নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
অবশ্যই পুতিন বুদ্ধিমান।
অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, পুতিন প্রাচীন চীনা যুদ্ধবিশারদ সান ঝুয়ের দ্য আর্ট অব ওয়ার-এর চিত্রনাট্য মেনে চলছেন। সান ঝু বলেছিলেন, ‘যখন তুমি দুর্বল তখন শক্তির ভাব ধরবে, যখন তুমি শক্তিশালী তখন দেখাবে দুর্বলতা। তোমার পরিকল্পনা থাকবে অন্ধকারে ঢাকা, যখন আক্রমণ করবে, তা যেন হঠাৎ বজ্রপাতের মতো দেখায়।’
বোকা লোক আমার পছন্দ না।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী বোকা। যুদ্ধ ও রাজনীতি হল কাটাঁ দিয়ে কাটাঁ তোলার জায়গা। সান ঝুর যুদ্ধবিদ্যার আরেকটি দিক হলো, তুমি যুদ্ধের হুমকিকে বড় করে তুলবে ঠিকই, কিন্তু চেষ্টা করবে বিনা রক্তপাতে জয়ী হওয়ার। যুদ্ধের ময়দান ইউক্রেন হলেও রাশিয়ার সাথে পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপের মিত্ররা যুদ্ধ করছে। রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী সংঘাত ইউক্রেনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর দেশে পরিণত করবে।
বাঘের সাথে লড়াই করে বিড়াল পারবে না।
শান্তি আলোচনা হতে পারে উভয় দেশের জন্যই একটি কূট কৌশল। যুুদ্ধ রাশিয়া-ইউক্রেন মধ্যে হলেও যুদ্ধ অবসানে রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-মিত্ররা মূখ্য কর্মক। পুতিন যেভাবে সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট পুতিন ইউক্রেন দখল করেই ছাড়বে। তবে ইউক্রেনকে রাশিয়ার অংশ করবেনা। যুদ্ধে পুতিন জিততে যাচ্ছে এটা নিশ্চিত। আর পুতিনের জয়ের ফলে বিশ্ব আবারো দুই বলয়ে ভাগ হবে। তবে এবার আর রাশিয়া একা থাকবেনা। একদিকে চীন-রাশিয়া বলয় অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ বলয়।
লড়াই করা উচির সমানে সমান।
দুর্বলের সাথে লড়াই করে আরাম নাই। তবে দুর্বলদের উচিৎ চুপ থাকা। হাতে ক্ষমতা না থাকলে রাগ দেখানো বোকামি। ১৯৯১ সালে মস্কো থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পায় ইউক্রেন। ইউক্রেনের সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের নেতা লিওনিড ক্রাভচুক রাশিয়ার শাসন থেকে ইউক্রেনের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। একটি গণভোট এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে, ইউক্রবাসী এই স্বাধীনতা অনুমোদন করে এবং ক্রাভচুককে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে।
০৮ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন। এরকম হওয়ার সম্ভবনাই বেশি।
পৃথিবী একটাই। আমাদের সবার মিলেমিশে থাকতে হবে।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
অধীতি বলেছেন: হাতে ক্ষমতা না থাকলে রাগ দেখানো বোকামি।
০৮ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: এটাই বড় কথা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:১৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন রাজীব নূর ভাই!
আর এই যুদ্ধ চীনকে রাশিয়ার কাছাকাছি নিয়ে আসবে। সম্পর্কের ক্ষেত্র জোরদার হবে। চীন-রাশিয়ার ঐক্য কাঁপন ধরাবে মার্কিনী আধিপত্যে। মার্কিনী আগ্রাসন থেকে অনেক দেশই মুক্ত হবে। মোড়লগিরী করা ইউরোপ শিশুদের মতো মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে চুষবে। নতুন সম্ভাবনার বিশ্ব দেখবো আমরা এই প্রত্যাশা।