নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১১৩

২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩১

ছবিঃ আমার তোলা।

দীর্ঘদিন ধরে আনন্দময় কোনো স্বপ্ন দেখি না।
আনন্দময় একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম প্রায় সাত মাস আগে। আহ কি সুন্দর স্বপ্ন! স্বপ্নের কিছু অংশ বলা যেতে পারে। আমার ছোট কন্যাকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছি। বিশাল এক বাগান। বাগানে অনেক রকম ফলের গাছ। মেয়ে বলল, বাবা আমি আপেল খাবো। আমি একটা আপেল ছিড়ে মেয়েকে দিলাম। মেয়ে খেয়ে বলল, খুব মিষ্টি! আপেল বাগানের পেছনে ছোট একটা পাহাড়ের মতোন। সেখানে আবার ঝর্না আছে। মেয়ে বলল বাবা ঝর্নার পানি খাবো। মেয়েকে ঝর্নার পানি খাওয়ালাম। আমি নিজেও খেলাম। অতি মিষ্ট পানি। মনে হয় আর খাই। মনে মনে ভাবছি সুরভিকে সাথে করে নিয়ে এলে ভালো হতো। এই আপেল বাগান আর ঝর্না দেখলে সে মুগ্ধ হতো।

যাইহোক, গতকাল রাতে দুঃস্বপ্ন দেখেছি।
স্বপ্নে দেখি বাংলাদেশের সব নদী মরুভূমি হয়ে গেছে। দেশে কোনো মাছ নেই। নৌকা নেই। লঞ্চ নেই। তার বদলে উট দেখা যাচ্ছে। নাকি আমি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে চলে এসেছি! ধার্মিকেরা বলে বেড়াচ্ছে- আল্লাহ্‌ মহান। মানুষ নৌকা ও লঞ্চের বিকল্প উটকে মেনে নিয়েছে। আমার সিরাজদিখান যাওয়ার কথা। ধলেশ্বরী নদী নেই। এখন সেখানে ধু ধু মরুভূমি। একদিন এই নদী পদ্মানদীর মূল ধারা ছিলো। বাংলাদেশের প্রতিটা নদীর গতিপথ বদলে গেছে। উটের মালিক বলল, ঐ পাড়ে যেতে তিন শ টাকা লাগবে। আমি বললাম, কত সময় লাগবে। উটের মালিক বলল, দুই ঘণ্টার কিছু বেশি সময় লাগবে। আমি বুঝলাম মরুভূমি মানেই বিপদ। লঞ্চে যেতে চল্লিশ টাকা লাগতো। তাও সময় লাগতো মাত্র ২৫ মিনিট। সামনে ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।

বাজারে প্রতিটা জিনিসের দাম বেড়েছে।
অবশ্য এখন আমি দাম নিয়ে ভাবি না। কারন খেতে তো হবে। বিকল্প উপায় তো নাই। কাজেই হায় আফসোস করে লাভ নাই। এক কেজি চিনি ১২০ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রী বলেছেন, রমজানে চিনির দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমবে। মন্ত্রীর মহানুভবতায় আমি মুগ্ধ! যদিও মুখে একটা গালি চলে এসেছিলো প্রায়। ডিম ১৫০ টাকা ডজন। এটা পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে- যে যেভাবে পারে মানুষকে ঠকাচ্ছে। প্রতারনা করছে। এটা একটা অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামান্য একটা মশার কয়েল। প্যাকেটের গায়ে লেখা নয় ঘন্টা ধরে জ্বলবে। (৯ সংখ্যাটা অনেক বড় করে লেখা ছিলো)। সেই মশার কয়েল আমি কিনে এনেছি। নয় ঘন্টা জ্বলেনি। তিন ঘন্টা জ্বলেছে। অথচ প্যাকেটের গায়ে বড় বড় করে লেখা এক কয়েলে রাত পার। একসময় বলা হতো ফার্মের মূরগী গরীবের জন্য। এখন ফার্মের মূরগী ২৬৫ টাকা কেজি। পরিবার নিয়ে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য এখন মানুষের উচিৎ এই দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া।

