নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অল্প ভয়ের গল্প

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪



বিশেষ কারনে জায়গাটার নাম বলছি না।
আমি চাই না জায়গাটা কেউ চিনুক। কেউ সেখানে যাক। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাঁরা এখনও জীবিত। তাই নামধাম ইত্যাদি বিষয় গুলো এড়িয়ে যাবো। সবচেয়ে ভালো হয় বিষয়টা সত্য না ভেবে, গল্প ভাবলে। যাইহোক, ঘটনা শুরু করি। আমি একা ঘুরে বেড়াবার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। কোথায় যাবো, কোথায় থাকবো সেটা নিদির্ষ্ট করিনি। যেখানে ইচ্ছা চলে যাবো। আমার গৃহ শিক্ষক নিত্য স্যার একদিন বললেন, তোমার কি কখনও ঘর ছেড়ে অচেনা কোথাও যেতে ইচ্ছা করে না? যদিও স্যারকে বললাম, না যেতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু আমার খুব যেতে ইচ্ছা করে। হঠাত একদিন সময় ও সুযোগ পেয়ে গেলাম।

বাস ও নদী পথে দূরে কোথাও গেলাম।
এর আগে আমি কখনও এখানে আসিনি। সুন্দর পরিবেশ। চারিদিকে ধানি জমি। কোথাও কোথাও লম্বা খাল। খালের দুইপাশে নানান রকম গাছপালা। দূরের দিকে তাকালে মনে হয় আকাশে মিশে গেছে জমির সাথে। হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে গেলাম। সুন্দর পাকা রাস্তা। রাস্তার দুই পাশে জমি। সেই জমি কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে আমি জানি না। আমি হাঁটছি তো হাঁটছি। পথ আর শেষ হয় না। আমি বেশ ক্লান্ত হয়ে গেছি। আশেপাশে কোনো খাবারের দোকান খুঁজে পেলাম না। এমনকি কোনো বাড়িঘরও নেই। শীতের সময় বলে হয়তো লোকজন চোখে পড়লো না। বেশ শীত। দেখতে দেখতে গাঢ় কুয়াশা জমে গিয়ে চারপাশ কুয়াশাময় হয়ে গেলো।

মনে মনে ভাবছি একোন অদ্ভুত জায়গায় চলে এলাম!
ঘড়িতে সময় বিকেল পাঁচটা। এখনই চারপাশ কেমন অন্ধকার হয়ে এসেছে। হ্যাঁ জানি শীলকালে দ্রুত সন্ধ্যা নেমে আসে। এখন আমার সামান্য খাবারের দরকার। বিশ্রামের দরকার। অথচ আশেপাশে এরকম কোনো কিছু দেখছি না। মন বলছে আরো কিছু সামনে গেলে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা পাওয়া যাবে। আবার হাঁটতে শুরু করলাম। কতক্ষন হাঁটলাম জানি না। একটা ডাকবাংলো পেয়ে গেলাম। ইলেকট্রিসিটি নেই। কিন্তু ডাক বাংলোয় কেউ নেই। একদম খালি। তারপরও অনেকক্ষন ডাকাডাকি করলাম। ছোট ডাকবাংলো। মাত্র দুই রুম। দরজায় তাঁরা লাগানো। শহর থেকে এত দূরে কে আসবে? কেউ না।

বেশ শীত। শীতে চোটে হাতের আঙ্গুল বাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
অন্ধকারে ডাকবাংলোর সিড়িতে বসে আছি। এমন সময় একলোকের দেখা পাওয়া গেলো। আমি বুঝলাম এটাই ডাকবাংলোর দায়িত্বে আছে। বললাম, থাকো কোথায়? রুম খুলে দাও। আজ রাতে আমি এখানে থাকবো। এবং কিছু খাওয়ার ব্যবস্থা করো। বকশিস পাবে। লোকটা বলল, রুম খোলা যাবে না। আপনি এখান থেকে চলে যান। আমার খুব রাগ হলো। বললাম, ফাজলামো পেয়েছো। চিনো আমি কে? কানটা টেনে ছিড়ে ফেলব। বদ কোথাকার। যাও দরজা খুলো। লোকটা অনেক বিরক্তি নিয়ে রুম খুলে দিলো। রুম দেখে আমি খুব খুশি। সুন্দর সাজানো গোছানো। সবচেয়ে বড় কথা ওয়াশ রুমটা বেশ পরিস্কার।

