন বৈশালীতে সকল গণমান্য ব্যক্তিকে এর একটি সমাধান করার জন্য অনুরোধ করেন। তখন বৈশালীর সকল ক্ষমতাবান ও ধনবান পুরুষেরা মিলে বৈঠকে বসে নানা আলোচনার পর যে সিদ্ধান্ত নেন তা হল, আম্রপালীকে কেউ বিয়ে করতে পারবে না। কারণ তার রুপ। সে একা কারো হতে পারে না। আম্রপালী হবে সবার। সে হবে একজন নগরবধু, মানে সোজা বাংলায় পতিতা। এটা ছিল একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।
আম্রপালী সে সভায় পাঁচটি শর্ত রাখেন-
১। নগরের সবচেয়ে সুন্দর জায়গায় তার ঘর হবে।
২। তার মুল্য হবে প্রতি রাত্রির জন্য পনের শ' স্বর্ণমুদ্রা।
৩। একবারে মাত্র একজন তার গৃহে প্রবেশ করতে পারবেন।
৪। শক্র বা কোন অপরাধীর সন্ধানে প্রয়োজনে সপ্তাহে সর্বোচ্চ একবার তার গৃহে প্রবেশ করা যাবে।
৫। তার গৃহে কে এলেন আর কে গেলেন- এ নিয়ে কোন অনুসন্ধান করা যাবে না।
সবাই তার এসব শর্ত মেনে নেন।
এভাবে দিনে দিনে আম্রপালী বিপুল ধন-সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন। তার রুপের কথাও দেশ-বিদেশে আরও বেশী করে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। প্রাচীন ভারতের মগধ রাজ্যের রাজা ছিলেন বিম্বিসার। তার স্ত্রীর সংখ্যা নাকি ৫০০ ছিল! নর্তকীদের নাচের এক অনুষ্ঠানে তিনি এক নর্তকীর নাচ দেখে বলেছিলেন, এ নর্তকী বিশ্বসেরা। তখন তার একজন সভাসদ বলেন- মহারাজ, এই নর্তকী আম্রপালীর নখের যোগ্য নয়! তিনি তার সেই সভাসদের থেকে আম্রপালী সম্পর্কে বিস্তারিত শুনে তাকে কাছে পাবার বাসনা করেন। কিন্তু তার সভাসদ বলেন, সেটা সম্ভব নয়। কারণ, তাহলে আমাদের যুদ্ধ করে বৈশালী রাজ্য জয় করতে হবে আর আম্রপালীর দেখা পাওয়াও এত সহজ নয়। দেশ-বিদেশের বহু রাজাসহ রাজপুত্ররা আম্রপালীর প্রাসাদের সামনে তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। কিন্তু মন না চাইলে তিনি কাউকে দেখা দেন না।
এত কথা শুনে বিম্বিসারের আগ্রহ আরও বেড়ে গেল।
তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, ছদ্মবেশে বৈশালী রাজ্যে গিয়ে আম্রপালীকে দেখে আসবেন। কি এমন আছে সেই নারীর মাঝে, যার জন্য পুরো পৃথিবী পাগল হয়ে আছে! তারপর বহু চড়াই উৎরাই শেষে তার আম্রপালীর সাথে দেখা করার সুযোগ আসে। আম্রপালীর প্রাসাদ আম্রকুঞ্জে। কিন্তু দেখা করতে গিয়ে রাজা চমকে উঠেন, এত কোন নারী নয়, যেন সাক্ষাৎ হুর! এ কোনভাবেই মানুষ হতে পারেন না। এত রুপ মানুষের কিভাবে হতে পারে!
