নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

Trust এবং Respect

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩০



গতকাল রাতে একটা হরর মুভি দেখেছি।
মুভিটার কাহিনী এই রকমঃ একলোক তার স্ত্রীকে নিয়ে পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছেন। স্ত্রী বলল, দেখো আমার পছন্দ সমুদ্র। আর তুমি আমাকে পাহাড়ে নিয়ে এলে? স্বামী বলল, রাগ করো না সুইটহার্ট। আগামী বছর তোমাকে সমুদ্রে নিয়ে যাবো। কথা দিলাম। আমি কথা দিলে কথা রাখি। স্ত্রী বলল, ওকে। টানা পাঁচ দিন তাঁরা পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়ালো। অনেক ছবি তুললো। পাহাড়ি খাবার খেলো। অনেক মজা করলো। আদিবাসীদের কাছ থেকে তাঁরা অনেক কিছু কেনাকাটা করলো। যাইহোক, তাঁরা পাহাড় থেকে নিজেদের বাসায় ফিরে যায়। বাসায় গিয়ে দেখে তার স্ত্রী মন খারাপ করে বসে আছে। স্ত্রী বলে, তুমি আমাকে বাসায় রেখে কোথায় চলে গেলে? স্বামী তো অবাক! তাহলে সে গত পাঁচ দিন কার সাথে ঘুরে বেড়ালো? মুভি শুরু হয় এখান থেকেই। খুবই জটিল মুভি।

রাত তিনটায় মুভি শেষ করে আমি ঘুমাতে যাই।
স্ত্রী আর কন্যা গভীর ঘুমে। ঘুমন্ত স্ত্রী আর কন্যাকে চুমু খেলাম। মনে মনে বললাম, তোমাদের ভালোবাসি। চোখ বন্ধ করে বালিশে মাথা রাখলাম। আমি জানি কিছুক্ষণের মধ্যে আমি গভীর ঘুমে তলিয়ে যাবো। মুভি দেখার সময়, ফ্রাইড রাইস আর চিকেন ফ্রাই খেয়েছিলাম। নিজেই ওভেনে গরম করে নিয়েছি। এই খাবারটা খাওয়া ঠিক হয় নাই। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে। কিন্তু এখন আমার এমন অভ্যাস হয়েছে, যতক্ষন মুভি দেখব কিছু কিছু চিবাবো। বাজে অভ্যাস। যাইহোক, আজ গরম কম। বাতাস আছে। ঠান্ডা বাতাস। আমি ঘুমিয়ে গেলাম। সুন্দর ঘুম। কারন বিছানায় মাথা রেখেছি আর ঘুমিয়ে পড়তে পেরেছি। ঘুমের জন্য ছটফট করতে হয়নি। একটা স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম। স্বপ্ন দেখতে আমার ভালো লাগে। অতি সাধারণ স্বপ্ন।

ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখতে আমার বেশ লাগে।
কারন সেই সব স্বপ্ন আমি ইচ্ছা করে দেখি না। কে যেন দেখায়! যাইহোক, প্রথম স্বপ্ন দেখলাম- আমি একটা ডিঙ্গি নৌকায় করে কোথায় যেন যাচ্ছি। মাঝি আমাকে বলল, নৌকায় দাঁড়িয়ে না থেকে বসে পড়ুন স্যার। শীতল পাটি বিছানো আছে। আমি বসে পড়লাম। হঠাত আকাশ কালো হয়ে গেলো। বাতাস বইতে শুরু করলো। দেখতে দেখতে মুহুর্তের মধ্যে শুরু হলো তুফান। মাঝি বলল, আজই খবর আছে। বলেই মাঝি নদীতে ঝাঁপ দিলো। নৌকা দুলছে। যে কোনো সময় ডুবে যাবে। আমি জানি না সাঁতার। আমি মাঝির মতো নদীতে লাফ দিতে পারি না। কিন্তু আমাকে বেঁচে থাকতে হবে। আমার ছোট কন্যা আমার জন্য অপেক্ষা করে আছে। আমি বুদ্ধিমান মানুষ। আমাকে বেঁচে থাকতে হবে আমার বুদ্ধি দিয়ে। ঘুমের মধ্যেই বুঝতে পারছি আমাকে বেঁচে থাকতে হলে- স্বপ্নটা বদলে দিতে হবে।

আমি স্বপ্ন বদলে দিলাম।
নৌকায়, ঝড় তুফানের মধ্যে থেকে আমি চলে এলাম একটা বাড়ির ছাদে। অচেনা ছাদ। সেই ছাদে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটা আমাকে বলল, আপনি কে? আমি বললাম, আমি বিপদে পড়েছি- আমাকে কিছুক্ষন আপনাদের ছাদে থাকতে দিন। মেয়েটা বলল, ওকে। থাকুন। যতক্ষন খুশি। আচ্ছা, চা খাবেন? আমি বললাম, চা'য়ে না নাই। মেয়েটা হেসে ফেলল। সুন্দর হাসি। যেসব মেয়েদের দাঁতের সেটিং সুন্দর হয়, তাদের হাসি সুন্দর হয়। যাইহোক, মেয়েটা চা আনতে চলে গেলো। ঠিক তখন- ৫/৭ জন হুজুর ছাদে এলো। তাদের হাতে চাপাতি, ছুরি, রড ইত্যাদি। হুজুররা আমাকে মেরে ফেলবে। কিন্তু আমার বেঁচে থাকতে হবে। আমি মরে গেলে আমার স্ত্রী, কন্যা বড় অসহায় হয়ে পড়বে। আমি বুদ্ধিমান মানুষ। এখন আমাকে এই স্বপ্ন থেকে বের হয়ে অন্য কোনো স্বপ্নে প্রবেশ করতে হবে।