শেষমেশ লোকটা খাবারের ব্যবস্থা করলো।
মাংস আর লাল আটার রুটি। কিসের মাংস সেটা বুঝতে পারলাম না। আমার প্রচুর ক্ষুধা লেগেছে, আমি খাবার পেয়েছি তাতেই আমি খুশি। চারপাশ অন্ধকার। একটা হারিকেন জ্বলছে। খেয়ে আমি বিছানায় গেলাম। মনে হচ্ছে আজ বেশ ভালো ঘুম হবে। হঠাত কেমন একটা গন্ধ পেলাম। এতক্ষন কোনো গন্ধ পাইনি। এবং আমার মনে হলো ঘরে আমি ছাড়াও অন্য কেউ আছে। হারিকেনের উঁচু করে ধরতেই দেখলাম- ঘরে একটা মেয়ে। কত আর বয়স হবে ২০/২২। হারিকেনের অল্প আলোতে মেয়েটাকে মায়াবতী বলেই মনে হলো। আমি মোটেও ভয় পাইনি নি। মেয়েটাকে বললাম, আমি তো ঘরের দরজা লাগিয়ে রেখেছি, তুমি ঘরে ঢুকলে কেমন করে?

মেয়েটা ভয়ে কাঁপছে। মেয়েটার জন্য মায়া হলো।
আমি বললাম, ভয়ের কিছু নেই। আমি তোমার কোনো ক্ষতি করবো না। মেয়েটা বলল, খাটের নিচে কি তাকিয়ে দেখুন। আমি হারিকেন টা নিয়ে খাটের নিচে দেখলাম। একটা লাশ। লাশটা চেয়ে আছে। লাশটার গলা কাটা। আমি মেয়েটাকে বললাম, এই লোকটা কি তোমার স্বামী? মেয়েটা মাথা নাড়লো। বললাম, তাকে কি তুমি খুন করেছো? মেয়েটা বলল, না আমি খুন করিনি। আমি কি মেয়েটার কথা বিশ্বাস করবো? মাঝে মাঝে আমার কোনো কিছুতেই ভয় লাগে না। কিন্তু আমি লজিক দাঁড় করাতে পারছি না। আমি লাশটার দিকে তাকালাম। কমপক্ষে তাকে ১২ ঘণ্টা আগে হত্যা করা হয়েছে। এবং হত্যাকান্ড শেষ করতে কমপক্ষে তিনজন লেগেছে। কেন তাকে হত্যা করা হলো? মোটিভ কি?

(দ্বিতীয় পর্ব আগামীকাল।)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: দ্বিতীয় পর্ব কি লিখা আছে।নাকি লিখতে বসে বানিয়ে বানিয়ে লিখে ফেলবেন।আবার বলবেন না যে অভিজ্ঞতা থেকে লিখছি।
পোল ছিরাতের ছবি কোথায় পেলেন।কেমন একটা গা ছম ছম করা পরিবেশ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: না লেখা নাই। লিখতে হবে। বানিয়ে বানিয়ে লিখে ফেলবো। আমার অভিজ্ঞতা কম।

পোলছিরাত দেখিয়ে আপনাকে ভয় দেখাচ্ছি।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি ঢাকা থেকে কতদুর, কোনদিকে গিয়েছিলেন?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ঢাকা থেকে ১৪৭ কিলোমিটার দূরে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেই সময় যাতায়াত ব্যস্থা উন্নত না থাকায় দেড় ঘন্টা রাস্তা যেতে সময় লেগেছিলো প্রায় নয় ঘন্টা।

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: দিলেন তো গল্পের নেশা ধরাইয়া!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: লিখে ফেলুন।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১০

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনার কন্যা কেমন আছে?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: কন্যা ভালো আছে।
দোয়া করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.