নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের শাহেদ জামাল- (পয়ত্রিশ)

০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৩


ছবিঃ আমার তোলা।

ক্লাবের নাম 'মিলেমিশে থাকি'।
শাহেদ জামাল রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলো। হঠাত তার চোখ গেলো রাস্তার ঐ পাড়। সেখানে বড় বড় করে লেখা- 'মিলেমিশে থাকি'। ক্লাবটি স্থাপিত ১৯৮৫। শাহেদ জামাল চা শেষ করে সিগারেট ধরালো। সে সিগারেট শেষ করে 'মিলেমিশে থাকি' ক্লাবে যাবে। সময় দুপুর দুইটা। ক্লাবটি বেশ বড়। চার কোনায় অনেক গুলো বড় বড় গাছ আছে। গাছ গুলোর দিকে তাকিয়ে শাহেদ জামাল চিনলো না। বাচ্চাদের খেলার জন্য দোলনা আছে। ক্লাবের লোকজনদের বসার জন্য চারটা বড় বড় রুম আছে।

শাহেদ জামাল ক্লাবের ভিতরে গেলো।
কেউ তাকে বাঁধা দিলো না। সম্ভবত দুপুর বলেই ক্লাবে কেউ নেই। দুটা ক্যারামবোড দেখা গেলো। মনে হয় কিছুক্ষন আগেও কেউ ক্যারাম খেলছিলো। শাহেদ জামালকে পেছন থেকে কেউ একজন ডাকলো। কাকে চান? শাহেদ জামাল দেখলো। সম্ভবত লোকটি ক্লাবের দাড়োয়ান হবে। শাহেদ বলল, চাচা মিয়াঁ আমার নাম শাহেদ। আমি ক্লাবের সভাপতির সাথে দেখা করতে চাই। চাচা মিয়াঁ বলল, আপনার পরিচয়? শাহেদ বলল, আমার পরিচয় দিয়ে আপনি কি করবেন?

দাড়োয়ান ব্যাটা ভালো ভয় পেয়েছে।
সে আড়ালে চলে গেলো। মনে হয় এখন সে ক্লাবের সভাপতিকে ফোন করবে। শাহেদ জামাল একা একাই ক্যারাম খেলছে। এমন সময় দাড়োয়ান এসে বলল, আপনাকে ভিতরে বসতে বলেছে সভাপতি সাহেব। কি খাবেন বলেন? শাহেদ বলল, একটু আগে চা খেয়ে ক্ষুধাটা নষ্ট করে ফেলেছি। তবু আমি খাবো। আমার জন্য ভাত আনো। গরুর মাংস কালা ভূনা আনো। লাল শাক আনো আর ডাল। দাড়োয়ান চলে যাচ্ছিলো। শাহেদ ডেকে বলল- লেবু, কাঁচা মরিচ আনতে ভুলো না।

দাড়োয়ান সভাপতির ঘরে খাবার রেডি করে দিয়েছে।
শাহেদ জামাল বেশ আরাম করে খেলো। বেশ ক্ষিধে পেয়েছিলো। পকেটে ছিলো বিশ টাকা। তাই সে এক কাপ চা আর একটা সিগারেট খেয়েছিলো। তা না হলে কেউ দুপুরবেলা খালি পেটে চা খায়? রিজিকের মালিক যে আল্লাহ, কথাটা সম্ভবত সত্যি। শাহেদ ভেবেছিলো আজ তার না খেয়ে থাকতে হবে। কিন্তু আল্লাহপাক ঠিকই খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আল্লাহ মহান। লাখ লাখ শুকরিয়া আল্লাহর দরবারে। দাড়োয়ান জানালো- সভাপতি সাহেব কিছুক্ষনের মধ্যে চলে আসবেন।

সভাপতি সাহেব এলেন।
শাহেদ কিছু বলতে যাচ্ছিলো, সভাপতি সাহেব হাতের ইশারায় শাহেদ জামালকে থামালো। বললেন, ভাই দশ হাজার টাকা দিচ্ছি চলে যান। দয়া করে আর কোনো কথা বলবেন না। এই ক্লাব আমার। এই জায়গা আমি কিনে নিয়েছি। কাগজ পত্র সব আছে আমার কাছে। শাহেদ বলল, দয়া করে আমার কথা শুনুন। সভাপতি বলল, আপনার কোনো কথা শুনবো না। এই নিন আরো পাঁচ হাজার। এবার চলে যান। প্লীজ। ফর গড সেক। শাহেদ জামাল পনের হাজার টাকা নিয়ে রাস্তায় নামলো।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: উপন্যাস?

০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: না।
এমনি হাবিজাবি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.