নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘাস ফড়িং

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৮


ছবিঃ আমার তোলা।

"সত্যি যেদিন পাখিকে খাঁচা থেকে ছেড়ে দিতে পারি সেদিন বুঝতে পারি পাখিই আমাকে ছেড়ে দিলে। যাকে আমি খাঁচায় বাঁধি সে আমাকে আমার ইচ্ছেতে বাঁধে, সেই ইচ্ছের বাঁধন যে শিকলের বাঁধনের চেয়েও শক্ত।"

এখন অনেক রাত।
ব্যালকনি থেকে পরপর দুটা সিগারেট শেষ করে এসে- আমি সাদা কাগজ নিয়ে বসলাম। তাতে লিখলাম- আমি যে মেয়েটিকে ভালোবাসি তার নাম 'ইকরা'। যদি ইকরা নাম না হয়ে 'নিলা', 'শিলা' কিছু হতো তবুও কোনো সমস্যা ছিল না। ইকরা'র মাথা ভরতি চুল। সে চোখে সব সময় কাজল দেয় এবং কপালে একটা ছোট্র টিপ। ইকরা আমাকে অনেক ভালোবাসে। ইকরার এই তীব্র ভালোবাসায় আমাকে সব সময় অস্থির থাকতে হয়।

এখন ইকরাকে নিয়ে লিখতে ইচ্ছা করছে না।
অন্য কিছু লিখি- রোমান্টিকতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল যুক্তিহীনতা, কল্পনা, স্বতঃস্ফূর্ততা, আবেগ, দৃষ্টিভঙ্গি এবং লৌকিকতা বহির্ভূত স্বজ্ঞা। রোমান্টিক সাহিত্যিকদের অনেকে সাদা খাতা সামনে রেখে মনে যা আসত তা-ই লিখে যেতেন। সাহিত্যের উৎস হিসেবে চেতন মনের তুলনায় অবচেতন মনকে প্রাধান্য দিতেন। একজন আর একজনকে তার অনুভুতি গুলোকে না বলতে পারার যে অপরিসীম দুঃখ সেই দুঃখকে আমাদের ভাল লাগে।
সেটা গল্পে হোক, কবিতার যাদু ছরির ভাষায় হোক বা কোন নাটক-সিনেমার ক্লাইমেক্স এ হোক না কেন। সেই অনুভুতি গুলো আমাদের জীবনেরই অনেক পাওয়া না পাওয়ার আনন্দ-বেদনার মধ্যে মিশে একাকার হয়ে যায়। তখন সেই না বলতে পারার দুঃখে মন খারাপ করতে ভাল লাগে, বুক ভারি হয়ে যায়। ইকরা'র জন্য সারাক্ষন আমার বুক ভারি হয়ে থাকে। বুকের মধ্যে কেমন চাপচাপ কষ্ট অনুভব করি।

ইকরা'র সান্নিধ্যে এলেই আমি রোমান্টিকতা বোধ করি।
মেয়েটি সারাক্ষণ আমার মাথায় ঘুরঘুর করছে। কেন? কেন? এই মেয়েটি এক জীবনে আমাকে কি কি দিতে পারবে? উফ! অন্য কিছু ভাবতে হবে। আধুনিক বাংলা কবিতার প্রায় সকল কবিই রোমান্টিক। এমনকি মাইকেল মধুসূদন দত্তও তাই, যদিও তাঁর সাহিত্যিক অর্জনের প্রধান ভিত্তিটা হচ্ছে মহাকাব্য ও নাটক। সুধীন্দ্রনাথ দত্তের মেজাজটা ক্লাসিক্যাল কিন্তু অন্তরে তিনিও রোমান্টিকই। কাজী নজরুল ইসলাম ও জীবনানন্দ দাশ মোটেই অভিন্ন নন, তাঁরা দুই ভিন্ন ধরনের কবি, কিন্তু উভয়েই যে রোমান্টিকই এটা কেউই অস্বীকার করবেন না। আর সবার সেরা রোমান্টিক তো রবীন্দ্রনাথ নিজে, যিনি নিজেকে জন্মরোমান্টিক বলে ঘোষণাই করে গেছেন। জীবনানন্দ দাশের কবিতা পড়লে মনে হবে তা রাজনীতি মুক্ত। কিন্তু প্রকৃত সত্য তা মোটেই নয়, যেটা অনুসন্ধান মাত্র ধরা পড়ে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় তিনি অত্যন্ত পীড়িত ছিলেন।

