নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ গুগল।
আমি যদি ১৯৭১ সালে থাকতাম-
আর তখন যদি আমার বয়স ২০ এর বেশি হতো তাহলে আমি অবশ্যই যুদ্ধ করতাম। কঠিন যুদ্ধ করতাম। ট্রেনিং নিয়ে সময় নষ্ট করতাম না। ভারতে যাও, টেনিং নাও। এত সময় আমার নাই। আমি সরাসরি যুদ্ধের মাঠে নেমে যেতাম। দুই নলা বন্ধুক বা রাইফেল দিয়ে আমার পোষাতো না। আমি হাতে নিতাম একে ৪৭। কারন বারে বারে বন্ধুকে গুলি ঢুকানোর সময় কই? সবচেয়ে বড় কথা যুদ্ধের ময়দানে বন্ধুকের চেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে বুদ্ধি। বুদ্ধির খেলা খেলতাম বেশি। পাকিস্তানীদের মেরে শুইয়ে দিতাম। লাশের পর লাশ ফেলে দিতাম হারামজাদাদের। বাঙ্গালী কি জিনিস বুঝিয়ে দিতাম।
আমি এক জাগায় বেশি সময় থাকতে পারি না।
তাই আমি সারা বাংলাদেশ জুড়েই যুদ্ধ করতাম। আমি যুদ্ধ শুরু করতাম মুন্সিগঞ্জ থেকে। তারপর কুমিল্লা। তারপর চাঁদপুর। এভাবে যুদ্ধ করতে করতে এগিয়ে যেতাম। তবে আমি যে অঞ্চলে যুদ্ধ করেতে যেতাম, সেই অঞ্চলেই হানাদার বাহিনী মারার আগে রাজাকার গুলোকে মারতাম। একদম নিজের হাতে মারতাম। হারামজাদাদের মেরে নিজ হাতে ওদের কলিজা বের করতাম। দেশের খেয়ে, দেশের পরে দেশের সাথে বেঈমানী! এটা আমি কিছুতেই সহ্য করতাম না। কি নির্মম ভাবেই না পাকিস্তানীরা নিরীহ মানুষদের মেরেছে। পথে পথে মানুষ মরে পড়ে ছিলো। চারিদিকে রক্ত। পেছন থেকে হাত বাঁধা।
পাকিস্তানীদের ক্যাম্প গ্রেনেড মেরে উড়িয়ে দিতাম।
নদী পথে যুদ্ধ করতাম। যুদ্ধ করতাম অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে। রাতের আঁধারে ছোট একটা ডিঙ্ঘি নৌকা নিয়ে ওদের বোট উড়িয়ে দিতাম। যুদ্ধের সময় যদি আমি ঠিক মতো পিস্তল, গুলি আর গ্রেনেড পর্যাপ্ত পরিমানে পেতাম- তাহলে আর কোনো চিন্তা নাই। প্রতিটা অঞ্চলে পাক বাহিনীকে মেরে সব শেষে আমি প্রবেশ করতাম ঢাকায়। যুদ্ধ একা করা যায় না। আমি বারো জনের একটা দল করতাম। দলের ক্যাপ্টেন থাকতাম আমি। আমি আমার দলের লোকদের দিক নির্দেশনা দিতাম। সঠিক দিক নির্দেশনা পেলে মানুষ যে কোনো কিছু করে আরাম পায়।
যুদ্ধ আমি অবশ্যই করতাম।
যদি আমার বাবা, মা অথবা স্ত্রী মানা করতো আমি তাদের মানা শুনতাম না। সবার আগে দেশ। দেশ বাঁচলে আমরা বাঁচবো। দেশ তো আমাদের মা। মাকে তো রক্ষা করা দরকার সবার আগে। হ্যাঁ যুদ্ধে আমি যখন তখন মরে যেতে পারি। পরাধীন থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। তাই দেশ স্বাধীন করা জরুরী। দেশ স্বাধীন তো আর আমেরিকা থেকে লোক এসে করবে না। দেশের লোকদের দেশ স্বাধীন করতে হবে। যুদ্ধের সময় খাওয়া দাওয়ার খুব কষ্ট হবে তা জানি। কিছু করার নেই। মেনে নিতে হবে। বড় কিছু পাওয়ার জন্য ছোট ছোট অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়।
বেশির ভাগ মুক্তিযোদ্ধারা লুঙ্গি পরে যুদ্ধ করেছে।
