নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
সামান্য চেয়ারম্যান নির্বাচনে-
প্রার্থীগন যেন টাকার বস্তা নিয়ে বসে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য। ইউপি নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। প্রার্থীগন ব্যপক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যারা চেয়ারম্যান নির্বাচন করছেন তাঁরা সকলে ঢাকা থাকেন। গ্রামে গিয়ে-গিয়ে নির্বাচনী কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। সব প্রার্থীর লক্ষ্য নৌকা প্রতীক পাওয়া। যে করেই হোক নৌকা মার্কা পেতে হবে। এই মার্কায় সব কিছু নিহীত। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক পাওয়ার জন্য দুই কোটি টাকা খরচ করতে রাজী আছে। আমাদের দেশে শিক্ষা যেমন ব্যবসা, নির্বাচনও ব্যবসা। ভালো ব্যবসা। নির্বাচনে কে পাশ করবে- এটা সবাই জানে।
কোনো প্রার্থীর মধ্যে ন্যায়নীতির বালাই নেই।
যদি বাংলাদেশের মানুষ ন্যায়নীতির ধারধারে না। বাংলাদেশে কোনো সৎ মানুষ নেই। থাকলেও দুই চারজনকে এত অসৎ লোকের ভিড়ে খুঁজে পাওয়া যায় না। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মন্ত্রী, এমপি ধরছেন। যে করেই হোক নির্বাচনে জয়ী হতে হবেই। নৌকা মার্কা ছাড়া গতি নাই। গ্রামের চায়ের দোকানে এখন আলাপ শুধু নির্বাচন নিয়ে। কেউ বলেন, তাদের প্রার্থী জিতবে। কারন সে রাষ্ট্রপতিকে ধরেছে, রাষ্ট্রপতি সুপারিশ করবেন। আরেকজন বলেন আমার প্রার্থী জিতবে। কারন সে শেখ হাসিনার মেয়েকে ধরেছে। আরেকজন বললেন, আমার প্রার্থী ধরেছে মোদিকে। মোদির সুপারিশে নিশ্চয়ই কাজ হবে।
মন্ত্রী এমপিরা ইদানিং গ্রামে যাচ্ছেন।
জ্বালাময়ী ভাষন দিচ্ছেন। লোকজন কামকাজ ফেলে আগ্রহ নিয়ে নেতাদের ভাষন শুনছে। ঢাকা থেকে টাকা দিয়ে সাংবাদিক নিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। সাংবাদিকরা গিয়ে প্রার্থীর হয়ে যেন কাজ করেন। এই ইউপি নির্বাচনে বহু লোকের পকেট ভারী হচ্ছে। সেই হিসাব কি শেখ হাসিনার আছে? চাদপুরে ইউপি নির্বাচন হবে। মখা সাহেব সেই উপলক্ষ্যে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেছেন। ঘনঘন গ্রামে যাচ্ছেন। ভাষন দিচ্ছেন। তার নিজেরও একজন প্রার্থী আছেন। তিনি চান তার প্রার্থী নৌকা প্রতীক পাক। তিনি চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন। এরকম সব চেয়ারম্যান প্রার্থীর কেউ না কেউ আছে। তাঁরা নৌকা মার্কা পাবে। ওস্তাদ কথা দিয়েছেন।
আজকাল তো লোকজন আগ্রহ নিয়ে ভোট দেয় না।
ভোটের উপর লোকজনের আস্থা নেই। একেবারেই নেই। পরপর দুইবার জাতীয় নির্বাচনে জনগন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তবু রাজনীতিবিদদের লজ্জা হয় না। বড় বড় কথা কয়। শুনেছি মেম্বার ইলেকশনেও নাকি কোটি টাকার উপরে খরচ করেন প্রার্থীরা। আর চেয়ারম্যান ইলেকশন তো মেম্বার ইলেকশনের চেয়ে অনেক বড়। সব শুধু টাকার খেলা। লুটেরাদের টাকার অভাব নেই। দূর্নীতিবাজরা দেশকে তছনছ করে দিচ্ছে। শেখ হাসিনার উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। দুটা কাজ করলে বাংলাদেশ অনেক ভালো হয়ে যাবে। এক, সমস্ত পুলিশ যদি সৎ হয়ে যায়। এবং দুই, সমস্ত সরকারী লোকজন যদি সৎ হয়ে যায়। তাহলে দেশের উন্নতি কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। দেশের ভালোর জন্য এই শ্রেনীকে সবার আগে ভালো হতে হবে।
বাংলাদেশটা খুবই ছোট।
দেশের আয়তনের তুলনায় লোক সংখ্যা অনেক বেশি। দেশের জনগন অদক্ষ ও কুসংস্কার বিশ্বাসী। দেশে সৎ লোক নেই, এই কথা বললেও খুব ভুল বলা হবে না। তাই এই দেশের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। মেট্রোরেল এবং পদ্মাসেতু দিয়ে বিচার করলে হবে না। দেশে আজও মানুষ রাস্তায় ঘুমায়। অথচ দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর হয়ে গেছে। লাখ লাখ বেকার। এতঁ এত বেকারের কারনেই দেশে প্রতারনা, চুরী ছিনতাই বেড়েই চলেছে। আর সামান্য চেয়ারম্যান নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা উড়ানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানের পরও সমস্ত দূর্নীতিবাজরা বেশ আছে। তাদের কোনো ভয় নেই।
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: উনি পারবেন না। অন্য কেউ কি পারবেন?
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩২
Subdeb ghosh বলেছেন: আমাদের দেশে শিক্ষা যেমন ব্যবসা, নির্বাচন ও ব্যবসা।
সঠিক বলেছেন।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক কথার আজকাল কোনো দাম নাই।
৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৩
ঈশান মাহমুদ বলেছেন: সব কিছু নষ্টদের দখলে।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু এরকম হওয়ার কথা ছিলো না।অল্প কিছু মানুষ এজন্য দায়ী।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনা দল ও দেশকে এমন জয়গায় এনেছেন, ইহাকে উনি আর ঠিক করতে পারবেন না।