নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
হ্যাঁ দেশে নারীদের শিক্ষার হার বাড়ছে।
আরো বাড়া উচিৎ। এখনও লাখ লাখ মেয়ে স্কুলে যায় না। ধনীদের বাসায় চাকরানীর কাজ করছে। গার্মেন্সে কাজ করছে। বহু মেয়ে রাস্তায় কাগজ টোকায়। অনেকে মেয়ে অল্প বয়সেই পতিতার খাতায় নাম লেখায়। অসহায় ও দরিদ্র পিতা মাতার মেয়েরা অতি নীচু জীবনযাপন করছে। ইহা দুঃখজনক। আর মেয়েরা শিক্ষিত হলেও, তার ফলাফল শূন্য। দেখা যায়, একটা শিক্ষিত মেয়ে বিয়ে করছে, তারপর ঘরসংসার করছে। বাচ্চা পালছে। তাহলে তার লেখাপড়া শিখে লাভটা কি হলো? সে তো দেশ বা সমাজের জন্য কোনো ভূমিকা রাখতে পারলো না। মেয়েদের লেখাপড়ার উদ্দেশ্য কি? শুধু বিয়ে, বাচ্চা উৎপাদন আর ঘরসংসার সামলানো? নো নেভার।
মেয়েদের বোরকা পরা আমার পছন্দ না।
তবে যে মেয়ের ইচ্ছা হবে বোরকা পড়বে। যে মেয়ের ইচ্ছা হবে না পড়বে না। জোরজবরদস্তি করা যাবে না। বহু মেয়ে ধর্মীয় কারনে বোরকা পরে। বহু মেয়ে আধুনিকতার জন্য রংচঙা বোরকা পড়ে। আবার বহু মেয়ে বাবা মা এবং স্বামীর চাপে পরে বোরকা পড়ছে। আবার অনেক মেয়ে ধার্মিক সাজার জন্য বোরকা পড়ছে। কেউ কেউ বোরকা পড়ে ফ্যাশন করার জন্য। কিছু মেয়ে বোরকা পরা তো দূরের কথা ওড়নাও ব্যবহার করে না। তবে আমি মনে করি, মেয়েদের স্বাধীন ভাবেই চলতে দেওয়া উচিৎ। যদি তাঁরা বিপথে যায় তখন তাদের সুন্দর কররে বুঝিয়ে বলে বিপথ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। মেয়েরা যদি নিজেদের পুরুষের কাছ থেকে লুকাতে বোরকা পড়ে ইহা লজ্জার। আসলে একটা সমাজে পুরুষরা ভালো'মানুষ' হলে বোধহয় কোনো মেয়েই বোরকা পরতো না।
বাংলাদেশে শিক্ষার মান খুব খারাপ।
এই শেখ হাসিনার আমলে শিক্ষার মান খুব বেশি নীচে নেমে গেছে। ছেলেমেয়েরা অনার্স, মাস্টার্স পাশ করেও চাকরী পাচ্ছে না। কারন, ছেলেমেয়ে গুলো শুধু পাশ করে যাচ্ছে। নিজেদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারছে না। জাতিকে শক্তিশালী করতে হলে- লেখাপড়ার বিকল্প নাই। অসহায় ও দরিদ্র নারীদের লেখাপড়া করাতে হবে। এজন্য সরকারের বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে। কত মেয়ে স্কুলে যায় না, নিজের নাম লিখতে পারে না সেই হিসাব কি সরকারের কাছে আছে? তাদের জন্য সরকারের কোনো চিন্তা ভাবনা আছে? তাঁরা কি আজীবন মানুষের বাসায় কাজ করে যাবে? সৌদি গিয়ে নিজের সর্বনাশ করবে? সরকার কি এদের কথা কোনোদিন ভাববে না?
আমার ধারনা কোনো মেয়েই শখ করে বোরকা পরে না।
পড়তে বাধ্য হয়। মেয়েরা আসলে স্বাধীন নয়। একটা মাস্টার্স পাশ করা মেয়ে পর্যন্ত একা ইন্টারভভিউ দিতে যেতে সাহস পায় না। নারীদের লেখাপড়া শিখে দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করতে হবে। তারপর ঘরসংসার। আর যদি শুধু ঘর সংসসার তাদের প্রধান চিন্তা হয়, তাহলে এত লেখাপড়ার দরকার কি? আমাদের সমাজ পারলে মেয়েদের পুরুল বানিয়ে রেখে দিতে চায়। বিশ্ব আধুনিক হয়ে গেছে কিন্তু আমাদের চিন্তা চেতনা ও মননে হাজার বছর পেছনে পরে আছি। নারীর উন্নয়ন ছাড়া জাতি কোনো দিন এগিয়ে যেতে পারবে না। তাই নারীকে লেখাপড়ার সুযোগ দিতে হবে। সব রকম স্বাধীনতা দিতে হবে। সম্মান করতে হবে। শ্রদ্ধা করতে হবে।
©somewhere in net ltd.