নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের শাহেদ জামাল- (ঊনপঞ্চাশ)

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৩



শাহেদ জামাল একবার গোছল শেষ করার আগেই-
বের হয়ে পড়েছিলো দরজা খুলে। সে অন্য কোনো ঘরে যায়নি। সোজা দোতলা থেকে নেমে রাস্তায় চলে গিয়েছিলো। ছোট রাস্তা থেকে একদম বড় রাস্তায়। একদম উলঙ্গ সে। রাস্তার মানুষ অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলো। ত্রিশ বছরের একটা ছেলে। এমন না যে সে পাগল। সে একজন সুস্থ সবল মানুষ। বেশ বুদ্ধিমান। দেখতে শুনতে বুদ্ধিদীপ্ত। সেদিন ছোট চাচা শাহেদকে থামালো। বলল, এই শাহেদ এই! শাহেদ নিজেকে দেখে ভীষন অবাক হলো! তার গায়ে কোনো জামা নেই। গায়ে সাবানের ফেনা লেগে আছে।

শাহেদ এই ঘটনা নিয়ে বহুদিন ভেবেছে।
ভেবে ভেবে কোনো কূলকিনারা পায়নি। এই ঘটনার অনেক বছর পর- শাহেদ 'গ্লোডেন ড্রাগন' বারে বসে ছিলো। সাথে তার তিনজন বন্ধু ছিলো। তিন বন্ধু মিলে 'ওল্ড স্মাগলার' নামে একটা মদের বোতল নিয়েছে। শাহেদ জামালের লিমিট হচ্ছে চার পেগ। চার পেগের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে শাহেদের কোনো সমস্যা হয় না। পা টলে না। কথা জড়িয়ে যায় না। কিন্তু সেদিন টানা সাত পেগ খেলে নিলো। সে টলতে টলতে কাউকে কিছু না বলে 'বার' থেকে বের হয়ে গেলো। বন্ধুরা ভেবেছিলো শাহেদ ওয়াশরুমে গিয়েছে।

শাহেদ হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছিলো তেজকুনি পাড়া।
তখন রাত এগারোটা। চারজন লোক শাহেদকে ধরলো। ভদ্রভাবে বলল, ম্যানিব্যাগ, হাতঘড়ি দিয়ে দাও। শাহেদ দিয়ে দিলো। ওরা দেখলে ম্যানিব্যাগে বেশি টাকা নেই। বেশ বিরক্ত হলো। বলল, যা ভাগ হারামজাদা। শাহেদ বলেছিলো- তাহলে আমার শার্ট প্যান্ট রেখে দাও। ওরা বলেছিলো, হারামজাদা ফাজলামো করিস? মাইর খাওয়ার আগে এখান থেকে পালা। শাহেদের বাসা কমলাপুরের দিকে। সে কমলাপুর না গিয়ে চলে গেলো ইন্দিরা রোড। দোতলা একটা বাসায় চলে গেলো। বেল টিপে দিলো। তখন রাত বারোটা।

দরজা খুললো নীলার বাবা।
বললেন, তুমি কে? এত রাতে কি চাও? শাহেদ সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। সে কিভাবে এখানে এলো সে নিজেই জানে না। এমন সময় নীলা চলে এলো। নীলার বাবা বললেন, আপদ বিদায় কর। আমি চাই না কোনো বাজে দৃশ্যের অবতারনা হোক। নীলা বলল, বাবা তুমি ভিতরে যাও। আমি দেখছি। নীলা শাহেদকে বসার ঘরে বসালো। শাহেদ বলল, স্যরি নীলা। আমি এখানে কেন এলাম আমি জানি না। আমি এখনই চলে যাচ্ছি। নীলা বলল, চুপ করে থাকো। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছো না। যাবে কি করে?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অবশেষে গোসল শেষ করার আগেই বাইরে যাওয়ার রহস্যটা উৎঘাটন করিতে পারিলাম।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা---
বেশ।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৩

চারাগাছ বলেছেন:
মাতালদের ছিনতাইকারীরা ঘাঁটাতে চায়না। ওল্ড স্মাগলার হুইস্কি না?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: হুইস্কি না।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৪

কামাল১৮ বলেছেন: সবকিছুই সে জানে,না জানার ভান করছে।আমার মদ খাওয়ার পারমিট ছিন তাই সমস্যা হতো না।বড় সমস্যা হলো পুলিশ।কিন্তু পুলিশ আমার জন্য কোন সমস্যা ছিল না।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি পুলিশে ছিলেন?

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫৮

কামাল১৮ বলেছেন: আগে একদিন বলেছি,আমি পুলিশে ছিলাম না।পুলিশ যারা চালায় সেখানে আমার পরিচিত লোক ছিল।তাছাড়া আমি অন্যায় কিছু করতাম না।পুলিশ আমার সাথে অন্যায়ভাবে কিছু করতো না।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ বলেছিলেন।
বাংলাদেশের পুলিশরা ভয়ঙ্কর হয়।

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬

চারাগাছ বলেছেন:

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: উফ আল্লাহ।

৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

চারাগাছ বলেছেন: জামাল সাহেব ভুলে তিন পেগ বেশি খেয়েছে লেমন জিন ভেবে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ওল্ড স্মগলার হচ্ছে একটা ব্র্যান্ড।
ওদের হুইস্কি আছে। আবার নানান পদের এনার্জি ডিংকও আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.