নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বাংলাদেশে ব্লগারদের সংখ্যা সবচেয়ে কম।
অল্প কিছু লোক ব্লগিং করেন। ফেসবুকার এবং টিকটক করা লোকের সংখ্যা সবেয়ে বেশী। ইদানিং ইউটুবারের সংখ্যাও হুহু করে বাড়ছে। বেড়েই চলেছে। অথচ ব্লগিং একটা সৃজনশীল মাধ্যম। বর্তমান প্রজন্ম আসলে টিকটক প্রজন্ম। ছেলেমেয়ে, বুড়োবুড়ি সকলেই আজকাল টিকটক করছে। ইয়াবা নেশার চেয়েও টিকটক নেশা মারাত্মক। বাংলাদেশের মানুষ নোংরামীটা বেশি পছন্দ করে। তাই সব কিছুতেই তাঁরা নোংরামী করে বেড়ায়। ইউটিউব এবং টিকটকে এখন চলছে নোংরামীর মহাউৎসব। আমি নোংরামী সহ্য করতে পারি না। সরকারের উচিত এসব নোংরামী বন্ধ করা। এই প্রজন্মের নোংরামী ও বেহায়াপনা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই- ছেলে মেয়ে শুধু জন্ম দিলেই হবে না। তাদের দিকে খেয়াল রাখুন।
বর্তমানে আমাদের দেশে ভালো কিচ্ছু নাই।
ভালো সাহিত্যিক নাই, কবি নাই। অথচ লাখ লাখ লোক গল্প, উপন্যাস আর কবিতা লিখে চলেছে। এদের লেখার মান অতি নিম্ম। তাদের লেখা হৃদয় স্পর্শ করে না। মনকে নাড়া দেয় না। অথচ শুনি তাদের লেখা প্রথম মুদ্রন শেষ। কারো কারো নাকি তৃতীয় মুদ্রনও শেষের পথে। কারা কিনে তাদের বই? গার্বেজ বই কি সত্যিই লোকে কিনে পড়ে? আমি তো শীর্ষেন্দু বা সঞ্জীবের মতোন একজন লেখক আমাদের দেশে খুঁজে পাই না। সুনীল বা শক্তি চট্রোপাধ্যায়ের মতোণ একজন কবি আমাদের দেশে খুঁজে পাই না। গ্রাম থেকে এক ছেলে এসেছে। পত্রিকা অফিসে চাকরী নিয়েছে। এখন সে খুব গর্ব করে- সে নাকি মস্ত বড় সাংবাদিক। অথচ কোনো দিন তার পত্রিকাতে একটা লেখা দেখলাম না। মেট্রিক পাশ করে নাই ছেলে, এখন নাকি সে মস্ত বড় রাজনীবিদ। কিভাবে সম্ভব?
আমাদের এলাকায় এক লোক আছে।
তার নাকি অনেক ক্ষমতা। স্বরাষ্ট মন্ত্রীর সাথে তার নাকি উঠাবসা। অনেক মন্ত্রী, এমপিকে তিনি চিনেন- জানেন। অনেকেই তাকে সমীহ করেন। একটার পর একটা বেনসন সিগারেট খেতেই থাকেন। সারা দিনে তার নাকি ৪/৫ প্যাকেট বেন্সন সিগারেট লাগে। কেউ তার কাছে সাহায্য চাইলে পাঁচ শ' এক হাজার টাকা দিয়ে দেয়। এই লোক চাকরী করেন না ব্যবসা করেন আমি জানি। একদিন এই লোকের সাথে আমার দেখা। আমি হাত কচলাতে কচলাতে বললাম, আপনার কথা অনেক শুনেছি। আপনার অনেক ক্ষমতা। আপনি মানুষদের সাহায্য করেন। অনেক বড় বড় লোকের সাথে আপনার উঠাবসা। স্বয়ং মন্ত্রীরা আপনাকে ফোন করেন। আমার এক বন্ধু দীর্ঘদিন ধরে বেকার তাকে একটা চাকরী দেন। লোকটা বলল, এটা কোনো বিষয়ই না। ভদ্রলোকের কথা শুনে আমি খুব খুশি হলাম। কিন্তু দুই বছর পার হয়ে গেলো তিনি আমার বন্ধুকে চাকরী দিতে পারেন নি।
চার বান্ধবী একসাথে ভিডিও চ্যাট করছে।
এক বান্ধবী বলল, আমার নতুন বাসাটা মাশাল্লাহ খুব ভালো। দুই টা বারান্দা খুব বড়। আরেক বান্ধবী বলল, না না। তোর বাসায় আমি গিয়েছি। লিফট আছে। সাত তলায় ফ্লাট। আলো বাতাস আছে। হ্যাঁ তোর বাসাটা সুন্দর। মাশাল্লাহ। একজন বলল, আমার স্বামী আমার জন্য একটা লেহেঙ্গা এনেছে। বল, এই বয়সে আমি লেহেঙ্গা পড়বো? বুড়ি হতে চললাম। লেহেঙ্গার দাম নিয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। আমার স্বামী এরকম কাজ করে না বিরক্ত লাগে। এখন বল, এই লেহেঙ্গা আমি কোন অনুষ্ঠানে পড়ি! একজন বান্ধবী বলল, সামনে তো তোদের বিবাহ বার্ষিকী। সেদিন পড়বি। কথাটা বান্ধবীর মনে ধরেছে। বলল, হ্যাঁ রে ওর ইচ্ছা একটা বড় অনুষ্ঠান করবে আমাদের বিবাহবাষির্কীতে। অনেক মানুষ দাওয়াত দিবে। বিয়ে হয়েছে দশ বছর হয়ে গেছে, বাচ্চা কাচ্চা আছে। এখন লেহেঙ্গা পড়ে স্টেজে বসে থাকলে কেমন দেখাবে। হা হা হা, হি হি হি। এভাবেই চার বান্ধবী ঘন্টার পর ঘন্টা ফালতু কথা বলতে থাকে।
এই সমাকে কেউ কেউ অপমান করে আনন্দ পায়।
ঘরে বাইরে, অফিস আদালতে, ব্লগে, আড্ডায়- কাছের মানুষদের, বন্ধুদের অপমান করেই চলেছে। অপমান চলছেই। ভালো লোক কখনও কাউকে অপমান করে না। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে না। জাদিদ ভাই আমাকে বেশ কয়েকবার অপমান করেছেন। যা আমি জাদিদ ভাইয়ের কাছে কখনও আশা করি নি। তিনি আমাকে এরশাদ বলেছেন। তার দেখাদেখি বেশ কয়েকজন ব্লগার আমাকে এরশাদ বলেছেন। জাদিদ ভাইয়ের কারনে আমি ব্লগে যথেষ্ঠ অপমান অবহেলার স্বীকার হয়েছি। এমন কি জাদিদ ভাই আমাকে ফেসবুকে সামুর গ্রুপে পর্যন্ত আমাকে অপমান করছেন। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছেন। আমি বোকা মানুষ তার অপমান অবহেলা দেরীতে বুঝতে পেরেছি। অথচ ব্লগিং ভালোবাসি বলেই আমি এই সামুতে পড়ে আছি। আমি মানুষ, কিছু ভুল ত্রুটি আমার থাকতেই পারে। জাদিদ ভাই যদি আমার ভুল গুলো ধরিয়ে দিতেন, আমি অবশ্যই আমার ভুল ত্রুটি গুলো শুধরে নিতাম।
©somewhere in net ltd.