নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই সমাজ- ৪৭

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৬

ছবিঃ আমার তোলা।

১। সুমি আর রিপনের বিয়ে।
তাঁরা দীর্ঘ ৬ বছর প্রেম করেছে। সুমি, রিপনের পারিবারিক আর্থিক অবস্থা উন্নত নয়। এখন সুমি চায় তার বিয়েটা খুব ধূমধাম করে হোক। বিয়ে তো সে বারবার করবে না। রিপন বলেছিলো, আসো কাছের কিছু আত্মীয়স্বজন ডেকে ঘরোয়া ভাবে বিয়েটা সেরে ফেলি। সুমি একথা মানতে নারাজ।

পরিচিত মানুষদের কাছ থেকে সুমি আর রিপন বাধ্য হয়ে সাত লাখ টাকা ঋণ করলো। তাদের বাবা মাও সামান্য কিছু দিলো। ঝাকজমকপূর্ন গায়ে হলুদ হলো। বড় কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে বেশ ধূমধাম করেই তাদের বিয়ে হলো। সুমি পার্লার থেকে বউ সেজে এলো। বউ সাজতে তার খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। তবু সুমির মন খারাপ, সে ৬০ হাজার টাকার সাজটা দিতে পারেনি বলে। যাই হোক, বিয়ের ঝামেলা শেষ। তাদের বিয়ে হয়েছে দুই বছর হয়ে গেছে। সংসারে নতুন শিশু এসেছে। অথচ আজও তাঁরা তাদের ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি। যদিও প্রতিমাসে কিছু কিছু করে দিচ্ছে। আমার ধারনা যাদের টাকা নেই এবং ঋণ নিয়ে খুব ধূমধাম করে বিয়ে করে তাঁরা নির্বোধ। সমাজে এই নির্বোধের সংখ্যাটাই বেশি।

২। জাফর সাহেবের ঢাকা শহরে দেড় কাঠা জায়গা আছে।
সেই জায়গাতে টিন দিয়ে ঘর বানিয়ে তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন। তার শখ তিনি একটা পাঁচ তোলা বাড়ী বানাবেন। কিন্তু সংসার টানতে টানতে টাকা আর জমাতে পারেন নি। বাড়ি করা হয়নি। এদিকে তিনি বুড়ো হয়ে গেছেন। তার তিন সন্তান। খুব চিন্তা ভাবনা করে জাফর সাহেব একলোকের সাথে আলাপ আলোচনা করলেন। ঐ লোক বললো, আপনার বাড়ি আমাকে দিয়ে দিন। আমি ছয় তোলা করে দিবো। তিন তলা আপনার বাকি তিনতলা আমার। এবং আপনাকে নগদ দশ লাখ টাকা দিবো। জাফর সাহেব খুশি মনে রাজী হয়ে গেলেন। বাড়ির কাজ শুরু হয়ে গেলো।

জাফর সাহেব একটা ফ্লাট ভাড়া নিলেন। তার হাতে এখন দশ লাখ টাকা। পরিবার নিয়ে কক্সবাজার থেকে ঘুরে এলেন। বাজারে গেলে যা মন চায় কিনেন। ছেলেমেয়েদের শপিং করে দেন। বাড়ি হয়ে গেলে তিনটা ফ্লাট তিনি পাবেন। একটা নিজে থাকবেন, দুটা ভাড়া দিবেন। ভাড়া দিয়ে মাসে ৪০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। আরামে চলা যাবে। দুঃখের বিষয় হলো আজ তিন বছর হয়ে গেছে তার বাড়ি কমপ্লিট হয়নি। এদিকে তার দশ লাখ টাকা শেষ। এখন তিনি ফ্লাটের ভাড়াটা পর্যন্ত দিতে পারেন না। যিনি বাড়ি করছেন, তিনি নানান রকম ছয় নয় কথা বলছেন। আর ছয় মাস সময় লাগবে, এই বছর হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। বাজারে সিলিকন বালু পাওয়া যাচ্ছে না। হঠাত রোডের দাম বেড়ে গেছে।

৩। রুমানা সকাল দশটায় নিউমার্কেট গিয়েছে।
বাসায় তার স্বামী ও দুই সন্তান রেখে। রুমানা নিউ মার্কেট গিয়েছে কারন, তার স্বামীর বন্ধু সোহেলের ছেলে হয়েছে। সেই ছেলের জন্য জামা কাপড় কিনতে গিয়েছে। কারন সোহেল সাহেব কেনাকাটার বিষয়ে অজ্ঞ। এদিকে দুপুর হয়ে গেছে, তবু রুমানা ফিরেনি। সে তার স্বামীকে ফোন করে বলেছে, তোমরা ডিম ভেজে কোনো রকমে খেয়ে নাও। আমার ফিরতে দেরী হবে। রাতে ফিরে আমি রান্না করবো। সোহেল ভাইয়ের ছেলের জন্য এখনও কেনাকাটা শেষ হয়নি। সোহেল ভাইয়ের কিছুই পছন্দ হচ্ছে না।

