নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
আমি এক চায়ের দোকানে যাই।
খিলগাও। তিলপাপাড়া। জায়গাটা নিরিবিলি। বেশ কিছু গাছ আছে। সবচেয়ে বড় কথা সেখানে একটা ক্লাব আছে। ক্লাবের ওয়াইফাই আছে। ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড আমার কাছে আছে। ইচ্ছা হলেই নেট চালাতে পারি। সেই চায়ের দোকানে নানান রকম লোকজন আসে। তাদের কথা আমি মন দিয়ে শুনি। এক গ্রুপ আছে তাঁরা ধর্ম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করে। কত রকম হাস্যকর কথা যে তাঁরা বলে! এই যুগে এসেও ছাগল গুলো তা বিশ্বাস করে। মানে। ওদের কথা শুনে রাগে আমার শরীর জ্বলে। ১৪০০ বছর ধরে ধর্ম মানুষের উপর ভালো আছর করেছে। ইসলাম ধর্ম আসলে বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে।
ওরা তীব্র আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলে-
মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, উড়োজাহাজ ইত্যাদি সব বিজ্ঞানীরা কোরআন রিসার্চ করে বানিয়েছেন। এই যুগে এসে মানুষ এমন সব ফালতু কথা বলে কি করে? নামাজ নাকি পড়তেই হবে। অন্য কোনো উপায় নাই। নামাজ না পড়লে আল্লাহ কঠিন শাস্তি দিবেন। আমি ২৪ ঘন্টায় ৫ বার উঠবস করলে আল্লাহর কি লাভ? তাতে আল্লাহর কি উপকার হয়? নাকি সমাজের কোনো উপকার হয়? দেশের কোনো উপকার হয়? হ্যাঁ তবে ব্যয়াম স্বাস্থের জন্য ভালো। আমি চুপ করে নির্বোধদের কথা শুনি। আর হাসি। নামাজ, কোরআন বা হাদীস আমাকে কিছু দিতে পারবে না। জড় বস্তুর কিছু দেওয়ার ক্ষমতা থাকে না।
ওদের কাছ থেকেই জানতে পারলাম-
জাকির নায়েক নাকি আগে তোতলা ছিলো। কোরআন পড়তে পড়তে পড়তে জাকির নায়েকের তোতলামি ঠিক হয়ে গেছে। মাশাল্লাহ! তাহলে বলতে হবে- কোরআনের পাওয়ার আছে। আচ্ছা আমি যদি কোরআন পড়ি, তাহলে কি দেশের কোনো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। অসুস্থ মানুষ সুস্থ হয়ে যাবে। বেকার সমাজের চাকরী হবে? সমাজের দুষ্টলোকদের শাস্তি হবে? দুষ্ট রাজনীতিবিদরা ভালো হয়ে যাবে? ঘুষখোররা ঘুষ খাওয়া বন্ধ করে দিবে? মুসলিমরা সবাই অদৃশ্য জান্নাতে যেতে চায়। জান্নাতে নাকি মজাই মজা। আর দোজকে নাকি অনেক কষ্ট। দুষিত রক্ত আর পুঁজ খেতে দিবে? সূর্য থাকবে মাথার এক হাত উপরে। আমার কাছে জান্নাতের চেয়ে জাহান্নাম বেশি এক্সাইটিং মনে হচ্ছে।
বেশির ভাগ মানুষই ভুল ধর্মীয় ভাবনা নিয়ে থাকে।
আদম আর বিবি হাওয়াকে আল্লাহ রাগ করে দুনিয়াতে পাঠিয়ে দেয়। তখন দুনিয়াতে কোরআন আর হাদীস ছিলো না। তখন অল্প কিছু মানুষ ছিলো। তাঁরা ভালো ছিলো। ধীরে ধীরে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকলো। তখন মানুষ মন্দ কাজ করতে শুরু করলো। আল্লাহ উপর থেকে মানুষকে দেখে খুব অবাক! আরেহ এসব কি হচ্ছে! তখন আল্লাহ পৃথিবীর পরিবেশ ভালো করার জন্য নবিজিকে পাঠান। নবিজি এসে মানুষকে সঠিক পথে আনতে চেষ্টা করলেন। যুদ্ধ করলেন। ঘরসংসার করলেন। অনেক গুলো বিয়ে করলেন। আল্লাহ নবিজির মাধ্যমে কোরআন দিলেন। নবিজি দিলেন হাদীস।
জ্বীন এবং ফেরেশতা হাস্যকর বস্তু।
নবিজির মতো এদের তেমন কর্মকান্ডের কথা জানা যায়নি। হাদিস যেভাবে লেখা হয়েছে জ্বীন এবং ফেরেশতাদের নিয়ে সেভাবে লেখা হয়নি। তবু মুখে মুখে দারুন সব গল্প আছে জ্বীন আর ফেরেশতাদের কর্মকান্ড নিয়ে। মৃত্যুর পর কবরে দুই ফেরেশতা আসবে। তাঁরা তিনটা প্রশ্ন করবে। উত্তর না দিতে পারলে খবর আছে। শুরু হবে কবরের আযাব। হাশরের ময়দানে বিচার হবে। মিলিয়ন বিলিয়ন মানুষের। পৃথিবীর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যত মানুষ ছিলো তাদের সকলের বিচার। একজন একজন করে ডাকা হবে। পাপপূর্ন মাপা হবে। হাশরের ময়দান দেখার মতো হবে। মেরাজ এর ঘটনার চেয়ে বেশি এক্সাইটিং হবে হাশরের ময়দানের ঘটনাবলি।
©somewhere in net ltd.