নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
১। ডিপার্চারস (DeparTures) ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে এক চাকরি হারানো যুবককে ঘিরে যে নিজের কষ্টগুলো নিজের ভিতর চেপে রাখে। টোকিও শহরে মিউজিক টিমে কাজ করা দাইগো যখন চাকরি হারিয়ে শখের বাদ্যযন্ত্রটি বিক্রি করে দেয় তখন অন্যরকম একটা অনুভূতি হয়। পরবর্তীতে সে চলে আসে নিজের শহরে যেখানে কাজ নেয় মৃতদেহকে সাজ-সজ্জা করানোর। একাজ মেনে নিতে না পেরে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। সে সময়ে দাইগোর অবলম্বন হয় ছোটবেলার কমদামি পুরনো বাদ্যযন্ত্রটি আর হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ। একসময় সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ফিরে আসে দাইগোর কাছে যখন দাইগোর ডাক পড়ে কাছের একজন মানুষকে শেষবারের মত সাজানোর কাজের।
ছবির শেষাংশে দেখা যায় ৩০ বছর আগে চলে যাওয়া পিতার জন্য সন্তানের ভালবাসা, দাইগোর স্মৃতিতে পিতার কোন চেহারা ছিল না।ছিল একজন পুরুষের হাতে ছোট্ট এক শিশুর তুলে দেওয়াএকটি শ্বেত পাথরের ছবি। পিতার মৃত দেহের হাতে থাকা সেই পাথরটি মনে করিয়ে দেয় সন্তানের প্রতি জন্মদাতার অকৃত্রিম ভালবাসা। যে দৃশ্য জমতে থাকা কান্নাকে থামতে দিতে চায় না। মনে করিয়ে দেয় আমাদের চারপাশে থাকা শত শত পিতার কথা।
এই ছবিটির IMDb রেটিং ৮.১/১০।
২। বাইসাইকেল থিফ (Bicycle Thieves) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ইতালি। হতাশায় নিমজ্জিত আরো অনেকের মত এক বেকার এন্টনিও রিকি। একদিন সে হঠাৎ করে বিভিন্ন যায়গায় পোষ্টার লাগানোর একটি চাকরি পেয়ে যায়। কিন্তু এই কাজের জন্য প্রয়োজন একটি বাইসাইকেল। চাকরিদাতাদের কঠিন শর্ত 'বাইসাইকেল যোগার করতে না পারলে চাকরি হবে না'। যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশে যেখানে হাজার হাজার লোক একটি চাকরির জন্য হন্য হয়ে ঘুরছে সেখানে এরকম একটি চাকরি পাওয়া বিশাল ব্যাপার। কাজেই চাকরি হাতছাড়া করা যাবে না। "সাইকেল যোগার করা যাবে" এই শর্তে সে চাকরিটি নিয়ে নেয়। কিন্তু ঘিরে ধরে আরেক চিন্তা, কথা তো দিল কিন্তু সাইকেল পাবে কোথায়? এগিয়ে আসে রিকির স্ত্রী মারিয়া। বিয়েতে পাওয়া চাদর গুলো বিক্রি করে সাইকেল কেনা হয়।
চলচ্চিত্রে সমাজ এবং মানুষের সম্পর্ক, সেখানে অর্থনীতির প্রভাব, পিতা-পুত্রের সম্পর্কের একেবারে গভীরের রুপ, একজন সৎ মানুষের হাহাকার, পরোক্ষভাবে যুদ্ধের কুফল সম্পর্কে নাড়া দেয়া কী নেই এই ছবিতে!
৩। দ্যা ক্লাসিক (The Classic) মুভিতে নায়িকা'র পার্ট দুইটা, মা ও মেয়ের। কিছুক্ষন মেয়ের কাহিনি দেখায়, কিছুক্ষন ফ্ল্যাস ব্যাক। যদিও কাহিনি শুরুর হয় মেয়েকে দিয়ে, কিন্তু মূল সিনেমার কাহিনী মায়ের প্রেম কাহিনী নির্ভর। পুরাতন কোরিয়ান সংস্কৃতি, মূল্যবোধ কিছু কিছু এসেছে। কাহিনী রোমান্টিক।
গ্রামের মেম্বর টাইপ লোকের নাতনী সুন এ জিন, আর ঐ গ্রামে নায়কের আত্মীয়র বাড়ি। গ্রামেই তারা জানতে পারে তারা আসলে একই শহরের ছাত্রছাত্রী। মেয়েটার পারমিশন নাই, এখানে ওখানে যাওয়ার, কিন্তু নদীর ঐ পারের ভুতুরে বাড়িটা দেখার খুব শখ, ছেলেটারে জানায়। ... ফেরার পথে নৌকা নাই ঘাটে আর তুমুল বৃষ্টি। মেয়েটার কিন্তু বিয়ে ঠিক পারিবারিক ভাবে, পাত্র নায়কের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, ভালো মানুষ....সেও ভালোবাসে নায়িকারে। এই গোলযোগের মাঝে নায়ক কে যেতে হয় যুদ্ধে। নায়ক কি ফেরৎ আসে? মায়ের চিঠি আর ডায়েরী গুলা পড়তে পড়তে জানতে চেষ্টা করে মেয়েটা...আর এই ফাঁকে তার জীবনেও ঘটতে থাকে রোমান্টিক টুইস্ট। মা-মেয়ের দুইজনের প্রেম কাহিনীর দুইরকম সমাপ্তি।
৪। চার্লি এন্ড দ্য চকলেট ফ্যাক্টরী (Charlie and the Chocolate Factory) ২০০৫ সালে মুভিটি মুক্তি পায়। অভিনয়ে সবসময়ই নতুন কিছু নিয়ে কাজ করে এমন অভিনেতার সংখ্যা খুব বেশি নেই। সেই অল্প ক’জন অভিনেতার অন্যতম হলেন জনি ডেপ। সবসময়ই নতুন কিছু করতে পছন্দ করেন ‘পাইরেটস অব ক্যারিবিয়ান’ খ্যাত অভিনেতা জনি ডেপ।
৫। দ্যা প্রেস্টিজ (The Prestige) মুভিটির দর্শন, নাটকীয়তা, সংলাপ সব অসাধারন। শুধু গল্প বলার ভঙ্গিটা একটু জটিল। দুইজন তরুন ম্যজিশিয়ানের দ্বন্দ্ব এই ছবির কাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে গেছে... যেটার শুরু হয় ক্রিশ্চিয়ান বেল এর অসাবধানতার কারনে হিউ জ্যাকম্যান এর স্ত্রী এর মৃত্যুর ফলে.. হিউ আঙ্গুল তোলে বেল এর দিকে এবং কাহিনী এক অসাধারন গা শিউরে ওঠা পরিনতির দিকে এগিয়ে যায়...। মুভির মুল আকর্ষন এর চমক গুলো। একটু পর পরই আপনাকে চমকাতে হবে নোলান এর অসাধারন ভাবে গল্প সাজানোর জন্য। মুভিতে আছেন হিউ জ্যাকম্যান এবং ক্রিশ্চিয়ান বেল।
আমি অনুরোধ করবো এই মুভিটা দুইবার দেখবেন।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাণী চিত্র দেখা খুবই ভালো বিনোদন।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা এজন্য দেখা অব্যহত রেখেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬
ইসিয়াক বলেছেন: অবসরে খুব মুভি দেখছেন মনে হয়?