শেখ হাসিনা বড় বড় কাজ নিয়ে ব্যস্ত।
বাজারের দিকে তার তাকানোর সময় নেই। তিনি তার মাথায় সেট করে নিয়েছেন- দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে চলে গেছে। দেশ প্রায় মালোশিয়াকে পেছনে ফেলে, সিঙ্গাপুর হয়ে গেছে। কিন্তু বাজারে গজব অবস্থা সেদিকে তার খেয়াল নেই। লেখাপড়ার যে বারোটা বেজে গেছে, সেদিকেও শেখ হাসিনার খেয়াল নেই। অনার্স পাশ একটা ছেলে ইংরেজিতে একটা দরখাস্ত লিখতে পারে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি যতই গলাবাজি করেন, মূলত আপনি খালেদা জিয়ার চেয়ে খুব একটা উন্নত নন। ঘটনা চক্রে আপনি যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী না হতেন তাহলে এই দেশে সামান্য একটা চাকরী হয়তো আপনি যোগাড় করতে পারতেন না। আপনি নোবেল পাবেন না। আপনি মহৎ মানুষ নন। আপনি মহৎ সেজেছেন। আপনার ভাই মোদি নোবেল পাওয়ার সম্ভবনা আপনার চেয়ে বেশি।

আশার কথা হচ্ছে বাজারে তরমুজ উঠেছে।
এবার মনে হয় তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। রাস্তায় বের হলেই দেখা যায়- প্রচুর লোক তরমুজ বিক্রি করছে। বেশ বড় সাইজের একটা তরমুজের দাম জিজ্ঞেস করলাম। দাম চাইলো ৮০০ টাকা। আমি বুকে হাত রেখে সাহস করে ৫০০ টাকা বললাম। বিক্রেতা দিলো না। আমার বেশ মন খারাপ হলো। সুরভিই তরমুজ পছন্দ করে। আমার ছোট কন্যা ফারাজা তরমুজ পছন্দ করে। মন খারাপ করে বাসায় ফিরছিলাম। দেখি মসজিদের কাছে একলোক তরমুজ বিক্রি করছে। ছোট ছোট তরমুজ ১৫০ টাকা করে। আমি দুটা কিনে নিলাম ৩০০ টা দিয়ে। বাসায় এসে দেখি তরমুজ দুটা একদম সাদা। কোনো স্বাদ নেই। একটুও মিষ্টি না। সুরভিও খেলো না। আমার কন্যাও খেলো না। আমি তরমুজ নিয়ে সামনে বসে আছি। কি করবো বুঝতে পারছি না। বিক্রেতা বলেছিলো খুব লাল হবে। চিনির মতো মিষ্টি হবে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৪০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
এখন কাঁচা তরমুজের তরকারি রান্না করে খান।

মনে রাখবেন একমাত্র ঢাকা শহরে মধুর মত মিষ্টি আমলকি পাওয়া যায়।

২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: টাকা থাকলে জেলের মধ্যে বসেও কাচ্চি বিরানী চাইলেই পাওয়া যায়।

২| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: নিত্যপণ্যের আকাশ ছোঁয়া দামে আমজনতার নাভিশ্বাস!

২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনারা এই কথা শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রীরা বিশ্বাস করবে না। অথচ আমি সত্য কথা বলেছেন।

৩| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সত্য কথা লেখেছেন
লেখেও কাজ হয় না
ভাল থাকবেন---------
রাজীব দা

২১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬

শাম্মী আক্তার বলেছেন: স্কুল ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অপরিহার্য হাতিয়ার।
https://www.mmitsoft.com/best-school-management-software-in-bangladesh/

৫| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



প্রথমে ১টা তরমুজ কিনে, উহা থেকে ১ টুকরা কেটে দেখাতে বলার দরকার ছিলো।

২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১১

রাজীব নুর বলেছেন: মিসটেক করে ফেলেছি।

৬| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৫০

কামাল১৮ বলেছেন: উটে্র নাকে কি দড়ি বাঁধা ছিলো।আমিতো হাজার হাজার নাকে দড়ি বাঁধা লোক দেখি।তারা ওয়াজ শুনত শুনতে বলে ঠিক ঠিক ঠিক।দেশে নাকে দড়ি বাঁধা লোকের সংখ্যা এতো বেশি বেড়েগেছে যে একজনের পক্ষে দেশ চালানো সম্ভব না।
দেশ চালাতে হয় একদল সম মনা লোক দিয়ে।শেখ হাসিনা দেশ চালায় আমলা ও প্রশাসক দিয়ে।দলের প্রতি তার আস্থা কম।আস্থা কম থাকার কারণ পরীক্ষিত।আলাল দুলালের বাপের মতো অবস্থা।

২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১১

রাজীব নুর বলেছেন: হুজুরদের কর্মকান্ড বিনোদনে ভরা। চার্লি চ্যাপলিনের চেয়ে ওরা বেশি বিনোদন দেয়।

৭| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৮

চারাগাছ বলেছেন:
তরমুজ বিক্রেতা ফালি করে লাল দেখিয়ে দেয়নি?
অনেক ব্যবসায়ী আবার রং মেশায় শুনেছি। সাথে মিশিয়ে হবার দ্রবণ।

২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: বিক্রেতা কেটে দেখাতে চেয়েছিলো। আমিই পাকনামি করে মানা করেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.