নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্কুল লাইফ

২৫ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৯



আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় ছিলো স্কুল জীবনে।
আমার খুব ইচ্ছা করে স্কুল জীবনে ফিরে যেতে। কত আনন্দ করেছি, কত মজা করেছি। আমি দেখতে শুনতে ভালো। উঁচা, লম্বা। গায়ের রঙ ফর্সা। একদম হিরো ছিলাম। আমাদের স্কুলে ছেলেমেয়ে একসাথেই ছিলো। অনেক মেয়ে আমাকে পছন্দ করতো। টিফিন টাইমে তার আমাকে খাওয়াতো। একমেয়ে, আরেক মেয়ের সাথে ঝগড়া করতো আমাকে নিয়ে। আমাদের এক শিক্ষক ছিলেন, উনি ক্লাশে ঢুকেই বুলতেন- বাবা'রা লাইনে থাকিস। এক ম্যাডাম ছিলেন খুব পাতলা শাড়ি পড়তেন। ম্যাডামের ফর্সা পেট অনেকখানি দেখা যেত।

আমি লেখাপড়ায় ভালো ছিলাম।
এই জন্য স্যার ম্যাডাম আমাকে আদর করতেন। আবার কয়েকজন স্যার ম্যাডাম আমাকে একেবারে দেখতে পারতেন না। একবার দুষ্ট ছেলেদের সাথে স্কুলের ওয়াশরুমে সিগারেট খেতে গেলাম। সবাই বেঁচে গেলো আমি ধরা পরে গেলাম। আরেকবার স্কুল ফাঁকি দিয়ে এক টিকিটে দুই ছবি দেখতে গিয়ে স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে ধরা খেলাম। উফ ভয়াবহ গেছে! টিসি খেতে খেতে আল্লাহর রহমতে কোনো রকমে বেঁচে গেছি। আমাদের স্কুলে লম্বা চুল রাখা নিষেধ ছিলো। এদিকে আমার চুল ছিলো অনেক লম্বা। আমাকে অনেক বার বলা হয়েছে, চুল কাটাতে। কিন্তু আমি চুল কাটিনি। একদিন এক রাগী ম্যাডাম সবার সামনে কেচি দিয়ে আমার চুল কেটে দিলেন।

আমাদের স্কুলের সামনে এক বিশাল পুকুর ছিলো।
টিফিন টাইমে আমরা পুকুর পাড়ে আড্ডা দিতাম। একদিন আমি পুকুরে পড়ে গেলাম। জানি না সাঁতার। তখন দুই মেয়ে লাফ দিয়ে পুকুরে নেমে আমাকে বাঁচায়। সেই দুই মেয়ে আমাকে পছন্দ করতো। অথচ ওদের দিকে আমি ফিরেও তাকাতাম না। স্কুলে থাকতেই অনেক মেয়ের কাছ থেকে প্রেমের চিঠি পেয়েছি। সেই সব চিঠির উত্তর দেইনি। একবার স্কুলে লাফালাফি করতে ফিয়ে এক ম্যাডামের গায়ের উপরে পরে গিয়েছিলাম। ম্যাডাম স্কুলে নতুন এসেছিলেন। অবিবাহিতা। ম্যাডাম আমাকে খুব মেরে ছিলেন। পরের দিন শুনি ম্যাডাম রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় ছোট পেয়েছেন। আমার সাথে কেউ অন্যায় করতে আল্লাহ তাকে শাস্তি দিয়ে দেন। বহুবার পরীক্ষিত।

স্কুল জীবনটা ভালো কেটেছে।
আনন্দে কেটেছে। কোনো চিন্তা ভাবনা ছিলো না। রাজনীতি বুঝতাম না। ধর্ম বুঝতাম না। ভালো মন্দ বুঝতাম না। সহজ সরল জীবন ছিলো। আব্বা আমাকে দশ টাকা টিফিন দিতো। সেই সময় দশ টাকা অনেক টাকা। সব টাকা খেয়েও শেষ করতে পারতাম না। অহনা নামে একটা মেয়ে ছিলো। মেয়েটা ভীষন সুন্দরী ছিলো। মেয়েটার সাথে আমার ভীষন ভাব হয়েছিলো। ছুটির দিনে আমি অহনার বাসায় যেতাম। আমাদের মাঝে অনেক গল্প হতো। অহনার বাবা মা আমাকে খুব পছন্দ করতেন। এখন অহনা কোথায় আছে আমি জানি না। অহনাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫

শাওন আহমাদ বলেছেন: আপনার স্কুল জীবনের গল্প পড়ছিলাম আর আমার ভাইয়ার কথা ভাবছিলাম। আমাদের ভাইয়েদের মধ্যে ভাইয়া সবচেয়ে সুদর্শন ছিলেন। ও দেখতে একদম পাকিস্তানিদের মতো। ছোটবেলায় ওকে সবাই ইংরেজ বলতো। ওর পিছনেও স্কুলের সকল মেয়ে হুমড়ি খেয়ে পরতো। ও আপনার মতো এরকম বাঁদর ছিলো। ;)

২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি দেখতে পাকিস্তানীদের মতোণ নই। এবং আমি বাদুর ছিলাম না। হিরো ছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.