নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার গল্প

০৮ ই মে, ২০২২ রাত ১:১৩

ছবিঃ আমার তোলা।

আমার কাছে ভালোবাসার অনেক গল্প আছে।
একটা সময় ভালোবাসার গল্প গুলো আমাকে দারুন আকর্ষন করতো। দিনরাত প্রেম ভালোবাসার গল্প গুলো গিলতাম। দেশ বিদেশের বহু ভালোবাসার গল্প আমার কাছে আছে। তবে সে গুলো আমি আপনার সাথে শেয়ার করবো না। আমার নিজের জীবনে ভালোবাসার অনেক গল্প আছে। আপনাদের বলতে চাই। নিজের অতীত জীবনের গল্প বলতে অনেক ভালো লাগে।

১। তখন আমি অনেক ছোট। ক্লাশ টু'তে পড়ি।
ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। আমাদের ক্লাশে সুকন্যা নামে একটা মেয়ে পড়তো। মেয়েটা ভীষন সুন্দর। মেয়েটাকে আমার ভালো লেগে গেলো। একদিন সাহস করে মেয়েটার পাশে বসে পড়লাম। খুব অল্প সময়ে মেয়েটার সাথে আমার খাতির হয়ে গেলো। টিফিন টাইমে আমরা দুজন একসাথে টিফিন খাই। সুকন্যা তার টিফিন আমাকে খাওয়াতো। কোনোদিন নুডুলস। কোনোদিন কেক। কোনো দিন চিকেন ফ্রাই। মেয়েটাকে নিজের অজান্তেই ভালোবেসে ফেললাম। কিন্তু সুকন্যাকে আমার ভালোবাসার কথা বলতে পারলাম না। সুকন্যার বাবা পুলিশ ছিলো। বদলি হয়ে চলে গেলো বান্দরবন।

২। তখন ক্লাশ ফাইভে পড়ি।
আমাদের এলাকায় একটা মেয়ে ছিলো। মেয়েটার নাম ছিলো- রিয়া। রিয়া দেখতে অনেক সুন্দরী। এত সুন্দর মেয়ে আমি আমার জীবনের দেখি নি। আমি দূর থেকে রিয়াকে প্রতিদিন দেখি। কি যে ভালো লাগতো! একদিন রিয়াকে দেখার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। রিয়া স্কুলে যাবে। আমি দূর থেকে লুকিয়ে দেখব। এটাই আমার শান্তি। এটাই আমার আনন্দ। টানা দুই ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকলাম। রিয়ার দেখা পেলাম না। ভীষন মন খারাপ হলো আমার। রিয়া কি আজ স্কুলে যাবে না, মনে মনে ভাবছি। তখন খেয়াল হলো আজ শুক্রবার। শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকে।

৩। তখন ক্লাশ এইটে পড়ি।
শিল্পী নামের একটা মেয়েকে খুব ভালো লেগে গেলো। মেয়েটা দেখতে ভীষন মায়াবতী। সময় পেলেই শিল্পীদের বাসার সামনে ঘুরঘুর করি। সবার সাথে দেখা হয়, কিন্তু শিল্পীর সাথে আর দেখা হয় না। একদিন সাহস করে বিকেলবেলা শিল্পীদের বাসার ছাদে গেলাম। গিয়ে দেখি ছাদে শিল্পী। সাথে তার মা। আমি শিল্পীর মাকে সালাম দিলাম। শিল্পী তার মায়ের সামনেই বলল, মা এই ছেলেটা রোজ আমাদের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। কেন দাঁড়িয়ে থাকে? জিজ্ঞেস করো। শিল্পীর মা আমার দিকে কট্মট করে তাকালো। আমি দিলাম ঝেড়ে একটা দৌড়। মনে মনে শিল্পীকে বললাম, বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ছেলের ভালোবাসা থেকে তুমি নিজেকে বঞ্চিত করলে।

৪। তখন দশম শ্রেনীতে পড়ি। বিজ্ঞান শাখায়।
কমার্স এর এক মেয়েকে ভালো লেগে গেলো। মেয়েটার নাম মিশু। দেখতে ভীষন মিষ্টি। মনের মাধুরী মিশিয়ে একটা চিঠি লিখলাম। চিঠিতে কি লিখেছিলাম আজ আর মনে নাই। তবে প্রেম ভালোবাসার কোনো কথা লিখি নাই। যাইহোক, একদিন নিউ মার্কেটে মিশুর সাথে দেখা। আমি মিশু কে দেখে এগিয়ে গেলাম। বললাম, চটপটি খাবে না ফুচকা? মিশু বলল দুটাই খাবো। এইভাবে আমাদের শুরু। স্কুল শেষে আমরা পুকুর পাড়ে বসে গল্প করতাম। সময় বেশ ভালো যাচ্ছিলো। এর মধ্যে মানবিক শাখার এক মেয়ে আমাকে পছন্দ করে ফেলল। সেই মেয়ে একদিন মিশুর সাথে খুব ঝগড়া করলো। মিশু আমার কাছ থেকে দূরে চলে গেলো। এরপর আমার জীবনে এলো নীলা। নীলার গল্প অন্য একদিন বলব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.