নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
মহান আল্লাহ তায়ালার ৯৯ নাম বাংলায় আপনাদের সামনে তুলে ধরলামঃ
১. ইয়া আল্লাহ।
২. ইয়া রাহমানু।
৩. ইয়া রাহীমু।
৪. ইয়া মালিকু।
৫. ইয়া কুদ্দুসু।
৬. ইয়া সালামু।
৭. ইয়া মুমিনু।
৮. ইয়া মুহাইমিনু।
৯. ইয়া আযীযু।
১০. ইয়া জাব্বার।
১১. ইয়া মুতাকাব্বির।
১২. ইয়া খালিকু।
১৩. ইয়া বারিউ।
১৪. ইয়া মুছাভির।
১৫. ইয়া গাফ্ফার।
১৬. ইয়া কাহ্হার।
১৭. ইয়া ওয়াহ্হাবু।
১৮. ইয়া রায্যাকু।
১৯. ইয়া ফাওাহু।
২০. ইয়া আলীমু।
২১. ইয়া কাবিদু।
২২. ইয়া বাসিতু।
২৩. ইয়া খাফিদু।
২৪. ইয়া রাফিউ।
২৫. ইয়া মুইযয়ু।
২৬. ইয়া মুযিল্লু।
২৭. ইয়া সামীউ।
২৮. ইয়া বাছীর।
২৯. ইয়া হাকামু।
৩০. ইয়া আদলু।
৩১. ইয়া লাত্বিফু।
৩২. ইয়া ওয়ালিয্যু।
৩৩. ইয়া হামীদু।
৩৪. ইয়া মুহ্ছিউ।
৩৫. ইয়া মুবদিউ।
৩৬. ইয়া মুহ্য়ীউ।
৩৭. ইয়া মুমীতু।
৩৮. ইয়া হাইয়্যূ।
৩৯. ইয়া কাইয়্যূমু।
৪০. ইয়া ওয়াজিদু।
৪১. ইয়া মাজিদু।
৪২. ইয়া ওয়াহিদু।
৪৩. ইয়া ছামাদু।
৪৪. ইয়া ক্বাদির।
৪৫. ইয়া মুক্বতাদির।
৪৬. ইয়া মুক্বাদ্দিমু।
৪৭. ইয়া মুআখখীর।
৪৮. ইয়া আউয়ালু।
৪৯. ইয়া আখির।
৫০. ইয়া যাহির।
৫১. ইয়া বাত্বিনু।
৫২. ইয়া ওয়ালিয়ু।
৫৩. ইয়া মুতাআলী।
৫৪. ইয়া বার্ র।
৫৫. ইয়া খারির।
৫৬. ইয়া হালীমু।
৫৭. ইয়া আযীমু।
৫৮. ইয়া গাফূর।
৫৯. ইয়া শাকূরূ।
৬০. ইয়া আলিয়্যূ।
৬১. ইয়া কাবীরূ।
৬২. ইয়া হাফীযু।
৬৩. ইয়া মুকীতু।
৬৪. ইয়া হাসীবু।
৬৫. ইয়া জালীল্।
৬৬. ইয়া কারীমু।
৬৭. ইয়া রাকীবু।
৬৮. ইয়া মুজিবু।
৬৯. ইয়া ওয়াসিউ।
৭০. ইয়া হাকীমু।
৭১. ইয়া ওয়াদূদূ।
৭২. ইয়া মাজিদু।
৭৩. ইয়া বাইছু।
৭৪. ইয়া শাহীদু।
৭৫. ইয়া হাক্কু।
৭৬. ইয়া ওয়াকীলু।
৭৭. ইয়া কাভিয়্যু।
৭৮. ইয়া মাতীনু।
৭৯. ইয়া মানিউ।
৮০. ইয়া দ্বার্ রূ।
৮১. ইয়া নাফিউ।
৮২. ইয়া নূরূ।
৮৩. ইয়া হাদি।
৮৪. ইয়া বাদীউ।
৮৫. ইয়া বাক্বি।
৮৬. ইয়া ওয়ারিছু।
৮৭. ইয়া রাশীদু।
৮৮. ইয়া ছাবূরূ।
৮৯. ইয়া তাওয়াবু।
৯০. ইয়া মুনতাকিমু।
৯১. ইয়া আফুভ্যু।
৯২. ইয়া রা উফু।
৯৩. ইয়া মালিকাক মুল্কি।
৯৪. ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম।
৯৫. ইয়া মুকসিতু।
৯৬. ইয়া জামিউ।
৯৭. ইয়া গানীয়্যু।
৯৮. ইয়া মুগনিয়্যূ।
৯৯. ইয়া মুবীনু।
মহান আল্লাহ তায়ালার ৯৯ টি নাম মুখস্ত আছে যার ইনশাআল্লাহ জান্নাত তার।
আমিন।
এই পোষ্ট দেওয়ার উদ্দ্যেশ হলো- এডমিনের নেক নজরে আসার। দীর্ঘদিন ধরে আমাকে ''জেনারেল'' করে রাখা হয়েছে। এই পোষ্ট দেখে যদি এডমিন নরম হয়। আমাকে ''জেনারেল'' থেকে মুক্ত করে। আমি হলাম অস্থির চিত্রের মানুষ। বন্ধী থাকতে ভালো লাগে না। ''জেনারেল' করে করে আমাকে এডমিন একদিন সর্ব্বোচ রেকর্ড এঁর অধিকারী করবেন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: অধর্ম লোকেরও মাঝে মাঝে ধর্ম কর্ম করতে মন চায়।
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:
রাজীব নূরের ধর্মহীনতার নসিহতের কারণ কি?
সূরাঃ ২ বাকারা, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। ঐ কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা হেদায়েত মোত্তাকীদের জন্য।
ধর্মহীন লোকেরা কোরআন নামক কিতাবখানার কোন পরোয়া করছে না। আল্লাহ তাদেরকে যথেষ্ট ভয় দেখালেও তারা ভয় পাচ্ছে না। ‘ধর্মহীনরা বেশ ভালো আছে, সুতরাং ধর্মের আর কোন দরকার নাই’ এটা ধর্মহীন বিদগ্ধজনের নসিহত। তারা বলে, ধার্মিকলোকেরা মারা-মারি, কাটা-কাটি, ফেতনা-ফাসাদ করে পৃথিবী অশান্তিময় করে ফেলেছে -ধর্মহীন বিদগ্ধজনের এমন অভিযোগও অসত্য নয়। সুতরাং যতদ্রুত পৃথিবী থেকে ধর্মের উচ্ছেদ সাধন করা যায় পৃথিবীর জন্য ততই মঙ্গল -ধর্মহীন বিদগ্ধজনের এমন নসিহতও হয়ত অনেকে পরিস্থিতি অনুযায়ী সঠিক বলবেন। কিন্তু ইসলাম বলে, পৃথিবী অন্য সব ধর্মমুক্ত হয়ে সবাই মুসলিম হলে পৃথিবীতে শান্তির সয়লাব বয়ে যাবে এবং পৃথিবী ইসলাম মুক্ত হলে কেয়ামত বা মহাপ্রলয় হবে। আগে মানুষ সবাই মুসলিম হয়ে শান্তির সয়লাব দেখতে পাবে, পরে তারা ইসলাম মুক্ত হয়ে কেয়ামত দেখতে পাবে। সুতরাং যারা ধর্মহীন পৃথিবীর কথা বলে তারা পৃথিবীকে কেয়ামতের দিকে এগিয়ে দিচ্ছে। এটা কোরআনের কথা অনুযায়ী বোধগম্য।
সূরাঃ ২৩ মুমিনূন, ৯৯ নং ও ১০০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৯৯। যখন তাদের কারো মুত্যু উপস্থিত হয় তখন সে বলে, হে আমার প্রতিপালক আমাকে পুনরায় প্রেরণ করুন।
১০০। যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি।যা আমি পূর্বে করিনি।না তা’ হবার নয়। এটা তো তার একটি উক্তি মাত্র।তার সামনে বারযাখ থাকবে উত্থান দিবস পর্যন্ত।
* বারযাখ হলো মৃত্যুরপর পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত সময় কাল। দুনিয়ার ভাল কাজের কারণে লোকেরা এখানে শান্তিতে থাকবে এবং দুনিয়ার মন্দ কাজের জন্য লোকেরা এখানে শাস্তি ভোগ করবে। মৃত্যুর পরেই লোকেরা বুঝবে বেঁচে থাকাকালিন সময়ে তার ইসলামী জীবন যাপন কতটা দরকারী ছিল।
ধর্মহীন কোরআন বিশ্বাস করে না, আমরা ধর্মহীনের কথা কেন বিশ্বাস করব? ধর্মহীন কি মরে আবার ফিরে এসেছে যে সে দেখেছে মরার পর কিছুই হয় না? যে মরার পরের শাস্তির ভয় করবে সে তো ধর্মহীন সুখের জীবনকে যথেষ্ট মনে করবে না। সুতরাং মুসলিমদের মাঝে ধর্মহীনতা প্রতিষ্ঠিত করতে হলে কোরআন আল্লাহর কিতাব এ বিশ্বাস মুসলিমের মন থেকে ধুয়ে মুছে ফেলতে হবে। মি: রাজীব নুর আপনার কোরআন সঠিক নয় মনে হওয়ার কারণ কি? আমি এ বিষয়ে আপনার সাথে বিস্তারিত আলাপ করতে চাই। আপনি জনগণকে উদ্ভট নসিহত করলে তারা তা’ মানবে কেন?
