নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
সমুদ্র বিশাল তা সবাই জানেন।
সেই বিশাল সমুদ্রে একটা নৌকা চলছে। নৌকায় কোনো মাঝি নেই। নৌকায় আমি একা। নৌকা চলছে তো চলছেই। নৌকায় আমি কি করে এলাম জানি না। শুধু আমার এটুকু মনে আছে- আমি আমার ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। ('দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি' বইটা ঘুমানোর আগে পড়েছিলাম।) হঠাত দেখি আমি নৌকায়। ঢেউয়ের তালে তালে নৌকা দুলছে। আমি গভীর ঘুমে। নৌকা দুলছে এই কারনে ঘুমটা ভালো হচ্ছে। ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখলাম- আমি বেহেশতে অবস্থান করছি। আমি জানি জান্নাতে সর্বপ্রথম খাবার হলো মাছের কলিজা। মাছের কলিজা আমার পছন্দ না। যে মাছের কলিজা নিয়ে আসবে তাকে স্পষ্ট করে মানা করে দিব। মাইন্ড করলে করুক।
মাছের কলিজা পর্ব শেষ হলে আসবে গরুর মাংস।
যদি গরুর মাংস কালো ভূনা না দেয়- তাহলে সেই গরুর মাংসও আমি খাবো না। সাথে অবশ্যই চালের আটার রুটি দিতে হবে। বেহেশতে আমি অন্যের ইচ্ছায় কিছু খাবো না। নো নেভার। যাই হোক, আমি জানি সবশেষে দেওয়া হবে- সালসাবীল ঝর্ণার পানি। এই পানিও আমি খাবো না। আমি খাবো ওয়াইন। হঠাত আমার ঘুম ভাঙ্গলো। নৌকায় নিজেকে দেখে প্রচন্ড অবাক হলাম! প্রথমেই মনে হলো- আমার বউ, বাচ্চা কই? আমি নৌকায় কি করে এলাম? কে নিয়ে এলো আমাকে নৌকায়? আমি অনুভব করলাম- মাথার ভেতর কেউ একজন বলল- তোতা পাখির মত শিখিয়ে দেয়া জীবন থেকে বের হয়ে অন্য দেশ, ধর্ম, সম্প্রদায়, প্রকৃতির বৈচিত্র, সৌন্দর্য উপভোগ করুন- লাইফ ইজ বিউটিফুল।
আমার নৌকা উথাল পাতাল করছে।
জানি না সাঁতার। টেনশনে আমার উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিয়েছে। গরম ভাত আর কালিজিরা ভরতা দিয়ে খেতে পারলে এই মুহুর্তে উচ্চ রক্তচাপ কমে যেত। সুরভিকে বললে সাথে সাথে কালিজিরা ভরতা বানিয়ে দিত। আমার নৌকাটি নিশ্চয়ই একসময় কোথাও না কোথাও গিয়ে থামবে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সিনেমাতে দেখা যায়, কেউ এরকম বিপদে পড়লে হেলিকাপ্টার আসে। অথবা বিশাল এক জাহাজ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। আমি নিজেকে যুক্তিবাদী মনে করি। নৌকায় কিছু বই থাকলে ভালো হতো। কতক্ষন আর সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকা যায়। বইয়ের সাথে কিছু খাবার থাকলেও ভালো হতো। আল্লাহ আমাকে বিরাট দিকদারির মধ্যে ফেলে দিলো!
আমি দেশের রাজনীতি নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন হলে এই মূহুর্তে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা কে রাখেন? রাম-শ্যাম-যদু-মধু যে কেউ দেশ চালাতে পারবে। এই দেশের কোন ভবিষ্যৎ নেই, অগ্রগতির কোন চিহ্ন নেই। বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হচ্ছে হরদম। অতি ধনী শ্রেণীর আবির্ভাব হয়েছে। দেশের রপ্তানি খাত মাত্র দুইটি। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন, আর জামা-কাপড় বিক্রয়। চিন্তা ভাবনা করার জন্য রাজনীতির চেয়ে ধর্ম ভালো লাগে। ইসলাম নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান দেয়। এ কারনেই কি মধ্যপাচ্যের নারীরা জ্ঞানবিজ্ঞান সাধনায় সমগ্র বিশ্বে সবচেয়ে পিছিয়ে? হ্যাঁ ইসলাম নারীকে অনেক সম্মান দেয়। ইসলাম পুরুষকে সর্বদা অসম্মান করেছে। এই অসম্মান হল নারীদের বোরকা পড়া। পুরুষের দৃষ্টিকে ইসলাম কুনজরের সাথে তুলনা করেছে, যার কারনে নারীকে বোরকা পড়তে বলা হয়েছে। আপনার মস্তিষ্ক আছে, বিচার বুদ্ধি বিবেচনা আছে, যুক্তিবোধ আছে- সেগুলোকে ব্যবহার করুন। মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নিন।
না আমি নৌকায় নেই।
আমি আমার ঘরে। আমার বিছানায়। আমি এতক্ষন স্বপ্ন দেখছিলাম। এই যে পাশে আমার ছোট কন্যা বাম পাশ ফিরে, বাম গালে বাম হাত রেখে আরাম করে ঘুমাচ্ছে। সুরভি নাস্তা বানাচ্ছে। স্বপ্ন দেখা খারাপ কিছু না। স্বপ্নে অনেক কিছু চিন্তা ভাবনা করাও খারাপ না। সুরভি বলল, তোমার কি তেহারী পছন্দ না বিরানী? আমি বললাম, বিরানী। সুরভি বলল কেন? আমি বললাম, তেহারী গরুর মাংস দিয়ে করা হয়। বিরিয়ানী খাসীর মাংস দিয়ে বেশি মজা হয়। কাচ্চি বিরিয়ানী খাসীর মাংস দিয়ে করতে হয়। গরুর মাংসের বিরিয়ানীর চাইতে খাসীর মাংসের বিরিয়ানী বেশি লোভনীয় কারন বিরিয়ানীতে মাংস থাকে নরম, দুই আঙ্গুল দিয়ে চটকানো যায় এমন। গরুর মাংসের চাইতে খাসীর মাংস নরম বিধায় বিরিয়ানীতে খাসীর মাংস বেশি ব্যবহার হয়।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য কবি।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া বেহেস্ত না গিয়ে একদিন দোযখে গেলে কি হয় সেই স্বপ্ন দেখো তো।
আমি জানতে চাই দোযখে গেলে তুমি কি করবা???
