নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়ঙ্কর ঘটনা

২৬ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১৫

ছবিঃ আমার তোলা।

কোনো ভনিতা করবো না।
সরাসরি আপনার প্রশ্নের উত্তরে যাবো। সকাল ছয়টা। আমি গভীর ঘুমে। কোনো কাম কাজ নাই। সারারাত মুভি দেখি। বই পড়ি। চলছে করোনা কাল। তার উপর লকডাউন। আব্বা হাসপাতালে। করোণা হয়েছে। যাই হোক, সমানে মোবাইল বেজে যাচ্ছে। বিরক্ত হয়ে ফোন ধরলাম। ভাই ফোন করেছে। ফোন ধরলাম। বড় ভাইয়া বললেন, আব্বা মারা গেছে। আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। ভীষন কষ্ট পেলাম। আব্বা! আমার আব্বা! করোনা শেষ করে দিলো। নিজের বাপ। নিজের জন্মদাতা।

যাই হোক, আব্বাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি গেলাম।
আব্বাকে গ্রামে কবর দেওয়া হবে। মরা বাড়িতে কান্নাকাটি হয়। এতিমখানার অল্প বয়সী ছেলেরা কুরআন পড়ে যাচ্ছে। গ্রামে যে চাচা থাকে উনি গন খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। মানুষজন শেষ বারের মতো আব্বাকে দেখতে আসছেন। জানাজা হলো স্কুল মাঠে। আছরের নামাজের পর আব্বাকে কবর দেওয়া হলো। ঢাকা থেকে আমাদের গ্রাম কাছেই। দেড় ঘন্টা সময় লাগে যেতে। রাতেই আমরা সবাই ঢাকায় ফিরে এলাম। সারা দিন আমার কিচ্ছু খাওয়া হয়নি। তবে ক্ষুধাবোধ নেই। কিন্তু আমি মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত। বাসায় ফেরার পর ভাবলাম গোছল করে ফেলি। ভালো লাগবে।

আমি থাকি ছয় তলায়।
বাসার সবাই এক তলায় দোতলায় মন খারাপ করে বসে আছে। কেউ কেউ কাঁদছে। যাই হোক, ছয় তলায় ডুকে ঘরের লাইট জালিয়ে দিলাম। হঠাত দেখি ড্রয়িং রুমে আব্বা বসে আছে। মুখে কোনো কথা নেই। মাথা নীচু করে বসে আছে। অথচ আব্বাকে আমি এবং আমার ভাই মিলে নিজ হাতে কবরে নামিয়ে এসেছি। আমি অজ্ঞান হয়ে গেলাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.