নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ স্বাধীনতা সংগ্রামের বীরযোদ্ধা জামিলউদ্দিন আহসান, বীর উত্তম।
শীতের রাত। ঘন কুয়াশাময় চারিদিক।
তখন রমজান মাস। মুক্তিযোদ্ধারা মধ্যরাতে সেহরি খেয়ে বেরিয়ে পড়লেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অবস্থানের উদ্দেশে। তাঁদের নেতৃত্বে জামিলউদ্দীন আহসান (জামিল ডি আহসান)। মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অবস্থানের কাছাকাছি যাওয়ামাত্র তারা গোলাগুলি শুরু করল। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা আক্রমণ করলেন।
এর মধ্যে ভোরের আলো ফুটেছে।
জামিলউদ্দীন আহসান ৭ নম্বর প্লাটুন নিয়ে ৮ নম্বর প্লাটুনের সঙ্গে যোগ দিলেন। তাঁদের সঙ্গে থাকা মর্টার, রকেট লঞ্চার দিয়ে সালদা নদীর অন্য পাশে রেলস্টেশন ও নয়নপুর বাজারে আক্রমণ চালালেন। ৮ নম্বর প্লাটুনের মেশিনগান পাকিস্তানি সেনাদের রেলস্টেশনের মেশিনগান পোস্ট অকার্যকর করে দিল। মুক্তিবাহিনীর মর্টার ও আর্টিলারি ‘মুজিব ব্যাটারি’র অবিরাম ও অব্যর্থ শেলিং তাদের তটস্থ করে ফেলল।
ক্রমেই বেলা বাড়তে থাকে।
একপর্যায়ে পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিবাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণে পর্যুদস্ত হয়ে পড়ল। তারা অবস্থান ছেড়ে পালাতে শুরু করল। জামিলউদ্দীন আহসান দেখতে পেলেন, আহত ও নিহত সেনাদের নিয়ে শত্রুরা পালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের ধাওয়া করতে পারলেন না। কারণ, মাঝে নদী। তিনি মুক্তিবাহিনীর অন্য দলকে জানালেন পলায়নরত পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ করার জন্য। সম্মিলিত সাঁড়াশি আক্রমণে দুপুরের মধ্যেই সালদা নদী ও নয়নপুর বাজার এলাকা সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে গেল।
এ ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বরে সালদা নদীতে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত সালদা নদী। ১৯৭১ সালের জুন-জুলাই থেকে এখানে নিয়মিত মুক্তিবাহিনীর চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ৩০ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট মুখোমুখি শক্ত প্রতিরক্ষা অবস্থানে ছিল। দুই অবস্থানের মধ্যে ছিল সালদা নদী ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ। মুক্তিযুদ্ধকালে এখানে অসংখ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
সেদিনকার যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অসংখ্য সদস্য হতাহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাঁচজন পাকিস্তানি সেনার মৃতদেহ উদ্ধার ও তিনজন রাজাকারকে বন্দী করেন। অনেক অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ তাঁরা দখলে নেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে এলএমজি ম্যান সিরাজ শহীদ এবং একজন আহত হন।
জামিলউদ্দীন আহসান ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মেলাঘরে গিয়ে তাতে যোগ দেন। জুনের শেষে প্রথম বাংলাদেশ ওয়ারকোর্সে অন্তর্ভুক্ত হন। প্রশিক্ষণ শেষে নিয়মিত মুক্তিবাহিনীর ১১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দিয়ে ৩ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এ সময় চুনারুঘাট চা-বাগানের যুদ্ধে অংশ নেন। পরে ২ নম্বর সেক্টরে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও নাজিরহাটে যুদ্ধ করেন।
সূত্র: একাত্তরের বীরযোদ্ধা: খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথমা প্রকাশন।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন। বিষয়টা মাথায় রাখলাম।
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৯
সোবুজ বলেছেন: মুক্তি যুদ্ধের কথা শুনলেই আবেগ তাড়িত হয়ে যাই।কতো স্মৃতি মনে পড়ে যায়।কিছু দেখা কিছু করা।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বড় শক্তি। এই শক্তিকে কাজে লাগানো গেলে ভালো কিছু করা সম্ভব।
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৩১
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: জানা হলো
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৪
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: অনেক লাল স্যালুট জানাই রাজীব দা
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: খুব সংক্ষেপে বলা হয়ে গেলো যেনো!
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: বড় লেখা অনেকে পড়তে চায় না।
৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৪
আরইউ বলেছেন:
আপনার লেখা চুরির অভ্যাসটা গেলোনা!