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: জনাব আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি পুরো কোরআন আমি পড়েছি। বাংলা অর্থ সহ।
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলামে যদি আপনার বিশ্বাস না থাকে তবে ইসলামকে অযথা আপনার কোন কাজে রাখবেন না। ইসলামে যাদের বিশ্বাস আছে তারা দুনিয়ার সুখের জন্য ইসলাম ছাড়বে না। কারণ তাদের নিকট পরকাল বেশী গুরুত্বপূর্ণ। পরকাল-টরকাল বলে কিছু নেই আপনি এসব মুখস্ত বললে তো হবে না। আল্লাহর কোন কাজ আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। আপনার পছন্দের কাজ করে না বলে আল্লাহ নেই, ঘটনা তো এমন নয়।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম কারো কোনো ক্ষতি করছে না। কিন্তু কতিপয় লোক ইসলাম ব্যবহার করে সমাজের ক্ষতি করছে। আমার এখানেই রাগ।
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মন্দ লোক মন্দ কাজ করবেই। তাদের জন্য ধর্ম-কর্ম না করার নসিহত কোন ধরনের কথা?
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম যেহেতু মন্দ কাজ থেকে তাদের বিরত রাখতে পারছে না। তাই।
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআন পড়ে আপনি কি বুঝলেন? এটা কি আল্লাহর বাণী না মোহাম্মদের (সা) বানানো? আপনি যে ভাবে মানুষকে ধর্ম বিষয়ে নিরুৎসাহিত করছেন, তাতে তো মনে হয় আপনি কোরআনকে আল্লাহর বাণী মনে করেন না। সত্যিকার অর্থে কোরআন বিষয়ে আপনার মনভাব কি?
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: দিনরাত কোরআন পাঠ করলে ইহকালে কিছু পাওয়া যাবে না। পরকালে অনেক কিছু পাওয়া যাবে। আমি পরকাল নিয়ে চিন্তিত না।
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মহীনের ধর্ম-কর্ম আল্লাহর কাম্য নয়। এদেরকে আল্লাহ জাহান্নামের সর্বনিম্নস্তরে স্থান দিবেন বলে বলেদিয়েছেন, তাহলে আপনি ধর্মহীন হয়ে কর্ম-কর্ম কেন করতে যান? যা হবেন ভেজাল মুক্ত হবেন। আমি আসলে আপনাকে বুঝতে পারি না।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আমার কথা পরিস্কার।
না বুঝার কিছু নাই।
৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্ম মন্দ কাজ থেকে ফিরাতে পারে না, অধর্মকি মন্দকাজ থেকে ফিরাতে পারে? সুতরাং অধর্ম থেকে ফিরাতে পারে না বলেই ধর্ম-কর্ম না করার নসিহত ঠিক না। আপনি পরকাল নিয়ে চিন্তিত না হলে সেটা আপনার বিষয়, যারা পরকাল নিয়ে চিন্তিত আপনি তাদেরকে আপনার ধর্মহীনতার পথে কেন ডাকেন? যারা পরকাল নিয়ে চিন্তিত তারা থাকুক তাদের পথে। তাতে আপনার অসুবিধা কোথায়? আপনি তাদের কাজকে কটাক্ষ কেন করেন? আপনার মধ্যে আপনার মত অন্যের উপর জোর করে চাপানোর মনোভাব আছে। এটা অন্যদের নিকট ভীষণ বিরক্তি কর। সেজন্যই হয়ত সামু আপনাকে মাঝে মাঝে জেনারেল করে রাখে। আমার দুইটা আইডি সেফ আছে। পাসওয়ার্ড সংক্রান্ত জটিলতায় আমি সেসব আইডি ব্যবহার করতে পারছি না। সামু হয়ত আমাকে আর কোন আইডি দিতে চাচ্ছে না বলে হয়ত আমাকে সেফ করছে না। অবশ্য আমি ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আপনার যেহেতু ব্লগেই শান্তি, সেহেতু আপনি অন্যদেরকে বিরক্ত করা বন্দ করুন। তাহলে হয়ত আপনি আবার জেনারেল থেকে সেফ হতে পারবেন।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
ভালো ভালো থাকুন।
৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মহীনরা বহুকাল ধার্মিকদেরকে ধর্মহীন করতে পারবে না। অতঃপর যখন সবাই ধর্মহীন হবে তখন কেয়ামত হয়ে পৃথিবীটাই থাকবে না। আপনি মূলত কেয়ামত সংগঠনের চেষ্টায় আছেন। এটা মানব জাতির জন্য ক্ষতিকর।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবী তো একদিন ধ্বংস হবেই। তারপর সব শেষ। তখন ধার্মিকেরা দেখবে, কোথায় হাশর, কোথায় জাহান্নাম দোযক!!! কিছুই তো নেই। তখন তাঁরা আফসোস করবে। হায় কপাল হুর পেলাম না। কত শত লোভ দেখানো হয়েছে আমাদের!!!
৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলাম যতকাল থাকবে ততকাল পৃথিবী থাকবে। ইসলাম পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেই মহাপ্রলয় ঘটে পৃথিবীটাই ধ্বংস হয়ে যাবে।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম থাকা না থাকা সমান। ইসলাম থাকবেও একদিন পৃথিবী ধ্বংস হবে। ইসলাম না থাকলেও পৃথিবী ধ্বংস হবে। সব কিছুর ক্ষয় আছে। চাঁদ সূর্য একদিন ধ্বংস হবে। এগুলো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রকিতির খেলা।
১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার বিশ্বাসের আমি হাজারটা প্রমাণ দিতে পারব, কিন্তু আপনার অবিশ্বাসের আপনি কোন প্রমাণ দিতে পারবেন না। এজন্য অবিশ্বাস হলো ফালতু বিষয়। সমাজে যারা এ পঁচা মাল ডেলিবারি করে সমাজের চোখে তারাও পঁচে যায়।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমি প্রাম দিতে পারবো। সুন্দর প্রমান দিতে পারবো। কিন্তু আমি প্রমান দিলে আপনি কষ্ট পাবেন। আপনাকে কষ্ট দিতে চাই না। যার যার বিশ্বাস তার তার কাছে। আমার বিশ্বাস দিয়ে আমি কেন আপনাকে আহত করবো?
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি কেন কোন অবিশ্বাসীর অবিশ্বাসের কোন প্রমাণ নেই। ওরা মানুষকে অহেতুক অখাদ্য খাওয়ানোর চেষ্টা করে। তবে কিছু সংখ্যক বেকুব ছাড়া কেউ তাদের অখাদ্য খায় না।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ধার্মিকেরা অখাদ্য খেয়েই বাঁক বাকুম বাকবাকুম করে।
১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:
আল কোরআনের ১১৪ সূরা, তাফসিরে ইবনে কাছির ও বিবিধ হাদিসে হানাফী মাযহাবের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ (পর্ব-৩৪)
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। পৃথিবীতে যা কিছু আছে – সব কিছুই তিনি সৃষ্টি করেছেন; এরপর তিনি আকাশের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন, এরপর সপ্ত আকাশ সুবিন্যস্ত করেন এবং তিনি সর্ববিষয়ে মহাজ্ঞানী।
# সূরাঃ ২ বাকারা, ২৯ নং আয়াতের তাফসির – তাফসিরে ইবনে কাছির
২৯।আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই তোমাদের মহান প্রতিপালক হচ্ছেন সেই আল্লাহ! যিনি আশমান ও জমিনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন।এরপর তিনি স্বীয় আরশের উপর সমাসীন হন। তিনি দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন- যাতে ওরা একে অন্যকে অনুসরন করে চলে ত্বরিত গতিতে; সূর্য চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজী সবই তাঁর হুকুমের অনুগত। জেনে রেখ সৃষ্টির একমাত্র কর্তা তিনিই, মালিক তিনিই। সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ হলেন বরকতময়-সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ৫৪ নং আয়াত। আল্লাহ বলেন, প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কে তাঁর জানা আছে। যেমন তিনি বলেছেন-‘যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি কি জানেন না?-সূরা মূলক, ১৪ নং আয়াত।
সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।
* সৃষ্টির অবস্থা এমন যে এরা হুকুমের অপেক্ষায় থাকে এবং এরা হুকুমের অনুগত হয়। এর কারণ এরা সসীম হয়। এরা সসীম বিধায় এদের আগে এদের সীমা দাতা থাকতে হয়। সীমা দাতা সীমা দেওয়ার পরেও এরা হয় না। হওয়ার জন্য এরা তখন সীমা দাতার হুকুমের অপেক্ষা করে। সীমা দাতা ‘হও’ বললে সকল সৃষ্টি তারপর সৃষ্টি হয়।
আর অসীমের সীমা নেই বিধায় তাঁর সীমা দাতার প্রয়োজন ছিল না। আর যার সীমাদাতারই প্রয়োজন নেই তিনি আর সীমাদাতার হুকুমের অপেক্ষা করবেন কেন? সুতরাং অসীম দেখেছেন তিনি আছেন। তিনি ছাড়া আর কিছু নেই। তো যেহেতু তিনি ছাড়া আর কিছু নেই সেহেতু তাঁর সৃষ্টিকর্তা নেই। এখন বাস্তবতা এই দাঁড়ালো যে অসীমের সৃষ্টিকর্তা নেই, কিন্তু সসীমের সৃষ্টিকর্তা আছে। দুই ক্ষেত্রে দুই রকম হিসাব কেন? কারণ জিনিসও তো একরকম নয়। একজন অসীম এবং আর সবকিছু সসীম।
অসীম সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আছেন বিধায় সসীমকেও সৃষ্টিকরা ছাড়াই থাকতে হবে এটা কোন কথা নয়। কারণ কোন সসীমকেই আমরা নিজে নিজে হতে দেখি না। সসীমের ক্ষেত্রে এটাই বাস্তবতা যে, তাকে সৃষ্টি বা তৈরী করতে হয়। এর সীমার প্রয়োজনীয়তাই এর সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজনীয়তার কারণ। আর অসীমের সীমার অ্রপ্রয়োজনীয়তাই তাঁর সৃষ্টিকর্তার অপ্রয়োজনীয়তার কারণ।এটাই বাস্তব এটাই প্রকৃতি, অসীমের সৃষ্টিকর্তা নেই এবং সসীমের সৃষ্টিকর্তা আছে। কেউ যদি বলে সসীমের সৃষ্টিকর্তা থাকতে হবে না তবে তাকে বলতে হয় তবে তার সীমা কি তোর বাপ দিবে? সে যদি বলে অসীমের সীমা তবে কে দিবে? তখন তাকে বলতে হয় অসীমের কি সীমা আছে যে কেউ সেটা দিতে হবে? সুতরাং সৃষ্টি ও সৃষ্টিকর্তার ভিন্ন অবস্থা সুস্পষ্ট। সৃষ্টির সাথে সৃষ্টিকর্তার কোন মিল নেই। সেজন্য সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ বলেছেন, লাইছা কামিছলিহি সাইউন- তাঁর কোন দৃষ্টান্ত নেই। তিনি দৃষ্টান্ত বিহীন। কিন্তু সকল সৃষ্টির দৃষ্টান্ত হলো তারা সবাই সসীম। সে ছোট হোক আর বড় হোক তার সীমা পরিসীমা আছে।কম হোক আর বেশী হোক তার পরিমাপ আছে। সুতরাং সৃষ্টিকে সৃষ্টিকর্তার হিসাবের সাথে মিল করতে যাওয়া মহাবেকুবী।
সহিহ মুসলিম, ২৪৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৪৯।হযরত আবু হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কাছে লোকেরা প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত এও বলবে যে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে সৃষ্টি করেছে কে?
