নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
Life of Pi মুভিটা মুক্তি পায় ২০১২ সালে।
লাইফ অব পাই। মাস্টারপিস এ মুভি মিস করার অর্থ জীবনটা অপূর্ণ থেকে যাওয়া। কানাডার লেখক ইয়ান মার্টেলের বুকার জয়ী উপন্যাস অবলম্বনে অ্যাং লি-র মুভি। মুভির প্রযোজক ডেভিড উওমার্ক গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এসে বলেছিলেন, উপন্যাসটা প্রথম পড়ে তিনি কিছুতেই মুভি করতে যান নি। জল, বাঘ আর একটা বাচ্চা ছেলে। যে কোনও একটা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। আর একসঙ্গে তিনটে? পরিচালক অবশ্য শুরু থেকে জিদ ধরে বসেছিলেন। ‘স্বপ্ন দেখতাম, ছবিটা করতেই।
মুভির কাহিনী এই রকম-
চার দিকে শুধু নীল জল। ওপরে নীল আকাশ। প্রশান্ত মহাসাগরে এ ভাবেই ২২৭ দিন ধরে লাইফবোটে ভেসে চলেছে পাই আর রিচার্ড পার্কার। রিচার্ড পার্কার কোনও মানুষ নয়, ৪৫০ পাউন্ড ওজনের হিংস্র এক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। পুদুচেরি বোটানিকাল গার্ডেনে পাইয়ের বাবার একটি চিড়িয়াখানা ছিল। ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থার সময়ে চিড়িয়াখানার প্রাণী গুলিকে আমেরিকায় এক সার্কাস কোম্পানিকে বিক্রি করে কানাডার অভিবাসী হওয়ার কথা ভাবেন পাইয়ের মা-বাবা। জাহাজে বাঘ, ওরাংওটাং, জেব্রা সকলকে তোলা হয়। কিন্তু মাঝ সমুদ্রে জাহাজ ডুবি। পাইয়ের মা-বাবা-দাদা সকলের সলিল সমাধি। লাইফবোটে পাইয়ের সঙ্গে একটি জেব্রা, ওরাংওটাং ও হায়না চলে আসে। কয়েক দিন পরে দেখা যায়, বোটের নীচে বসে আছে রিচার্ড পার্কার। অন্য জন্তুদের সে খেয়ে ফেলে। শুধু বেঁচে থাকে পাই। বাঘ মাঝে মাঝে আক্রমণ করতে চায়, কিন্তু কিশোর পাই বুদ্ধি করে তাকে পানীয় জল দেয়, সমুদ্রের মাছ ধরে খাওয়ায়।
ছবির ৯০ শতাংশ জুড়ে ডিজিটাল বাঘ, বাকি ১০ শতাংশে আসল বাঘ।
দিনের পর দিন সুরজকে বাঘেদের চলাফেরা, হাবভাব দেখতে শিখিয়েছেন অ্যাং লি। সারা ছবিতে তিনটে ঘটনা মিলেমিশে। এক দিকে জাহাজ ডুবির পর লাইফবোটে বেঁচে থাকার অ্যাডভেঞ্চার। সঙ্গে জীবজন্তুর স্বভাব। জাহাজডুবি, মৃত্যু সব পেরিয়েও বহু কষ্টে বেঁচে থাকে পাই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা তাকে বড় করে দেয়। ফলে, এটি বড় হয়ে ওঠার গল্প। এবং সব কিছুর নীচে এক আধ্যাত্মিক অভিযানের ইঙ্গিত। সিনেমাটি ২০১৩ সালের অস্কারে ‘সেরা পরিচালক’সহ সর্বাধিক চারটি পুরস্কার জিতে নেয়। ইয়ান মার্টেলের উপন্যাস অনুসারে সিনেমাটি সেরা পরিচালক, টেকনিক্যাল অ্যাওয়ার্ড ‘সেরা চিত্রগ্রহণ’, ‘বেস্ট ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট’, এবং ‘বেস্ট অরজিনাল স্কোর’-এর পুরস্কারও পায়।
বিশাল সমূদ্রে একজন বালক ও একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বন্ধুত্ব নিয়ে ছবিটি সারা বিশ্বে বিপুল সাড়া জাগিয়েছে। ‘লাইফ অফ পাই’ একটি থ্রিডি (ত্রিমাত্রিক) ফ্যান্টাসি ফিল্ম। এতে অভিনয় করেছেন ইরফান খান, সুরজ শর্মা, টাবু, আদিল হুসেনে। সিনেমা পর্দায় উত্তাল সমুদ্রে জীবন্ত বাঘের সাথে যে, লোমহর্ষক দৃশ্য দেখেছেন দর্শকেরা 'লাইফ অব পাই' ছবিতে। তা যে স্রেফ অ্যানিমেশন অর্থাত অনেকটাই এডিটিং টেবিলের কারুকাজ তা হলের দর্শকেরা কে বুঝবে। এখানেই যেন নির্মাতার মুন্সিয়ানা।
দুই ঘন্টা সাত মিনিটের মুভিটা দেখে অনেক আনন্দ পাবেন।
মুভিটা আমি দশ বার দেখেছি।
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: মুভিটা দেখে আমি অত্যাধিক আনন্দ পেয়েছি।
২| ০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমার অনেক প্রিয় একটা মুভি- আধখানা করে অনেকবার দেখা হয়েছে।
রিচার্ড পার্কারের জন্য খারাপ লেগেছে। ইরফান খানকে মিস করি
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ইরফান খানের সব গুলো মুভি বেশ কয়েকবার করে দেখেছি। সব গুলোই দারুন লেগেছে।
৩| ০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দু ঘন্টা সাত মিনিট?
ব্লগে ঢু মারারই সময় পাইনা
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: কি নিয়ে এত ব্যস্ত আপনি?
৪| ০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১:২০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি কয়েকবার দেখেছি।
০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ৩:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: বিশাল সমুদ্র, ছোট একটা নৌকা। একজন ক্ষুধার্থ বাঘ, এবং একজন কিশোর।
৫| ১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:২৬
হোসেন সরকার বলেছেন: আমি এই ছবিটি অনেট আগে দেখেছি। আপনি এই লিংকে গিয়ে এই মুভির সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:১৭
কামাল১৮ বলেছেন: অনেক আগে দেখা ।ভালো ছবি