নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ হও, মানবিক হও

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৬

ছবিঃ গুগোল।

গতকাল রাতে যে বইটি পড়ে শেষ করলাম-
''ঈশ্বরপুত্র''। লেখক- প্রফুল্ল রায়। বইটির ঘটনাপ্রবাহ আবর্তিত হয়েছে মাইকেল সমরেশ দত্ত নামের এক বিপত্নীক মানুষকে ঘিরে। মাইকেল সমরেশ দত্ত আদর্শহীন মানুষদের মধ্যে বিরলতম চরিত্র। নারী পাচার চক্রের কবল থেকে একটি সরল গ্রাম্য যুবতীকে বাচাতে গিয়ে কোন মূল্য দিতে হয় তাকে তাই নিয়ে এই আশ্চর্য আখ্যান ঈশ্বরপুত্র। চমৎকার বই।

বড়দিন হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে অন্তরাত্মায় বড় হওয়ার দিন।
এ দিন মানুষের সাথে মিলনের দিন, ক্ষমা করার দিন, নম্র হওয়ার দিন। মানুষ হওয়ার দিন। মানবিক হওয়ার দিন। হৃদয়বান হওয়ার দিন। দিন শেষে এই সমাজ হৃদয়বান মানুষদের কথাই মনে রাখে। মানুষ ঈশ্বরের সেরা সৃষ্টি। তাই অবশ্যই মানুষকে মন্দ কাজ ছেড়ে ভালোর পথে হাঁটা উচিত। ঈশ্বর তো আর দুনিয়াতে নেমে মানুষকে সঠিক পথে নিবেন না। বা কোনো অলৌকিক উপায়েও মানুষকে ভালো করে দিবেন না। ইশ্বরের কথা হলো- আমি তোমাদের দুনিয়ায় পাঠিয়েছি। হাদীস আর কোরআন দিয়েছি। মানলে ভালো। না মানলে পরকালে ডলা দেওয়া হবে। কঠিন ডলা।

পৃথিবী যখন পাপে পরিপূর্ণ,
ঠিন তখনই ঈশ্বর যিশুকে পৃথিবীতে পাঠালেন মানবজাতিকে পাপের পথ থেকে উদ্ধার করতে। শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করতে। যিশু যে অমিয় বাণী রেখে গিয়েছেন তার দ্বারা আমরা পারলৌকিক মুক্তির পথ খুঁজে পাই এবং সংঘাত ও স্বার্থের দ্বন্দে লিপ্ত আজকের দুনিয়াকে মুক্তির পথ দেখাতে পারে যিশুর সেই অমিয় বাণী। দুঃখের বিষয় বাস্তব জীবনে কেউ যিশুর কথা মতো চলে না। যার যেমনে মন চায় সে সেইভাবেই চলছে। মানুষের মৃত্যুর ভয় নেই। মৃত্যুর পরে শাস্তির ভয় নেই। মানুষ এত ভয় ডরহীন হয়ে গেল কেন? সবাই শুধু ইহকাল নিয়েই ব্যস্ত। এত এত ধর্মীয় আদেশ নিষেধের তোয়াক্কা মানুষ করছে না।

যীশুর বানী আমার ভীষন পছন্দ।
হাদিসের চেয়েও যিশুর বানী আমার বেশি ভালো লাগে। যিশুর জন্মের পরপরই আকাশের বুকে ফুটে উঠেছিল একটি বিশেষ তারা। পণ্ডিতেরা সেই তারা দেখে বুঝতে পারলেন, পৃথিবীতে সেই মহান রাজার জন্ম হয়েছে, ঈশ্বর যাকে পাঠানোর কথা বলেছিলেন মানবজাতির মুক্তির জন্য। পূর্ব দেশের তিন পণ্ডিত বহু দূর থেকে বেথলেহেমে রওনা হলেন তাদের রাজাধিরাজকে শ্রদ্ধা জানাতে। ধীরে ধীরে শিশু যিশু বড় হয়ে উঠেন। এরপর পাপে পরিপূর্ণ মানুষকে মুক্তির বাণী শোনালেন।

যিশু বললেন, ‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসো।
ভালোবাসো সবাইকে। ভালোবাসো তোমার প্রতিবেশীকে, এমনকি তোমার শত্রুকেও। মানুষকে ক্ষমা করো, তাহলে তুমিও ক্ষমা পাবে। কেউ তোমার এক গালে চড় দিলে অপর গাল পেতে দাও। ঈশ্বরের নামে অসুস্থদের সুস্থ করে তুললেন তিনি, মৃত মানুষকে জীবিত করলেন। যিশু হয়ে উঠলেন মানুষের মনের রাজা। যাই হোক, যিশুর মৃত্যু হয় খুব ভূগে। অনেক শাস্তি পেতে হয়।অথচ তার অলৌকিক ক্ষমতা ছিলো- কিন্তু তিনি শাস্তি ভোগ করেছেন। যাদু দিয়ে নিজেকে রক্ষা করে নাই।

