নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আজ বিক্রমপুর গিয়েছিলাম।
একটা বিয়ের দাওয়াত ছিলো। সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। আষাঢ় মাসের মাসের তিন তারিখ। বৃষ্টি তো হবেই। আমার যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো না। শরীরটায় কয়দিন ধরে জুইত পাই না। তাছাড়া ইদানিং জার্নি করতে ভালো লাগে না। আমি না গেলে সুরভি যাবে না। দুই কন্যারও যাওয়া হবে না। অগত্যা আমাকে যেতে হলো। ছোট কন্যা ভীষন খুশি। সে বাইরে বের হলেই খুশি হয়। মাত্র দেড় ঘন্টার রাস্তা। রাস্তা বেশ উন্নত। ড্রাইভারের শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। গাড়ি চালিয়েছে বড় ভাই। সকাল ১১ টায় রওনা দিয়েছি। রাত ৮ টায় ঢাকা ফিরেছি। পথে কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। যাক পরিবার নিয়ে ঘুরে এলাম। আব্বা বেঁচে নেই। আব্বা থাকলে আরো ভালো হতো। ছবি গুলো আমার মোবাইল দিয়েই তুলেছি।
১।
ছবিতে আমার দুই কন্যা। তাঁরা দুই জনই আমার কোলে বসবে। তাঁরা দুইজনই আমার গল্প শুনতে চায়। আমি যা-ই বলি মুগ্ধ হয়ে শোনে!
২। কোনো এক কারনে ফারাজা রিকশা, সিএনজি পছন্দ করে না। তার পছন্দ গাড়ি। কন্যার যখন ১৮ বছর হবে তখন কন্যাকে একটা গাড়ি কিনে দিবো। ততদিন কি আমি বেঁচে থাকবো!!
৩। এটা আমাদের গ্রামের কবরস্থান। এখানেই আব্বাকে কবর দেওয়া হয়েছে। পরপর তিনটা কবর আমাদের। দাদা, দাদী আর আব্বা। অবশ্য আমি মারা গেলে আমাকে ঢাকাতেই কবর দেওয়া হবে।
৪। আমার এক চাচা গাছ থেকে কাঠাল সংগ্রহ করছেন। গাড়ির ব্যাকঢালা ভরতি করে কাঠাল আর আম নিয়ে এসেছি। এত এত কাঠাল আনাটা বোকামো হয়েছে।
৫। আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তা। এই রাস্তা দিয়েই দোহার যেতে হয়। পদ্মাসেতু হওয়ার কারনে আমাদের এলাকার জমির দাম ৫ গুণ বেড়েছে।
৬। একটি পুরান বাড়ির দেয়ালের অবস্থা দেখুন। দরজা জানালা কিছুই নেই। আমার ধারনা বিক্রমপুরের এটাই সবচেয়ে পুরোনো বাড়ি। যে বালাসুরে অবস্থিত।
৭। আমাদের বাড়ির উঠানে আমি আর ছোট কন্যা। উঠান টা বেশ বড়। প্রচুর গাছপালা আছে। তবে দাদার আমলের কোনো গাছ নেই।
৮। আমাদের বাড়ির প্রবেশ পথ।
৯। আমার দুই কন্যা। পরী আর ফারাজা। তাঁরা আজ বেশ আনন্দ করেছে।
১০। এবার প্রচুর কাঠাল হয়েছে। আমাদে বাড়িতে কাঁঠাল গাছ আছে মোট ৭ টা। কাঠাল আমার পছন্দ না। আমার পছন্দ আম। হিমসাগর আম।
১১। এই ছবিটা তুলেছি বালাসুর গ্রাম থেকে। আমাদের বাড়ির পাশেই এই গ্রাম।
১২। এটা আমাদের জমিদার বাড়ি। এই বাড়িতে এখন কেউ থাকে না। আমার দাদা এই বাড়িতে অল্প কিছুদিন ছিলেন। ছোট বেলায় আমি একবার এই বাড়িতে দুই রাত ছিলাম। বহু পুরোনো বাড়ি।
১৩। ভাগ্যকুল বাজার থেকে ঘোল খেলাম। খুব বিখ্যাত। খেতে দারুন।
১৪। বালাসুর গ্রামের একটি পুরোনো বাড়ি।
১৫। গাড়ি ভরতি করে কাঠাল নিয়ে এসেছি। এত কাঠাল কে খাবে? আমি তো কাঁঠাল খাই না। ঢাকা শহরে দুই শ' টাকা হলে একটা বড় কাঠাল পাওয়া যায়।
১৬। এই বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়েছি। প্রচুর মানুষ। তবে খাবার খেতে ভালো হয়েছে। প্রচুর আয়োজন করেছে। তবে আমি সামান্য খেয়েছি।
১৭। বালাসুর গ্রামের একটি পুরোনো বাড়ির দেয়ালের অবস্থা!