সহিহ মুসলিম, ২৫০ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৫০। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, তোমার উম্মত হঠাৎ এ ধরনের কথা বলবে। যেমন তারা বলবে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে?
* আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে এমন প্রশ্ন তুলে মানুষ বলতে চায় যেহেতু আল্লাহকে কেউ সৃষ্টি করেনি সুতরাং মানুষকেও কেউ সৃষ্টি করেনি, মানুষ এমনি এমনি হয়েছে। কিন্তু এমনি এমনি কি হবে? আরে এমনি এমনি তো সেটা হবে যার সীমা নেই। যারা সীমা আছে সে এমনি এমনি কেমনে হবে? সীমা তো আর এমনি এমনি এমনি হয় না। যেমন দশ ইঞ্চি ইট। আমরা স্পষ্ট দেখি আগে এর একটা ছাঁছ তৈরী করা হয়। তারপর সে ছাঁছে কাদামাটি ভরে ইট তৈরী করা হয়। কেউ যদি বলে এমন ছাঁছ ছাড়াই সাইজ মত ইট তৈরী করা যাবে, তাহলে সেটা কেউ বিশ্বাস করবে কি? তাহলে ছাঁছ ছাড়া কোন সসীম সৃষ্টি হতে পারে সে এটা কেমন করে দাবী করে? আল্লাহ তো আগে সকল সসীমের ছাঁছ তৈরী করেন, তারপর ছাঁছে ফেলে সব সৃষ্টি করেন। সুতরাং যারা সসীম তাদের সৃষ্টিকর্তা হিসাবে একজন আল্লাহকে লাগবেই। কিন্তু অসীম হওয়ার কারণে একজন আল্লাহর কোন সৃষ্টিকর্তা লাগবে না। সেজন্যই তিনি দেখেছেন তিনি আছেন, তিনি ছাড়া আর কিছু নেই। যেহেতু তিনি দেখেছেন তিনি ছাড়া আর কিছু নেই সেহেতু তাঁর সৃষ্টিকর্তা ছিল না। সংগত কারণে তিনি তাঁর সৃষ্টিকর্তা না থাকার বিষয়টি অস্বীকার করতেই পারেন। কিন্তু কোন সৃষ্টি কি দেখেছে সে ছাড়া আর কিছুই নেই। তাহলে সে তার সৃষ্টিকর্তা না থাকার বিষয়টি কিভাবে অস্বীকার করে? তার সৃষ্টিকর্তার বিষয় অস্বীকার করার পিছনে লজিক কি? আর আল্লাহ কি করতে পারেন তা’ তো আমরা দেখছি। সুতরাং সকল প্রশংসা জগৎ সমূহের রব আল্লাহর।
সূরাঃ ৬ আনআম, আয়াত নং ১৫৩ এর অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৯২ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৯২। আউফ ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ইয়াহুদী জাতি একাত্তরটি দলে বিভক্ত হয়েছিল। তারমধ্যে সত্তরটিদল জাহান্নামী এবং একটি দল জান্নাতি। আর খ্রিস্টান জাতি বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল তাদের মধ্যে একাত্তর দল জাহান্নামী এবং একটিমাত্র দল জান্নাতী। সেই সত্তার শপথ,যাঁর হাতে মুহাম্মদের (সা.) প্রাণ, অবশ্যই আমার উম্মত তিহাত্তরটি দলে বিভক্ত হবে। তারমধ্যে একটি দল জান্নাতী এবং বাহাত্তরটি হবে জাহান্নামী।আরয করা হলো, আল্লাহর রাসূল (সা.) কোন দলটি জান্নাতী? তিনি বললেন, একতাবদ্ধ যারা সুন্নতের উপর অটল থাকবে।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* সেই আল্লাহ তাঁর নবির (সা.) উম্মতকে তিহাত্তরটা পথ দেখাননি। তিনি তাদেরকে দেখিয়েছেন একটি পথ। সেটি তাদের ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের পথ।
# ইমাম
সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।
সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৭৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতি পালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য ইমাম কর।
সহিহ আবুদাউদ, ৬০১ নং হাদিসের (নামায অধ্যায়) অনুবাদ-
৬০১। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘোড়ায় চড়েন। তিনি তার পিঠ থেকে পড়ে যাওয়ায় তাঁর শরীরের ডান দিকে আঘাত পান। এমতাবস্থায় তিনি বসে নামাজে ইমামতি করেন এবং আমরাও তাঁর পেছনে বসে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে মহানবি (সা.) বলেন, ইমামকে এ জন্যই নিযুক্ত করা হয়, যেন তার অনুসরন করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে তখন তোমরাও দাঁড়াবে। এরপর ইমাম যখন রুকু করবে তখন তোমারও রুকু করবে এবং ইমাম যখন মাথা উঠাবে তখন তোমরাও মাথা উঠাবে। এরপর ইমাম যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে তখন তোমরা বলবে ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’। ইমাম যখন বসে নামাজ পড়বে তখন তোরাও বসে নামাজ পড়বে।
সহিহ তিরমিযী, ১৯৮ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইমাম হচ্ছে যামিন এবং মোয়াজ্জিন হলো আমানতদার। হে আল্লাহ! ইমামকে সৎপথ দেখাও এবং মুয়াযযিনকে ক্ষমা কর।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* অনুসরনের জন্য মুত্তাকীদের দীনের যামিনদার ইমাম নিযুক্ত করা হয়। তাঁদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই উম্মত এবং হেদায়াত প্রাপ্ত। তাঁরা হানাফী বিধায় হানাফী ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুসারী হওয়া সকল মুসলিম ও মুছল্লীর জন্য ফরজ।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
* ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের পথ চিরকালিন মুমিনগণের পথ। সে পথছেড়ে যে অন্যপথে গেছে সে তার সেই পথে জাহান্নামে গেছে। আমরা তার অনুসারী হব না। এটাই আমাদের জন্য বুদ্ধির কাজ। হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমানের (রা.) পথ ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের পথ। সুতরাং সেই পথে না থাকায় শিয়ারা জাহান্নামী। হযরত আলীর (রা.) পথ ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের পথ। সুতরাং সেই পথে না থাকায় খারেজীরা (ইবাদী) জাহান্নামী।হানাফীদের পথ ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের পথ। সুতরাং অহানাফী বাহাত্তর ফের্কা জাহান্নামী। জান্নাতে যেতে চাইলে হানাফী ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে থাকতেই হবে এবং তাঁরা যা করে সেটাই করতে হবে। তাঁদের বাদ দিয়ে কোন স্কলার-টলার মেনে জান্নাতে যাওয়া যাবে না। ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদকারী ওগুলা স্কলার না ওগুলো শয়তান। ওদের পথে চললে সুনিশ্চিত জাহান্নাম।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
# সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
১০৫। মুসনাদে আহমাদে রয়েছে যে, মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.) হজ্জের উদ্দেশ্যে মক্কায় আসেন। যোহরের নামাজের পর তিনি দাঁড়িয়ে বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, আহলে কিতাব তাদের ধর্মের ব্যাপারে মতানৈক্য সৃষ্টি করে ৭২ দল হয়ে গেছে। আর আমার এ উম্মতের ৭৩ দল হয়ে যাবে।অর্থাৎ সবাই প্রবৃত্তির অধীন হয়ে পড়বে।কিন্তু আরো একটি দল রয়েছে এবং আমার উম্মতের মাঝে এমন লোকও হবে যাদের শিরায় শিরায় কূপ্রবৃত্তি এমনভাবে প্রবেশ করবে যেমন কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তির শিরায় শিরায় বিষক্রিয়া পৌঁছে যায়। হে আরববাসী! তোমরাই যদি তোমাদের নবি (সা.) কর্তৃক আনিত জিনিসের উপর প্রতিষ্ঠিত না থাক, তবে অন্যান্য লোক তো আরও অনেক দূরে সরে পড়বে।
সূরাঃ ৬ আনআম, আয়াত নং ১৫৯ এর অনুবাদ-
১৫৯। যারা দীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়। তাদের ব্যবস্থ্যা করার দায়িত্ব আল্লাহর।আল্লাহ তাদেরকে তাদের কাজ সম্পর্কে জানিয়ে দিবেন।
সূরাঃ ১০ ইউনুস, ১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। মানুষ ছিল একই উম্মত। পরে উহারা মতভেদ সৃষ্টি করে।তোমার প্রতিপালকের পূর্ব-ঘোষণা না থাকলে তারা যে বিষয়ে মতভেদ ঘটায় তার মিমাংসাতো হয়েই যেত।
সূরাঃ ২৩ মুমিনূন, ৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৩। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দীনকে বহুভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।
সূরাঃ ৩০ রূম, ৩২ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩২। যারা নিজেদের দীনে মতভেদ সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে। প্রত্যেক দল নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উৎফুল্ল।