প্রত্যেক ধর্মেরই মূল বাণী মানবতা।
বড়দিন উপলক্ষে যে প্রেম, প্রীতি ও শান্তির বাণী প্রচার করা হয় তার মূলে রয়েছে মানবতা। কোন ধর্মই এই বোধ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বড়দিন মানুষকে শান্তি, প্রেম ও সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। আসুন আমরা ভালো হয়ে যাই। মানুষ হয়ে উঠি। দেশকে ভালোবাসি। দেশের মানুষকে ভালোবাসি। একজনের বিপদে অন্যজন ঝাঁপিয়ে পড়ি। সকলে মিলে চেষ্টা করে দেখি দেশটাকে জাপানের মতো আধুনিক ও বেকার শূন্য বানাতে পারি কিনা। খুব কঠিন কিছু না। সবাই মিলে চেষ্টা করলেই সম্ভব। ম্যারি ক্রিসমাস।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১০

সাসুম বলেছেন: প্রত্যেক ধর্মেরই মূল বাণী মানবতা - কথাটা ভুল। প্রতিটা ধর্মের মূল বাণী তার নিজের ধর্ম ঠিক বাকি সব ধর্ম ভুল এবং নিজের ধর্মে না থাকা বাকি সবাইরে মরার পরে আগুনে পুড়াইয়া কাবাব বানানো হবে। আর নিজের ধর্মে বিলিভ করা রা দুনিয়ার জেনোসাইড কইরা আইলেও, মাফ চাইলে মাফ করে দেয়া হবে এবং সকল বিলিভার কে মরার পরে হালকা মার পিট শেষে চিরশান্তির হিভেন দেয়া হবে।

বাই দা রাস্তাঃ হ্যাপি ক্রিস্টমাস টু অল।

বাই দা রাস্তা ২ঃ হ্যাপি ক্রিস্টমাস বলা একটা বিদাত এবং সরাসরি আল্লাহর সাথে নাফরমানি।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: এখন আমাদের সময় এসেছে ধর্মের বাইরে গিয়ে চিন্তা ভাবনা করা। তবেই না সুন্দর পৃথিবী গড়ে উঠবে।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩৭

সোবুজ বলেছেন: আল্লাহ পাক বলেছেন যীশু পিতা ছাড়াই জন্মগ্রহন করছে।ইহুদিরা বিশ্বাস করে নাই।তারা যীশুকে নবী মানে না,মুসলমানরা মানে।যীশুই একমাত্র মানুষ যার মৃত্যু হয় নাই।আল্লাহ পাকের পাশে বসে আছে।আবার পৃথিবীতে আসবে।

মনোমুগ্ধকর লেখা।অনেক ভাল ভাল কথা আছে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই আধুনিক যুগে এসে এসব আমি মানতে পারব না। বিশ্বাস করতে পারবো না।

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খ্রিস্টধর্ম অনুসারীরা বিশ্বাস করে যে যীশু খৃস্ট হোল ঈশ্বর। তিন ঈশ্বরের মধ্যে তিনিও একজন ঈশ্বর। গড দা ফাদার, গড দা সান, গড দা হলি গোস্ট। এটাকে ট্রিনিটি বলে। যদিও বাইবেলে ট্রিনিটি নাই। যীশু কখনও নিজেকে ঈশ্বর দাবি করেননি।

তারা বিশ্বাস করে যে যীশু ক্রুশ বিদ্ধ হয়ে জগতের সকল খ্রিস্টানের পাপ মুছে দিয়েছেন।

প্রকৃতপক্ষে যীশু ( ইসা আ) আল্লাহর নবী ছিলেন। গড ছিলেন না। তিনি (আ) হজরত মুহাম্মাদের (সা) আগমনের ব্যাপারে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন।

"স্মরণ কর, যখন মরিয়ম-তনয় ঈসা বলল, হে বনী ইসরাইল! আমি তোমাদের প্রতি আল্লাহর প্রেরিত রসূল, আমার পূর্ববর্তী তাওরাতের সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আসবেন, যার নাম আহমদ। অতঃপর যখন সে স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আসল, তখন তারা বলল, এটা তো এক প্রকাশ্য যাদু।" (সুরা আস সফ, আয়াত ৬)


তিনি ক্রুশবিদ্ধ হননি।

"আর আমরা আল্লাহর রাসূল মারইয়াম তনয় ‘ঈসা মসীহকে হত্যা করেছি’ তাদের এ উক্তির জন্য। অথচ তারা তাকে হত্যা করেনি এবং ক্রুশবিদ্ধও করেনি; বরং তাদের জন্য (এক লোককে) তার সদৃশ করা হয়েছিল।(১) আর নিশ্চয় যারা তার সম্বন্ধে মতভেদ করেছিল, তারা অবশ্যই এ সম্বন্ধে সংশয়যুক্ত ছিল; এ সম্পর্কে অনুমানের অনুসরণ ছাড়া তাদের কোন জ্ঞানই ছিল না। আর এটা নিশ্চিত যে, তারা তাকে হত্যা করেনি। বরং তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছেন আল্লাহ তা'আলা নিজের কাছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন মহাপরাক্রমশালী,প্রজ্ঞাময়।" ( সুরা নিসা, আয়াত ১৫৭-১৫৮)