প্রায় পুরোটাই টুকলিফাই করেছেনঃ
https://1971.prothomalo.com/freedom-fighters-info/gallantry-awardees/জামিলউদ্দীন-আহসান-বীর-প্রতীক
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: পাকনামি কম করেন। নিচে যে তথ্যসুত্র দিয়েছি সেটা দেখেন নাই???
৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫০
আরইউ বলেছেন:
হে চোরা খান, সূত্রটাও তো হুবহু কপিপেস্ট করেছেন!
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: ছাগলের মতো ভ্যাবে ভ্যাবে বন্ধ করেন।
লেখার সুত্র দিয়েছি। তারপরও ভ্যাবে ভ্যাবে করেই চলেছেন।
৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সূত্র প্রথম আলো দিলে কী হতো। আপনার সম্মান কমে যেত নাকি।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপা আসসালামু আলাইকুম।
অফিসে কাজের সময় ব্লগিং করবেন না। বিপদ হতে পারে। আমার মতোণ।
৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৯
আরইউ বলেছেন:
রাজীব চোরা, “চোরের মার বড় গলা“ মানে কি জানেন?
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: গাধা কোথাকার।
চুলকানির মলম বিক্রেতা সামুতে আসলে যা হয় আর কি!!!
১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০০
নীল আকাশ বলেছেন: নিখুঁত কপি পেস্ট করার জন্য অভিনন্দন।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: হায়রে নির্বোধ।
১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: প্রথমা প্রকাশনটা প্রথম আলোরই প্রকাশনী মনে হয়। তো এখানে আলাদা করে প্রথম আলো না লিখলে খুব বেশি সমস্যা?
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: একদল নির্বোধ ব্লগে এসে জুটেছে।
১২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২১
মানবেনদ্র বলেছেন: আমার বাড়ী আগরতলায়। পরিস্কার মনে আছে সেই দিন গুলির কথা। আমার বয়স তখন ১৫ বছর। বাড়ীর কাছেই মিলিটারি ক্যাম্প। আমরা সেখানে ক্রিকেট খেলতে সকালে জেতাম। মেজর নাম্বিয়ার অ মেজ্র ভদ্র নামে আমার দুই বুন্ধু ছিল আমাদের সাথে ক্রিকেট খেলত টেনিস বলে। আমাদের রুটি সবজি খাওয়াত। খুব ভাল লোক। একদিন সকালে ব্যাট বল নিয়ে ক্যাম্পে গিয়ে দেখি ক্যাম্প খালি। পরে শুনি উনারা সব নাকি আখাউ রা দিয়ে ঢাকায় চলে গেছেন লড়াই করতে। আগের দিন বলে গেলে পারতেন। একটু আভিমান হ্ল। বন্ধু কোথায় গেল। আখাউরা সীমান্তে বাড়িতে কিছু না বলে প্রতিদিন বিকেলে চলে যেতাম কিন্তু মিলিটারী আটকে দিত। রাজাকার ধরে মুক্তি বাহিনির সদস্য রা আখাউরা সীমান্ত দিয়ে দড়ী দিয়ে বেধে টেনে হিচড়ে এ পারে আনতে দেখেছি। নারীদের উপর এত অত্যাচার শুনতে শুনতে সীমান্তের উপারে চলে গিয়ে মুক্ত বাহিনীতে যেতে দিতে মন চাইত।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: এসব বিষয় নিয়ে আপনি লিখুন।
১৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৭
মানবেনদ্র বলেছেন: আমাদের বাড়ীর পাশেই একটা হাই স্কুল ছিল। সেখানে হাজারে হাজারে অসহায় মানুষের ভীর। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। কারু মাথায় সেলাই মেশিন, কারু হাতে ছাগলের দড়ি। কাধে বাচ্চা, মেয়েদের কোলে শিশু। আমরা তাকিয়ে দেখতাম । আমাদের মা, ভাই বোন। মনে খুব কষ্ট হত। কিছু করতে পারতাম না তাই আরো বেশী খারাপ লাগত।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: ভারত সরকার অনেক করেছেন। সেই ঋণ আমরা শোধ করতে পারবো না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৫
না ই বললাম বলেছেন: নতুন তথ্য জেনে ভালো লাগলো। এই ধরনের একটা সিরিজ করলে খুব ভালো হয় এতে জাতির স্বর্ণ-সন্তানদের সম্পর্কে জানতে পারতাম।