সূরাঃ ৪৩ যুখরুফ, ৬৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। অতঃপর তাদের বিভিন্ন দল মতানৈক্য সৃষ্টি করলো, সুতরাং যালিমদের জন্য দূর্ভোগ ভয়ংকর শাস্তির দিনে।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
# সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
বেশ কয়েকটি হাদিসে এমন বর্ণিত রয়েছে- একতার সময় মানুষ ভুল ও অন্যায় থেকে রক্ষা পায়। আবার অনেক হাদিসে মতানৈক্য থেকে ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, কিন্তু এতদ সত্ত্বেও উম্মতের মধ্যে মতপার্থক্য ও অনৈক্যের সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে তেয়াত্তরটি দল হয়েগেছে, যাদের মধ্যে একটি দল মাত্র জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামের আগুনের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। এরা ঐসব লোক যারা এমন বস্তুর উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে যার উপর স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।
মুসনাদে আহমদ, ২০৩৩৫ নং হাদিসের অনুবাদ-
২০৩৩৫। হযরত আবু যার গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদিন নবির (সা.) নিকট উপস্থিত ছিলাম এবং আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, এমন কিছু রয়েছে যেটির ব্যাপারে আমি আমার উম্মতের জন্য দাজ্জালের অপেক্ষাও অধিক ভয় করি। তখন আমি ভীত হয়ে পড়লাম, তাই আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! এটি কোন জিনিস, যার ব্যাপারে আপনি আপনার উম্মতের জন্য দাজ্জালের চাইতেও বেশী ভয় করেন? তিনি (সা.) বললেন, পথভ্রষ্ট আলেমগণ।
* ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদকারী স্কলার উপরের সব আয়াত অমান্যকারী। ওরা মহা ইবলিশ। ওরা দাজ্জালের চেয়ে ভয়ংকর পথভ্রষ্ট আলেম। ওদের থেকে সাবধান। ওরা শয়তানের ফাঁদ। ওদের ফাঁদে ভুল করে পা দিলেই জাহান্নামের গর্তে পড়ে যেতে হবে। সুতরাং ওদের থেকে সাবধান।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমি জানি-
সৌদি আরবের মানুষ যেটা করে, সেটা ইসলাম নয়। বেশিরভাগ মুসলমান যেটা করে, সেটা ইসলাম নয়। তাহলে, ইসলাম কোনটা? ইসলাম হলো যেটা কোরআনে ও হাদিসে আছে।
১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ১২ নং কমেন্টের খানিকটা পড়ুন। ফেসবুকে আগে নাস্তিকদের দৌরাত্ব ছিল এখন নেই। পাকনামো না করে আপনার অবিশ্বাসের প্রমাণ দিন। এক আলোচনায় দুই নাস্তিকের সাথে আমার সাড়ে তিনশ কমেন্ট হয়েছিল। তারপর তারা স্বীকার করেছে তারা ভুল পথে আছে। আপনার সাথেও আমি শেষতক আলোচনা করতে চাই। কোরআনে যা বলা হয়েছে তার সবই ঘটবে। সুতরাং আপনি মিথ্যাবাদী। পারলে আপনি মিথ্যাবাদী নন এটা প্রমাণ করে দেখান। যে কথা সত্য প্রমাণ করতে পারেন না, এমন কথা কেন বলেন?
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: খানিকটা না পুরোটাই পড়লাম।
১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার কথা সত্য হলে হুরের জন্য আফসুস করতে হবে কেন? মাথা ঠিক আছে তো আপনার?
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যদি রাস্তায় পড়ে থাকা কোনো এক ভিক্ষুককে ৫ টাকা দিয়ে সাহায্য করেন তবে সেটা হবে ধার্মিকতা। আর যদি জয় শ্রীরাম বলে মসজিদে হামলা করেন বা আল্লাহু আকবর বলে মন্দির ভেঙ্গে ফেলেন তবে সেটা হবে ধর্মান্ধতা। আর এই ধর্মান্ধতার সুযোগ নিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠী আমাদের জীবনের উপর প্রভাব বিস্তার করা শুরু করে। যেমনটা মধ্যযুগের ইউরোপে চার্চের পোপরা করত।
১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মকে অতিরিক্ত মানতে গিয়ে যখন আমরা মাদ্রাসাকে আখেরাতের শিক্ষা আর স্কুল-কলেজ-ভোকেশনালকে দুনিয়াবি শিক্ষা বানিয়ে ফেলি তখন ব্যাপারটা হয়ে দাড়াঁয় ধর্মান্ধতা। আর এই ধর্মান্ধতা জন্ম দেয় কুসংস্কারের। ধার্মিকতা আর ধর্মান্ধতা দুটোর মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। আমি জানি।
১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: স্কুল-কলেজ-ভোকেশনাল এবং মাদ্রানার শিক্ষা তো একরকম নয়। তাহলে ডিফারেন্স করতে কি বলতে হবে?
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: মাদ্রাসার শিক্ষা ইহকালে কোনো কাজে লাগে না। পরকাল কে দেখেছে!!!?
স্কুল কলেজের শিক্ষা তকালের জন্য। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য কর্মের জন্য স্কুল কলেজের শিক্ষা প্রয়োজন আছে।
১৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ১২ নং কমেন্ট আপনি পড়ে থাকলে আমি যা বুঝাতে চেয়েছি আপনি সেটা বুঝেননি।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মের বিষয় গুলো আমি বুঝতে চাই না। আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। আর পরকালের লোভে আমি পড়বো না। আমার দরকার নেই হুর, মজাদার খাদ্য এবং নানান রকম আরাম আয়েস।
মৃত্যুর পর সব শূন্য। ইহাই সত্য।
১৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মান্ধত জন্য ধর্মের বিরোধীতা করা যায় না। আপনি সরাসরি ধর্মের বিরোধীতা করেন, এটাই সমস্যা।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম অপ্রয়োজনীয়। ইহা এই আধুনিক যুগে প্রমানিত। সব ধর্মের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে বিজ্ঞান।
১৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:
ধর্মহীনের দুনিয়ার জান্নাতে মুমিনের কোন আগ্রহ নেই
সূরাঃ ১৮ কাহফ, ১০৭ নং ও ১০৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের আপ্যায়নের জন্য আছে জান্নাতুল ফেরদাউস।
১০৮। সেথায় তারা স্থাযী হবে এবং সেথা হতে তারা স্থানান্তর কামনা করবে না।
* দুনিয়ার জান্নাত চিরস্থায়ী নয়, অথচ মুমিনের জন্য পরকালে আছে চিরস্থায়ী জান্নাত। সুতরাং মুমিনদের কেউ নেহায়েত বেকুব না হলে চিরস্থায়ী জান্নাত ছেড়ে অস্থায়ী জান্নাত কামনা করবে না। ধর্মহীন বলে মুমিন কেন দুনিয়ায় জাহান্নামের আজাব ভোগ করে? মুমিন বলে অপেক্ষা কর তোমার জন্য আছে চিরস্থায়ী জাহান্নাম।ধর্মহীন বলে, মুমিনের কথা বিশ্বাস করি না। মুমিন বলে একটু অপেক্ষা কর! তোমার অবিশ্বাস চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কিন্তু যখন তুমি মুমিন হবে তখন তোমার মুমিন হওয়া তোমার কোন কাজে লাগবে না। সুতরাং আমরা এখন মুমিন হয়ে তখন জান্নাতে থাকব। তখন তোমার জন্য থাকবে সুধুই আফসুস।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। পৃথিবীতে যা কিছু আছে – সব কিছুই তিনি সৃষ্টি করেছেন; এরপর তিনি আকাশের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন, এরপর সপ্ত আকাশ সুবিন্যস্ত করেন এবং তিনি সর্ববিষয়ে মহাজ্ঞানী।
# সূরাঃ ২ বাকারা, ২৯ নং আয়াতের তাফসির – তাফসিরে ইবনে কাছির
২৯।আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই তোমাদের মহান প্রতিপালক হচ্ছেন সেই আল্লাহ! যিনি আশমান ও জমিনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন।এরপর তিনি স্বীয় আরশের উপর সমাসীন হন। তিনি দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন- যাতে ওরা একে অন্যকে অনুসরন করে চলে ত্বরিত গতিতে; সূর্য চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজী সবই তাঁর হুকুমের অনুগত। জেনে রেখ সৃষ্টির একমাত্র কর্তা তিনিই, মালিক তিনিই। সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ হলেন বরকতময়। -সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ৫৪ নং আয়াত। আল্লাহ বলেন, প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কে তাঁর জানা আছে। যেমন তিনি বলেছেন-‘যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি কি জানেন না?-সূরা মূলক, ১৪ নং আয়াত।
সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।
* সৃষ্টির অবস্থা এমন যে এরা হুকুমের অপেক্ষায় থাকে এবং এরা হুকুমের অনুগত হয়। এর কারণ এরা সসীম হয়। এরা সসীম বিধায় এদের আগে এদের সীমা দাতা থাকতে হয়। সীমা দাতা সীমা দেওয়ার পরেও এরা হয় না। হওয়ার জন্য এরা তখন সীমা দাতার হুকুমের অপেক্ষা করে। সীমা দাতা ‘হও’ বললে সকল সৃষ্টি তারপর সৃষ্টি হয়।
আর অসীমের সীমা নেই বিধায় তাঁর সীমা দাতার প্রয়োজন ছিল না। আর যার সীমাদাতারই প্রয়োজন নেই তিনি আর সীমাদাতার হুকুমের অপেক্ষা করবেন কেন? সুতরাং অসীম দেখেছেন তিনি আছেন। তিনি ছাড়া আর কিছু নেই। তো যেহেতু তিনি ছাড়া আর কিছু নেই সেহেতু তাঁর সৃষ্টিকর্তা নেই। এখন বাস্তবতা এই দাঁড়ালো যে অসীমের সৃষ্টিকর্তা নেই, কিন্তু সসীমের সৃষ্টিকর্তা আছে। দুই ক্ষেত্রে দুই রকম হিসাব কেন? কারণ জিনিসও তো একরকম নয়। একজন অসীম এবং আর সবকিছু সসীম।
অসীম সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আছেন বিধায় সসীমকেও সৃষ্টিকরা ছাড়াই থাকতে হবে এটা কোন কথা নয়। কারণ কোন সসীমকেই আমরা নিজে নিজে হতে দেখি না। সসীমের ক্ষেত্রে এটাই বাস্তবতা যে, তাকে সৃষ্টি বা তৈরী করতে হয়। এর সীমার প্রয়োজনীয়তাই এর সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজনীয়তার কারণ। আর অসীমের সীমার অ্রপ্রয়োজনীয়তাই তাঁর সৃষ্টিকর্তার অপ্রয়োজনীয়তার কারণ।এটাই বাস্তব এটাই প্রকৃতি, অসীমের সৃষ্টিকর্তা নেই এবং সসীমের সৃষ্টিকর্তা আছে। কেউ যদি বলে সসীমের সৃষ্টিকর্তা থাকতে হবে না তবে তাকে বলতে হয় তবে তার সীমা কি তোর বাপ দিবে? সে যদি বলে অসীমের সীমা তবে কে দিবে? তখন তাকে বলতে হয় অসীমের কি সীমা আছে যে কেউ সেটা দিতে হবে? সুতরাং সৃষ্টি ও সৃষ্টিকর্তার ভিন্ন অবস্থা সুস্পষ্ট। সৃষ্টির সাথে সৃষ্টিকর্তার কোন মিল নেই। সেজন্য সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ বলেছেন, লাইছা কামিছলিহি সাইউন- তাঁর কোন দৃষ্টান্ত নেই। তিনি দৃষ্টান্ত বিহীন। কিন্তু সকল সৃষ্টির দৃষ্টান্ত হলো তারা সবাই সসীম। সে ছোট হোক আর বড় হোক তার সীমা পরিসীমা আছে।কম হোক আর বেশী হোক তার পরিমাপ আছে। সুতরাং সৃষ্টিকে সৃষ্টিকর্তার হিসাবের সাথে মিল করতে যাওয়া মহাবেকুবী।
সহিহ মুসলিম, ২৪৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৪৯।হযরত আবু হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কাছে লোকেরা প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত এও বলবে যে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে সৃষ্টি করেছে কে?
সহিহ মুসলিম, ২৫০ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৫০। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, তোমার উম্মত হঠাৎ এ ধরনের কথা বলবে। যেমন তারা বলবে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে?
* আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে এমন প্রশ্ন তুলে মানুষ বলতে চায় যেহেতু আল্লাহকে কেউ সৃষ্টি করেনি সুতরাং মানুষকেও কেউ সৃষ্টি করেনি, মানুষ এমনি এমনি হয়েছে। কিন্তু এমনি এমনি কি হবে? আরে এমনি এমনি তো সেটা হবে যার সীমা নেই। যারা সীমা আছে সে এমনি এমনি কেমনে হবে? সীমা তো আর এমনি এমনি এমনি হয় না। যেমন দশ ইঞ্চি ইট। আমরা স্পষ্ট দেখি আগে এর একটা ছাঁছ তৈরী করা হয়। তারপর সে ছাঁছে কাদামাটি ভরে ইট তৈরী করা হয়। কেউ যদি বলে এমন ছাঁছ ছাড়াই সাইজ মত ইট তৈরী করা যাবে, তাহলে সেটা কেউ বিশ্বাস করবে কি? তাহলে ছাঁছ ছাড়া কোন সসীম সৃষ্টি হতে পারে সে এটা কেমন করে দাবী করে? আল্লাহ তো আগে সকল সসীমের ছাঁছ তৈরী করেন, তারপর ছাঁছে ফেলে সব সৃষ্টি করেন। সুতরাং যারা সসীম তাদের সৃষ্টিকর্তা হিসাবে একজন আল্লাহকে লাগবেই। কিন্তু অসীম হওয়ার কারণে একজন আল্লাহর কোন সৃষ্টিকর্তা লাগবে না। সেজন্যই তিনি দেখেছেন তিনি আছেন, তিনি ছাড়া আর কিছু নেই। যেহেতু তিনি দেখেছেন তিনি ছাড়া আর কিছু নেই সেহেতু তাঁর সৃষ্টিকর্তা ছিল না। সংগত কারণে তিনি তাঁর সৃষ্টিকর্তা না থাকার বিষয়টি অস্বীকার করতেই পারেন। কিন্তু কোন সৃষ্টি কি দেখেছে সে ছাড়া আর কিছুই নেই। তাহলে সে তার সৃষ্টিকর্তা না থাকার বিষয়টি কিভাবে অস্বীকার করে? তার সৃষ্টিকর্তার বিষয় অস্বীকার করার পিছনে লজিক কি? আর আল্লাহ কি করতে পারেন তা’ তো আমরা দেখছি। সুতরাং সকল প্রশংসা জগৎ সমূহের রব আল্লাহর।
সূরাঃ ৯৫ তীন, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা মানুষকে সৃষ্টিকরেছি সুন্দরতম গঠনে।
* মানুষের যে অঙ্গ যে স্থানে স্থাপিত সে অঙ্গ সে স্থান বাদ দিয়ে অন্য স্থানে স্থাপন করলে তার গঠন আরো সুন্দর হয় কি? যদি না হয় তাহলে মানুষের গঠন সুন্দরতম কথাটা ঠিক আছে। তো এমন সুন্দর তম গঠনে মানুষ এমনি এমনি হয়ে গেল বিষয়টা যুক্তিতে মিলে কি? তাহলে আল্লাহ এমনি এমনি কি করে হলেন? আল্লাহ কোন গঠন নিয়ে হননি, কারণ তিনি নিরাকার। তাহলে তিনি দেখা দিবেন কিভাবে? নিজের জন্য নিজে আকার বানিয়ে সেই আকারে দেখা দিবেন।তাহলে আল্লাহর হিসাব মানুষের সাথে মিলল কি? সেজন্য আল্লাহ বলেছেন, লাইছা কামিছলিহী সাইউন- তাঁর কোন নমুনা নেই। সুতরাং মানুষের সাথে মিলিয়ে আল্লাহরও একজন সৃষ্টিকর্তা থাকা লাগবে এমন বলার সুযো্গ নেই। সুতরাং বুঝাগেল মানুষ এমনি এমনি হয়নি। আল্লাহই তাকে সৃষ্টি করেছেন। কারণ আল্লাহর মানুষকে সৃষ্টিকতার দাবী তোলার পর দেড় হাজার বছরেও অন্য কেউ এসে বলেনি আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেননি সে আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে। মানুষ এমনি হয়নি, তাঁর সৃষ্টিকরার দাবীদার একজন। সুতরাং সেই তিনিই মানুষের সৃষ্টিকর্তা।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮।কিভাবে তোমরা আল্লাহকে অবিশ্বাস করছো? অথচ তোমরা ছিলে মৃত, পরে তিনিই তোমাদেরকে জীবিত করেছেন, পুনরায় তিনি তোমাদেরকে মৃত্যু দিবেন, পরে আবার জীবন্ত করবেন, অবশেষে তোমাদেরকে তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে।
# সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮ নং আয়াতের তাফসির – তাফসিরে ইবনে কাছির
২৮।ইবনে জুরায়েজ (র.) ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, তোমরা তোমাদের পিতার পৃষ্ঠে নির্জীব ছিলে। অর্থাৎ কিছুই ছিলে না। আল্লাহ তোমাদেরকে (মাতৃগর্ভে) জীবন দান করলেন।আবার তিনি তোমাদেরকে মৃত্যু দিবেন।অর্থাৎ মৃত্যু একদিন অবশ্যই আসবে। আবার তিনি তোমাদেরকে কবর থেকে উঠাবেন। এভাবেই মৃত্যু দু’বার ও জীবন দু’বার।
* আমরা মৃত ছিলাম, জীবিত হওয়ার পর আমরা দেখলাম এত দিন যারা জীবিত ছিল তাদের অনেকে মরে যাচ্ছে। তারপর আমরা জানলাম মৃতদেরকে আবার জীবিত করা হবে। তারপর সবার কাজের হিসাব দিতে সবাইকেকে আল্লাহর দিকে ফিরতে হবে। এমন বাস্তবতা ও সংবাদে আমরা আল্লাহকে অবিশ্বাস করতে পারি কি? আল্লাহ বলছেন, এমন বাস্তবতা ও সংবাদে তাঁকে অবিশ্বাস করা যায় না।
সহিহ মুসলিম, ২৪৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৪৯।হযরত আবু হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কাছে লোকেরা প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত এও বলবে যে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে সৃষ্টি করেছে কে?
সহিহ মুসলিম, ২৫০ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৫০। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, তোমার উম্মত হঠাৎ এ ধরনের কথা বলবে। যেমন তারা বলবে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে?
* আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? এমন প্রশ্ন মানুষ কেন করে? মানুষকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন মানুষ তাঁকে খুশী রাখবে। আল্লাহর সৃষ্টিকর্তা কেউ থাকলে এবং তাকে খুশী করার কোন বিষয় থাকলে আল্লাহ মানুষকে সেটা জানাবেন। আর আগবাড়িয়ে মানুষ দাদা সৃষ্টিকর্তার বিষয়ে জানতে চায় কেন? মানুষের কি খেয়ে দেয়ে কোন কাজ নেই?
মানুষ কি তবে বলতে চায় আল্লাহ এমনি এমনি হতে পারলে তাকে বানাতে কেন আল্লাহকে লাগবে? তবে ঐ গাধাটার রুটি বানাতে গাধাটাকে কেন লাগে? গাধাটা কি নিজেকে এ প্রশ্ন কখনও করেছে? চোখেই তো দেখা যাচ্ছে এমনি এমনি সব কিছু হয় না। মানুষ বরং এটা জানার চেষ্টা করতে পারে যে, বানানো ছাড়া কি হয়েছে এবং বানানো ছাড়া কি হয়নি।
কোন সসীম জিনিস তো আর বানানো ছাড়া হয়নি। কারণ সসীম বলেই ওরআগে ওর সীমা দাতা থাকতে হয়। কিন্তু অসীমের তো সীমাই নেই সুতরাং তার আগে তার সীমা দাতা থাকার দরকার ছিল না। সুতরাং অসীমের আগে কিছুই ছিল না। সুতরাং সবার প্রথম ছিলেন অসীম (আল্লাহ)। তিনি তখন দেখেছেন তিনি আছেন এবং আর কিছু নেই। তারপর তিনি দেখেছেন আর কিছু হচ্ছে না।
সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।
* অসীম আল্লাহ নিজেকে এমন দেখলেন,যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়। তাঁর ক্ষেত্রে এটাই বাস্তবতা। আমার বাস্তবতা হলো আমি হও বললে কিছুই হয় না। সবার যোগ্যতা সমান নয়। মুচি জুতা সেলাই করতে পারে এবং ডাক্তার পেট সেলাই করতে পারে। মুচি পেট সেলাই করতে পারে না এবং ডাক্তার জুতা সেলাই করতে পারে না। কেউ যদি বলে মুচি কেন পেট সেলাই করতে পারে না? তাহলে এটা হবে অর্থহীন প্রশ্ন। আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? আল্লাহ দেখেননি তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে, তিনি দেখেছেন তিনি ছাড়া কেউ নেই। তখন আল্লাহ ছাড়া কেউ ছিল না। তখন কেউ কি করে বলবে, তখন আল্লাহ ছাড়া কেউ ছিল কি ছিল না? সুতরাং আল্লাহ বলেছেন তিনি প্রথম এটা বিশ্বাস করা ছাড়া কারো নিকট কোন বিকল্প নেই। কেউ যদি আল্লাহর কথা বিশ্বাস করতে না পারে, তাহলে সে বলুক সে কিভাবে আল্লাহকে অবিশ্বাস করবে? সে তখন সে কিভাবে আল্লাহকে অবিশ্বাস করেছে এটা বলতে না পারার সাথে সাথে তাকে জাহান্নামে ফেলে দেওয়া হবে। সুতরাং যারা আল্লাহকে অবিশ্বাস করছে তাদেরকে বলতে পারতে হবে তারা কিভাবে আল্লাহকে অবিশ্বাস করছে? যদি তা’ না বলতে পারে তবে সবার দায়িত্ব হলো আল্লাহ যা বলছেন, তা’ নির্বিবাদে বিশ্বাস করা।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।
* আল্লাহ দেখেছেন তিনি ছাড়া আর কিছুই নেই এবং আল্লাহ দেখবেন তিনি ছাড়া আর কিছুই নেই। সেজন্য তিনি প্রথম ও শেষ এবং সেজন্য তিনি চির বিদ্যমাণ। যারা দেখে তাদের সবাই জীব।শুরু থেকে শেষ অবদি দেখার কারণে আল্লাহ চিরঞ্জীব। উক্ত ঘটনার একমাত্র সাক্ষী আল্লাহ। কারণ আল্লাহ ছাড়া কেউ না থাকলে অন্য সাক্ষী কোথায় পাওয়া যাবে? আল্লাহর আগে কিছুই ছিল না এ কথার সাক্ষী আল্লাহ। আল্লাহর আগে কিছু ছিল এ কথার কোন সাক্ষী নেই।সুতরাং সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত যে, আল্লাহর আগে কিছুই ছিল না।
আল্লাহকে কেউ সৃষ্টি করেনি। কারণ যে আল্লাহকে সৃষ্টি করবে তার আল্লাহর আগে থাকা দরকার। আর সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত সত্য হলো, আল্লাহর আগে কিছুই ছিল না।
আল্লাহ কিভাবে হয়েছেন? এ প্রশ্ন সঠিক নয়। কারণ আল্লাহ হয়েছেন ঘটনা এমন নয়, বরং আল্লাহ আছেন ঘটনা এমন। তো যিনি সব সময় আছেন তিনি কিভাবে হয়েছেন, এটা কেমন প্রশ্ন? আমি একদা ছিলাম না বিধায় লোকেরা বলে আমি কিভাবে হয়েছি? আল্লাহ তো সব সময় ছিলেন, তাহলে কিভাবে বলা যায়, তিনি কিভাবে হয়েছেন? আর আল্লাহ কিভাবে হয়েছেন, এ কথা কে বলবে? তার তো আল্লাহর আগে থাকা দরকার। কেউ আল্লাহর আগে না থাকলে কেউ কিভাবে বলবে যে, আল্লাহ কিভাবে হয়েছেন? আর সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত সত্য হলো আল্লাহর আগে কিছুই ছিল না।
সহিহ মুসলিম, ২৪৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৪৯।হযরত আবু হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কাছে লোকেরা প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত এও বলবে যে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে সৃষ্টি করেছে কে?
সহিহ মুসলিম, ২৫০ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৫০। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, তোমার উম্মত হঠাৎ এ ধরনের কথা বলবে। যেমন তারা বলবে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে?
* আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন? এটা অবান্তর প্রশ্ন। কারণ যে থাকে তাকে সৃষ্টি করতে হয় না। সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত সত্য আল্লাহ চির বিদ্যমাণ। তো যে থাকে তাঁকে সৃষ্টি করতে হবে কেন? আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু ছিল না বলেই তাদেরকে সৃষ্টি করতে হয়েছে। একদা আল্লাহ ছাড়া কিছুই কেন থাকবে না?
সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।
* সব বিলিন হয়। আল্লাহ বিলিন হন না। সেজন্য আল্লাহ বাকী থাকে। সব বিলিন হওয়ার কারণ সব সসীম। আর সসীম এক সময় ফুরিয়ে গিয়ে বিলিন হয়। কিন্তু আল্লাহ অসীম বলে আল্লাহ ফুরিয়ে যাবেন না।কারণ অসীমের ফুরিয়ে যাওয়া সম্ভব না। আর আল্লাহ অসীম বলে তিনি নিরাকার। কারণ সকল আকার সসীম। এটা আমরা নিজেরাই চোখে দেখি যে সকল আকার সসীম। তবে কোন কোন নিরাকারও সসীম হয়। তবে কোন অসীমের আকার থাকতে পারে না। যারা বলে আল্লাহর আকার আছে তারা তাঁর অসীমত্ব অস্বীকারকারী কাফের।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।
* আল্লাহ বলেছেন তিনি চির বিদ্যমাণ। আপনি এটা অস্বীকার করলে আপনি বলুন অস্তিত্বের জগতের প্রথম তবে কি অথবা কে? উত্তরে আপনি যা বললেন, আমি যদি বলি উহাকে কে সৃষ্টি করেছে? আপনি যদি বলেন, উহা এমনি এমনি হয়েছে। তাহলে আপনি বলুন, আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা কি? এমন কি কোন বিধান আছে যে এমনি এমনি অন্য কিছু হতে পারলেও আল্লাহ এমনি এমনি হতে পারবেন না?