আচ্ছা, বিবাহিত জীবনে সুখের মুল চাবিকাঠি কি শারীরিক সম্পর্ক?
ইকরাকে বিয়ে করবো, ইকরা রান্না করবে, আমাকে খাওয়াবে। ঘর সামলাবে। রাতে আদর করবে। এই কি বিয়ের পরের জীবন? ব্যস এতটুকুই? এক সময় যদি ইকরার রান্না আর আদর যদি ভালো না লাগে তখন কি আমি আর একটা বিয়ে করবো অথবা লুকিয়ে অন্য কোনো মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করবো? প্রতিটা বিবাহিতরা কি মানুষই এমন করে?
আজকাল ছেলেমেয়েরা বিয়ের আগেই শারিরীক সম্পর্ক করে। অনেকে এটাকে মনে করে আধুনিকতা। আবার অনেক চতুর ছেলেরা শারিরীক সম্পর্ক হওয়ার পর মেয়েটিকে ছেড়ে চলে যায়। এই শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য ছেলেটা হয়তো দিনের পর দিন মেয়েটাকে মিথ্যা ভালোবাসার কথা বলে বলে- মেয়েটকে মানুসিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছে। ভালোবাসার মাঝে নৈতিকতা ও পবিত্রতা থাকাটা অনেক জরুরী। শারীরিক সম্পর্কের পরে যাকে প্রেমিক ভাবে সে তখন ছেঁড়া ন্যাকড়ার মতো তাকে পরিত্যাগ করে চলে যায়। যে মেয়েই বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছে আমি এ পর্যন্ত সুখী কাউকে পাই নি। যার সাথে জড়িয়েছে সেও তাকে বিশ্বাস করে না।

বিয়ের আগে কোনো শারীরিক সম্পর্ক নয়।
বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে কোনো মঙ্গল থাকতো, কল্যাণ থাকতো, উপকার থাকতো, শান্তি থাকতো তাহলে ইউরোপ আমেরিকার তরুণ-তরুণীরা সবচেয়ে সুখী হতো। কারণ তাদের মতো খোলামেলা সম্পর্ক অন্য কোনো সমাজে নেই। আমি কি খুব বেশী পাকনা পাকনা কথা বলছি? যাই হোক, আবার ইকরার কাছে ফিরে যাই। সেদিন রাতে ইকরাকে স্বপ্নে দেখলাম। স্বপ্নে ইকরাকে দারুন আদর করে দিলাম। ইকরার সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। সব সময়ই তার কথা আমার মনে পরে। আমরা দু'জন আমাদের সব কথা দু'জনের সাথে শেয়ার করি। একজন আরেক জনের আনন্দে আনন্দ পাই, দুঃখে পাই দুঃখ। যদি হঠাত ইকরার বিয়ে হয়ে যায় অন্য কারো সাথে! তখন আমি কি করবো? আমার কষ্ট হবে না? আমার ভালোবাসার মানুষ ফ্যামিলির চাপে পড়ে আরেকজনকে বিয়ে করে ফেলেছে! ইকরা তো এক আকাশ কষ্ট পাবে। উফ, কি সব আবোল তাবোল লিখছি!

সকাল থেকেই মাথার ভেতর এই গান টা খুব বাজছে-
আমি ঘর ছাড়িয়া বাহির হইয়া/ জোছনা ধরতে যাই/ হাত ভর্তি চাঁন্দের আলো/ ধরতে গেলে নাই"। জীবন ফুলের এক একটি পাপড়ি এক এক করে কেন জানি ঝড়ে যাচ্ছে, একটু একটু সময় এগিয়ে আসছে, মনে হচ্ছে নতুন এক জীবন আমার জন্য অপেক্ষা করছে, হয়তো একদিন আমি আর থাকব না। সকাল থেকে একটা ফড়িং আমার চারপাশে ঘোরাঘুরি করছে। মাঝে মাঝে আমার গায়ে এসেও বসছে। যদি ফড়িংটা আগামী দশ মিনিটের মধ্যে পালিয়ে না যায় তাহলে ফড়িংটাকে মেরে ফেলব। এবং তার জন্য আমি একটুও দুঃখিত হবো না। ইকরার একটু হাসিতে আমার চারপাশের সব কিছু আলোকিত হয়ে যায়। আমার খুব ইচ্ছা ইকরার হাসি গুলো আমার ক্যামেরা দিয়ে বন্ধী করে রাখব।

অনেক হয়েছে আর না। এখন বিয়ে করতে হবে।
ঘর সংসার করতে হবে। রা্তে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে। তা না হলে বৌ না খেয়ে বসে থাকবে। ছুটির দিন গুলোতে বৌকে নিয়ে বেড়াতে যেতে হবে। দু'জনের সংসার কোনো সংসার না। ঘর ভরতি থাকতে হবে বাচ্চাকাচ্চা। তাহলেই জীবন আনন্দময় হবে। আজন্ম লালিত ভালোবাসা, এই ছোট্র জীবনে, তাকে দিয়ে যেতে পারব তো!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আর কতো দিন জেনারেল হয়ে রইবেন?

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: জাদিদ ভাই জানেন।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মেট্রোরেলের কি অবস্হা?

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: কাজ চলছে।

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: কাজ চলছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.