অবাক রাজার জন্য আরও অবাক কিছু অপেক্ষা করছিল।
কারণ, আম্রপালী প্রথম দেখাতেই তাকে মগধ রাজ্যের রাজা বলে চিনে ফেলেন এবং জানান- তিনি তার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন বহু আগে থেকেই। এই কথা শুনে রাজার বিস্ময়ের সীমা থাকে না। রাজা সাথে সাথে তাকে তার রাজ্যের রাজরাণী বানানোর প্রস্তাব দেন। কিন্তু আম্রপালী জানান, তার রাজ্যের মানুষ এটা কখনোই মেনে নেবেন না। উল্টো বহু মানুষের জীবন যাবে। রক্তপাত হবে। তাই রাজাকে দ্রুত এখান থেকে চলে যেতে বলেন।
কিন্তু বিম্বিসার বৈশালী আক্রমন করে আম্রপালীকে পেতে চান।
ওদিকে আম্রপালী তার নিজের রাজ্যের কোন ক্ষতি চান না। তাই তিনি রাজাকে তার নিজ রাজ্যে ফেরত পাঠান এবং বৈশালীতে কোন আক্রমণ হলে তিনি তা মেনে নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এদিকে বিম্বিসারের সন্তান অজাতশত্রুও আম্রপালীর প্রেমে মগ্ন ছিলেন। তিনি বিম্বিসারকে আটক করে নিজে সিংহাসন দখল করে বসেন এবং আম্রপালীকে পাওয়ার জন্য বৈশালী রাজ্য আক্রমণ করে বসেন। কিন্তু দখল করতে সক্ষম হননি এবং খুব বাজে ভাবে আহত হন। পরবর্তীতে আম্রপালীর সেবায় সুস্থ হয়ে গোপনে তার নিজের রাজ্যে ফেরত যান। সেদিনও আম্রপালী অজাতশত্রুর বিয়ের প্রস্তাব সবিনয়ে ফিরিয়ে দেন।
গৌতম বুদ্ধর সময়কাল তখন।
গৌতম বুদ্ধ তার কয়েকশ সঙ্গী নিয়ে বৈশালী রাজ্যে এলেন। একদিন বৈশালী রাজ্যের রাবান্দা থেকে এক বৌদ্ধ তরুণ সন্ন্যাসীকে দেখে আম্রপালীর মনে ধরে গেল। তিনি ভাবলেন, দেশ-বিদেশের রাজারা আমার পায়ের কাছে এসে বসে থাকেন আর এত সামান্য একজন মানুষ। তিনি সেই সন্ন্যাসীকে চার মাস তার কাছে রাখার জন্য গৌতম বুদ্ধকে অনুরোধ করলেন। সবাই ভাবলেন, বুদ্ধ কখনই রাজি হবেন না। কারণ, একজন সন্ন্যাসী এমন একজন পতিতার কাছে থাকবেন; এটা হতেই পারে না। কিন্তু গৌতম বুদ্ধ তাকে রাখতে রাজি হলেন এবং এটাও বললেন, আমি শ্রমণের (তরুণ সে সন্ন্যাসীর নাম ছিল) চোখে কোন কামনা-বাসনা দেখছি না। সে চার মাস থাকলেও নিষ্পাপ হয়েই ফিরে আসবে- এটা আমি নিশ্চিত!
চার মাস শেষ হল।
গৌতম বুদ্ধ তার সঙ্গীদের নিয়ে চলে যাবেন। তরুণ শ্রমণের কোন খবর নেই। তবে কি আম্রপালীর রুপের কাছেই হেরে গেলেন শ্রমণ? সেদিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে তরুণ শ্রমণ ফিরে আসেন। তার পিছনে পিছনে আসেন একজন নারী। সেই নারীই ছিলেন আম্রপালী। আম্রপালী তখন বুদ্ধকে বলেন, তরুণ শ্রমণকে প্রলুব্ধ করতে কোনও চেষ্টা বাকি রাখেননি তিনি। কিন্তু এই প্রথম কোন পুরুষকে বশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বৈশালীর নগরবধূ আম্রপালী। তাই আজ সর্বস্ব ত্যাগ করে বুদ্ধের চরণে আশ্রয় চান তিনি।
পরে সব কিছু দান করে বাকী জীবন গৌতম বুদ্ধের চরণেই কাটিয়ে দেন ইতিহাস বিখ্যাত সেই রমণী আম্রপালী আর এই আম্রপালী নামেই ১৯৭৮ সালে ভারতের আম গবেষকরা 'দশোহরি' ও 'নিলাম'- এই দু'টি আমের মধ্যে সংকরায়ণের মাধ্যমে এক নতুন জাতের আম উদ্ভাবন করেন এবং নাম রাখেন 'আম্রপালী'। সংস্কৃতে আম্র মানে আম এবং পল্লব হল পাতা। অর্থাৎ, আম গাছের নবীন পাতা। স্বাদের দিক থেকে অনেকের কাছেই 'আম্রপালী' আম খুবই প্রিয়।
আকারে ছোট কিন্তু মিষ্টির দিক থেকে যেন সকল আমকে পিছনে ফেলে দিয়েছে 'আম্রপালী'।
কয়েকটি তথ্যঃ
১। আম্রপালি খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
২। বৈশালী শহরটি এখন বিহার রাজ্যের অন্তর্গত।
৩। বৌদ্ধ ধর্মের পালি লিপিতেও আম্রপালির কথা উল্লেখ রয়েছে।
