নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
ছোটবেলার কথা। মেয়েটার নাম নীলা। আমাদের এলাকায় থাকতো। তখন আমি ক্লাশ থ্রি'তে পড়ি। নীলাকে আমার ভালো লাগতো। আমি লুকিয়ে লুকিয়ে নীলাকে দেখতাম। হ্যাঁ সেই অল্প বয়সেই আমার মধ্যে ভালো লাগা তৈরি হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু দুঃখের কথা কি জানেন? আমার চোখের সামনে নীলার বিয়ে হয়ে গেলো। এখন নীলা আমেরিকা থাকে। তার দুই সন্তান। নীলাকে আমি আজও পছন্দ করি। নীলার কথা ভাবি। মাঝে মাঝে নীলার কথা ভেবে বুকের মধ্যে হাহাকার করে ওঠে।
মেট্রিক পরীক্ষা দেওয়ার আগে স্কুলে এক মেয়েকে আমার ভীষন পছন্দ হয়ে গেলো। মেয়েটা খুব সুন্দর। সহজ সরল সুন্দর। আমার ভালো লাগার কথা মেয়েটাকে জানাই নাই। অথচ প্রতিদিন আমি মেয়েটাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখি। কি যে ভালো লাগে। ছোটবেলার সেই নীলার সাথে মেয়েটার বেশ মিল। তাই মনে মনে এই মেয়েটার নামও দিলাম নীলা। একদিন ভর দুপুরবেলা নীলাদের বাসায় গেলাম। নীলার মাথা ভরতি চুল, আজও আমার চোখে ভাসে। আজ নীলা দুই সন্তানের মাতা। আমি তার সব খোজ খবর রাখি। তার স্বামী মস্ত বড় চাকরী করে। নীলারা নারায়নগঞ্জ থাকে।
কলেজে এক মেয়েকে ভালো লেগে গেলো। ভীষন সুন্দর মুখ। দেখতে নীলার মতো। একদিন নীলার সাথে নিউ মার্কেট দেখা। আমি নীলাকে বললাম, তোমাকে কাঁচের চুড়ি কিনে দেই? নীলা বলল, দাও। আমি বললাম, টিপ কিনে দেই? নীলা বলল, দাও। আমি বললাম, কাজল কিনে দেই। নীলা বলল, দাও। যাই হোক, বাসায় এসে নীলাকে এক লম্বা চিঠি লিখলাম। পরের দিন কলেজে গিয়ে দেখি নীলা কলেজে আসে নাই। খোঁজ নিয়ে জানলাম, তার বিয়ে হয়ে গেছে। ভীষন কষ্ট পেলাম। ইচ্ছা করলো, সারা ঢাকা শহরটা ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেই।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এক মেয়ের সাথে পরিচয় হলো। মেয়েটা আমার সিনিয়র ছিলো। দেখতে দারুন। নীলার সাথে চেহারার মিল আছে। মেয়েটাকে বললাম, আমি যদি আপনাকে নীলা বলে ডাকি, আপনি কি রাগ করবেন? মেয়েটা হাসলো। সুন্দর হাসি। বলল, না নীলা বলে ডাকলে রাগ করবো না। কিন্তু আপনি আপনি করলে রাগ করবো। ঝামেলাবিহীন আমাদের একটা সুন্দর সম্পর্ক হয়ে গেলো। বিনা দ্বিধায় আমি যখন তখন নীলার হাত ধরতে পারি। আমার ভাগ্য খারাপ, এক আমেরিকান প্রবাসী লোকের সাথে নীলার বিয়ে হয়ে গেলো। অবশ্য নীলার সাথে এখনও আমার যোগাযোগ আছে।
মানুষের জীবন বসে থাকে না। একের পর এক আসতেই থাকে। দুনিয়াতে তো নীলার অভাব নাই। এরপর এলো- আরেক নীলা। এই নীলা ভালো রান্না জানে। দেখতে মায়াবতী। ভালোবাসতে জানে। একদম সহজ সরল। নীলার সাথে টানা দুই বছর কাটিয়ে দিলাম। একদিন নীলাকে বিয়ে করে ফেললাম। দেখতে দেখতে কত বছর পার হয়ে গেলো! সুখেই আছি। ভালো আছি। আনন্দে আছি। এই নীলাকে পেয়ে অতীতের নীলাদের প্রায় ভুলেই গেলাম। এই ভুলে যাওয়াটা কি অন্যায়? আমি বর্তমান নীলাকে নিয়ে ভালো আছি। খুশি আছি।
দুনিয়াতে এলো আমার কন্যা। এখন দুনিয়াতে সবার আগে আমার কাছে আমার কন্যা। তারপর সমস্ত নীলারা। কন্যা এসে আমার জীবন বদলে দিলো। আমার কন্যার চেয়ে দুনিয়াতে আর কাউকে পছন্দ করি না। সকালে ঘুম থেকে উঠে কন্যাকে একটা চুমু দেই কপালে। রাতে ঘুমানোর আগে কন্যাকে একটা চুমু দেই কপালে। আমি অনুভব করি এই দুনিয়াতে আমার চেয়ে সুখী আর কেউ নেই। কন্যা সারাদিন বাবা বাবা করতেই থাকে। আমি বাইরে থাকলে ফোন দেয়। আমার কন্যার জন্য এখন একশ'টা নীলাকে ভাসিয়ে দিতে পারি। ভুলে যেতে পারি। পৃথিবীর সমস্ত বাবার কন্যারা ভালো থাকুক। সুস্থ থাকুক। আনন্দে থাকুক।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ সামুর ঈদ উপহার পেয়েছি।
কমেন্ট ব্যান আর ফ্রন্ট পেইজ ব্যান। উপহারে মন ভরে নাই। আমি আরো বেশি কিছু চেয়েছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫২
সোনাগাজী বলেছেন:
সব নীল এখন এক যায়গায়।
সামুর উপহার পেয়েছেন?