নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ের অনুষ্ঠান

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৪৫



একসময় আমি বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতাম না।
দীর্ঘ পাঁচ বছর কোনো অনুষ্ঠানে যাইনি। বিয়ে, জন্মদিন, মুসলমানি বা অন্য যে কোনো অনুষ্ঠানে যেতাম না। এমন কি আমার কাছের আত্মীয়স্বজনের অনুষ্ঠানেও আমি যেতাম না। বিয়ে অনুষ্ঠানে যাই না কারন, যৌতুক নেওয়া হয় বলে। আমি বেশ জোরেসোরে ঘোষনা দিয়েছিলাম যে বিয়েতে যৌতুক নেওয়া হবে আমি সেই বিয়েতে যাবো না। নো নেভার। দেখা গেলো সবাই যৌতুক নিচ্ছে। খাট, আলমারি থেকে শুরু করে ফ্রিজ, টিভি। কিচ্ছু বাদ দিচ্ছে না। যৌতুক বিহীন বিয়ে হয় না বললেই চলে।

অনেকে বলেন, আমরা কিচ্ছু চাইনি।
মেয়েপক্ষ খুশি হয়েই দিচ্ছে। এটা একটা ফালতু কথা। আমি বলতে পারি, আমি বিয়ে করে কিচ্ছু নিই নি। এমন কি হাতঘড়ি, আংটি বা গলার চেন। কেন নিবো? বিয়ে কি ব্যবসা? অনেকে বিয়ের সময় মুরুব্বীদের সালাম করে। মুরুব্বীরা টাকা দেয়। এটাও আমার পছন্দ না। আমি কঠিন করে মানা করে দিয়েছি। এসব আমার পছন্দ না। একদিন আমার শ্বশুর বললেন, শুনেছি বিক্রমপুরের ছেলেদের অনেক চাহিদা থাকে, তোমার কোনো চাহিদা নেই কেন? আমি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি- বিয়ে বাবদ টাকা বা অন্যান্য জিনিস নেওয়া আমার পছন্দ না। এবং সুরভিকেও কিছু দিবেন না।

যাই হোক, এখন আমি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাই।
বাঙ্গালী যৌতুক নিবেই। মুখে যতই মানা করুক। শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাই যৌতুক নেয়। সবার মনমানসিকতা আমার মতো নয়। এখন, দাওয়াত পেলেই যাই। ভালো গিফট দেই। যে খাবারটা ভালো হয় সেটা সামান্য খাই। পুরো অনুষ্ঠান ঘুরে বেড়াই। মানুষজন দেখি। গল্প করি। জামাই বউ এর সাথে ছবি তুলি। বিয়ের অনুষ্ঠানের খাবার যেখানে রান্না হয় সেখানেও যাই। বাবুর্চির সাথে কথা বলি। কত মানুষের আয়োজন, রান্না করতে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা খোঁজ নিই। বাবুর্চির সাথে নানান বিষয় নিয়ে আলাপ করি। এই আলাপে মজা আছে। আপনারাও বাবুর্চির সাথে আলাপ করে দেখতে পারেন।

গত শুক্রবার এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম।
দুপুর বেলা অনুষ্ঠান। বাসার পাশেই খালি জাগাতে অনুষ্ঠান করেছে। কমিউনিটি সেন্টারের খরচ বেঁচে গেছে। সুন্দর করে ত্রিপল টানানো হয়েছে। সুন্দর করে টেবিল বসানো হয়েছে। চারিদিকেই অনেক গুলো ফ্যান। জুম্মার নামাজ শেষেই লোকজন আসতে শুরু করেছে। এমন সময় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। লোকজন ভিজে ভিজে আসছে। মেয়েদের মেকাপ ভিজে গেছে। বাবুর্চির সাথে অনেকক্ষন আলাপ করলাম। প্রথম বেঁচেই খেতে বসে গেলাম। পোলাউ, রোষ্ট, টিকা, চিংড়ি মাছ, ফিরনি, গরুর রেজেলা। সালাদ, বোরহানী আর কোক। রানা খুব ভালো হয়েছে। খেতে বসে বুঝলাম। খুব ক্ষুধা পেয়েছে।

আমি খুব মজা করে খাচ্ছি।
আমার পেছনের ফ্যান। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। আমার পাশে সুন্দরী একটা মেয়ে বসেছে। বারবার তার শাড়ির আচল এসে আমার গায়ে পড়ছে। শাড়ির আঁচল থেকে সুন্দর সুবাস পাচ্ছি। কি নাম পারফিউমের কে জানে! গরুর মাংসটা দারুন হয়েছে। বাবুর্চি এসে বললেন, খানা কেমন হয়েছে? আমি বললাম, দারুন হয়েছে। সহজ সরল সুন্দর রান্না করেছেন। কোনো ঝামেলা নেই। চিংড়ি মাছটাও ভালো হয়েছে। টিকাটাও ভালো হয়েছে। বাবুর্চি খুশি হয়ে আরো দুটা টিকা এবং চিংড়ি এনে দিলেন। ততক্ষনে একবাটি গরুর মাংস শেষ করে ফেলেছি। বিয়ে বাড়ির রান্না ভালো না হলে আমার মেজাজ অত্যাধিক গরম হয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৪৭

ইসিয়াক বলেছেন:




