নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
মন থেকে সমস্ত ফালতু রকম ভয় দূর করুণ।
দুনিয়ায় সবচেয়ে সহজ ও সুন্দর কাজ মানুষের সাথে মিশা। মানুষের সাথে গল্প করা। নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হওয়া। তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা। এগুলো করতে কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়। তবে দুষ্টলোকদের সাথে মিশা যাবে না। সব সময় দুষ্টলোকদের কাছ থেকে দূরে থাকবেন। দুষ্ট লোকদের সাথে মিশার চেয়ে একা থাকা অনেক ভালো। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ব্রাইডেনের সাথেও কথা বলতে ভয় পাবেন না। উনি আপনাকে ফাঁসি দিবেন না। পিস্তল দিয়ে গুলিও করবেন না। তার সাথে এমনভাবে কথা বলবেন যেন সে আপনার বন্ধু হয়ে যায়। মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষও আপনাকে ভালোবাসবে। মানুষকে সম্মান করুণ মানুষও আপনাকে সম্মান করবে।
প্রচুর ভালো ভালো বই পড়ুন।
প্রচুর ভালো ভালো মুভি দেখুন। পৃথিবীর সেরা মুভি ও সেরা বই গুলো পড়ুন। প্রতিটা ভালো বই দুই তিনবার করে পড়বেন। এবং ভালো মুভি গুলোও দুই তিনবার করে দেখবেন। একটা গান আছে- ''*মানুষ ধরো মানুষ ভজো* শোন বলিরে পাগল মন''। গানটা মন দিয়ে শুনুন। গানের কথা গুলো হৃদয়ে ধারন করুণ। ধরুন, আগামীকাল আপনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে মিটিং। দেশের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। এখানে ভয়ের কিছু নেই। আপনি প্রধানমন্ত্রীর চোখের দিকে তাকিয়ে আপনার জানা দেশের সমস্যা গুলোর কথা বলে দিবেন। যখন কথা বলবেন তীব্র আত্মবিশ্বাসের সাথে বলবেন। প্রতিদিন পত্রিকা পড়ুন। প্রতিদিন দুটা টিভি চ্যানেলের সংবাদ শুনুন। নিজেকে সমৃদ্ধ করুণ।
আমি মানুষের সাথে খুব সহজে মিশতে পারি।
সে যে'ই হোক। হোক একজন রিকশাচালক বা হোক একজন সিইও বা কোনো মন্ত্রী বা এমপি। তাদের সাথে গল্প করা কোনো ব্যাপারই না। আমার একটা গল্প বলি। আমাদের অফিসে একজন নতুন সিইও জয়েন করলো। সে আবার কোম্পানীর মালিকের শালা। লন্ডন থেকে লেখাপড়া করে এসেছে। অফিসের সবাই মোটামোটি ভয়ে আছে। না জানি মানুষটা কেমন হয়! আমি ছিলাম একদম নির্ভয়ে। একদিন সিইও'র সাথে অনেক কথা হলো। সিইও আমার চেয়ে বয়সে ৪/৫ বছরের বড়। দুই মাস পর সিইও আমার বন্ধুর মতো হয়ে গেলো। আমি আর সিইও ব্যলকনিতে গিয়ে সিগারেট খাই। একদিন দুপুরবেলা সিইও'র রুমে গিয়ে বললাম, আজ অফিসের ক্যান্টিনে তেলাপিয়া মাছ রান্না করেছে। তেলাপিয়া আমি খাই না। সিইও বললেন, তোমার কি খেতে ইচ্ছা করছে। আমি বললাম, পুরান ঢাকার হানিফের বিরানী খেতে ইচ্ছা করছে। সাথে সাথে সিইও পিয়নকে বিরানী আনতে পাঠালেন।
সৎ মানুষেরা কম ভয় পায়।
বরং তাঁরা যে কোনো বিষয়ে সাহসের পরিচয় দেয়। রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে যাবেন। দেখবেন কত লোক কত রকম কথা বলছে। বলেই যাচ্ছে। তাদের কথা মন দিয়ে শুনুন। তাদের কথাতে আপনি নির্ভয়ে যোগ দিন। যার সাথেই কথা বলেন, লজিক ঠিক রাখতে হবে। মিনমিন বা আমতা আমতা করে কথা বলবেন না। স্পষ্ট উচ্চারনে গমগমে গলায় কথা বলবেন। মানুষের সাথে মিশতে কখনও ভয় পাবেন না। যার সাথে কথা বলবেন, তারও দুইটা হাত, দুইটা চোখ, দুইটা কান। আপনারও ঠিক তাই। আমার সবচেয়ে ভালো লাগে অপরিচিত মানুষদের সাথে কথা বলতে। মানুষের সাথে আমি এমনভাবে মিশি যে সে তার হাড়ির খবর পর্যন্ত আমাকে দিয়ে দেয়। মানুষকে খোলা বইয়ের মতো মনে করুণ। তাকে পড়ুন। বুঝুন। জানুন। নিজের জ্ঞানের পরিধি বাড়ান। ভালো করে তাকিয়ে দেখুন আকাশ কত বিশাল! এই দুনিয়া মহৎ ও হৃদয়বান মানুষদের জন্য।
নিজেকে যোগ্য করে তুলুন।
তখন দেখবেন, সবাই নিজ থেকেই আপনার সাথে মিশতে চাইবে। কথা বলতে চাইবে। আপনি যদি পথের ফকির হোন, তাহলে কেউ আপনার সাথে মিশবে না। আপনার দিকে কেউ ফিরেও তাকাবে না। গরীবদের কেউ পছন্দ করে না। প্রচুর লেখাপড়া করুণ। প্রচুর জ্ঞান সঞ্চয় করুন। প্রচুর টাকা ইনকাম করুন। গাড়ি কিনুন। বাড়ি করুণ। তখন দেখবেন দুনিয়া থাকবে আপনার পায়ের নীচে। তখন মানুষ আপনাকে ভয় করবে। সমীহ করবে। আপনি যেহেতু আপনার সমস্যা ধরতে পেরেছেন। কাজেই আপনার সমস্যা আপনিই দূর করতে পারবেন। ইউটিউবে ভারত, পাকিস্তানের প্রচুর পাঙ্ক ভিডিও আছে। সেগুলো মন দিয়ে দেখুন। নিজেকে বদলে ফেলুন। নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ান।
১৮ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: ২০ বছর আগে ডেল কার্নেগী পড়েছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৭:৩৭
সোবুজ বলেছেন: ডেল কার্নেগীর মতো হবে গেল।তার পরও সুন্দর অভিজ্ঞতার প্রকাশ।