১৮। আমাদের জমিদার বাড়ির ঘাট। দেড় শ' বছরের পুরোনো ঘাট। ঘাট ভেঙ্গে একাকার অবস্থা! এই পুকুরে আমি স্নান করেছি।
১৯। ফারাজা সারা উঠান হেঁটে বেড়িয়েছে।
২০। এই সেই বিখ্যাত মিষ্টির দোকান। ভাগ্যকুল এলাকায়। এই দোকানের ঘোল সারা বাংলায় বিখ্যাত।
২১। এই পাখিটি মাটিতে পরে ছিলো। মনে হয় শালিক পাখি।
২২। এবার গাছে জাম্বুরাও অনেক হয়েছে।
২৩। আমাদের গ্রামের এই তিন বোন মুক্তিযোদ্ধা। পাক হানাদার বাহিনী এদের হত্যা করে চিটাগাং এলাকায়।
২৪। ফারাজা নিজ হাতে আম পেরেছে। সে ভীষন খুশি।
২৫। ফারাজা সকালে ঘুম থেকে উঠেই গ্রামে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বসে আছে। আমি বলেছি অপেক্ষা করো। চা খেয়ে বের হবো।
২৬। আমাদের একটি ছবি।
১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে একদিন আমাদের গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাবো।
২| ১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৫১
সোনাগাজী বলেছেন:
ভালো, পরিবারকে সাথে নিয়ে ঘুরে এসেছেন, ভালো।
১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১:২৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সুখী পরিবার!
সুখে থাকুন সব সময়
কন্যাদের নিয়ে।
সাথে থাকুক
তাদের মা।
১৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। দোয়া করবেন।
৪| ১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১:২৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বালাসুর পুরনো বাড়ি যেটিকে বলছেন সেটি হচ্ছে ভাগ্যকুল জমিদারদের এক অংশের বাড়ি। যদুনাথ রায়ের বাড়ি।
আপনাদের বাড়িটির আবস্থা গুগল ম্যাপে দেখতে পেলে ভালো হতো।
যাইহোক আপনার ছবি ব্লগ বেশ ভালো হয়েছে।
তবে ৩ নাম্বার সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না।
১৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ জমিদার যদুনাথ। ভাগ্যকুল হচ্ছ ইউনিয়ন। আর এলাকাটার নাম হচ্ছে বালাসুর।
গুগল ম্যাপের দরকার কি? সরাসরি চলে যান। কামার গা তেঁ আমাদের এই বাড়ি।
৫| ১৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:১২
হাবিব ইমরান বলেছেন:
অনেক ভালো লেগেছে। প্রতিটি ছবি মন দিয়ে দেখেছি। পোস্ট শেষ হয়ে যাওয়ায় খারাপ লেগেছে। আরও কয়েকটা ছবি থাকলে ভালো লাগতো।
আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা।
এঞ্জেল দুটোকে অনেক অনেক ভালোবাসা জানাবেন।
১৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: ছবি আরো বহু আছে। ফেসবুকে কিছু ছবি দিয়েছি।
৬| ১৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৩৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: কাল যখন শুনেছি গ্রামে গিয়েছেন তখন থেকেই একটা আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় ছিলাম। আশাহত হয়নি।
সরল গল্প আর ছবিগুলোর জন্য ধন্যবাদ।
১৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইসাহেব।
ভালো থাকুন।
৭| ১৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৪১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: গোবিন্দ মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে মিষ্টি আনার উপায় কি ?
১৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: সরাসরি ঢাকা গুলিস্তান থেকে বাস ছাড়ে। ভাগ্যকুল নেমে যাবেন। কাউকে বললেই দেখিয়ে দিবে। ঢাকা থেকে যেতে দেড় ঘন্টার বেশি লাগবে না।
৮| ১৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:০২
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: শুভ সময় দাদা
ছবিগুলো সত্য খুব সুন্দর হয়েছে----
১৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। কবি ।
৯| ১৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: তোমার গ্রামের বাড়ির উপর পোস্ট দেখে আমার গ্রামের বাড়ি যাওয়া নিয়ে দুই বছর আগে ফেসবুকে লেখা একটা পোস্ট শেয়ার করলাম।
১৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ অবশ্যই পড়বো।
১০| ১৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুন্দর সব ছবি ! বালাসুর যাওয়া হয় নাই । ভাগ্যকুল গেছি কিন্তু ঘোল তো খাওয়াতে পারলো না।
১৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: বালাসুর ভাগ্যকুল পাশাপাশি। ভাগ্যকুল থেকে হেঁটে গেলে ১০/১৫ মিনিট লাগবে গোবিন্দ মিষ্টির দোকান। সেখানে ঘোলের জন্যই বিখ্যাত।
১১| ১৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২৭
কালো যাদুকর বলেছেন: বাহ সুন্দর। বালাসুরে আমিও গিয়েছিলাম। ঘোল খেয়েছি। গোবিন্দর দোকানে গিয়াছিলাম দই খেতে। যেয়ে দেখি দই নেই। শেষে ঐ দোকাদের একজন সন্ধার সময় গ্রামের বাড়িতে নিজে যেয়ে দই দিয়ে এসেছে।
কন্যাদের জন্য অনেক অনেক আদর।
১৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: বালাসুর থেকে আমাদের গ্রাম খুব কাছে।
১২| ১৮ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
পরিবার নিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন।
১৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী। অবশ্যই।
১৩| ১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:১৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমাদের গ্রামের বাড়ী দোহার। দুই ফুপুর বিয়ে হয়েছে রাঢ়ীখাল। গোবিন্দতে অনেক ছোটবেলায় বাবার সাথে গিয়ে মিষ্টি খেয়েছি। অবশ্য খাওয়ার সময় একটা কাঁচের গ্লাসও ভেঙেে ফেলেছিলাম। বেশ মজার স্মৃতি আছে আমার মুন্সীগঞ্জে।
১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: দোহার আমি চিনি। গিয়েছি কয়েকবার।
আমাদের বাড়ি শ্রীনগর।
আপনি কি আলামিন বাজার চিনেন?
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৪৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাহ ! পোস্ট জুড়ে মুগ্ধতা।
আপনার এনজেল গুলো মানুষের মানুষের মতো মানুষ হউক।