৪। ১৯৬৬ সালে ভারতে একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায় যার নাম ছিলো 'আম্রপালি'। চলচ্চিত্রটি এই প্রাচীন নারীর চরিত্র নিয়েই নির্মিত হয়েছিলো।
৫। ২০০২ সালে কলকাতার দূরদর্শন চ্যানেলে আম্রপালি নামের একটি ধারাবাহিক নাটক প্রচারিত হত।
৬। গৌতম বুদ্ধ একাধিকবার বৈশালীতে এসেছিলেন।
৭। বৈশালীর এক রাজা মনুদেব হত্যা করেছিলেন আম্রপালীর বাল্যপ্রেমিক পুষ্পকুমার'কে।
৮। আম্রপালী তার সমস্ত সম্পত্তি বুদ্ধকে দিতে চেয়েছিলেন। বুদ্ধ তা এক বাক্যে নাকোচ করে দেন।
সুত্রঃ
১। বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্ম এবং প্রাচীন বৌদ্ধসমাজ: শ্রী শান্তিকুসুম দাশগুপ্ত
২। ইউকিপিডিয়া।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আলী ভাই অসাধারণ লিখেছেন। তার মতো করে লেখা আমার পক্ষে সম্ভব না।
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সন্ন্যাসী শ্রমণকে কোন ভালো ডাক্তার দেখানো দরকার ছিল।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো মারাত্মক। আসল পয়েন্টে হাত দিয়েছেন।
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এ লেখাটি আপনি আগেও একবার
প্রকাশ করেছিলেন কি?
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: না।
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৪
প্রশান্ত মন্ডল হেমন্ত বলেছেন: ভালো থাকুক আম্রপালি...
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: সে মারা গেছে হাজার হাজার বছর আগে।
৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৬
সোহানী বলেছেন: মেয়েরা এমনিতেই পণ্য প্রায় সব যুগে। সেখানে এরকম সুন্দরী হলেতো তা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ থাকবেই। দেখুন খেয়াল করে, বিচারের সময় কেউই তখন জানতে চায়নি আম্রপলি নিজে কি চায়?
আলী ভাইয়ের চমৎকার একটি লিখা আছে এ নিয়ে।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: সেই সমস্ত যুগ থেকে মেয়েরা এখন ভালো আছে। এমন কি মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোর চেয়ে আমাদের দেশের মেয়েরা অনেক ভালো আছে।
আলী ভাই সম্ভব সামুতে আম্রপালীকে নিয়ে প্রথম লিখেছেন।
৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ড: আলীর লেখা কাব্য পড়েছেন?
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী পড়েছি।
একই ঘটনা। একটা গদ্য। একটা পদ্য। এই যা প্রার্থক্য।
৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইদানিং বড়বেশি ডাইনে বায়ে তাকাচ্ছেন।কখনো কালো কখনো ধলো।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: খুব চাপে আছি। মাথা ঠিক নাই।
৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:০৯
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আম্রপালি - রাজীব ভাইয়ের মনে হয় খুব পছন্দের?
থুক্কু- আম মনেহয় রাজীব ভাইয়ের খুব পছন্দের....
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা পছন্দের।
৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: আম্রপালির মতো অনিন্দ্য সুন্দরী নারী অতীতে ছিলো এখনো অনেক আছে সামনেও থাকবে। শুধুমাত্র আমাদের চোখে পরে না, পরলেও আমরা চিনতে পারিনা।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: কথা একটাই নারীদের সম্মান করতে হবে।
এই আধুনিক যুগে এসেও কেন নারীর অবমাননা করা হবে।
১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৩
মাহমুদ শরীফ মুন্না বলেছেন: ভালো লাগলো...
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ডঃ আলী ভাই এর লেখায় পড়েছিলাম, হিন্দি মুভি ও দেখেছি।