নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র কুরআন পড়ে, আমি কি কি শিখতে পারবো?

৩১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:২৫

ছবিঃ আমার তোলা।

আপনি যদি প্রতিদিন কোরআন পড়েন।
বছরে ১২ বার কোরআন খতম দেন। ইহকালে কিছুই পাবেন না। চাকরী পাবেন না। আপনার একাউন্টে টাকা চলে আসবে না। আপনার কাঁচা ঘর পাকা হয়ে যাবে না। আপনার অসুস্থ শরীর ভালো হয়ে যাবে না। কোরআন পড়ে ইহ জগতে আপনি দেশ, সমাজ বা আপনার কোনো উপকার হবে না। সংসারের সমস্যা দূর হয়ে যাবে না। যা করার আপনাকেই করতে হবে। মেধা দিয়ে, পরিশ্রম করে। বলা হয়ে থাকে- পরকালে অনেক কিছু পাবেন। হুর, আনার, আঙ্গুর ইত্যাদি। আজকাল বেহেশতের নানান রকম লোভ ধার্মিকদের মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখতে পারছে না। কাজেই আপাতত কোরআন পড়ে পরকালে সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন। যদি আসলেই পরকাল বলে কিছু থাকে।

কোরআন পড়ে আপনি যা শিখবেন-
তা দিয়ে একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীতে চাকরী পাবেন না। তবে মাদ্রাসার হুজুর হতে পারবেন। দরিদ্র এতিম বাচ্চাদের কোরআন শিক্ষা দিবেন। সারা জীবন অভাবে অভাবে জীবন পার করবেন। দরিদ্র হয়ে জন্ম নেওয়াটা অন্যায় না, দরিদ্র হয়ে মরে যাওয়াটা অন্যায়। ধার্মিকরা অন্ধ বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করে। আসলে এদের জ্ঞানের ভান্ডার শূন্য। এরা আধুনিক বিশ্ব সম্পর্কে কোনো ধারনা রাখেন না। এরা বিশ্বাস রাখেন নানানা রকম কুসংস্কারে। এরা পেট ব্যথা হলে পানিপড়া খাবে। রাতে ঘুম না এলে ফকিরের কাছে যাবে। ফকির ঝাড়ফুঁক দিয়ে দিবে। এদের প্রিয় বই মুকছেদুল মোমেনিন। কোন আমল করলে রাতে শয়তান আপনার কাছে আসবে না। কোন দোয়া পড়লে দূর্ঘটনা ঘটবে না। কোন সূরা পাঠ করলে বাচ্চা হবে। কোন দোয়া পড়ে সহবাস করতে হবে। আরো জানতে পারবেন, কোন দোয়া পড়লে বিপদআপদ আসবে না।

আমাদের দেশের ধার্মিকদের সমস্যা হলো-
তাঁরা আগে মুসলিম, পড়ে মানুষ। আর উন্নত বিশ্বের লোকজন মনে করে, তাঁরা আগে মানুষ। পড়ে তার ধর্ম। আমাদের দেশের মুসলমানরা সেই আদি কালের সংস্কৃতি অনুসরণ করে, অথচ এখন আরবেরাও তা অনুসরণ করে না। উন্নত দেশ গুলোতে কেউ কারো ধর্মীয় পরিচয় জানতে চায় না। আমি মানুষ এই আমার পরিচয়। অথচ ধার্মিকেরা শুধু মুসলমান হয়েই থাকতে চায়। ধার্মিক হওয়ার আগে তোমাকে মানুষ হতে হবে। বিশ্বে ৩/৪ হাজার ধর্ম আছে। আমি নিজেই একটা ধর্ম বানাবো। সেই ধর্মের নিয়ম কানুন আমিই লিখব। মানুষ যুগে যুগে এমন ইচ্ছা মতন বহু ধর্ম বানিয়েছে। বাইবেল, কোরআন ও বেদ, পড়ুন। কোন বইটি সত্য সৃষ্টিকর্তার নির্দেশনা, সেটা আপনি নিজেই বুঝবেন। অন্যের শেখানো কথা মুখস্ত না করে, নিজে পড়ুন। নিজেই সত্য ধর্ম চিনুন। কোরআন পড়লে জানতে পারবেন, কোন নবী মাছের পেটে আটকে গিয়েছিলো। ফেরাউন এঁর কাহিনী জানতে পারবেন। অনেক সভ্যতার কথা জানতে পারবেন, যেসব সভ্যতা আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছেন। আল্লাহর নেয়ামতের কথা জানতে পারবেন। মৌ মাছি সম্পর্কে জানতে পারবেন। কালিজিরা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তবে বির্বতনবাদ সম্পর্কে কিছু জানতে পারবেন না। ভিজ্যুয়াল বেসিক সম্পর্কে জানতে পারবেন না। এনিমেশন সম্পর্কে কিছু পাবেন না। বীজগনিত পাবেন না। বিজ্ঞান পাবেন না। আধুনিক বিশ্ব সম্পর্কে কিছু জানতে পারবেন না।