আমি স্বপ্ন ঘুরিয়ে দিলাম।
এখন আমি একটা চায়ের দোকানে বসে আছি। এক কাপ চা হাতে নিয়েছি- ঠিক তখন আমাকে ৫/৭ জন লোক মিলে ঘিরে ফেলল। তাঁরা বলল, পালানোর চেষ্টা করবেন না। আপনাকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। আমাদের সাথে থানায় চলুন। আমি বললাম, আমার অন্যায় কি? তখন একলোক আমাকে থাপ্পড় দিলো। আমি বাংলাদেশের পুলিশ ভয় পাই। এরা যদি চায় একজন নির্দোশ লোককে কঠিন মামলা দিয়ে ফাসিয়ে দিতে পারে। আবার একজন খুনীকে নিরপরাধ বলে ফুলের মালা পরাতে পারে। আমি কারাগারে চলে গেলে আমার পরিবার গভীর বিপদে পড়বে। আমার বুদ্ধি আছে। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে আমাকে পালাতে হবে। আমি স্বপ্নটা বদলে দিলাম। স্বপ্ন বদলে দেওয়ার ক্ষমতা আমার আছে। যার যেই ক্ষমতা আছে, সেই ক্ষমতা কাজে লাগানো উচিৎ।

আজ শুক্রবার।
আজ আমাদের দুটা দাওয়াত আছে। একটা দুপুরে, একটা রাতে। দুপুরেরটায় আমি গিয়েছি ফারাজাকে নিয়ে। রাতের দাওয়াতে আমি যাইনি। সুরভি গিয়েছে- পরীকে নিয়ে। সন্ধ্যায় সুরভি আয়নার সামনে সাজতে বসেছে- তখন বলল, গতকাল রাতে তোমার কি হয়েছিলো? ঘুমের মধ্যে দেখলাম খুব ছটফট করেছো। রাতে আমি ভয়ের স্বপ্ন দেখেছি- এই কথা সুরভিকে বলতে ইচ্ছা করলো না। বললাম, স্বপ্নে আমি ফুটবল খেলছিলাম। সুরভি বলল, মানে? বললাম- আমি আর্জেন্টিনার হয়ে ব্রাজিলের সাথে ফাইনাল ম্যাচ খেলছিলাম। মেসি কোনো গোল দিতে পারেনি। অথচ আমি মেসিকে গোল দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলাম দুই দুইবার। শেষে, খেলা শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে আমি একটা গোল দেই। এবং আমরা খেলা জিতে যাই। সুরভি বলল, মিথ্যা বলো না। তুমি মিথ্যা বলতে পারো না। কেন শুধু শুধু মিথ্যা বলতে যাও? তুমি অবশ্যই কোনো ভয়ের স্বপ্ন দেখেছো।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ফ্যানাটিক রাইটাপ।রিয়েলি নাইসলি রিটেন।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ গোফরান ভাই।
ভালো থাকুন।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩১

রেজাউল৮৮ বলেছেন: খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো হয় নাই, খালি পেটে ঘুমাতে গেছেন, এই জন্য এরকম হয়েছে। পর্যাপ্ত কোক বার্গার খেয়ে ঘুমাতে যাবেন।

আপনাকে বা আপনার গুরুজি কে আটকে রেখে এরকম কোন জেল এখনো পয়দা হয় নাই। পুলিশ কখনো কোন কারনে আপনাকে ধরলে তওবা করে ছেড়ে দিবে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২০

রাজীব নুর বলেছেন: রাতে কোক বার্গার খেয়ে ঘুমাবো? ডিনারে কোঁক বার্গার খাবো??

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



আগামী বছরের ভোট নিয়ে ঢাকায় কিছু চোখে পড়ছে?

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ভোট নিয়ে ব্যস্ত নেতা কর্মীরা।
সাধারন মানুষ ভোট এবং রাজনীতি নিয়ে চিন্তিত নয়। তাঁরা জানে কি হবে।

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:০৮

কামাল৮০ বলেছেন: বড় মেয়েকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করেন।নয়তো আপনি আলাদা থাকুন।ঘুমের মধ্যেই স্বপ্ন বদলান নাকি ঘুম ভেঙ্গে যায়।

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আপনি স্বপ্নে পুলিশের থাপ্পড় খেয়েছেন, আমি বাস্তবে পুলিশের লাঠির বাড়ি খেয়েছি, ছাত্র জীবনে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.