বিক্রমপুরে বাপের বাড়ি ছিলো একদিন পদ্মার পার
গীতিকারঃ গাজী মাজহারুল আনোয়ার
সুরকারঃ সত্য সাহা
গেয়েছেনঃ আঞ্জুমান আরা বেগম
ধরনঃ চলচ্চিত্রের গান

---------------------------------------------------------------
বিক্রমপুরে বাপের বাড়ি ছিলো একদিন পদ্মার পার,
মামার বাড়ি মধুপুরে নিজের বাড়ি নাই আমার।
বিক্রমপুরে বাপের বাড়ি ছিলো একদিন পদ্মার পার,
মামার বাড়ি মধুপুরে নিজের বাড়ি নাই আমার।
আরে ও ও ও বেলা যায় বয়ে যায় রে যায়–
আরে ও ও ও বেলা যায় বয়ে যায় রে যায়,
খেতে আর খামারে কে চিনে আমারে,
একা একা রবো কোন ভরসায়।
খেতে আর খামারে কে চিনে আমারে,
একা একা রবো কোন ভরসায়।
কোথায় আছি কেমন আছি খবর নিলো না,
চিঠি দিলাম পত্র দিলাম মামা এলো না।
কোথায় আছি কেমন আছি খবর নিলো না,
চিঠি দিলাম পত্র দিলাম মামা এলো না।
অভাগিনির ভাগ্য আহা কত চমৎকার–
বিক্রমপুরে বাপের বাড়ি ছিলো একদিন পদ্মার পার,
মামার বাড়ি মধুপুরে নিজের বাড়ি নাই আমার।
আরে ও ও ও আমার নাই কেহ নাই রে নাই–
আরে ও ও ও আমার নাই কেহ নাই রে নাই,
এখানে সেখানে কি যানি কোন খানে,
ঢেউয়ের মতো আমি ভেসে বেড়াই।
এখানে সেখানে কি যানি কোন খানে,
ঢেউয়ের মতো আমি ভেসে বেড়াই।
কপাল দোষে ছোট্ট কালে মরে গেলো মা,
গর্বে থাকতে মরলো পিতা চোখে দেখলাম না।
কপাল দোষে ছোট্ট কালে মরে গেলো মা,
গর্বে থাকতে মরলো পিতা চোখে দেখলাম না।
এই দুঃখের কথা আমি বলবো কত আর–
বিক্রমপুরে বাপের বাড়ি ছিলো একদিন পদ্মার পার,
মামার বাড়ি মধুপুরে নিজের বাড়ি নাই আমার।
মামার বাড়ি মধুপুরে নিজের বাড়ি নাই আমার।
মামার বাড়ি মধুপুরে নিজের বাড়ি নাই আমার।



বিক্রমপুরে বাপের বাড়ি ছিলো একদিন পদ্মার পার,
মামার বাড়ি মধুপুরে নিজের বাড়ি নাই আমার।
বিক্রমপুরে বাপের বাড়ি ছিলো একদিন পদ্মার পার,
মামার বাড়ি মধুপুরে নিজের বাড়ি নাই আমার।
আরে ও ও ও বেলা যায় বয়ে যায় রে যায়–
আরে ও ও ও বেলা যায় বয়ে যায় রে যায়,
খেতে আর খামারে কে চিনে আমারে,
একা একা রবো কোন ভরসায়।
খেতে আর খামারে কে চিনে আমারে,
একা একা রবো কোন ভরসায়।
কোথায় আছি কেমন আছি খবর নিলো না,
চিঠি দিলাম পত্র দিলাম মামা এলো না।
কোথায় আছি কেমন আছি খবর নিলো না,
চিঠি দিলাম পত্র দিলাম মামা এলো না।
অভাগিনির ভাগ্য আহা কত চমৎকার–
বিক্রমপুরে বাপের বাড়ি ছিলো একদিন পদ্মার পার,
মামার বাড়ি মধুপুরে নিজের বাড়ি নাই আমার।
আরে ও ও ও আমার নাই কেহ নাই রে নাই–
আরে ও ও ও আমার নাই কেহ নাই রে নাই,
এখানে সেখানে কি যানি কোন খানে,
ঢেউয়ের মতো আমি ভেসে বেড়াই।
এখানে সেখানে কি যানি কোন খানে,
ঢেউয়ের মতো আমি ভেসে বেড়াই।
কপাল দোষে ছোট্ট কালে মরে গেলো মা,
গর্বে থাকতে মরলো পিতা চোখে দেখলাম না।
কপাল দোষে ছোট্ট কালে মরে গেলো মা,
গর্বে থাকতে মরলো পিতা চোখে দেখলাম না।
এই দুঃখের কথা আমি বলবো কত আর–
বিক্রমপুরে বাপের বাড়ি ছিলো একদিন পদ্মার পার,
মামার বাড়ি মধুপুরে নিজের বাড়ি নাই আমার।
মামার বাড়ি মধুপুরে নিজের বাড়ি নাই আমার।
মামার বাড়ি মধুপুরে নিজের বাড়ি নাই আমার।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: সিনেমাটা দেখেছি।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার খাবারের পোস্ট পড়ে আমার ক্ষুধা লেগে গেছে। কমিউনিটি সেন্টারের বিয়ে রান্না এবং খাওয়ার আয়োজন কেমন যেন কৃত্রিম লাগে। আমার পছন্দ হয় না।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু খেতে দারুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.