ধর্ম চলে বিশ্বাসের উপর।
তাই এখানে ভুল-সঠিক, বিজ্ঞান এসব চলে না। ইসলাম ধর্মের কোরআন তেলওয়াতের সুর আমার ভাল লাগে। আজানের সুর ভালো লাগে যদি মুয়াজ্জ্বিন এর কন্ঠ সুন্দর থাকে। অনেক মসজিদের হুজুর বিশ্রী ভাবে আযান দেয়। বিরক্ত লাগে। যাই হোক, চিন্তাশীল মানুষদের কোনো জাত বা ধর্ম হয় না। তাঁরা তাই নিজের সত্যকে প্রশ্ন করেন, অন্যের সত্যের সাথে তুলনা করেন। ধর্ম কোন জ্ঞানের ব্যাপার নয়ঃ ধর্মগ্রন্থ পড়ে বিজ্ঞান শিখার কোন সম্ভাবনা নাই। ডাইনোসরদের ব্যাপারে কোরআন কিছুই বলে নাই। প্রতিটি ধর্মের জন্ম হয়েছে ভয় এর মাধ্যমে। আপনার আমার ভিতরের ভয় জন্ম দিয়েছে দেবতার। আপনার আমার ভিতরের আত্মবিশ্বাসহীনতা থেকে সৃষ্টি হয়েছে ধর্মীয় রীতিনীতি রেওয়াজ ইত্যাদি। ধর্ম সৃষ্টি হওয়ার পর আস্তে আস্তে প্রচুর মহামানবের আবির্ভাব ঘটেছে যুগে যুগে। তারা তাদের পাণ্ডিত্যের মাধ্যমে তৈরি করেছেন ধর্মীয় দর্শন। সেই ধর্মীয় দর্শন নিয়ে ধার্মিকেরা পড়ে আছে। মেতে আছে। আর চালাকেরা ব্যবসা ফেঁদেছে।

বিশ্বের প্রতিটি ধর্ম দু'ভাগে বিভক্ত।
যার একটি জ্ঞানীদর জন্য লেখা এবং অপরটি মূর্খের জন্য লেখা। আমি খুব ছোট বেলা থেকেই বৌদ্ধ ধর্মীয় কিছু বই পড়েছি, কিন্তু কোনদিনও ভিক্ষু হইনি, স্থবির হইনি, মহামতির কোন কথাই বলতে গেলে মানি নি। এই ধর্মীয় জ্ঞান দিয়ে কি হবে? আপনাদের কাছে অনুরোধ- ধর্ম পালন করুন, কিন্তু প্রচার করবেন না। অন্যের ধর্ম নিয়ে কথা বলার কোন অধিকার আপনার নাই, সুতরাং চুপ থাকুন। এবং মেনে নিন- মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা আছেন, এটা প্রমাণ করা সম্ভব নয়। মহাবিশ্বের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই, এটাও প্রমাণ করা সম্ভব নয়। বিবর্তন একটি প্রমাণিত সত্য। এটি থিওরি এবং ফ্যাক্ট দুটোই। কোন ধর্ম গ্রন্থেই বৈজ্ঞানিক নির্দশন নেই। আপনার সামনে যেই নিদর্শন গুলো উপস্থাপন করা হচ্ছে সেগুলোকে বলে Creative interpretation. কোন বিজ্ঞানী কোরআন হাদিস অথবা অন্য কোন ধর্মগ্রন্থ পড়ে গবেষণা করেন না।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: Garbage X((

