নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
মানুষ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে মিথ্যা বলে।
নিজেকে জাহির করার জন্য মিথ্যা বলে। মিথ্যা কথা বলার মধ্যে একটা আনন্দ আছে। আনন্দ টা হলো- 'আমি মিথ্যা বলছি' কেউ ধরতে পারছে না। সবাই সত্য বলে ধরে নিচ্ছে। এই ক্রেডিট নিতে মানুষ পছন্দ করে। এই সমাজে মসজিদের ইমাম পর্যন্ত মিথ্যা বলে। রাজনীতিবিদ মিথ্যা বলে। এই সমাজে কেউ সত্য কথা বললে বরং খটকা লাগে। কারন চারপাশে মিথ্যা শুনতে শুনতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বর্তমান যুগটা হচ্ছে মিথ্যার যুগ।
আসলে মিথ্যা দুই রকমে হয়।
সাদা মিথ্যা এবং কালো মিথ্যা। সাদা মিথ্যায় মানুষের কোনো ক্ষতি হয় না। আর কালো মিথ্যায় মানুষের ক্ষতি হয়। কাজেই বলা যেতে পারে সাদা মিথ্যায় কোনো দোষ নেই। সমাজের সব শ্রেনীর মানুষ মিথ্যা বলে। মন্ত্রী, এমপি সচিব, রিকশা চালক, চাকরিজীবী, সাংবাদিক, হকার, ছাত্র, শিক্ষক নায়ক গায়ক, লেখক সবাই মিথ্যা বলে। আপনিও মিথ্যা বলেন। মানুষের সবচেয়ে বড় খারাপ দিক হচ্ছে সত্যের সাথে মিথ্যা মিশিয়ে বলা। এই যুগের মানুষ বড় যান্ত্রিক। ধর্মও তাদের সৎ পথে আনতে পারছে না।
মিথ্যা কথাটা বলা নির্ভর করে মানুষের অভ্যাসের উপর।
দীর্ঘদিন মিথ্যা বলতে বলতে মানুষের অভ্যাস হয়ে যায়। তখন প্রয়োজন না থাকলেও মানুষ মিথ্যা বলতে থাকে। এবং বয়স যত বাড়ে মিথ্যা তত বড় হতে থাকে। তবে জ্ঞানী মানুষ অতি সহজেই মিথ্যা ধরে ফেলে। কিন্তু সেটা প্রকাশ করে না। আমার এক বন্ধু আছে। ভয়াবহ মিথ্যাবাদী। সে বলে, একবার সে সাত তলার ছাদ থেকে নীচে পড়ে গেছে তার কিচ্ছু হয়নি।
মিথ্যা হলো নেশার মতোন।
না বললে মানুষের ভালো লাগে না। যে মানুষ মিথ্যা বলে না। আমি তাদের সম্মান করি। শ্রদ্ধা করি। ভালোবাসি। গড়ে এক হিসাবে দেখা যায়- অভাবী এবং দরিদ্র মানুষ জন সবচেয়ে বেশী মিথ্যা বলে। বর্তমান যুগে সত্য কথা বললেই বিপদে পড়তে হবে। এই যুগে ভালো থাকতে হলে বোবা হয়ে যেতে হবে। সত্য কথা বলতে গেলেই সমস্যা। একজন দূর্নীতিবাজকে যদি আপনি বলেন, আপনি দূর্নীতি করে সীমাহীন টাকার মালিক হয়েছেন, তাহলে সেই দূর্নিতিবাজ আপনাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিবে।
ধর্ম গ্রন্থ গুলো বার বার বলেছে-
মিথ্যা বলা মহা পাপ। মিথ্যা কথা বলার জন্য মৃত্যুর পর কঠিন শাস্তি পেতে হবে। ধর্মীয় গ্রন্থ নিয়ে কেউ মাথায় ঘামায় না। ওয়াজ করতে গিয়ে হুজুররা প্রচুর মিথ্যা বলে। সমাজে যাদের সত্য বলা দরকার- যেমন হুজুর, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, বাবা মা ইত্যাদি মানুষ গুলোও সবচেয়ে বেশি মিথ্যা বলে। তাহলে নতুন প্রজন্ম সত্যটা শিখবে কি করে? মূলত মিথ্যাই একজন মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। জ্ঞানী লোকেরা বলেন, মানুষ তার ভাগ্য নির্মাতা। কিন্তু একজন মানুষ যখন মিথ্যা বলে, তখন সে পতিত হয়। হুমায়ূন আহমেদে এঁর কোনো এক বইতে পড়েছিলাম- জন্মের সময় মানুষ বিশাল এক আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। মানুষ যখন মিথ্যা বলতে শুরু করে তখন আত্মার ক্ষয় হতে থাকে।
০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: আর অল্প কয়েকদিন।
২| ০৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার ষ্টেটাসে সময় দেখায়?
০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: বুঝি নি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আর কতোদিন টুপি পরিয়ে রাখবে আপনাকে?