তিনিই একমাত্র নবী, যাকে মহান আল্লাহ জীবিত অবস্থায় দুনিয়া থেকে আসমানে উঠিয়ে নিয়েছেন। তিনি আবার দুনিয়ায় আসবেন। কেয়ামতের পূর্ব লক্ষণগুলোর মধ্যে এটি একটি। তিনি এসে দাজ্জালের সঙ্গে যুদ্ধ করবেন, সেখানে তাঁর বিজয় হবে এবং তিনি রাসূল (সা.)-এর বিধান অনুযায়ী দুনিয়া শাসন করবেন। তার পর যখন তাঁর ইন্তেকাল হবে, তখন তাঁকে রাসূল (স.)-এর পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: যিশু আসুক। যুদ্ধ করুক। কিন্তু যুদ্ধ কিভাবে করবে? সেই আগের মতো ঘোড়ায় চলে তীর, তরয়াল দিয়ে? নাকি আধুনিক পারমানবিক বোমা, গ্রেনেড, একে ৪৭ দিয়ে?

৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

জ্যাকেল বলেছেন: আপনি বিভ্রান্তি ছড়াতে খুব ভালবাসেন। মনের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ সুপ্ত হয়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না তাই ঘুরেফিরে একই ভাঙ্গা রেডিও নতুন উপায়ে বাজাতে চেস্টা করেন। ভং ধরেন যে আপনি ভাল মানুষ হিসাবে থাকেন, থাকতে চান অথচ কি পরিমাণ ভন্ডামি আপনার মনের মইধ্যে তা প্রায়ই নানান পোস্টে তুলে ধরেন। ব্যক্তি আক্রমণ করেন, মনের ডাস্টবিনের খানিকটা তুলে ধরেন ব্লগে নির্দিস্ট ব্লগারকে ধরে এইগুলা মানুষ মানবিক হওয়ার পথে প্রাথমিক অন্তরায়। বুঝেন?
না বুঝলে মানসিক চিকিৎসা করান।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: না ভাই না। বিভ্রান্তি নয়।
আমার মনে কোনো হিংসা নেই।
আপনি আমার উপর এতটা কঠোর হচ্ছেন কেন?

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: নিশ্চিতভাবে ভাল লিখেছেন কিন্তু আপনার সত্যিকারের মনের ভাব অনুধাবন করা মুশকিল!!!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমাকে কেউ বুঝতে পারবে না। আমার ঘরের মানূষরা আমাকে বুঝতে পারে না। আমি চাই না কেউ আমাকে বুঝুক।

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০১

কাছের-মানুষ বলেছেন: প্রফুল্ল রায়ের লেখা ঈশ্বরপুত্র বইটি পড়ার আগ্রহ পেলাম। যদি অনলাইনে খুজে পাই তাহলে পড়ব।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ ভালো বই। পড়ুন। অনলাইনে না পেলে সংগ্রহ করবেন।

৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৭

বিটপি বলেছেন: ব্লগে ঢুকেই এক দাঁড়িওয়ালা ছাগলকে ল্যাদাতে দেখে মেজাজটা ফর্টি নাইন হয়ে গেল। তবে পরের মন্তব্য গুলো পড়ে মেজাজ আবার লাইনে ফিরেছে। যাই হোক, আপনার প্রশ্নের জবাব দেইঃ

আইনস্টাইনকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, "তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অস্ত্র কি হবে?" তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, "সেটা জানিনা, তবে চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধের অস্ত্র হবে গাছের ডাল আর পাথর"

কাজেই ঈসা (আ) কোন যুদ্ধের আসে দুনিয়াতে আসবেন, সেটার উপর নির্ভর করছে তিনি কি অস্ত্র দিয়ে দাজ্জালকে মারবেন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
ধন্যবাদ।
আচ্ছা দাজ্জাল কবে আসবেন? তিন বছর পর?

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪৩

বিটপি বলেছেন: এক ইহুদী ভবিষ্যৎ বক্তা যার নাম এমিলি ডিকিনসনের বাণী অনুযায়ী দাজ্জালের আবির্ভাবের সময় ছিল ২০২০ সাল। আর তার দশ বছর পর ২০৩০ সালে ঈসা (আ) এর পৃথিবীতে আসার কথা। সেই অনুযায়ী যেহেতু এখনও দাজ্জালের আবির্ভাব হয়নি, তাই আমাদেরকে আরও অপেক্ষা করতে হবে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
যাই হোক বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগামী ৫/৬ বছরের মধ্যেই আসবেন। কারন তাঁরা এলে যে সমস্ত আলামত দেখা যাওয়ার কথা সেগুলো নাকি দেখা গেছে। অলরেডি ৭২ টার মধ্যে ৬৯ টা আলামত দেখা গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.