৩১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: আমারও তাই ধারনা।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬

খোকন১২ বলেছেন: অসাধারন

৩১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:



সূরাঃ ২ বাকারা, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। এটা ঐ কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা হেদায়েত মোত্তাকীদের জন্য।

* কোরআন মোত্তাকীদের জন্য। সুতরাং যারা মোত্তাকী নয়, কোরআন তাদের কাজে লাগবে না।

৩১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: কয়েকজন মোত্তাকীদের নাম বলুন।

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: চমৎকার স্বীকারুক্তি
কোনো কিছু`র ব্যবহার পদ্ধতি দেখে
বুঝা যায় -কে মানুষ ও কে অমানুষ
যেমন -
একই কোম্পানির একই চুরি দিয়ে
কেউ সবজি কাটে (মানুষ) ,কেউ ছিনতাইয়ে পেট/বুক/গলা কাটে(অমানুষ)

৩১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি বুঝতে পারিনি।

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার ধারণা পরকাল বলে
কিছু নাই তাই কোরান পড়ে কি
লাভ?
ভাই আপনি পরকাল মানেন না, কোরান
পড়বেন না সেটা নিতান্তই আপনার ব্যাপার
তবে হিট হবার জন্য এমন নোংরা পন্থা
পরিহার করুন। কারো ধমী'য় অনুভূতিতে
আঘাত না দেবার জন্য অনুরোধ করছি।

৩১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি কাউকে আঘাত করতে চাই না। এই পোষ্ট কাউকে আঘাত দেওয়ার জন্য নয়। কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে আমার কোনো দোষ নেই।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৩২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আস্ত কোরআন রাজীব নুরের কাজে লাগেনি, মোত্তাকীদের নাম দিয়ে সে কিরবে? তার ভরাট মগজে এ সংক্রান্ত কিছুই ঢুকবে না। রাজীব নুরের মত পাথরকে সত্য কথা শুনিয়ে কোন লাভ নেই।

০১ লা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি আমার প্রশ্নটা এড়িয়ে গেলেন।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:০০

সোবুজ বলেছেন: আরেকটা ধর্ম বানিয়ে আরেকটা সমস্যার সৃষ্টি করবেন।জীবন যাপন করতে ধর্ম লাগে না,লাগে অর্থ।আইন কানুন যা আছে প্রয়োজনে তাকে আপডেট করতে হবে এই যা।

০১ লা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: কথা তো সত্য বলেছেন।

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:০৮

সোবুজ বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তাই বটে।কোরান কে সত্যায়িত করছে কোরান।

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআন বলছে কোরআনে ভুল নেই। কেউ যদি কোরআনে ভুল খুঁজে না পায় তাহলে তো কোরআনের স্বসত্যায়ন সঠিকই আছে। সোবুজ অবুঝের মত এখানে কি সমস্যা দেখলেন? নাকি মুখস্ত কোরআনে ভুল আছে বললেই কেউ তা’ মেনে নিবে?

০১ লা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: সোবুজ সাহেবের মন্তব্যটা আপনি বুঝতে পারেন নি।

১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৩৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কুরআনের প্রথম পঞ্চ আয়াতঃ ‘পড় তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন; যিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন জমাট রক্তপিণ্ড থেকে। পড়; আর তোমার রব মহীয়ান; তিনি কলমের মাধ্যমে শিক্ষাদান করেছেন, মানুষকে তা শিখিয়েছেন, যা সে জানত না।’ (৯৬:১-৫)।
মানুষ জমাট রক্তপিন্ড থেকে সৃষ্টি হয়েছে এটা গোটা বিশ্ববাসীকে সর্বপ্রথম শিখাইনি? কুরআনের আগে আর কে শিখিয়েছে দেখি প্রমাণ করুন।