# এমনি এমনি হওয়া বিধান
এমনি এমনি যে হবে সে বা উহা বড় হবে। কারণ কেউ ছোট হতে চায় না। কারো কৃপা ছাড়া কেউ যদি এমনি এমনিই হবে তবে সে বা উহা কেন ছোট হবে? অসীম < সসীম। সুতরাং এমনি এমনি অসীম হবে। অসীম একাধীক হয় না। কারণ অসীমে সীমা থাকে না। আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না, বরং সসীম হয়ে যায়। সুতরাং অসীমের একাধীক হওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং এমনি এমনি যে বা যা হয়েছে সে বা তা সংখ্যায় এক। অন্য কিছু যখন এমনি এমনি হতে পারলো না, তখন সেগুলো হলো কেমন করে? অবশ্যই উহাদেরকে বা তাদেরকে যে এমনি এমনি হয়েছে সে সৃষ্টি করেছে। তাঁর নাম আল্লাহ হলে, তিনি সব কিছুর সৃষ্টি কর্তা।
কোন কিছু যখন ছিল না, তখন সময় ছিল না। সুতরাং আল্লাহর সাথে সময়ের যাত্রা একত্রে শুরু হয়েছে। আল্লাহ অসীম বিধায় তিনি ফুরিয়ে যাবেন না। সময় আল্লাহর সংশ্লিষ্ট বিধায় সময়ও ফুরিয়ে যাবে না। সুতরাং সময়ও অসীম। অসীম একাধীক হয় না বিধায় সকল অসীম মিলে এক আল্লাহ। সুতরাং অসীম সময় আল্লাহর সত্তাগত। সেজন্য তিনি বলেছেন, ‘কুল আনাদ্দাহরু –বল (আল্লাহ সম্পর্কে) আমিই মহাকাল’।সুতরাং আল্লাহ চির বিদ্যমাণ। কথাটি এমনি এমনি হওয়া সূত্রেও প্রমাণ হয়। সুতরাং কোন সূত্রে আল্লাহকে চির বিদ্যমাণ না মেনে উপায় নেই। হাসরে আল্লাহ যখন বলবেন কিভাবে আমাকে অস্বীকার করলে? তখন কেউ কোনভাবে আল্লাহকে অস্বীকার করতে পারবে না।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।
* আল্লাহ চির বিদ্যমাণ। তারমানে তিনি সময়ের সবটা জুড়ে বিদ্যমাণ। তারমানে তাঁর আগে-পরে কিছুই নেই। সুতরাং তাঁর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই।কারণ যার আগে কিছুই নেই, তাঁর আবার সৃষ্টিকর্তা থাকে কেমন করে? তবে কি তিনি নিজে নিজে হয়েছেন? যে বিদ্যমাণ তাঁকে আবার হতে হবে কেন?সুতরাং আল্লাহ বিদ্যমাণ সত্য।
আল্লাহর দাবী যৌক্তিক। এখন কেউ পারলে যৌক্তিকভাবে আল্লাহর দাবী অস্বীকার করূক। যদি কেউ বলে আল্লাহ চির বিদ্যমাণ নন। তাহলে সে বলুক তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে? সে কারো নাম বললে, আবার প্রশ্ন হবে তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে। যতবার সে কোন নাম বলুক, ততবার প্রশ্ন হবে তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে? এ প্রশ্ন থামাতে হলে শেষতক বলতে হবে, তিনি চিরবিদ্যমাণ। তো যে চির বিদ্যমাণ তাঁর নাম ‘আল্লাহ’। যাঁকে স্বীকার না করা অবদি প্রশ্নবান থেকে আত্মরক্ষা করা যায় না। সুতরাং ‘আল্লাহ চিরবিদ্যমাণ’ এ কথাটি অনিবার্য সত্য।
অভিজিৎ রায় ‘শূণ্য থেকে মহাবিশ্ব’ নামক একখানা বই লিখেছিল। যা সোজামিল না হয়ে গোঁজামিল হয়েছিল। আর গোঁজামিলকে কেউ সত্য বলে স্বীকার করে না। শূণ্য থেকে কোন কিছু হওয়ার প্রত্যক্ষ কোন সাক্ষ্য নেই। কিন্তু ‘আল্লাহ চির বিদ্যমাণ’ এ কথার একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী আছেন আল্লাহ। তো আপনি বিচারক হিসাবে আপনার রায় কি হবে? একটি বিষয়ে কোন সাক্ষী নেই, কিন্তু একটি বিষয়ে একজন সাক্ষী আছেন। যে সাক্ষী বলছেন তাঁর কিতাবে কোন ভুল নেই।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। ঐ কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা হেদায়েত মোত্তাকীদের জন্য।
* মানুষের ভুল থাকার পরেও মানুষের দু’টি সাক্ষ্যে যদি কোন সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। তাহলে যাঁর কোন ভুল নেই তাঁর একটি সাক্ষ্যে কেন কোন সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে না? তা’ ছাড়া প্রতিপক্ষে কোন সাক্ষ্য থাকলে না হয় আল্লাহর সাক্ষ্য বাতিল হতে পারতো। তাতো নেই। সুতরাং আল্লাহর সাক্ষ্যই প্রতিষ্ঠিত সত্য। অর্থাৎ তিনি চির বিদ্যমাণ এবং মহাবিশ্বের সৃষ্টি কর্তা। ‘শূণ্য থেকে মহাবিশ্ব’ কথাটি সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।
‘মুক্তমনা বাংলা ব্লগ’ আমি অনেক অনুসন্ধান করে বুঝেছি তারা আসলে বুদ্ধিমুক্ত মনা। তারা বিবর্তনের কথা বলে। তো শূণ্য থেকে বিবর্তন কি করে হলো? আর বিবর্তন না বলে এটাও তো বলা যায়, আল্লাহ কাছাকাছি আকৃতির বস্তু ও প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। আরেকটি কথায় বলা হয় এমনি এমনি সব হয়েছে। তো এমনি এমনি তবে আল্লাহ হতে অসুবিধা কি? এমনি এমনির মধ্যে তো এ কথা নেই যে অমুক এমনি এমনি হয়েছে তমুক এমনি এমনি হয়নি।
সাধারণ সাত্য হলো এমনি এমনি কেউ কোন দিন কিছু হতে দেখেনি। তাহলে তো ঘটনা এমন আল্লাহ এমনি হয়ে আর সব কিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন। আর কেউ নিজে হতে সে দেখে না। কারো হওয়া অন্য কেউ দেখে। সেজন্য আল্লাহ তাঁর এমনি এমনি হওয়া দেখেননি।আর অন্য কেউ না থাকায় আল্লাহর এমনি এমনি হওয়া অন্য কেউ দেখেনি।সরল সত্য হলো, আল্লাহ দেখেছেন তিনি আছেন।তিনি দেখেছেন তিনি ছাড়া আর কিছু নেই। তিনি আরো দেখেছেন এমনি এমনি কিছু হচ্ছে না।বহুকাল একা থেকে তিনি বুঝলেন তাঁর বিনাশ নেই।সেজন্যই তিনি বুঝলেন তিনি চির বিদ্যমাণ। তো তাঁর এ বুঝায় কোন ভুল আছে কি? আমরা কি এমনি এমনি কিছু হতে দেখি? তাহলে আল্লাহর বুঝায় কি ভুল আছে বলে আমরা মনে করতে পারি? সুতরাং আল্লাহর দাবী অনস্বীকার্য।
কিছু লোক বলে নিজে নিজে সব কিছু হয়েছে? কিন্তু নিজে নিজে কি হয়েছে সসীম না অসীম? সসীমের আগে তো এর সীমাদাতা থাকতেই হবে। কারণ সীমা না দিয়ে হতে দিলে তো অসীম হবে। আর অসীমের সীমা নেই বিধায় এর আগে এর সীমা দাতা থাকার দরকার নেই। সুতরাং নিজে নিজে অসীম হয়েছেন। তিনি সীমা দিয়ে সকল সসীম সৃষ্টি করেছেন। নিজে নিজে হওয়ার ক্ষেত্রে এটাই হতে পারে পরম সত্য।
সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের বাংলা উচ্চারণ ও অনুবাদ-
১১৭। বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়া ইযা কাযা আমরান ফাইন্নামা ইয়াকুলু লাহু কুন, ফা ইয়াকুন
- আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর বাদী (দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা) এবং যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।
* তিনি লিমিট বা সীমা দেওয়ার পর কোন কিছু এর পরিচয় লাভ করে, তারপর তিনি হও বললে তা হয়ে যায়। এটা তাঁর ক্ষমতা। আমরা হও বললে কিছুই হয় না। আমাদেরকে বরং কোন কিছু বানাতে হয়। এখন রিক্সা চালক কেন উড়ো জাহাজ চালাতে পারে না, রিক্সা চালককে এমন কথা বলে লাভ কি? আল্লাহর অনেক কাজ কেউ করতে পারে না, এটা তাঁর ক্ষমতার বিষয়।
সংক্ষেপে আল্লাহর কাজ হলো সীমাদান ও আদেশ দান। এটুকুর জন্যই সসীম কিছু নিজে নিজে হতে পারেনি। আল্লাহ আনলিমিটেড বিধায় তাঁর ক্ষেত্রে এমন সমস্যা ছিল না। তবে এককালে আল্লাহ দেখেছেন তিনি একা বিদ্যমাণ। এটাই তাঁর নিকট সত্য। আমরাও যদি এটাই বিশ্বাস করি তাহলে আমরা তাঁর প্রিয় পাত্র হিসাবে পুরস্কারযোগ্য হব।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।
* আল্লাহ চির বিদ্যমাণ। মানে আল্লাহ সময়ের শুরু শেষ সর্বত্র বিরাজ মান। আল্লাহ বলেছেন, ‘ইয়াসআলুনা আনিদ্দাহার, কুল আনাদ্দাহার – (হে নবি!) তারা আপনাকে মহাকাল সম্পর্কে জিজ্ঞাস করে, বলুন- আমিই (আল্লাহ) মহাকাল’।তারমানে আল্লাহ মহাকালের সবটা জুড়ে বিদ্যামাণ বিধায় তাঁর আগে ও পরে কিছুই নেই। তারমানে আল্লাহ অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতে একসঙ্গে বিদ্যমাণ। মেরাজের রাতে আল্লাহ মহানবিকে (সা.) ভবিষ্যতে পাঠিয়েছেন বলে তিনি জাহান্নামের শাস্তি দেখতে পেয়েছেন। সুতরাং সৃষ্টির পূর্বেই আল্লাহ জানেন তাঁর কোন সৃষ্টি কখন কি করবে।
রুহের জগতে আল্লাহ সকল সৃষ্টিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আলাসতু বি রাব্বিকুম? কালু বালা- আমি কি তোমাদের প্রভু নই? তারা বলল, হ্যাঁ’। তারমানে রহের জগতেই সকল রুহ আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে অবগত ছিল। সেজন্যই প্রশ্ন করার সাথে সাথেই তারা স্বীকার করেছে যে আল্লাহ তাদের প্রভু। তারপর সেই ঘটনা সবার স্মৃতি থেকে মুছে দেওয়ায় আমাদের আর সেই ঘটনা মনে নেই। তবে সেই ঘটনার আলোকে আল্লাহ বুঝতে পেরেছেন তাঁর কোন সৃষ্টি কি হওয়ার যোগ্য। যেমন কে মানুষ হবে আর কে গরু হবে। কার পরীক্ষা কঠিন হবে আর কার পরীক্ষা সহজ হবে ইত্যাদি। সৃষ্টির আগেই এটা জানায় আল্লাহ কারো ভাগ্যে মানুষ হওয়া আর কারো ভাগ্যে গরু হওয়া লিখে দিলেন। নিশ্চয়ই প্রভুত্বের স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মানুষ ও গরুর অভিব্যাক্তি এক রকম ছিল না।
সূরাঃ ৯৫ তীন, ৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮। আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট বিচারক নন?
