নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড় ভাই

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৫


ছবিঃ আমার তোলা।

একদিন এক বড় ভাই ফোন দিলেন।
প্রথমে আমি তাকে চিনতেই পারি নি। বড় ভাই পরিচয় দিলেন। তারপর চিনলাম। আমার সমস্যা আছে, আমি অতি দ্রুত ভুলে যাই। এটা আমার অসুখ। এজন্য শত্রুর সাথে বসেও আমি চা খাই। মনে থাকে না সে যে আমার শত্রু। যাই হোক, বড় ভাই মালোশিয়া চলে গিয়েছিলেন। পাঁচ বছর পর দেশে ফিরেছেন। একসময় বড় ভাইয়ের সাথে খুব ক্রিকেট খেলতাম। তিনি ছিলেন আমাদের কোচ। এবং আমাদের বস। সমস্ত খরচ তিনি দিতেন। খুব স্নেহ করতেন আমাদের।

বড় ভাই থাকেন মোহাম্মদপুর।
জেনিভা ক্যাম্পের শেষ মাথায় তার বাড়ি। দুপুরে যেতে বলেছেন। তিনি আমাকে লাঞ্চ করাবেন একটা রেস্টুরেন্টে। এই রেস্টুরেন্ট নাকি খুব নাম করা। আমার বাসা থেকে মোহাম্মদপুর অনেক দূর। সিএনজি ভাড়া নিবে সাড়ে তিন শ' টাকা। আসতে লাগবে সাড়ে তিন শ' টাকা। মোট খরচ যাবে আমার সাত শ' টাকা। সাত শ' টাকা দিয়ে তো আমি নিজেই কোনো রেস্টুরেন্টে খেয়ে নিতে পারি। মোহাম্মদপুর যাওয়ার কি দরকার? অবশ্য দীর্ঘদিন পর বড় ভাই দেশে এসেছেন। নিজে থেকেই যোগাযোগ করেছেন।

বড় ভাই সম্পর্কে আগের সব কথা মনে পড়ে গেছে।
বড় ভাইয়ের নাম মিজান। তিনি ক্রিকেট পাগল মানুষ ছিলেন। আমাদের কয়েকজন কে নিয়ে একটা টিম করেছিলেন। তিনি ছিলেন ক্যাপ্টেন। তিনিই আমাদের খেলা শিখাতেন প্রতিদিন ভোরে। প্র্যাকটিস শেষে মিজান ভাই আমাদের আলামিন হোটেলে নাস্তা করাতেন। নেহারি আর তন্দুল রুটি। কি স্বাদ লাগতো সেই খাবার। বড় ভাই আশে পাশের মহল্লার সাথে খেলা নিতো। আমরা খুব ভাব নিয়ে মাঠে খেলতে নামতাম। আর হেরে যেতাম। হেরে গিয়েও বড় ভাই মিজান আমাদের শ্বান্তনা দিতেন।

টানা এক বছর বড় ভাইয়ের সাথে ক্রিকেট খেলেছি।
আমি পেস বল করতাম। চোখ মুখ খিচিয়ে দূর থেকে দৌড়ে এসে বল ছুড়ে মারতাম। এবং বুঝতাম ব্যাটসম্যান আমার চোখ মুখ খিচিয়ে দৌড় দেখে ভয় পাচ্ছে। আমি ব্যাটিং ভালো করতাম। দৌড়ে রান নিতে আমার ভালো লাগতো না। আমি হলাম চার ছয় মারা মানুষ। খেলাটা অব্যহত রাখলে আজ হয়তো আমি জাতীয় দলে থাকতাম। পোড়া কপাল আমার কোনো কিছুই আকড়ে থাকলাম না। বুদ্ধিমানরা একটা জিনিস আকড়ে ধরে একটু একটু এগিয়ে যায় এবং সাফল্য পায়।

যাই হোক, মোহাম্মদপুর গেলাম।
মিজান ভাই আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরলেন। তিনি আবার মালোশিয়া চলে যাবেন। বাংলাদেশে এসেছেন বিয়ে করতে। মেয়ে দেখা হয়ে গেছে। তার বিয়েতে আমার দাওয়াত। এবং তিনি খুব আগ্রহ নিয়ে বললেন, আমি যদি মালোশিয়া যেতে চাই উনি সব ব্যবস্থা করে দিবেন। অনেক খাবারের অর্ডার দিয়েছেন মিজান ভাই। খাবার গুলো আসলেই ভালো। প্রতিটা খাবার দশে দশ পাবে। শুধু ইলিশ মাছের ভর্তাটা ছাড়া। আমি বেশ আরাম করে খেলাম। ভালো খাবার এবং মজার খাবার আমি আগ্রহ নিয়ে খাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.