বিজ্ঞানীরা তাদের নানা আবিষ্কারে কুরআন থেকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়েছেন; তাদের তথ্য ও তত্ত্বগুলো কুরআনিক সূত্রের অনুকূলে এসেছে। বিশ্বের বহু সেরা সেরা বিজ্ঞানী কুরআন পড়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

যেমন বিশ্ববিশ্রুত বিজ্ঞানী ড. মরিস বুকাইলী, যিনি ‘বাইবেল, কুরআন ও বিজ্ঞান’ নামক একটি বই লিখেছেন। আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলো ও কুরআন পরস্পর সঙ্গতিপূর্ণ। এতকাল যেসব আয়াতের ব্যাখ্যা করা কঠিন ছিল, আধুনিক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আমাদের সেসবের অর্থ বোঝার ব্যাপারে সাহায্য করেছে। আল কুরআনের বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো প্রমাণ করে এটি আসমানি কিতাব।

আল কুরআনে রয়েছে জ্ঞানবিজ্ঞান সব মৌলিক বিষয়। যেমন- জ্যোতিষ শাস্ত্র, বিশ্ব সৃষ্টি ও মহাবিস্ফোরণ (বিগ ব্যাংগ) প্রসঙ্গ, ছায়াপথ সৃষ্টির আগে প্রাথমিক গ্যাস পিণ্ড, পৃথিবীর আকার গোল। আছে পদার্থবিজ্ঞান, পানিবিজ্ঞান, পানিচক্র, বাষ্পে পরিণত হওয়া। আছে ভূ-তত্ত্ব বিজ্ঞান, পাহাড় পর্বতের রহস্য, মহাসাগর, মিষ্টি ও লবণাক্ত পানির বিবরণ এবং রয়েছে উদ্ভিদ বিজ্ঞান। রয়েছে প্রাণিবিজ্ঞান, পাখির উড্ডয়ন, মৌমাছির দক্ষতা, মাকড়সার জাল, পিপিলিকার জীবনধারা ও যোগাযোগ। আছে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ওষুধ ও পথ্য। রয়েছে শরীরতত্ত্ব, রক্ত চলাচল, দুগ্ধ ও ভ্রূণতত্ত্ব এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও আঙুলের ছাপ ইত্যাদি।

ভ্রূণতত্ত্ব আধুনিক বিজ্ঞানের জটিলতম একটি বিষয়। আল কুরআনে ভ্রূণ সৃষ্টি ও এর বিকাশ সম্পর্কিত যথাযথ বর্ণনা রয়েছে। ‘আমি তো মানুষকে মাটির উপাদান থেকে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দুরূপে এক নিরাপদ আধারে স্থাপন করি, পরে আমি শুক্রবিন্দুকে পরিণত করি জমাট রক্তে, অতঃপর জমাট রক্তকে পরিণত করি পিণ্ডে এবং পিণ্ডকে পরিণত করি অস্থিপিঞ্জরে, অতঃপর অস্থিপিঞ্জরকে মাংস দ্বারা ঢেকে দিই, অবশেষে তাকে রূপ দান করি। সুনিপুণ স্রষ্টা আল্লাহ কত মহান! এরপর তোমরা অবশ্যই মৃত্যুবরণ করবে। অতঃপর কেয়ামতের দিন তোমাদের পুনরুত্থিত করা হবে। আমি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সাজিয়েছি, অমি সৃষ্টির বিষয়ে বেখবর নই।’ (২৩:১২-১৭)। এগুলো কি কুরআন পৃথিবীরর মানুষকে শিখায়নি?

০১ লা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ।
সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
মন্তব্যে চিন্তার খোরাক আছে।

১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৪০

রিফাত হোসেন বলেছেন: কেউ যদি সমস্যা না করে প্রচার করে, তাহলে কেউ বাধা দেওয়া ভদ্রতা নয়। ঠিক তেমনি জোর করে কানের কাছে মাইক লাগিয়ে দ্বীনের প্রচার করতে গিয়ে অন্যের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটানোও ভদ্রতা নয়। শীতকালে এমন উপদ্রব অনেক হয়।