নিশ্চয় আগুন চারিদিকে দেখে হাউ মাউ করে চিল্লাবা।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে বেহেশত দোজখ কিছুই নেই। কাজেই সেসব বিষয় নিয়ে আমি চিন্তিত না।
আর যদি সত্যিই থেকে থাকে আমি স্বেচ্ছায় দোযখে যাবো।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: বেহেশতে গেলে আপনার কোন ইচ্ছাই হবে না। সব ইচ্ছা হবে দোজখে গিয়ে। মাছের কলিজা তৃপ্তির ঢেকুর তুলবেন আর দোজখ থেকে গরুর মাংসের জন্য চিৎকার করবেন। আপনার সামনে গরুর মাংসের বাটি আর তপ্ত রুটি দেয়া হবে। যেই খেতে যাবেন আর সামনে থেকে তুলে নেয়া হবে।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০১
রাজীব নুর বলেছেন: এসব রুপকথা বিশ্বাস করার লোক আমি না।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বানিয়ে বানিয়ে স্বপ্নের কথা ভালই লিখেছেন।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০০
রাজীব নুর বলেছেন: পুরোটা বানাই নি। স্বপ্নের কিছু অংশ সত্য।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭
সোবুজ বলেছেন: মেরাজে গিয়ে নবী বেহেস্ত দোজখ দেখে এসেছেন।এবং সেখানে অনেক লোক দেখেছেন।আমার প্রশ্ন,আখেরাত হয়নাই,শেষ বিচারের বিচার হয় নাই,তাহলে বেহেস্তে এবং দোজখে লোক আসল কোথা থেকে?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহর নির্দেশে অনেক ফেরেশরা সেখানে অলরেডি নামাজ রোজা করছে। নবিজি সেটাই দেখেছেন।
৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:২১
সোবুজ বলেছেন: দোজখের আজাব সহ্য করতে দেখেছেন।ফেরেস্তা এমন কি করলো যে তাদের দোজখে আজাব দিতে হবে।তাছাড়া ফেরেস্তারা আগুনের তৈরি,আগুন দিয়ে তাদের আজাব দিবে কি ভাবে।ইদানিং হুজুররা মেরাজের ওয়াজ করে না।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: ফেরেশতারা দোজখে ছিলো না। দোযখে অন্য কেউ ছিলো।
মেজাজ পুরো বিষয়টা অলৌকিক।
৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০০
গরল বলেছেন: রাজীব ভাই বেহেশতে গেলেন, হুর না দেখেই চলে আসলেন?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: হুর নিয়ে আমি চিন্তিত না।
৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে ধর্মভীরুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঁঘাত লাগুক এমন কোনো লেখা নিয়ে আলোচনা সমালোচনার কিছু নাই। জাস্ট ইগনোর।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
তবে মানুষের মধ্যে ভুল ধারনা থাকলে মানুষের ক্ষতি হতে পারে।
৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৪
রানার ব্লগ বলেছেন: আমাদের এলাকার এক হুজুরের ওয়াজের সুত্র অনুযায়ী বেহেশতে সেই খাবারই দেয়া হবে যা ব্যাক্তি পৃথিবিতে খেয়ে অভ্যস্ত। যেমন আমি বাংলাদেশে ভাত ডাল আলুভর্তা শুটকিভর্তা মরিচভর্তা খেয়ে অভ্যস্ত বেহেশতে গেলে ওটাই পাও্যা যাবে। আপনার চিন্তার কিছুই নাই সুরুভি ভাবি যা বানিয়ে খাওয়াচ্ছে তাই পাবেন।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: বেহেশতে খাবার নিয়ে আমি চিন্তিত না।
আমি বেহেশতে বিশাল এক লাইব্রেরী চাই। মিউজিক সিস্টেম চাই। বিশাল এক ই ডি টিভি চাই। নেট লাইন থাকতে হবে। একটা সমুদ্র আর একটা পাহাড় চাই। পাহাড়ে আমার দোতলা কাঠের বাড়ি থাকবে।
১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রাজিব ভাই, জীবন আসলেই সুন্দর এবং সেই সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায় যদি পরীর মত চমতকার দুটি মেয়ের সাথে সাথে সুরুভী ভাবীর মত চমতকার একজন জীবনসংগী থাকে যিনি কিনা হরদম মন পছন্দ খাবার আলাদীনের চেরাগের মত রাজীব ভাইয়ের সামনে নিয়ে আসেন।
আর রাজিব ভাই নৌকায় নেই ঘরে , আর পেট পুরে খাচছে কাচচি বিরিয়ানী । আহা ভাবতেই ভাল লাগছে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমি একটু আরাম প্রিয় মানুষ। কয়েকটা বিষয় নিয়ে বিলাসিতা করতে ভালো লাগে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সত্যই বলেছেন রাজীব দা লাই ইজ বিউটিফুল ফুল মতো গন্ধ না থাকলে কি করে বিউটিফুল হবে না
লাই ইজনট বিউটিফুল