নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ হাতি রক্ষায় সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে জরুরি ভিত্তিতে।
মন আজ ভালো নেই।
কেমন তিরিক্ষি মেজাজ হয়ে আছে। কেউ ভালো কথা বললে মেজাজ গরম হয়ে যাচ্ছে। ইদানিং রাতে একেবারেই ভালো ঘুম হচ্ছে না। ভোরের দিকে ঘুম আসে, কিন্তু তখন ঘুমাতে পারি না। ভোর বেলা ছোট কন্যা ফারাজা ঘুম থেকে উঠে। আর কিছুতেই ঘুমাতে চায় না। আমি পাশে চুপ করে শুনে থাকলেও আমাকে ধাক্কা দেয়। ঘামচি দেয়। অর্থ্যাত সে আমাকে ঘুমাতে দিবে না। এবং ঘুম থেকে উঠো এবং আমাকে কোলে নাও। আমি ঘুম থেকে উঠি। কন্যার চেয়ে তো আর আমার ঘুম বড় নয়।
আব্বা মারা গেল এক বছর হয়ে গেল।
এই এক বছরে আব্বাকে বেশ কয়েকবার স্বপ্নে দেখেছি। প্রথম স্বপ্নটা দেখি আব্বার মৃত্যুর পাঁচ দিন পর। স্বপ্নে দেখলাম- আমি মন খারাপ করে রমনা পার্কে এক বেঞ্চে বসে আছি। আব্বা আমার পাশে বসা। আমিও চুপ করে আছি। আব্বাও চুপ করে আছে। সময় যাচ্ছে চলে। একসময় আব্বা বলল, ''সন্ধ্যা হয়ে আসছে। যা বাড়ি যা। সাবধানে থাকিস। তোমাকে কিছু কথা বলার দরকার ছিলো, কিন্তু কথা গুলো বলা হয়নি। আমি ভেবেছিলাম তুই হাসপাতালে আমাকে দেখতে এলে কথা গুলো বলল। কিন্তু হাসপাতালে আমাকে দেখতে এলি না''। আব্বার কথা শুনে আমার খুব মন খারাপ হলো।
গতকাল ভোররাতে আব্বাকে স্বপ্ন দেখলাম।
মরা মানুষকে স্বপ্নে দেখা কি ভালো? বার বার? গত সাতদিনে তিন বার আব্বাকে স্বপ্নে দেখলাম। আজ দেখলাম, বিরাট বড় একটা পুরোনো আমলের বাড়ির বিশাল বারান্দা কাচের মতো স্বচ্ছ রোদে ভেসে যাচ্ছে। এত বড় বারান্দায় আর কেউ নেই। চারিদিক কেমন ভয়করা নির্জন। সবচেয়ে বড় আশ্চর্য, বারান্দার শেষ নেই। আমি হাঁটছি তো হাঁটছিই। বারান্দা আর শেষ হয় না, ভীষন ভয় করছিল আমার। মনে মনে ভাবছি- এত বড় বারান্দা কে বানালো! হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন বলল, আর যাওয়ার দরকার নেই। এই বারান্দা শেষ হবার নয়। থামো। থামো। কন্ঠটা পরিচিত। আমি থেমে গেলাম।
কে বলল কথাটা?
মুখ ঘুরিয়ে দেখি দেখি, আমার আব্বা। তেমনই ফরসা টকটকে রঙ, তেমনি মসৃন গাল, চুল পরিপাটি করে আচড়ানো। তেমনি সুন্দর।
আমি বললাম, লোকে যে বলে তুমি মরে গেছ?
আব্বা বললেন, দূর বোকা! মরবো কেন? এই একটু বেড়াতে বের হয়েছি।
আমি বললাম, এই বাড়িটা কে বানিয়েছে? এত বিশাল বারান্দা কেন?
আব্বা বললেন- তা ঠিক, বারান্দাটা একটু বড়। যা তুই বাড়ি চলে যা। চল তোকে এগিয়ে নিয়ে যাই।
স্বপ্ন নিয়ে আমার তেমন কুসংস্কার নেই।
আবার এও মনে হয়, কী জানি, স্বপ্নের মধ্যে কোনও ইশারা ইঙ্গিত থাকতে পারে। কখনও কখনও এমন হয় মাসের পর মাস কোনো স্বপ্ন দেখি না। আবার কখনও এমনও হয় একরাতে তিন চারটা স্বপ্ন দেখে ফেলি। আব্বাকে স্বপ্নে দেখলে আমার ভালো লাগে। শান্তি শান্তি লাগে। আনন্দ লাগে। কিন্তু অনেক স্বপ্নে রক্ত দেখি। খুনোখুনি দেখি। গোলাগুলি দেখি। কোঁপাকুপি দেখি। তখন খুব ভয় লাগে। আমি নরম মনের মানুষ। কোনো দিন গরু জবাই দেখতে পারি নি। এমন কি আমি কোনোদিন একটা মূরগীও জবো করি নি। আমি সব সময় আনন্দময় স্বপ্ন দেখতে চাই।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আব্বাকে ছাড়া আজ কন্যার জন্মদিন পালন করছি।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই যে আপনার আব্বা কে নিয়ে ভাবেন, সেটুকুই আপনাকে স্বপ্নে দেখায়।
ভালো থাকুক স্বজন প্রিয়জন।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক ভালো থাকুন।
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার ভাবনার মাঝে আপনার বাবা আছেন, সব সময়।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আব্বার সাথে সব কিছুতেই আমার খুব বেশি মিল।
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৭
সোবুজ বলেছেন: আমরা প্রতিরাত্রেই ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি।কিছু স্বপ্ন মনে থাকে অনেক স্বপ্ন ঘুন ভাংলে ভুলে যাই।
বড় মেয়ের থেকে ছোট মেয়ের আচরনে কি কোন পার্থক্য আছে?
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা প্রার্থক্য আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৬
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: বাবাকে দেখলে আমার ও অনেক ভালো লাগে।