আমি এ পর্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক ছাড়া কোন কিছু চলতে দেখি নাই। কোন কিছু যদি নিয়মের বাহিরে চলেও যায় তাও সেটা অন্য কিছুর নিয়মের পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করেই চলেছে। পরোক্ষভাবে এটি আরেকটি নিয়ন্ত্রণ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। সুতরাং নিয়ন্ত্রণকারী আছে। একে আমরা সৃষ্টিকর্তা বলে ডাকলে সমস্যা হবার কথা না কারও। কিন্তু এটাকে উপলক্ষ করে ক্রুসেডিয় অভিযান, কাটাকাটি ইত্যাদি যেমন গ্রহণযোগ্য নয় তেমনি সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করাও বুদ্ধিদীপ্ত নয়।

কোরআন শরীফ বৈজ্ঞানিক গবেষনা গ্রন্থ নয়। আর ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করার কথাও কোরআনের কোথায় লেখা নাই। যেটা মানুষ আজকাল করছে। শুধু ইসলাম কেন, আরও অনেক ধর্মের জ্ঞান নিয়ে ধর্মগুরু তকমা নিয়ে বিভিন্ন বৈধ ও অবৈধ কার্যকলাপের মাধ্যমে ব্যবসা ভিত্তিক অর্থ আয় করছে। এতে স্বীয় ধর্মের মান আধ্যাত্মিক না থেকে ইহকালের মনে হয়। তখন এর উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যায়।

তবে আপনার মনের কথা বলেছেন। এটা ভাল লেগেছে। আপনার মন পরিষ্কার। আপনার যা বলার বলেছেন পোস্টে। আমিও যা বলার বলেছি। আশা করি এটা ইতিবাচক হিসেবে দেখবেন। প্রতিমন্তব্য করব না। হাতে সময় কম, অনেক কাজ। শুভ ব্লগিং।

০১ লা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি সহজ মন্তব্য করেছেন। সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৫৭

গরল বলেছেন: @গোফরান বলেছেন: ভ্রূণতত্ত্ব আধুনিক বিজ্ঞানের জটিলতম একটি বিষয়। আল কুরআনে ভ্রূণ সৃষ্টি ও এর বিকাশ সম্পর্কিত যথাযথ বর্ণনা রয়েছে। ‘আমি তো মানুষকে মাটির উপাদান থেকে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দুরূপে এক নিরাপদ আধারে স্থাপন করি, পরে আমি শুক্রবিন্দুকে পরিণত করি জমাট রক্তে, অতঃপর জমাট রক্তকে পরিণত করি পিণ্ডে এবং পিণ্ডকে পরিণত করি অস্থিপিঞ্জরে, অতঃপর অস্থিপিঞ্জরকে মাংস দ্বারা ঢেকে দিই, অবশেষে তাকে রূপ দান করি। সুনিপুণ স্রষ্টা আল্লাহ কত মহান! এরপর তোমরা অবশ্যই মৃত্যুবরণ করবে। অতঃপর কেয়ামতের দিন তোমাদের পুনরুত্থিত করা হবে। আমি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সাজিয়েছি, অমি সৃষ্টির বিষয়ে বেখবর নই।’ (২৩:১২-১৭)। এগুলো কি কুরআন পৃথিবীরর মানুষকে শিখায়নি?

এখানে শুক্রবিন্দুকে যদি শুক্রাণু ধরি তাহলে ডিম্বানু সম্বন্ধে কিছু বলা নাই। তারপর বলা হয়েছে জমাট রক্তে পরিণত হয় যা একেবারেই বাজে কথা, তারপর বলা হয়েছে পিন্ড। আর প্রথম অঙ্গ হিসেবে বলা হয়েছে অস্থিপিঞ্জর, অথচ যে অঙ্গটা প্রথম সৃষ্টি হয় তা হচ্চে হার্ট বা হৃৎপিন্ড, ৬-৭ সপ্তাহেই ভ্রুনের হার্টবিট পাওয়া যায়। বিস্তারিত নিচের লিংকে যেয়ে দেখুন।

Early Fetal Development

০১ লা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আজ জুম্মাবার। আজ একটি বিশেষ দিন। তাই মাথা ঠান্ড আরাখতে চাই। কোনো জটিলতায় আজ প্রবেশ করবো না।