* সর্বশ্রেষ্ট বিচারক অকারণে কোন সৃষ্টিকে মানুষ বানাবেন, কোন সৃষ্টিকে গরু বানাবেন, কোন সৃষ্টিকে পাথর বানাবেন এটা হতে পারে না। আল্লাহ বলেছেন, ‘লাইছা লিল ইনসানে ইল্লা মা সায়া – মানুষের জন্য তার উপার্জন ভিন্ন কিছুই নেই’।সুতরাং মানুষের সকল প্রাপ্তি তার উপার্জনের ফল হওয়াই স্বাভাবিক। আল্লাহ বলেছেন, ‘আল্লাজি কাদ্দারা ফাহাদা –যিনি তাকদীন নির্ধারণ করে হেদায়াত প্রদান করেছেন’। তারমানে পরের কাজের ভিত্তিতে তাকদীর আগেই লেখা হয়েছে।সুতরাং এখন সব তাকদীর অনুযায়ী সংঘটিত হচ্ছে। তথাপি এরজন্য প্রত্যেকে নিজেই দায়ী। তাকদীর আগে লেখা হয়েছে বিধায় কেউ এর দায় এড়াতে পারবে না। মহানবি (সা.) বলেছেন, `আদ দোয়াউ ইয়ারুদ্দুল কাদার -দোয়া তাকদীর বদলাতে পারে’। তারমানে প্রভুত্বের স্বীকৃতির অবস্থাভেদে কেউ আয়ু পেল পঞ্চাশ বছর। তারপর লোকের দোয়ার বরকতে তা’ আরো দু’বছর বাড়িয়ে দেওয়া হলো। তেমনি প্রভুত্বের স্বীকৃতির অবস্থা ভেদে কেউ রিযিক বেশী পেল, কিন্তু তার অকাজের ফলে তার রিযিক কমিয়ে দেওয়া হলো। তাকদীর মানে বরাদ্ধ। একঅবস্থার জন্য প্রাপ্ত বরাদ্ধ অন্য অবস্থার জন্য রদ-বদল হতেই পারে। তবে তাকদীর যেমটাই হোক এর জন্য মানুষ দায়ী নয় এমটা বলার সুযোগ নেই। কারণ আল্লাহ ন্যায় বিচারী। তিনি অহেতুক কোন লোককে জান্নাতি বানাবেন, আর অহেতুক তিনি কোন ব্যক্তিকে জাহান্নামী বানাবেন, তাঁর সম্পর্কে এমন ধারণা নিচক ভুল ধারণা। সুতরাং কার তাকদীরে কি লেখা আছে সেই চিন্তা না করে সবার সাধ্যমত নেক কাজ করা উচিৎ।
সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৩০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩০। যারা কুফুরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশেছিল ওতপ্রতভাবে। অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিয়েছি। আর প্রাণবান সব কিছু সৃষ্টি করেছি পানি হতে। তথাপি কি তারা ঈমান আনবে না?
* বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ শব্দটি স্থূল অর্থে প্রাচীনতম একটি বিন্দুর অতি শক্তিশালী বিস্ফোরণকে বোঝায় যার মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল। এই তত্ত্ব অনুযায়ী আজ থেকে প্রায় ১ হাজার ৩৭৫ কোটি বছর পূর্বে এই মহাবিশ্ব একটি অতি ঘন এবং উত্তপ্ত অবস্থা থেকে সৃষ্টি হয়েছিল। তার মানে সব কিছু ঘন অবস্থায় ছিল, বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে সব কিছু আলাদা করা হয়েছে। আল্লাহর দাবী একত্রে মিশে থাকা সব কিছুকে তিনিই আলাদা করেছেন। সুতরাং বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ হয়ে থাকলে সেটাও তাঁর কাজ।
সূরাঃ ৭৬ দাহর, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। কাল প্রবাহে মানুষের উপর তো এমন এক সময় এসেছিল যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না।
* বিবর্তন বা অভিব্যক্তি হলো এমন একটি জীববৈজ্ঞানিক ধারণা যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জীবের গাঠনিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ক্রমপরির্তনকে বুঝায়। আল্লাহও মানুষের অবস্থার পরিবর্তনের কথা বলেছেন। সুতরাং বিবর্তনের কাজটি আল্লাহর। তবে ডারউইন যে দৃষ্টান্ত দিয়েছে সে বিষয়ে আল্লাহ কিছু বলেননি।
বিবর্তন সব কিছুতেই হতে পারে। যেমন ক্ষুদ্র শক্তি থেকে বৃহৎ শক্তি, তার থেকে মহাশক্তি, তার থেকে সর্বশক্তিমান।বাতাসের নিম্নচাপে আমরা শূণ্যস্থানের প্রভাব লক্ষ্য করি। তো মহাশূণ্যের প্রভাবে প্রথমে বস্তু না হয়ে শক্তি হবে। কারণ আমরা জানি আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে একলক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল। যা বস্তু থেকে অনেক বেশী গতি সম্পন্ন।সুতরাং মহাশূণ্যের প্রবল টানে ক্ষুদ্র শক্তি থেকে বৃহৎ শক্তি, তার থেকে মহাশক্তি, তার থেকে সর্বশক্তিমান হয়ে বসে ছিলেন। তাঁর মধ্যে প্রাণ শক্তি থাকায় তিনি দেখেছেন তিনি আছেন এবং আর কিছুই নেই। অনেক কাল তিনি দেখেছেন আর কিছু হয় না। হবে কেমন করে? আর সব কিছু তো সসীম। সমীমের তো সীমা দিতে হয়। সেগুলো তো হওয়ার জন্য সীমার অপেক্ষায় ছিল। সীমা প্রাপ্ত হওয়ার পর সেগুলো আবার সীমা দাতার আদেশের অপেক্ষায় ছিল। কারণ সর্বশক্তিমানকে অমান্য করার শক্তি তাদের ছিল না।
সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা এবং যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।
* আল্লাহ সকল সসীমের সীমা দিয়ে তাদেরকে হও আদেশ দেওয়ার পর তারা হয়েছে। এ ছাড়া সর্বশক্তিমানের ক্ষমতা লংঘন করে কেউ আর হতে পারেনি।
যে উত্তপ্ত ঘণবস্তুতে মহাবিস্ফোরণ হলো উহা ছিল আল্লাহর সৃষ্টি। উহাতে মহাবিস্ফোরণ ঘটিয়ে আল্লাহ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করলেন। এরপর মহাবিশ্বে যত রকম বিবর্তন হয়েছে তা’ মূলত আল্লাহর কাজ।
এখন যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে তারা বলুক মহাশূণ্যের প্রবল টানে শক্তির আগে বস্তু হতে পারে কি? শূণ্যস্থান নিম্ন চাপে বাতাসকে যে হারে টানে তাতে প্রবল ঝড়ে আমাদের গাছের ডাল ভেঙ্গে যেতে আমরা দেখি। যখন সবটাই শূণ্যস্থান ছিল তখন এক শূণ্যস্থান অন্য শূণ্যস্থানকে যে হারে টানাটানি করেছে। তাতে শূণ্যস্থানের সাথে শূণ্যস্থানের ঘর্ষণে কোন বস্তু নয়, বরং শক্তি উৎপন্ন হয়েছে। তারপর এখন বস্তু ও বস্তুর ঘর্ষণে বস্তু নয় বরং শক্তি উৎপন্ন হতে আমরা দেখি। আপনি পাথরে পাথরে ঘষে পানি নয় বরং আগুন পাবেন। আর আগুন কিন্তু শক্তি। সুতরাং আমাদের প
২০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ১৯ কমেন্টে বলা কারণে ধার্মিক থাকবেই এবং এযাবৎ কালের সকল কালে তারাই প্রবল। ধর্মহীনদের লজিক বলতে কিছু নেই। এজন্য এগুলো নোংরা আবর্জনা হিসাবে বিবেচিত। ধর্মের পৃথিবীতে ধর্মহীনের কোন সম্মান নেই। এরা হলো পৃথিবীর চরম ঘৃণিত প্রাণী।
২১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঈমান আল্লাহর দান। তিনি সেটা আপনাকে না দিলে আপনি সেটা পাবেন না। আর যে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি আপনি তাকে কোনদিন ধর্মহীনতার কল্যাণ বুঝাতে পারবেন না। আপনি আপনর কল্যাণের পথে চলবেন সে তার কল্যাণের পথে চলবে। এটাই স্থায়ী বাস্তবতা। এটা বুঝতে পারলে বাস্তববাদী হতে পারবেন।
২২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মহীন মানুষ হয়ে কখনো ইসলাম নিয়ে তামাসা করবেন না। ইসলামের কথা বলার জন্য মুসলিমরাই যথেষ্ট। ইসলামের জন্য মুসলিমদের আপনার কোন প্রয়োজন নেই। আপনার চেয়ে অভিজিৎ রায় হাজার গুণে ভাল। কারণ সে একটা পক্ষ নিয়ে থেকেছে। কখনও এ পক্ষ্যে কখনও ও পক্ষে থাকা হলো বেশ্যবৃত্তি। মানুষ এটা চরমভাবে ঘৃণা করে।
২৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি তর্কে যাবো না। আমি তর্ক করা পছন্দ করি না।
আপনি ভালো থাকুন।
২৪| ০২ রা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তর্ক না করে অযথা ধর্ম বিষয়ে মিথ্যা রাবিশ মন্তব্য করেন এটাই ঝামেলা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্ম আপনার নিকট যেখানে বেদরকারী সেখানে আপনার থেকে এ পোষ্ট সঠিক কাজ নয়।