আমি প্যান্ট পরে যুদ্ধ করতাম। যুদ্ধের পর সরকার থেকে আমি কোনো রকম সাহায্য সহযোগিতা নিতাম না। কোটা প্রথা আমার পছন্দ না। ''মুক্তিযোদ্ধা কোটা'' এই কথাটা আমার পছন্দ না। দেশকে ভালোবেসে দেশের জন্য যুদ্ধ করবো। বিনিময়ে কিছু নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। তবে নাতীপুতিদের কে যুদ্ধের গল্প শুনাতাম। তাঁরা আমার যুদ্ধের গল্প শুনে মুগ্ধ হবে। তাঁরা জানবে তাদের নানা-দাদা সাহসী যোদ্ধা। তাঁরা আমাকে নিয়ে গর্বে করবে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশ বলে কোটা দরকার হয়ে পড়েছে। যদিও আমি কোটার পক্ষে নই।
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধরলাম আপনি যুদ্ধে যেতেন, এখন যোদ্ধাদের অনুপাত দেখেন:
স্বাধীনতা বিরোধী ছিলো ১৫%, রাজাকার ছিলো ৫৫ হাজার।
স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন ৮৫%, মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ১ লাখ ২০ হাজার।
এখন বুঝেন।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: এই ৫৫ হাজার রাজাকারের জন্যই ত্রিশ লাখ মারা গেছে। নইলে এত মানুষ মারা যেত না।
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
সামনে আরো যুদ্ধ আসতে পারে; আপাতত; আপনার মেয়েদের জন্য চাকুরী কিংবা ব্যবসা করেন।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: কিছু একটা করতেই হবে। আমি সেটা প্রতিনিয়ত অনুভব করছি।
৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪
ইসিয়াক বলেছেন: আমি যুদ্ধ করতাম এসব তো নাটকের সংলাপ। মানুষের জীবনের পুরো অংশটাই যুদ্ধ। যাহোক আপাতত আপনার আশেপাশে পথশিশু বা দরিদ্র অসহায় মানুষের জন্য কিছু একটা করুন তাহলেই হবে। আবেগ দিয়ে জীবন চলে না। যে পরিমাণ খাবার আপনার বাসায় অপচয় করেন তার একটা অংশ বাঁচিয়ে অনেক কিছু করা যায়। শুধু ইচ্ছা থাকতে হবে। কথায় আছে বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফল এ পরিচয়।
ধন্যবাদ
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ জীবন মানের যুদ্ধ।
অসহায় মানুষের জন্য আমি করি। এই লকডাউন আর করোনাতে করেছি। তবে সেগুলো দেখাতে চাই না। বলতে চাই না।
আমাদের বাসায় খাবারের অপচয় হয় না। শুধু খাবার কেন অপচয় করবো? আজও ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে ভালো মন্দ রান্না হচ্ছে। আজ মাটির চুলায় রান্না হচ্ছে। ছাদে।
৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কথায় বলে- যদির কথা নদীতে।
আপনার বয়স যুদ্ধের সময় ২০ থাকলে আপনি অবশ্যই যুদ্ধে এড়িয়ে প্রথম সুযোগে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে।
আপনি কল্পনাবিলাশী লোক, প্রায় প্রতিজন মুক্তিযোদ্ধাই সম্ভবতো কল্পনাবিলাশী ছিলেন। তবে তাদের কল্পনার সাথে মিশে ছিলো দেশ প্রেম, আপনার সেটা নেই। আপনার লেখার প্রথম অংশের কয়েক লাইন পড়েই আমার মনে হয়েছে আপনি যুদ্ধে যেতেন না।
আমি ভীতু মানুষ, যুদ্ধ আমার জন্য নয়। তবুও হয়তো আমি যেতাম, এবং যুদ্ধের প্রথম দিনই হয়তো পচল তুলতাম। যদির কথা নদীতে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমি যুদ্ধ করতাম। দেশের এরকম অবস্থায় আমার পক্ষে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকা সম্ভব নয়।