১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:০৩

সোবুজ বলেছেন: কোরানে যে বিজ্ঞান আছে শতভাগ ভুল।একটাও প্রমানিত সত্য নয়।আর যারা দাবি করে তারও করে জাকির নায়েকের ওয়াজ শুনে ।সে এক জন ভন্ড ও প্রতারক।তাকে ভারত সরকার খুঁজছে।

বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে রক্ষা করার চেষ্টা ভুল।বিশ্বাস দিয়ে রক্ষা করা ঠিক আছে। বিশ্বাসের কোন প্রমান লাগে না।কিন্তু যখনই বিজ্ঞানের কথা বলবেন তখন প্রমান লাগবে।প্রমান কাকে বলে সেটা জানতে হবে সবার আগে।দাবি আর প্রমান এক জিনিস না।কোরানের সবটাই দাবি।প্রতিটা ধর্মেই এমন হাজার হাজার দাবি আছে।এবং তারা সেটাকে সত্য মনে করে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। ইউ রাইট।

১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:২৯

জ্যাকেল বলেছেন: হিট খাইবার জন্য এই রকম পন্থা আপনি আগেও করেছেন, এখনো করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। আপনি নিজেকে খুব চালাক মানুষ মনে করেন, কিন্তু আপনে খুব বোকা।

০১ লা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি অতি সাধারণ জীবন যাপন করি। নিজের মতো থাকি। হিট খাওয়া আমার স্বভাবে নেই।

১৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:০৮

শার্দূল ২২ বলেছেন: আপনার কোরাণ নিয়ে সঠিক কোন ধারণা নেই, সারা লেখার মধ্যে আপনার অস্থিরতাই বেশি ফুটে উঠেছে যা অনেক বছর আগেও ছিলো এখনো আছে। সমস্যা হলো ধর্ম নিয়ে দুই শ্রেনীর পাগলামী বেশি, এক যারা বুঝেনি কোরাআন কে আর যারা টুপি দাড়ি নামাজ দিয়ে বেহেশতের চাবি শান দিচ্ছে হুর কে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবে বলে। আপনি প্রথম শ্রেনীর, তবে আপনি ওদের থেকে কিছুটা নিরাপদ আছেন, মহাজাগতিকরা শয়নে স্বপনে হুরের শরীরের যেই পোষ্টমাটম করেন তাদের জন্য খারাপ খবর হলো যে আপনারা বেহেশ্তের চাবিতে শান দিতে থাকুন, দরজার কিন্তু সেনসর দিয়ে খুলবে যোগ্য মানুষের ছায়া পেলেই।

ধন্যবাদ

০১ লা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার ঘরের দরজা যে কেউ খুলতে পারবে না। আমার আঙ্গুলের ছাপ ছাড়া দরজা খুলবে না।

১৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: @গড়ল

আরবি ডিকশনারি অনুযায়ী ‘নুতফা’ শব্দটির অর্থ শুক্রাণুও হতে পারে, আবার ডিম্বাণুও হতে পারে।

সূরা আল-ইনসানের ২ নং আয়াত বলে, আল্লাহ্ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ‘নুতফাতিন আমশাজ’ থেকে। ‘আমশাজ’ শব্দটির অর্থ ‘মিশ্রণ’, ‘নুতফাতিন আমশাজ’ মানে ‘মিশ্র নুতফা’। অ্যাপোলজিস্টদের দাবি, এই আয়াতে ‘নুতফাতিন আমশাজ’ দ্বারা জাইগোট বা ভ্রূণকোষ বোঝানো হয়েছে, যা একটি শুক্রাণুর সাথে একটি ডিম্বাণুর মিলন থেকে গঠিত হয়।

