বাংলাদেশ ধ্বংসের মুখে

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫৮

ছবিঃ গুগল।

ভয়াবহ খারাপ অবস্থা।
বিশাল এক উল্কা পিন্ড বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। সাগরের অসংখ্য মাছ মারা গেছে। এই উল্কা পিন্ডটি যদি ঢাকা শহরের উপরের পরতো তাহলে অনেক বাড়ি ঘর ধ্বংস হয়ে যেত। অনেক মানুষ মারা যেত। আমেরিকা আগেই বলেছি, উল্কা পিন্ডটি বাংলাদেশে আঘাত করবে। বাংলাদেশ সরকার আমেরিকার কথা বিশ্বাস করেনি। সরকার বলছে বাংলাদেশের উপর আল্লাহর রহমত আছে। বাংলাদেশের কোনো মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এই যে করোনা হলো- বিশ্বে ধনী দেশ গুলোতে লাখ লাখ লোক মারা গেছে কিন্তু বাংলাদেশে মাত্র ২৯ হাজার লোক মারা গেছে। আল্লাহর রহমত আছে বলেই আমাদের দেশে মৃত্যু সংখ্যা কম। বাংলাদেশ অলি আউলিয়ার দেশ। কাজেই এই দেশে বড় কোনো দুর্যোগ হবে না। নো নেভার।

আমেরিকা একটা ভয়াবহ খারাপ সংবাদ দিয়েছে।
বিশাল এক উল্কা পিন্ড আবার বাংলাদেশে আঘাত হানবে। এবারের উল্কা পিন্ডটি আয়োতনে পুরো বাংলাদেশের সমান। অর্থ্যাত বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডটি এবার পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। নাসা বলেছে উল্কা পিন্ডটি যেভাবে এগিয়ে আসছে তাতে বাংলাদেশের উপর পড়তে সময় লাগবে সাত দিন। বাংলাদেশ সরকারের দিশেহারা অবস্থা। বাংলাদেশ সরকার আমেরিকাকে ধরেছে আমাদের বাঁচান। আল্লাহর দোহাই লাগে আমাদের বাঁচান। অনেক কষ্টের দেশ আমাদের। আমেরিকা স্পষ্ট বলে দিয়ছে- আমরা আপনাদের কোনো সাহায্য করতে পারবো না। আপনাদের দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে ৫০ বছর হয়ে গেছে। কেন আপনারা এত দিনেও আমাদের মত একটা নাসা তৈরি করেন নি। সরকার বলেছে, আমরা দরিদ্র। আমেরিকা বলেছে, আপনারা নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে ভাসছেন?

বাংলাদেশের সব মানুষ কাঁদছে।
মৃত্যু আসন্ন। বর্হিবিশ্ব সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে না। কেয়ামতের আগেই বাংলাদেশ ধ্বংস। বাংলাদেশের লোকজন সবাই নামাজ, রোজা করছে। আল্লাহর দরবারে হাত তুলেছে। যারা এতদিন অন্যায় করেছে, দূর্নীতি করেছে তাঁরা সবাই তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। বাংলাদেশের মানুষের খাওয়া-দাওয়া, ঘুম সব হারাম হয়ে গেছে। নিশ্চিত মৃত্যু। পুরো দেশ ধ্বংস। ধনী লোকেরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। মন্ত্রী, এমপি এমন কি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি অলরেডি বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ধনীরা সবাই পালিয়ে গেছে। দশ লাখ লোক বিদেশ পাড়ি দিয়েছে। দরিদ্র ও অসহায় মানুষ ভারতে ঢুকতে চেষ্টা করছে। ভারত সরকার বর্ডার দিয়ে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। এখন বাংলাদেশ ধ্বংস হওয়া থেকে কে রক্ষা করবে? আছে কোনো উপায়?

সারা বিশ্বে এখন একটাই নিউজ বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
রাশিয়া বলেছে, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে। এক দেশের বিপদে আরেক দেশ এগিয়ে আসবে না- এটা কেমন কথা! উল্কা পিন্ডটিকে থামাতে হবে। বিশ্বের বিজ্ঞানীদের তিনি আহবান জানিয়েছেন- উল্কা পিন্ডটিকে কিভাবে থামানো যায় সেই ব্যবস্থা দ্রুত নিতে হবে। একেক বিজ্ঞানী একেক রকম কথা বলছে। কারো সাথে কারো মিলছে না। এদিকে উল্কাপিন্ডটি আরো দ্রুত গতিতে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে। ধারনা করা হচ্ছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে উল্কা পিন্ডটি বাংলাদেশের উপর পরবে। জার্মানীর বিজ্ঞানী স্টিফেন কিং একটি আশার কথা বলেছেন, তিনি বলেছে, পৃথিবী থেকে একটা রকেট পাঠাতে হবে। সেই রকেট সরাসরি উল্কাটিকে আঘাত করবে। উল্কা পিন্ডটি ধ্বংস হয়ে যাবে। এভাবেই বাংলাদেশকে বাচানো সম্ভব। এই বিজ্ঞানীর সাথে সবাই একমত হয়েছেন।

বাংলাদেশে কোনো রকেট নেই।
বিশ্বের কোনো সরকার প্রধান বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলাপ আলোচনা করতে পারছে না। কারন তাঁরা সবাই পালিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চলে গেছে। আশার কথা হলো- ইজরায়েল বলেছে তাঁরা একটা রকেট দিবে। সেই রকেট রাত বারোটায় উড়ে অনন্ত নক্ষত্র বীথির উদ্দেশ্যে। এই রকেট আঘাত হানবে উল্কা পিন্ডটির গায়ে। উল্কা পিন্ডটি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে। সারা বিশ্ব এই ঘটনা লাইভ দেখছে টিভিতে বসে। সবার মধ্যে টেনশন। যদি উল্কা পিন্ডটি সরে যায় অথবা রকেট উল্কা পিন্ডটিকে আঘাত না করে পাশ দিয়ে চলে যায়। কত কিছুই তো ঘটতে পারে। বাংলাদেশের ভাগ্য ভালো। রকেট টি উল্কাপিন্ডে আঘাত করে। উল্কা পিন্ড ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। বাংলাদেশ বেঁচে যায়। বেঁচে যাবে না কেন কোটি কোটি মুসলিম আল্লাহর দরবারে হাত তুলেছে।

৬ টি +০/-০