আসল কথা হলো সোহেজ সাহেব লুচ্চা।
সে নিজের বউ ছাড়া অন্য যে কোনো নারীর সঙ্গ পছন্দ করেন। রুমানা তা ভালো করেই জানেন। রুমানার অবশ্য সোহেল সাহেবের সঙ্গ ভালো লাগে। তাঁরা প্রায়ই নানান উছিলায় এখানে সেখানে যায়। আমার কথা হলো- রুমানা তার ঘর সংসার ফেলে সোহেলের সাথে কেন যাবে? সোহেল কি এতটাই নির্বোধ যে নিজের সন্তানের জন্য মার্কেট থেকে একাএকা জামা কিনতে পারবে না। আর রুমানাই বা কেমন? স্বামী সন্তান রেখে আরেক ব্যাটার সাথে বাইরে যায়! অথবা রুমানার স্বামী এত মেন্দামারা কেন? সে কেন তার স্ত্রীকে বলে না- এটা ঠিক না। নিজের ঘরসংসার বাদ দিয়ে অন্যলোকের সাথে কেন তুমি বাইরে যাও?

৪। মহিলার নাম নার্গিস।
বয়স প্রায় ৪৫ হবে। তার বিয়ে হয়েছে। স্বামী আছে। বড় বড় দুই সন্তান আছে। অথচ সে কচি খুকিদের মতো আচরন করে। ফেসবুকে তার ফ্যান ফলোয়ারের অভাব নাই। সে অল্প বয়সী ছেলের সাথে চ্যাটিং করে। রাতে মোবাইলে এডাল্ট কথাবার্তা বলে। কাউকে খুব পছন্দ হয়ে গেলে তার সাথে নানান রকম রঙ ঢং করে। বাইরে দেখা করে। গা ঘষাঘষি করে। নানান রকম উপহার দেয়। অথচ এই মহিলা নার্গিস একটা সরকারী অফিসে চাকরী করেন। গত দশ বছর ধরে তিনি এরকমই করে আসছেন। আমি বুঝি না এই মহিলা নিজের স্বামী সন্তান, সংসার ফেলে কেন অল্প বয়সী ছেলেদের সাথে নস্টিফস্টি করছে! একজন ধরে একজন বাদ দেয়। কারো সাথে তিন মাসের বেশি সম্পর্ক রাখেন না।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সমাজ নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতার শেষ নেই। আপনি বড় লোকের ছেলে তাই বসে বসে খান। কিন্তু আপনি চেষ্টা করলে আপনার মেধা খাটিয়ে কিছু একটা করতে পারেন।

১। ধার করে ঘি খাওয়া আমাদের স্বভাব। এটা ভালো না।
২। দেশে কার্যকর আইনি প্রতিকার থাকলে এপার্টমেন্ট নির্মাতারা এই ধরণের ধান্ধাবাজি করতে পারত না।
৩। এভাবেই মানুষ পরকিয়ায় জড়ায়।
৪। ঐ বয়স্ক মহিলার একঘেয়ে লাগে বলে তিন মাস পরপর ছেলে বদলায়।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমার বাসার লোকদের ধারনা আমি বোকা।
না আমার বাপ খুব ধনী না। সবচেয়ে বড় কথা আব্বা বেঁচে নেই। আর ৬ দিন পর আব্বার মৃত্যুর এক বছর হবে। আমি বসে বসে খাই কারন আমি বেকার। বেকার বলে তো আর না খেয়ে থাকতে পারি না।

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: এই পোস্টে সামাজিক কিছু লজ্জাষ্কর বাস্তবতা তুলে ধরেছো.......এইগুলা আমাদের নৈতিক অবক্ষয়ের প্রমাণ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে এসব ঘটনা শুধু এখন ঘটছে না। সব সময়ই ঘটতো। আগে প্রকাশ পেতো না। এখন মানুষ রাখঢাক করে না। তাই সবাই জানতে পারে।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার ধারণা দেশের বেশিরভাগ মানুষের মাথায় সমস্যা।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: না সমস্যা নাই।
মাথা ভর্তি বদমাইশি।

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সমাজটা ঘুণপোকায় ছেয়ে যাচ্ছে ক্রমশঃ

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২০

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ। এঁর মধ্যেই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪২

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: বাংলাদেশে পরকীয়া নামক লক ভাইরাস জন্মেছে এর প্রতিকার বোধহয় নেই

