নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ গুগল।
মানুষের যখন বয়স বাড়তে থাকে-
তখন অতীত সৃতি গুলো বারে বারে চোখের সামনে ভাসতে থাকে। মানুষ আসলে কিছুই ভুলে যায় না। প্রকৃতি হুটহাট সব মনে করিয়ে দেয়। ছাত্র থাকা অবস্থায় শ্যামলীতে আমি আমার বন্ধুর মেসে যেতাম প্রতি বুধবার। আমরা সব বন্ধুরা ছাদে যেতাম রাত বারোটায়। পাশের বিল্ডিং এ স্বামী স্ত্রী লাইভ শো দেখতাম। কিন্তু বাসায় বাবা মাকে বলে যেতাম গ্রুপ স্টাডি করবো। কিসের স্টাডি, সারারাত গল্প গুজব করে পার করে দিতাম। সে গল্প আরেকদিন করবো। হ্যাঁ আজ বলব- ছোটবেলায় আমি একবার দুজনকে সেক্স করতে দেখেছিলাম। ঘটনা খুলেই বলি।
তখন আমি অনেক ছোট। আমার বয়স ৬ বছর।
ছোটবেলায় আমার প্রিয় খেলা ছিলো উঁচু দেয়ালের উপর উঠে বসে থাকা। আমাদের পাশের বাসায় একটা পাঁচ ফুট দেওয়াল ছিলো। সেই দেয়ালে উঠে আমি বসে থাকতাম। আমার সমবয়সীরা উঠতে পারতো না। এজন্য তাদের সাথে আমি খুব ভাব দেখাতাম। অবশ্য বেশ কয়েকবার দেয়াল থেকে পড়ে গিয়ে আমি ব্যথা পেয়েছিলাম। ব্যথা ভালো হলে আবার দেয়ালে উঠতাম। দেয়ালে উঠি বলে মায়ের কাছে অনেক বকা খেয়েছি। ছোটবেলায় আমি দেখতে বেশ ছিলাম।
একদিন আকাশে মেঘ করেছে। বিকেলবেলা।
আমি দেয়ালে উঠে বসেছি। হঠাত দেখি সামনের বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া এসেছে। বহুদিন এ বাসা খালি পড়েছিলো। জানালা খোলা। আমি খেলতাম দুজন নারী পুরুষ। তাঁরা ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে আছে। চুমু দিচ্ছে। পুরুষটা মেয়েটার বুকে হাত দিচ্ছে। চাপ দিচ্ছে। আমি ছোট মানুষ, কিছুই বুঝি না। কিন্তু ওদের দেখতে আমার ভীষন ভালো লাগছিলো। কলম্বাস আমেরিকা আবিস্কার করে যতটা বিস্মিত হয়েছিলেন, এরকম দৃশ্য দেখে আমি কলম্বাসের চেয়ে বহুগুন বেশী বিস্মিত হয়ে গেলাম। আমার দুনিয়া বেশ নড়াচড়া করে উঠলো।
এর মাঝে ঝুম ঝুম বৃষ্টি শুরু হলো।
বৃষ্টিতে ভিজতে থাকলাম। তবু দেয়াল থেকে নামলাম না। পুরো ঘটনা আমাকে দেখতে হবে। দুজনই জামা কাপড় সমস্ত খুলে ফেলল। আমার চোখে এখনও ভাসে মেয়েটা ভীষন ফর্সা ছিলো। ভরাট বক্ষ ছিলো। মুখটা ভীষন মায়া মায়া। তাঁরা দুজন বিছানায় শুয়ে নানান রকম দুষ্টমি করছিলো। টানা ত্রিশ মিনিট দেখলাম। আমার কান গরম হয়ে গেলো। গাল লাল হয়ে গেলো। মিথ্যা বলল না, আমি খুব এনজয় করেছি। আমি কি মন্দ কিছু দেখছি? আমার কি গুনাহ হলো? আল্লাহ কি আমাকে শাস্তি দিবেন? এরকম চিন্তা অবশ্য আমার মাথায় কিছুটা যন্ত্রনা দিচ্ছিলো।
পরেরদিন আমি ওদের বাসায় যাই। মেয়েটাকে দেখতে।
মেয়েটাকে বললাম, আমি তোমাদের পাশের বাসায় থাকি। মেয়েটা সুন্দর একটা হাসি দিয়ে বলল, তাহলে তো তুমি আমাদের প্রতিবেশী। বলো কি খাবে? আমি বললাম, ঘরে যা আছে তাই দাও। মেয়েটা ঝটপট নুডুলস রান্না করে দিলো। সবটুকু নুডুলস খেয়ে নিলাম। খুব স্বাদ হয়েছে। অথচ ঘরে আমি নুডুলস খুব একটা খাই না। মেয়েটা আমাকে বিদায় দিলো মাথায় হাত বুলিয়ে আর একটা চুমু দিয়ে। এরপর আমি ওদের বাসায় প্রায়ই যেতাম। ভালো লাগতো। এই মেয়েটা এখন বেঁচে আছে? বেঁচে থাকলে তার বয়স ৬০ তো হবেই।
©somewhere in net ltd.