নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এই মহাবিশ্বে যে আমাদের অজানা কত কিছু আছে, আমরা তাও জানি না। সময় হয়েছে চোখ মেলে দেখবার, সময় হয়েছে মনের যত কৌতুহল নিবারণ করবার। আমাদের কৌতুহলী তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের তৃষ্ণা নিবারণের অনন্য উপায়টি হল বিজ্ঞান। মহাবিশ্বের একটি বস্তু মলিকিউল বা পার্টিকেল হচ্ছে ডিএনএ। আমরা প্রায়ই সংবাদপত্রে ডিএনএ নিয়ে নানা সংবাদ শিরোনাম দেখি। কিন্তু খুব বেশি মানুষই ডিএনএ কী তা জানার জন্য মাথা ঘামাই না। অথচ মাথা থেকে পা পর্যন্ত আমাদের শরীরের সর্বত্র রয়েছে ডিএনএ’র সদর্প কারসাজি। যখন আমাদের শরীরে নতুন কোষের জন্ম হয়, পুরনো কোষের ডিএনএ নতুন কোষের ডিএনএ গঠন নির্দেশ করে।
একটি বানরকে কম্পিউটারের কি-বোর্ডে বসিয়ে দিলে যেমন এলোমেলো ভাবে কী চেপে অক্ষর বসাবে ঠিক তেমনি। আমরা যখন মায়ের পেটে বেড়ে উঠতে শুরু করি, তার শুরু এক আউন্সেরও কম ওজনের একটি কোষ থেকে। পরে ক্রমান্বয়ে গঠিত হয় আমাদের বাহু, হাত, পা, পায়ের পাতা, মগজ, গুর্দা, ফুসফুস, যকৃৎ, পাকস্খলী যতক্ষণ না আমরা পরিপূর্ণ দেহরূপ পাই। একটি একক কোষ থেকে বেড়ে বহু কোষ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে এ কাজ সম্পন্ন হয়।
বিংশ শতাব্দির দ্বিতীয় দশকে আমোরিকার লসএঞ্জেলেসের মাউন্ট উহলসন মানমন্দিরে জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডুইন হাবল ও মিলটন হুমাস গবেষণা করে মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব (THE BAG BANG THEORY ) দাঁড় করান। সে মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব অনুসারে আজ হতে পনের থেকে বিশ বিলিয়ন অর্থাৎ ১৫০০ থেকে ২০০০ কোটি কোটি বছর আগে এই অদিম অগ্নিগোলকে এক প্রচন্ড বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণের বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন বিগ ব্যাং (BIG BANG)। পদার্থ বিজ্ঞানি স্টিফেন হকিং তার বিখ্যাত বই 'A Brief History of Time' এ মহাবিশ্ব সৃষ্টি নিয়ে পদার্থ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে তার মন্তব্য তুলে ধরেন।
অ্যারিস্টটলের সময়ে বিশুদ্ধ চিন্তা দিয়ে জগতের সকল রহস্যের সমাধান করার প্রচলন ছিল। শুধু চিন্তা দিয়ে যে জগতের রহস্যের কুলকিনারা পাওয়া যায় না সেটা বহুকাল পর গ্যালিলেও এসে প্রমাণ করলেন। অ্যারিস্টটল বলেছিলেন যে, 'ভারী বস্তু হাল্কা বস্তুর তুলনায় দ্রুত মাটিতে পড়ে'। কিন্তু হেলানো তলে বস্তু গড়িয়ে গ্যালিলেও প্রমাণ করেছিলেন যে মুক্তভাবে পতনশীল বস্তুর ত্বরণ ভর-নিরপেক্ষ। এই ত্বরণই অভিকর্ষজ ত্বরণ। চিন্তা সর্ঠিক কিনা তা যাচাই করে দেখার প্রয়োজনীয়তা দার্শনিক উপলব্ধি করেন নি, কিন্তু বিজ্ঞানী করেছিলেন। সেই থেকেই বিজ্ঞানের পথ দর্শনের থেকে আলাদা।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না। কাজেই একই সাথে দুটা সঠিক হতে পারে না।
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ফেরেশতাদের ডিএনএ আছে?
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের গুজব ঈশ্বর। আর ঈশ্বের গুজব ফেরেশতা।
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২০
রানার ব্লগ বলেছেন: এটাই ঠিক আপনি বিজ্ঞ্যান নিয়ে থাকেন হুট হাট আধ্যাত্মিক টাইপ আলচনাটা বাদ দেন। মাঝে মাঝে কবিতা গল্প লেখেন ভালো থাকেন। দুই দুইটা শিশুর বাবা আপনি, এদের বেড়ে ওঠা উপভোগ করেন।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মহাবিশ্ব একটি হিন্দু অবস্থা থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে।এই অবস্থায় সকল পদার্থ এবং শক্তি অতি উত্তপ্ত এবং ঘন অবস্থায় ছিল।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৪৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: @ সাড়ে চুয়াত্তুর,ডিএনএ টেষ্ট করার জন্য ফেরশতাকে নিয়ে ডাক্তার এর কাছে যেতে হবে,আপনার কাছে কি কোন ফেরেশতা আছে,ডাক্তার বলেছে পারবে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে কি 'ডিএনএ' টেস্ট।
৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নুরুলইসলা০৬০৪- ডিএনএ টেস্ট ডাক্তার করতে পারে এটা তো আমার জানা ছিল না। এটা তো শুনেছি ল্যাবরেটরিতে করা হয়। ভালো মতো জেনে শুনে মন্তব্য করবেন।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: একই জিনিষের বা ঘটনার বিজ্ঞান এবং দর্শনের ব্যাখ্যা ভিন্ন ভিন্ন হয়।
বিজ্ঞান যুক্তি দিয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করে আর দর্শন ঘটনা উপলব্ধি করে পূর্বের সাথে বর্তমানের তুলনা করে সে ব্যাপারে বলতে চায় । দুটিই সঠিক যার যার অবস্থান থেকে।