নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
১। আপনার কি ভালো লাগে?
উত্তরঃ আমার অনেক কিছুই ভালো লাগে। সবচেয়ে ভালো লাগে পরিবারের জন্য বাজার করতে। দুই হাত ভরতি করে যখন পবিরাবের জন্য বাজার করি, নিজেকে একজন নায়ক মনে হয়। এছাড়া আমার বই পড়তে ভালো লাগে। মুভি দেখতে ভালো লাগে। ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে। মানুষ নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে।
২। বই পড়তে ভালো লাগে, না মুভি দেখতে?
উত্তরঃ দুটাই সমান ভালো লাগে। তবে আমি সব বই পড়ি না। সব মুভিও দেখি না। বই এবং মুভির ব্যাপারে অনেক বাছাবাছি করি। কারন সময় খুব মূল্যবান। সময় অপচয় করা আমার পছন্দ না। মানুষের জীবন এমনিতেই ছোট। তাই প্রতিটা মুহুর্ত কাজে লাগানো উচিৎ। বিশ্বে বই এবং মুভির অভাব নাই। তাই সকলের ভালো বই এবং ভালো মুভিভ দেখা উচিৎ।
৩। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের নিয়ে কিছু বলুন?
উত্তরঃ বাংলাদেশে কোনো ভালো রাজনীতিবিদ নেই। দক্ষ, যোগ্য ও পরিশ্রমী রাজনীতিবিদ বাংলাদেশে নাই। সবাই লোভী। সবাই মিথ্যাবাদী। শুধু নিজের আখের গুছাতে ব্যস্ত। দেশ নিয়ে কারো চিন্তা ভাবনা নেই। আওয়ামীলীগ, বিএনপি সবার একই চরিত্র। মাহাথিরের মতো নেতা আমাদের একজনও নেই। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে অসহায় ও দরিদ্র জনগন হলো ভারত ও বাংলাদেশের জনগন। এদের সহ্য ক্ষমতা অনেক।
৪। বাংলাদেশের লেখকদের নিয়ে কিছু বলুন?
উত্তরঃ বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো ভালো লেখক নেই। সব দুষ্টলোকজন তাদের অন্যায়, ভন্ডামি এবং মন্দ কাজ আড়াল করার জন্য লেখালেখি করছে। আদতে তাঁরা অমানুষ। কেউ কেউ তো টাকা দিয়ে নিজের নামে বই লেখাচ্ছে, ছাপাচ্ছে। দেশ, সমাজ, সাহিত্য, ব্লগ এবং ধর্ম সব নষ্টদের দখলে। বাংলাদেশে একজন সুনীল, সঞ্জীব, শীর্ষেন্দুর মতো লেখক খুঁজে পাওয়া যাবে না। বর্তমানে যারা লেখালেখি করছেন এরা মূলত ফেসবুকার।
৫। ধর্ম নিয়ে আপনার চিন্তা ভাবনা কি?
উত্তরঃ ধর্ম নিয়ে আমার কোনো চিন্তা ভাবনা নাই। ধর্ম একটা ফালতু জিনিস। এই সমাজ, দেশ এবং মানুষ কেউ ধর্ম মেনে জীবন যাপন করছে না। ধর্ম এবং ধর্মীয় কিতাব সমূহ মানুষকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখতে পারছে না। ধর্ম মানুষের কোনো কল্যান করার ক্ষমতা রাখে না। কাজেই ধর্ম ডাস্টবিনে নিমজ্জিত হোক। ধর্ম মানূষসকে পেছনে টেনে রাখে।
৬। বাংলাদেশের মানুষ সম্পর্কে আপনার মতামত কি?
উত্তরঃ বাংলাদেশের মানুষ অভদ্র, ইতর এবং বদমাশ। যাকে আপাত দৃষ্টিতে ভালো মনে হবে সেও ভালো না। খোঁজ নিলে দেখা যবে সে আরো বেশী অসভ্য, বদমাশ এবং ইতর। পুরো বাংলাদেশে একজন সৎ মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। অথচ এই দেশে কত মসজিদ, কত মাদ্রাসা। কত মাজার। এই দেশে কেউ সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারবে না। এই জন্যই এই দেশে কেউ থাকতে চায় না। সুযোগ থাকলে সকলে কানাডা, জার্মানী, ইটালী, আমেরিকা ইত্যাদি দেশে চলে যেত।
৭। দূর্নীতিবাজদের নিয়ে কিছু বলুন?
উত্তরঃ বাংলাদেশ হলো দূর্নীতিবাজদের দেশ। সরকার সমস্ত লোক দূর্নীতিবাজ। মন্ত্রী, এমপি, সচিবসহ দেশের সমস্ত সরকারী অফিসের লোকজন দূর্নীতিবাজ। সিটিকরপোরেশনের অফিস গুলোতেও দূর্নীতি হয়। বাংলাদেশে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না। পাসপোর্ট করতে গেলেও পুলিশ ভেরিফিকেশন এঁর নামে টাকা দিতে হয়। যারা নিজেকে সৎ দাবী করে তাঁরা মিথ্যা বলে। তারাও দূর্নীতিবাজ। দূর্নীতিবাজরা এদেশে বিলাসিতাপূর্ন জীবনযাপন করে। আমি নিজের চোখেই তাদের রাজকীয় জীবনযাপন দেখেছি।
৮। বাংলাদেশে ভালো নাট্যকার বা ভালো পরিচালক কে?
উত্তরঃ বাংলাদেশে একজনই ভালো নাট্যকার এবং পরিচালক আছেন। তিনি হুমায়ুন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদের সমতুল্য আর কেউ নেই। এখন যারা নাটক সিনেমা বানাচ্ছে একদম ফালতু। এদের শাস্তি হওয়া দরকার। একই কাহিনী, একই রকম অভিনয়। সব ফালতু। তবে শুনেছি ইদানিং কিছু ইয়াং ছেলেমেয়ে ভালো কাজ করছে। এদের নাম আমি জানি না। হুমায়ূন আহমেদের মতো কোনো লেখক বাংলাদেশে নাই। অথচ তথাকথিত লেখক দিয়ে দেশ ভরে গেছে। নষ্টদের ভিড়ে ভাআলোরা হারিয়ে যাচ্ছেন।
৯। কোন সরকারের আমলে বাংলাদেশে দূর্নীতি সবচেয়ে কম হয়েছে?
উত্তরঃ সবচেয়ে বেশি দূর্নীতি হচ্ছে আওয়ামীলীগের আমলে। তাঁরা এমন এক্সপার্ট ভাবে দূর্নীতি করে বিধায় বিএনপির মতো বছরের পর বছর চ্যাম্পিয়ন খেতাব পেতে হয় না। সবচেয়ে কম দূর্নীতি হয়েছে বাংলাদেশে জিয়ার আমলে।
১০। বাংলাদেশ কি সত্যিই উন্নয়নের মহাসড়কে?
উত্তরঃ না, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে না। এটা যারা বলেন মিথ্যা বলেন। রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক। অসংখ্য মানুষ রাস্তায় ঘুমায়। ঢাকা শহরের বস্তি গুলোতে ৮ লাখ মানুষ সীমাহীন কষ্ট করে বাস করছে। দেশে বেকারের অভাব নাই। বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে না। উন্নয়ন হয়েছে শুধু ওদের। যারা রাজনীতি করে এবং যারা রাজনীতিবিদিদের ছাত্রছায়ায় থাকে। দেশে হুহু করে নব্য ধনীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হাসিনা চুপ।
©somewhere in net ltd.