০২ রা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।

১৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১২

নিমো বলেছেন: @মোহাম্মদ গোফরান



কী বুঝলেন, জানান।

১৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৩১

জি এইস মেহেদী বলেছেন: গোটা কোরআন ই তো বিঙ্গান --- আলাদা করে বিঙ্গান খুঁজে কি উন্নতি করতে পারবেন?? কোরআন কে ছাড়া আপনি এক পা সামনে যেতে পারবেন না -- আপনি কি মুসলিম মনে হয় না আমার - কোরআন এর বদৌলতে আজ এত কিছু দেখতে পাচ্ছেন পৃথিবীতে -- জাকির নায়েক গোটা মুসলিম জাতির গর্ব -- ভারত সরকার তো পুরা রিস্কি সরকার দক্ষিণ এশিয়ার জন্য -- মানবজীবনের যত সমস্যার সমাধান সব কোরআন দেওয়ার ক্ষমতা রাখে -- মানুষের একটায় পরিচয় হবে আমি মুসলিম -- অন্য ধর্ম মানে জাহান্নামী ১০০%,, অন্য ধর্মের মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না -- পরিপুর্ণ ইসলামে প্রবেশ করতে হবে --- তবেই তবেই সে মুসলিম -- মুনাফিকের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে -- মোট কথা রাসুল (সাঃ) কে বিশ্বাস এবং আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই এটা মানলেই তুমি জান্নাতি -- অন্যথায় একলাখ ধর্মের হিসাব এখানে এনে লাভ নাই -- সত্য ধর্ম প্রচারে তোমরাই পথটা সংকীর্ণ করে রেখেছো -- বিশ্বকে তোমরা ডিজিটাল হওয়ার স্বপ্ন দেখাও,, দুনিয়ার পর আরেকটা জীবন আছে এইটা কখনো বুঝাইছো?? কি আছে পরকালে, কেমন হবে,, সব তো আমরা দুনিয়াতে জানি তাও কেন মানি না -- দুনিয়ার মোহ এত বাজে গুটি সংখ্যাক লোক পরিপূর্ণ ইসলামে আছে বাকিরা খাওয়া হাগা আর বউ বাচ্চা পালা,, হালাল হারাম এর বাচবিচার নাই -- ইসলামটাকে অমুসলিম এর কাছে যে পৌছে দিতে হবে আমরা সব ভুলেই গেছি -- দোষ আমি কাউকে দিবো না -- আমি নিজে মুসলিম হয়ে আরেকজন অমুসলিম কে দাওয়াত দিচ্ছি না কারণ কি রাস্ট্র বিষয়টাকে জঙ্গীবাদের তকমা দেয় -- অথচ আল্লাহ রাসুল দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্র করে কত না নির্যাতন হয়েছেন৷ -- আমরা তো অমুসলিম কে জোর করবো না বরং কোরআন এর রেফারেন্স দিয়ে বুঝায় দিবো আসলে সত্য ধর্ম কোনটা -- সবথেকে বড় কথা রাজীব নুর আপনার জন্য এক বালতি সমবেদনা আপনি নুর না হয়ে অন্ধকার নাম দিলে ভালো হতো - ঙ্গানী মানুষ কখনো নিজের নাস্তিকতার ঐতিহ্য এবং ধারা টিকে থাকতে এমন পোস্ট করবে না -- বরং সে উগ্র অমুসলিম এর থেকে ভয়ংকর নাস্তুিক -- কোন ধর্ম টা সৃষ্টিকর্তা কে বিশ্বাস করে না আমাকে জানান?? আপনি যেহেতু নাস্তিক সুতরাং আপনার সামুতে থাকার অধিকার নাই -- অমুসলিমকে বুঝাইলে সে মুসলিম হওয়ার ক্ষমতা রাখে হেদায়েত হবেই ইনশাআল্লাহ কিন্তু নাস্তিকতার রোষানলে যারা তারা অন্য ধর্ম গুলো কে হালকা সাপোর্ট দিলেও মুলত ইসলাম তাদের কাছে বিষ তারা এসব নিয়ম কানুন মনে করে আরবের নবীর লেখা -- তুমি দুই লাইন কোরআন এর বাহিরে আারবি আয়াত বানায় দেখাও মিলাও অর্থ করো -- সুর করো -- সেই আয়াত থেকে বিঙ্গান কে খুজে বের করো? পারবা না -/ এসব পোস্ট দিয়ে নিজের কমেন্ট বক্স ভরানোর কি দরকার --

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.