কি বলেন আপনি!!!! আমার দেশ প্রেম নেই?? জানেন, ভিসা হয়েছে, টিকিট কাটা হয়ে গেছে তবু আমি বিদেশ যাই নি। একবার না। দুই দুইবার।
বহু ভীতু মানুষ যুদ্ধ করেছে। প্রয়োজনের সময় মানুষ ভীতু থাকে না।
৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনি এখন চেষ্টায় আছেন দেশের বাইরে স্থায়ী হতে। দেশের বাইরে বেড়াতে বা কাজ করতে না যাওয়া দেশ প্রেমের উদাহরন নয়।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১১
রাজীব নুর বলেছেন: আরেহ ভাই স্ত্রী কন্যাকে বিদেশে রাখব। আমি দেশেই থাকব। তবে মাঝে মাঝে তাদের গিয়ে দেখে আসব।
৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫
ইসিয়াক বলেছেন: দুই নৌকায় পা দিয়ে রাখা কি ঠিক হবে? সমস্যা নেই কোথায়? কোন দেশে? তাই বলে সামান্য ভালো থাকার আশায় সম্পূর্ণ বিনা কারণে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কেউ দেশে কেউ বিদেশি থাকার মানে কি?
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: সেটা বুঝার মতো জ্ঞান আপনার নেই।
৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা ঐ সময় ১% ছেলে যুদ্ধে গেছে ( যাদের যুদ্ধে যাওয়ার যোগ্যতা ছিল)।
আমার হিসাবটা অনেকটা এই রকম;
সাড়ে সাত কোটির মধ্যে পুরুষ ছিল ৩ কোটি ৭৫ লাখ। ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষ মানুষ ছিল আনুমানিক ১ কোটি। সেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলো আনুমানিক ১ লাখের মত। ফলে ১% মানুষ মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণ করেছে। বাকি ৯৯% যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধে যায়নি।
আমার এক চাচা ক্লাস টেনে পড়তো ঐ সময়। তাকে দুইবার আর্মি গ্রেফতার করে সন্দেহ বশত। সে পরবর্তীতে আমাদের বলে যে যুদ্ধ আরও দীর্ঘ হলে সে হয়ত যুদ্ধে যেত এই গ্রেফতারের বিপদ থেকে বাঁচার জন্য। সত্যি যেত কি না এটা বলা মুশকিল।
যুদ্ধ করার যোগ্যতা ও সাহস আসলে সবার থাকে না। সবার দ্বারা এটা সম্ভব না।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক কথাই বলেছেন।
৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রথম আলোতে প্রকাশিত নিউজ- "দেশে এখন ২০০০ তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা আছেন-যাদের বয়স ৫০ বছর!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের খোজ নেই। চারিদিকে ভন্ড মুক্তিযুদ্ধা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
কোটার কথা কেন এসেছে? ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ সরকারের ১ কেবিনেট ছিলো, এমপি ছিলো, ১টা রেডিও ষ্টেশন ছিলো, ১টা সেনা বাহিনী ছিলো (১ লাখ ২০ হাজার সৈনিক ), সামান্য কয়েকজন কুটনীতিবিদ ছিলো।
১৬ই ডিসেমবরের পরে: কেবিনেট আছে, এমপি'রা আছে, কুটনীতিবিদরা আছে, রেডিও ষ্টেসন আছে, প্রশাসন আছে, বেগংল রাজিমেন্ট আছে, ইপিআর আছে, "শুধু মুক্তিযোদ্ধারা সরকারে নেই"। এখন আপনার কাছে পরিস্কার কোটা কেন দরকার?