নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
মাঝে মাঝে এরকম হয়।
হঠাত গায়ের রঙ বেশি কালো হয়ে যায়। তবে এটা স্থায়ী হয় না। আসল কথা হচ্ছে জন্মের সময় আপনি যে গায়ের রঙ নিয়ে আসেন সেটাই সারা জীবন থাকবে। তবে যত্ন না নিলে গায়ের রঙ উজ্জলতা হারাবে। আপনার বাবা মার গায়ের রঙ যে রকম আপনার গায়ের রঙ সেরকমই হবে। তবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে এবং পযার্প্ত ঘুম ও পুষ্টিকর খাবার খেলে গায়ের রঙ উজ্জ্বল হবে।
একবার আমি সিলেট বেড়াতে গিয়েছিলাম।
পনের দিন ছিলাম। ঢাকায় ফিরে দেখি আমার গায়ের রঙ খুব কালো হয়ে গেলো। সবাই বলতো, তুমি তো কালো নও, তবে তোমাকে কালো দেখাচ্ছে কেন? আমার ভীষন মন খারাপ হলো। মা বললেন, এটা ঠিক হয়ে যাবে। এদিকে আমি তো খুব অস্থির হয়ে গেলাম। যাই হোক, দুই সপ্তাহ পর আমি আমার গায়ের আগের রঙ ফিরে পেয়েছিলাম।
এযুগে কালো ফর্সা নিয়ে মানুষ ভাবে না।
ভাবা ঠিক না। যদি আপনি একজন সফল মানুষ হোন, তখন মানুষ আপনার গায়ের রঙ নিয়ে মাথা ঘামাবে না। আপনার সফলতার তারিফ করবে। কাজেই গায়ের রঙ নিয়ে খুব মাথা ঘামাবেন না। নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলুন। আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতা আপনার ত্রুটি গুলো মুছে দিবে। তাই নিজেকে হিরো হিসেবে গড়ে তুলুন। পরিবারকে ভালোবাসুন। দেশকে ভালোবাসুন।
বাংলাদেশের মানুষ গায়ের রঙ নিয়ে খুব চিন্তা ভাবনা করে।
বিশেষ করে মেয়ের বাবা মায়েরা। মেয়ে যদি কালো হয় তাহলে বিয়ে দিতে সমস্যা হবে। অনেক যৌতুক লাগবে। ইত্যাদি নিম্ম মানসিকতা আমাদের মতো দরিদ্র দেশের মানুষদের মধ্যে খুব আছে। একটা কবিতা আছে, '**কালো আর** ধালো **বাহিরে কেবল** / ভিতরে সবার সমান রাঙ্গা '। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি, আর যা বলে বলুক অন্য লোক। তা সে যতই কালো হোক
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ'।
যাই হোক, আপনি প্রতিদিন টানা ৮/৯ ঘন্টা ঘুমাবেন।
প্রচুর পানি খাবেন। টাটকা শাক সবজি প্রচুর পরিমানে খাবেন। প্রচুর ফল খাবেন। ভাঁজা পোড়া বা ফাস্ট ফুড একেবারেই খাবেন না। চিন্তা ভাবনা কম করবেন। সব সময় হাসি খুশি থাকবেন। মন্দ লোকদের সাথে মিশবেন না। সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখবেন। তাহলে আপনার গায়ের রঙ চক চক করবে। দেখতে ভালো লাগবে।
©somewhere in net ltd.