নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
প্রিয় কন্যা আমার-
সন্ধ্যার পর যখন তোমাকে নিয়ে হাঁটতে বের হই, তখন নিজেকে একজন সুখী মানুষ বলে মনে হয়। তোমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে আমার খুব ভালো লাগে। সেদিন তুমি বললে তোমার বাসে চড়তে ইচ্ছা করে। একটা বাসে উঠে পড়লাম। ইফতারীর পর, রাস্তায় জ্যাম নেই। মুহুর্তে রমধ্যে চলে গেলাম কাওরান বাজার। বাস থেকে নেমে চলে গেলাম বসুন্ধরা মার্কেটে। খোলামেলা মার্কেট। তুমি মনের সুখে সারা মার্কেট ঘুরে বেড়ালে। বিএফসি'র চিকেন খেলাম আমরা দুজনে। বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ১১ টা বেজে গেলো। এদিকে তোমার মা চিন্তায় শেষ। সে বেশ কয়েকবার ফোন করেছিল। আমি শুনতে পাইনি।
এখন প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর তোমাকে নিয়ে বাইরে যাচ্ছি।
বাইরে বের হলেই তুমি বলো- বাবা রিকশা। রিকশা করে আমরা অনেক দূর চলে যাই। তোমার মা বলে, ফারজাকে বাইরের কোনো খাবার দিবে না। অথচ তুমি বাইরে বের হলেই এটা সেটা খেতে চাও। আমি তোমাকে লুকিয়ে কিছু খেতে দেই। অন্যদিকে তোমার মা কখনও তোমাকে বাইরের খাবার এলাউ করে না। সে তোমাকে সোয়াবিন তেল পর্যন্ত খাওয়ায় না। একটা ডিম ভাজলেও ঘি দিয়ে ভেজে দেয়। সেই ঘি আবার আনা হয় কুষ্টিয়া থেকে। সরিষার তেল আনা হয়- সাভার থেকে। সিএসডি থেকে তোমার জন্য আনা হয় মাছ, মাংস ডিম। আমি যখন ছোট ছিলাম আমার বাবা মা খাবার নিয়ে এত বাছাবাছি করতো না।
ফারাজা প্রিয় কন্যা আমার-
আমার ইচ্ছা করে এখনই তোমাকে কোনো স্কুলে ভরতি করিয়ে দেই। ইউনিফর্ম পড়ে তুমি স্কুলে যাবে। তুমি সব কথা বলতে পারো। দুই একটা ছড়া কবিতাও শিখে গেছো। এখন তোমাকে স্কুলে ভরতি নিবে না। কারন তোমার এখনও তিন বছর হয়নি। মাত্র দুই বছর চার মাস চলছে। তোমার বড় বোন পরীর সাথে তোমার কোনো মিল নেই। সে উত্তর মেরু, তুমি দক্ষিন মেরু। তোমার বড় বোন পরী পড়ালেখা ছাড়া কিচ্ছু বুঝে না। সে কোথাও যেতে চায় না, তার লেখাপড়া ক্ষতি হবে বলে। সে রোজা রাখে, মাথায় হিজাব পড়ে। আর কিছুদিন পর সে কোরআন খতম দেবে। অন্যদিকে সে স্কুলে ভালো রেজাল্ট করছে।
ফারাজা তাবাসসুম খান-
সেদিন তোমাকে একটা পুতুল কিনে দিয়েছি। এই নিয়ে তোমার পুতুলের সংখ্যা নয়। প্রতিটা পুতুলের তুমি নাম রেখেছো। পিংকু, অরু, চিকু, চিপ্পু ইত্যাদি। পুতুলের এরকম নাম তুমি কেন দিলে আমি জানি না। আমার সাথে বাইরে গেলে সাথে করে অরুকে নিয়ে যাচ্ছো। এযুগের সব বাচ্চাদের প্রিয় খেলনা হচ্ছে মোবাইল। তাঁরা মোবাইলে হাতে নিয়ে টিকটক, ইউটউব চালাতে পারে। প্রায় সব মা বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় ইউটিউবে বাংলা রাইম ছেড়ে দেন। তাহলে বাচ্চাদের খাওয়ানো কিছুটা সহজ হয়। আমি খেয়াল করে দেখেছি, তুমি ইউটিউবে কার্টুন গুলো মুগ্ধ হয়ে দেখো। কিন্তু মোবাইল বাচ্চাদের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর।
প্রিয় ফারাজা-
লেখা এখানেই শেষ করছি। রমজান মাস চলছে। আর কিছুক্ষন পর ইফতারীর সময় এসে যাবে। আমাদের বাসায় ইফতারী বানানো হয়। তবু কিছু কিছু আইটেম দোকান থেকে কিনে আনতে হয়। বাসার বানানো হালিম আমার ভালো লাগে না। বাসার বানানো চিকেন ফ্রাই টাও আমার ভালো লাগে না। তুমি প্রতিদিন আমাদের সাথে ইফতার খেতে বসো। তোমাকে একটা প্লেটে সব কিছু সাজিয়ে দেওয়া হয়। তোমার যেটা পছন্দ সেটা তুমি খাও। আমি আর তুমি পাশাপাশি বসে ইফতারী করি। বড় ভালো লাগে। আমি আরো ২৫ বছর তোমার পাশে বসে ইফতারী করতে চাই। আল্লাহ কি আমার আশা পূরন করবেন?
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: এরকমই তো হয়। হচ্ছে।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩০
জিনাত নাজিয়া বলেছেন: একটা করে দিন যায়,আর আমরা ও আস্তেধীরে সন্তানের কাছ থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়ে পরতে থাকি। ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমি কখনও বিচ্ছিন্ন হবো না। যতদিন বেঁচে আছি।
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩০
কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহ কারো আশা পূরন করে না।নিজের চেষ্টায় নিজের আশা পূর্ণ করতে হয়।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ জানি।
আমি কথার কথা বলেছি।
ইউটিউবে কিছু নতুন ভিডিও দিয়েছি। দেখেছেন?
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৬:৫০
কামাল১৮ বলেছেন: মেয়েকে নিয়ে রিকশায় সাধানে বসবেন।আমার চোখের সামনে রিকশা থেকে পড়ে যেতে দেখছি।সামনের রিকশার সাথে যখন ধাক্কা লাগে তখন অনেকে পড়ে যায়।না চড়াই ভালো।রিকশা কোন নিরাপদ বাহন না।আমি নিজে কয়েকবার রিকশা থেকে পড়ে গেছি।তখন রাস্তা একেবারেই ফাঁকা ছিলো রিকশা খুব জোরে চলতো।হটাৎ ব্রেক করলেই পড়ে যেতাম।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
ইদানিং তো আবার রিকশা পা দিয়ে পেডেল দিতে হয় না। ব্যাটারি চালিত ইঞ্জিন লাগিয়েছে। তুফানের মতো রিকসা চলে। সরকারের নিশেধ আছে ব্যাটার চালিত রিকশা রাস্তায় নামানো। কে শুনে কার কথা।
আমি সাবধান থাকবো।
৫| ১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: কন্যাকে নিয়ে খুব সুন্দর দিনলিপি লিখেছেন। + +
এগুলো সে বড় হয়ে পড়বে আর মুগ্ধ হবে।
আমিও মুগ্ধ হ'লাম।
১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। দেরীতে হলেও খুঁজে আপনি আমার এই সিরিজটি নিয়মিত পড়েন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২৬
মৌন পাঠক বলেছেন: মেয়েরা বড় হয়ে যায়
আমরা বুড়িয়ে