নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
পৃথিবীতে মানুষ অনেক রকম যুগ দেখেছে।
এঁর মধ্যে সবচেয়ে সেরা যুগ ছিলো বিজ্ঞানের যুগ। এবং সবচেয়ে নোংরা যুগ হলো- অবিশ্বাসের যুগ। বর্তমানে আমরা অবিশ্বের যুগে বাস করছি। এ যুগে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রীকে বিশ্বাস করে না। আবার মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করে না। অফিসের বস তার কর্মচারীকে বিশ্বাস করে না। আবার কর্মচারীও তার বস কে বিশ্বাস করে না। এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বিশ্বাস করে না। ভাই ভাইকে বিশ্বাস করে না। বোন বোনকে বিশ্বাস করে না। স্ত্রী স্বামীকে বিশ্বাস করে না। আবার স্বামী স্ত্রীকে বিশ্বাস করে। চারিদিকে শুধু অবিশ্বাস আর অবিশ্বাস। অবিশ্বাসের যুগে বাস করা খুব কঠিন। খুব মুশকিল। এজন্য মানুষের মনে আজ শান্তি নেই।
এযুগের মানুষ খুব বেশি মিথ্যা বলে।
সবাই মিথ্যা বলে। প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বলে। একজন রিকশাচালকও মিথ্যা বলে। একজন মাওলানাও মিথ্যা কথা বলে। যারা ওয়াজ করে তারাও মিথ্যা বলে। চারিদিকে এত এত মিথ্যা, তাই এখন আর কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। এমন কি একজন মা পর্যন্ত তার ছেলেকে বিশ্বাস করে না। একজন বাবা পর্যন্ত তার সন্তানের প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারে না। বিশ্বাস এমন এক জিনিস যা বাংলাদেশে কারো মধ্যে নাই। উন্নত বিশ্বে কি অবস্থা আমি বলতে পারবো না। কারন উন্নত বিশ্বের কারো সাথে আমার যোগাযোগ বা কথাবার্তা নেই। পরিস্থিতি এরকম হয়েছে- একজন ভিক্ষুককে পর্যন্ত মানুষ বিশ্বাস করে না। ভিক্ষুক যখন বলে, আমি অসুস্থ। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। সে কথাও লোকে বিশ্বাস করে না। চারিদিকে সত্যের ভাঙচুর।
আমরা এখন অবিশ্বাসের যুগে বাস করছি।
চারিদিকে শুধু মিথ্যা এবং মিথ্যা অভিনয়। ঘরে বাইরে সব জাগায় একই অবস্থা। এযুগের মানুষ খুব বেশি নির্লজ। হোক সে মন্ত্রী, সচিব অথবা সবজি বিক্রেতা। এমন কি শিক্ষকরাও প্রচুর মিথ্যা বলেন। চারিদিকে অনেক ধার্মিক। ধার্মিকেরা সবচেয়ে বেশি ভন্ড। একজন চোর ছিনতাইকারী চেয়েও ধার্মিকেরা বেশি খারাপ। সমাজে হু হু করে ধার্মিকের সংখ্যা বাড়ছে। এটা চিন্তার বিষয়। আমাদের ধার্মিক নয় আমাদের দরকার ভালো মানুষ। সহজ সরল ভালো মানুষ। হিসাব করলে দেখা যাবে স্কুলের চেয়ে মাদ্রাসার সংখ্যা বেশি। লাইব্রেরীর চেয়ে মসজিদের সংখ্যা বেশি। মসজিদ দিয়ে সমাজ কে বদলানো যায় না। স্বচ্ছ জ্ঞান দিয়ে সমাজ কে বদলানো যায়। আমাদের দেশে ধার্মিক বেশি বলেই চুরী, ডাকাতি, দূর্নীতি বেশি হয়।
আমার নিজের কথা একটু বলি-
আমি সবাইকে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করে, বার বার ঠকি। তবুও আমি মানুষ কে বিশ্বাস করি। এবং মৃত্যু আমি মানুষকে বিশ্বাস করে যাবো। মানুষকে বিশ্বাস করতে আমার ভালো লাগে। অবিশ্বাস করে ঠকার চেয়ে বিশ্বাস করে ঠকা অনেক ভালো। কেউ যখন আমাকে মিথ্যা বলে। আমি চুপ করে শুনি। এবং তাকে বুঝতে দেই না- আমি তার মিথ্যা ধরে ফেলেছি। বুঝে ফেলেছি। কাউকে লজ্জা দিতে ইচ্ছা করে না। অপমান করতে ইচ্ছা করে না। আমি চারপাশ খুব ভালো করে খেয়াল করি। দেখি, চারপাশে শুধু অবিশ্বাস। কোথাও বিশ্বাসের ছিটাফোটাও অবশিষ্ট আর নেই। এত এত অবিশ্বাস নিয়ে মানুষ বাঁচে কিভাবে? খায় কিভাবে? ঘুমায় কিভাবে? কাজ করে কিভাবে? চারিদকে মিথ্যার ভিড়ে- আমি আজও টিকে আছি। আমি মিথ্যা বলি না। এটাই আমার শ্বান্তনা।
আসুন অবিশ্বাসের যুগকে আমরা সত্যের যুগ করি।
নিজের মনের মহত্ব আর ভালোত্ব দিয়ে সমাজ গড়ি। মানুষের জন্য কাজ করি। মানুষকে ভালোবাসি। এই যুগে এসে বাংলাদেশের মানুষ গুলো খুব বেশি নোংরা হয়ে গেছে কর্মে, সততায়, চিন্তা ও চেতনায়। জন্মের সময় মানুষ বিশাল এক স্বচ্ছ ও পবিত্র আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। যখন মানুষ মিথ্যা বলতে শুরু করে, তখন তার সেই স্বচ্ছ পবিত্র আত্মা ক্ষত হতে শুরু করে। মিথ্যা আর ভন্ডামি করতে করতে একসময় মানুষের সেই স্বচ্ছ ও পবিত্র আত্মাটি ক্ষয় হয়ে যায়। তখন মানুষ পশু হয়ে যায়। পশু হয়ে নোংরা কাজ করে দেশ ও সমাজের ক্ষতি করে বেড়ায়। বাংলাদেশের সমস্ত মানুষের স্বচ্ছ ও পবিত্র আত্মাটি ক্ষয় করে গেছে। তাই বর্তমান যুগ হয়ে গেছে অবিশ্বাসের যুগ। অবিশ্বাসের যুগের অবসান হোক।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: সমস্যা হলো শিক্ষিত মানুষেরাও অন্ধ বিশ্বাসী। শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে কুসংস্কার দেখলে খুব রাগ হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:৫১
সোবুজ বলেছেন: আন্ধ বিশ্বাসীরা যে হারে বাড়ছে সহজে শেষ হবে না।