নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আজ আমার লেখার ইচ্ছা ছিলো শিশুদের নিয়ে।
স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে একটা শিশুকে পৃথিবীতে নিয়ে আসেন। সেই শিশু কিভাবে বড় হচ্ছে? কার কাছে বড় হচ্ছে? দেখা যায়- শিশু বড় হচ্ছে কাজের লোকের কাছে। সেই কাজের মেয়ে শিশুকে কি সময় মতো খাওয়াচ্ছে? সঠিক ভাবে খাওয়াচ্ছে? সময় মতো গোছল করাচ্ছে? সঠিক ভাবে গোছল করাচ্ছে? ডায়পার সময় মতো বদলে দিচ্ছে? একজন মা যেভাবে তাঁরা সন্তানকে লালন পালন করবেন, কাজের লোক কি সেভাবে লালন পালন করবে? আমার কথা হলো- যদি শিশুকে কাজের লোকের কাছেই ছেড়ে দেন, তাহলে শিশুকে দুনিয়াতে আনার দরকার কি ছিলো? কাজের লোক সঠিক ভাবে শিশুকে লালনপালন করে না। শিশুর অনেক কষ্ট হয়। এই বিষয় নিয়ে আজ আমার লেখার ইচ্ছা ছিলো না। অথচ আজ আমাকে লিখতে হবে অন্য একটি বিষয় নিয়ে।
বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি 'চাঁদগাজী'র বিরুদ্ধে অনেকেই লিখছেন।
ইনিয়ে বিনিয়ে নানান কথাবার্তা। এই লেখা গুলোতে অনেকে আবার কুৎসিত মন্তব্য করে বেড়াচ্ছেন। একজন মানুষকে যত রকম ভাবে 'হেয়' করা যায়, করছেন। যেহেতু আপনারা তার বিপক্ষে লিখছেন তাই আমাকে তার পক্ষে লিখতে হচ্ছে। আপনারদের কর্মকান্ড দেখে মনে হচ্ছে- আপনার তার গলা টিপে মেরে ফেলতে পারলে খুশি হতেন। অথচ দেখুন উনি একজন সম্মানিত মানুষ। শিক্ষিত মানুষ। রুচিশীল মানুষ। পিএইচডি করা মানুষ। জ্ঞানী মানুষ। ভালো মানুষ। নিরপেক্ষ মানুষ। সবচেয়ে বড় কথা উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। এই সম্মান দিচ্ছেন আপনারা একজন মুক্তিযোদ্ধা কে? এই আপনাদের শিক্ষা? এই আপনাদের রুচি? এই শিক্ষা আর রুচি কি পরিবার থেকে পেয়েছেন? আপনাদের কর্মকান্ড দেখে বিনা দ্বিধায় বলা যায়- মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব নয়। প্লীজ থামুন। এবার থামুন। অনেক হয়েছে। নিজের মাথা ও বিবেক খাটান। আগেই চিলের পেছনে ছুটবেন না।
জুল ভার্ন নিজের ইচ্ছায় ব্লগ ছেড়েছেন।
এর আগেও উনি অনেকবার ব্লগ ছেড়েছেন। আমি উনাকে শ্রদ্ধা করি। উনি আবার ফিরে আসবেন। উনি চিরতরে যাননি। উনি তার ব্যবসার কাজে অনেক ব্যস্ত। তাই গেছেন। উনি এখন ঢাকায় নেই। ব্যবসার কাজে অনেক ছোটাছোটি করতে হচ্ছে। জুল ভার্ন বাচ্চা মানুষ নন। উনি বয়সে চাঁদগাজীর সমান হবেন। কাজেই উনি যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেন বুঝেই নিয়েছেন। এখানে চাঁগাজীর উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া অন্যায়। ধরুন, আমি ব্লগ ছেড়ে চলে গেলাম। যাওয়ার আগে 'কাল্পনিক ভালোবাসা'র নাম বলে গেলাম। এখন কি আপনারা কাল্পনিক ভালোবাসাকে গাল মন্দ করবেন? করাটা ঠিক হবে? একজন লোককে খুন করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলো। ডাক্তার বলে দিলেন লোকটা বাঁচবে না। পুলিশ লোকটা জিজ্ঞেস করলো- বলুন আপনাকে কে খুন করেছে? তখন সেই লোকটা যার নাম মুখে নিবে পুলিশ তাকেই গ্রেফতার করবে। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবে। এখন আইন বদলে গেছে মৃত পযাত্রীর কথা মতো লোককে ধরা হয় না। এই বিষয়টা নিয়ে বেশ কিছু বই আছে। চাইলে পড়তে পারেন।
দেখুন আমরা সবাই বাঙ্গালী।