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: পদ্মানদীর মাঝি, হাজার বছর ধরে- উপন্যাস পড়েছেন?
পরকীয়া নিয়ে কাহিনী।
পৃথিবীর আসল মজাই পাপে।

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩

নাহল তরকারি বলেছেন: নতুন বিয়ে করেছি। ইদানিং ৩ নং ঘটনা বেশী দেখি। বর্তমানে পরকীয়া যদি এত সস্তা হয় তাহলে বিয়া করলাম কেন? আর আমার বউ যে পরকীয়া করবে না সেটার গ্যারান্টি কি? বউ যাতে পরকীয়া না করে সেজন্য আমি কি করতে পারি?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: স্ত্রীকে ভালোবাসুন। সময় দিন। তার সকল চাহিদা পূরন করুণ। ব্যস।
পরকীয়া যদি কোনো স্ত্রীলোক করে, তার জন্য স্ত্রীর চেয়ে স্বামীর বেশি দোষ। স্বামীদের ভুলের জন্যই স্ত্রীরা ভুল পথে পা বাড়ায়।

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: হু এরকম অনেক ঘটনা বাস্তবেই ঘটতেছে। ধন্যবাদ

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা ঘটনা আমার নিজের চোখে দেখা। তাই লিখতে সহজ হয়েছে।

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৮

ইসিয়াক বলেছেন:


প্রতিটি ঘটনাই আমাদের সমাজের নীতি নৈতিকতা মূল্যবোধে চরম অবক্ষয়ের বাস্তব চিত্র।
একটু চেষ্টা করলেই আমাদের আশেপাশে চরিত্রগুলো ঘোরাফেরা করতে দেখা যাবে। মানুষ এখন চরম লোভী আর আত্মকেন্দ্রিক। নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝে না।কি একটা অবস্থা!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: সব মানুষ লোভী না। সব মানুষ আত্মকেন্দ্রিক না। যেমন আমি।

৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এগুলি সমাজের খন্ড খন্ড চিত্র।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ এগুলো এই সমাজের কাহিনী। আমার নিজের চোখে দেখা। এসব আমার ভালো লাগে না। তাই বিদেশ চলে যেতে চাই।

১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জ্বী, সেটাই আপনার জন্য উত্তম আবাসস্থল হবে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: সেই চেষ্টায় আছি। দোয়া করবেন।

১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬

বিটপি বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মনে হল ৩ এবং ৪ নং সিচুয়েশন এই দেশে খুব কমন। তাহলে খুব আশঙ্কার কথা। পুরুষ মানুষ যদি লেচু ধরণের হয়, সেটা কন্ট্রোল করা যায়। কাজের চাপে পুরুষ মানুষের কামনা বাসনা কিছুটা অবদমিত থাকে। কিন্তু নারীরা যদি যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণে বেপরোয়া বেসামাল হয়ে যায়, তাদেরকে সামাল দেয়া পরিবার বা সমাজের জন্য খুব কঠিন হয়, যদিও পরণতির ভাগীদার তারাও হয়।

আমি আশা করব, মহিলারা পরিবারের মধ্যেই তাদের সমস্ত সুখ শান্তির উৎস খুঁজে পাক।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো মন্তব্য করেছেন।

১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: রুমানার স্বামী চাইলে সোহেলের স্ত্রীর সাথে সখ্য গড়ে তুলতে পারে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা-----
রুমানার স্বামী ভালো মানুষ।

১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: অল্প কথায় আমাদের যাপিত জীবনেরই ছবি ।

ভাল লাগল তাই +++।

ঋন করে কোন কাজই করা উচিত নয় । তার মানে হল আমার যতটুকু আছে তাতেই খুশি থাকা উচিত আমাদের ।

আর বাড়ীর কাজে আসলে সময় রক্ষা করা কঠিন । এটা আমার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি । ২০১৬ সালে নিজেরা কয়েকজনে মিলে শুরু করা অ্যাপার্টমেন্ট (১২ তালা + ২ পার্কিং ) এর কাজ এখনো চলছে । যদিও নিজেরাই কাজ করছি এবং কয়েক পরিবার উঠেছে এই বছর।

পরকীয়া এক সামাজিক এবং মানষিক ব্যাধি হয়ে গেছে এখন । সবাই (নর-নারী) নিজের টা ছেড়ে অন্যেরটার প্রতি বেশী আকর্ষন বোধ করে ব্যক্তি স্বাধীনতার কল্যাণে। আর এতে শুধু মজাই :P মজা । এ যেন ,লুটলে ভাই লুটলে । যিতনা চাহে লুটলে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ১২ তলা!!!!! ভেরি গুড। হ্যাঁ নিজেরাই করা ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.