নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে চলছে \'নিরব দুর্ভিক্ষ\'

০৮ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০৩



দেশের মানুষ ভালো নেই।
দেশে চলছে নিরব দূর্ভিক্ষ। পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেছেন- 'রাত পোহালেই বাড়ছে আয়, আমরা অজান্তেই বড়লোক হয়ে যাচ্ছি। মন্ত্রীর এরকম ফালতু কথা বলার মানে কি? মন্ত্রী হলেই কি এরকম ফালতু কথা বলতে হয়? কে তাদের শিখায় এরকম ফালতু কথা বলতে? শেখ হাসিনা এদের কানটা টেনে ধরছেনে না কেন?
দেশে বড়লোক হচ্ছে শুধু রাজনীতিবিদ এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন। সরকারী চাকরীজীবিরাও ভালো আছেন। বড় বড় ব্যবসায়ীরা ভালো আছেন। এছাড়া সমগ্র বাংলাদেশে আর কেউ ভালো নেই। বিশ্বাস করুণ ভালো নেই। বিশ্বাস না হলে একদিন পথে নেমে দেখুন। মাননীয় মন্ত্রী মানুষের আয় এতই বেড়েছে যে- মানুষের দ‌লে দ‌লে টি‌সি‌বি'র ট্রাকের পেছ‌নে ছোটা না দেখ‌লে আপনি বুঝ‌বেনই না! মন্ত্রী মহোদয়- রাত পোহালেই কাদের আয় বাড়ে তা পাবলিক জানে। কাজেই এরকম চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বন্ধ করেন। আপানি জানেন জনগন আপনাদের কুৎসিত গালাই দেয়?

যে কোনো মন্ত্রীর কথাই এখন বিরক্তকর লাগে।
সেদিন তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা তিন গুণ বেড়েছে। জনাব মন্ত্রী আপনাদের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। অন্যদের কমেছে এটাই আসল সত্য। বাংলাদেশ বলেই আপনারা যা তা বলে যেতে পারছেন। আপনাদের কারো প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা নেই। অথচ আপনারা দেশ সচালাচ্ছেন। কি নির্মম পরিহাস! শেখ হাসিনা আপনাদের সহ্য করেন কি করে! আপনি কি জানেন দেশের মানুষ আপনাদের গালি দেয়? কুৎসিত সব গালি দেয়।
বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ। এই দেশের বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র। সব সময়ই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। কিন্তু এবার সব জিনিসের দাম একসাথে বেড়েছে। আমি সকালে যে হোটেলে নাস্তা খাই। কিছুদিন আগেও সে হোটেলে একটা রুটির দাম নিতো দশ টাকা। এখন নিচ্ছে ১৫ টাকা। একটা রুটি তৈরিতে পাঁচ টাকাও খরচ হয় না। বাসার জন্য পাউরুটি কিনতাম ত্রিশ টাকা দিয়ে। এখন নিচ্ছে চল্লিশ টাকা। আজ পাঁচ কেজি তেল কিনেছি ৮১৫ টাকা দিয়ে।

টিসিবির লাইন বলে দেয়-
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা। গাড়ি কখন আসবে ঠিক নাই। তখনও লাইনে দুই শ'' জন মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা আয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে লাইন লম্বা হতে থাকে। লাইন শেষ হয় না কিন্তু টিসিবির গাড়ি খালি হয়ে যায়। আমি দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখি মানুষের হাহাকার। মানুষের কষ্ট। মানুষের কান্না। ভদ্র ঘরের মহিলাদের দেখি, করুণ মুখ করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। দশটা টাকা বাচানোর জন্য একজন দরিদ্র মানুষ কত রকম চেষ্টা যে করেন! দেশের মানুষ যখন কষ্টে, তখন আমাদের দেশের এক মন্ত্রী বউ বাচ্চা নিয়ে কক্সবাজারে সমুদ্রে লাফাচ্ছে। দ্দুপুরের খাবারের চিন্তা তার করতে হয়নি। জেলা প্রশাসক তাকে দেশী মূরগী, দেশী মাছ রান্না করে পাঠিয়েছেন। আপনাদের আরেক মন্ত্রী বন্ধু বান্ধব নিয়ে রাতে দামী মদের বোতল খুলে বসেন। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে দুবাই গিয়ে কোটি টাকা উড়াচ্ছে। আপনাদের মন্ত্রীদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন হঠাতা ধনী হয়ে- যা মন চাচ্ছে করছে।

গরীব আরও গরীব হচ্ছে।
বড়লোক আরও বড়লোক হচ্ছে। তীব্র আকার ধারণ করছে শ্রেণী বৈষম্য। তোমরা যারা মানুষ শুষে খাচ্ছ, তোমরা যারা ভাবছো টাকাই সব, তারা মনে রেখো– যদি আজই মরে যাও তোমার সৎকার প্রাণহীন টাকা করতে পারবে না। সেই তোমাকে মানুষের কাছেই ফিরতে হবে, মানুষের কাঁধে ভর দিয়েই অন্তীম যাত্রায় সামিল হতে হবে। মানুষকে এভাবে কাঁদিও না।
শেখ হাসিনা আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। প্রতিটা জনগনের দিকে আপনার সমান দৃষ্টি থাকতে হবে। দেশে অল্প কিছু লোক ভালো আছে। তাঁর হলেন আপনার মন্ত্রী, আমলা এবং নেতারা। আরা ভালোয়া আছেন আপনার ব্যবসায়ীরা। এবং আপনার নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন। এছাড়া দেশের আর কেউ ভালো নেই। রাস্তায় ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে। অভাবের কারনে চুরী, ছিনতাই, বাটপারি বেড়েছে। ভালো করে তাকিয়ে দেখুন- চারদিকে দরিদ্র মানুষের হাহাকার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.