হয়তো কর্মের খাতিরে একেকজন একেক জায়গায় থাকি। সময় পেলে সামুতে আসি। নিজের মনের কথা লিখি। ব্যস শেষ। এখানে কেউ কারো শত্রু নয়। কিন্তু আপনাদের আচরণ দেখলে মনে হয়- আপনাদের একমাত্র শত্রু চাঁদগাজী। তাকে শেষ করে দিতে হবে। জঙ্গীদের মতো আচরণ করছেন আপনারা। তাকে সরিয়ে দিতে হবে। শেষ করতে হবে। নইলে শান্তি নাই। তাঁরা 'চাঁদগাজী' নিকটা খেয়েছেন, তাতে কি আপনাদের পেট ভরেনি? যারা এই রকম নোংরা খেলায় মেতেছেন, তাঁরা বোকার স্বর্গে আছেন। দেখুন, এইসব বাদ দিন। নিজে ভালো থাকুন। অন্যকে ভালো থাকতে দিন। এই সামুতে অনেক ভালো ব্লগার আছেন। তাদের কাছ থেকে কিছু শিখুন। চাঁদগাজীকে বহু বছর ধরে দেখছি। তাকে আক্রমণ করা এখন একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি মডারেটর স্যারকে বলতে চাই- দয়া করে একটু নড়াচড়া দেন। শুধু দুই একটা কমেন্ট মুছে দিলে হবে না। যারা ভুল করছে, তাদের কানে হাত দিয়ে ভুলটা ধরিয়ে দেন। ব্লগটিম যদি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন, তাহলে চাঁদগাজীর সর্বনাশ কেউ করতে পারবে না।
চাঁদগাজী মানুষটা বুদ্ধিমান।
সহজ সসরল একজন মানুষ। সামুতে তাঁর দরকার আছে। তিনি দূরদেশে থাকলে নিজ দেশকে ভালোবাসেন। দেশের কোনো বিপদ হলে তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন। অস্থির হয়ে পড়েন। নতুন ব্লগাররা তার সম্পর্কে কিছু জানেন না। কিন্তু পুরাতন ব্লগাররা তাকে শ্রদ্ধা করেন। পুরাতন ব্লগাররা এখন ব্লগে না আসলেও তাঁরা চাঁদগাজীর খোজ খবর রাখেন। চাঁদগাজী ব্লগিং ভালোবাসেন বলেই, ব্লগারদের ভালোবাসেন। এজন্যই জানতে চান- আপনি কি করছেন? কোথায় আছেন? ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা কোনো অন্যায় না। স্বাভাবিক বিষয়। এটাকে 'ব্যাক্তি আক্রমণ' বলে চালাচ্ছেন কেন? কাজেই দয়া করে তার সাথে লাগতে আসবেন না। পারবেন না। তার অবস্থান, যোগ্যতা ও দক্ষতা সম্পর্কে আপনাদের কোনো ধারনা নেই। তাকে নিয়ে যারা বাজে কথা বলছেন, তাঁরা তার ব্যাক্তিত্বের কাছে অতি তুচ্ছ। প্রিয় মডারেটর যারা এই মহৎ ও গুরুত্বপূর্ন ব্লগারকে 'হেয়' করছে তাদের থামান।
আমি এখন বাইরে যাচ্ছি।
ইফতার ও ডিনারের দাওয়াত আছে। ফিরতে রাত হবে। ফিরে এসে আপনাদের মন্তব্যের উত্তর দিবো। দয়া করে কেউ কটূ মন্তব্য করবেন না। প্লীজ। শুনুন ভাইসাহেব আমরা মানুষ। ফেরেশতা নই। আমাদের কিছু ভুল ত্রুটি হতে পারে। সেটা ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখতে হবে। জানেন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় অস্ত্র কি? আমি বলে দিচ্ছি- 'জ্ঞান' ও 'ভালোবাসা'। জ্ঞান ও ভালোবাসার চেয়ে সুন্দর কিছু দুনিয়াতে আর নেই। জ্ঞান ও ভালোবাসা হচ্ছে- স্বচ্ছ ও পবিত্র। জ্ঞান আপনাকে মহৎ করবে, একজন সত্যিকারের 'মানুষ' বানাবে আর ভালোবাসা আপনাকে সহজ সরল সুন্দর জীবন দিবে। তাই জ্ঞান অর্জন করুণ। এবং মানুষকে ভালোবাসুন। আপনি যদি আপনার শত্রুকেও দিনের পর দিন ভালোবেসে যান দেখবেন, একদিন শত্রু এসে আপনার ভালোবাসার কাছে হার মানবে। তাই মানুষকে ভালোবাসুন। আপনি প্রমান দিন আপনি সৃষ্টির সেরা জীব।
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২১
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আমিও এখন মাঝে মাঝে ভাবি ব্লগে আর লেখবো না লেখে কি হবে
লেখার থেকে সুসম্পক রাখাই ভাল, প্রায় ১০ বছর ধরে এই লাইনে আছি
থেকে কি পেলাম কিছু না কেউ বলে কি লেখেন কিছু বুঝি না আবার
চিনা নেই জানাই নেই গাও পারে বাজে কমেন্ট করে; রাজীব দা ভাল থাকবেন
৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৪
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আমিও এখন মাঝে মাঝে ভাবি ব্লগে আর লেখবো না লেখে কি হবে
লেখার থেকে সুসম্পক রাখাই ভাল, প্রায় ১০ বছর ধরে এই লাইনে আছি
থেকে কি পেলাম কিছু না কেউ বলে কি লেখেন কিছু বুঝি না আবার
চিনা নেই জানাই নেই গাও পারে বাজে কমেন্ট করে; রাজীব দা ভাল থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮
কিরকুট বলেছেন: একটা বিরক্তকর অবস্থা ।