নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
একলোক ইফতারি কিনতে গিয়েছেন।
সঙ্গে তার আড়াই বছরের কন্যা। ইফতারি কেনার সময় এক বোরখা পড়া মহিলা এসে সাহায্য চাইলেন। ভদ্রলোক গেলেন রেগে। বললেন, যেখানেই যাই- কেউ না কেউ এসে হাত পাতে। সকালে মাছের বাজারে গিয়েছি, সেখানে একজন এসে সাহায্য চাইলো। যেখানেই যাই কেউ না কেই এসে সাহায্য চায়। বাসা থেকে হেঁটে দশ মিনিট গেলে অন্তত ৭ জন ভিক্ষুক হাত পাতে। আমি কয়জন কে সাহায্য করবো? আমারও তো একটা লিমিট আছে। একটা বাজেট আছে। দেশ না উন্নয়নের মহাসড়কে তাহলে এতে এত ভিক্ষুক কেন চারিদিকে? যেখানেই যাও কেউ না কেউ এসে হাত পাতবেই। কারো বাবা অসুস্থ, কারো মা। বাবা মায়ের বয়স হলে নানান রকম শারীরিক জটিলতা দেখা দিবেই।
রমজান মাসে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়।
আমাদের এলাকায় এক মহিলা আছেন। সে কোনো কাজ করে না। মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়। যদি বলা হয়, তুমি কাজ করো না কেন? বলে আমি অসুস্থ। সেই মহিলাকে আমি চার বছর ধরে দেখছি। একজন মানুষ কি চার বছর ধরে অসুস্থ থাকে? রমজান মাস এলেই মহিলা কেমন পাগল পাগল হয়ে আয়। আজ দেখলাম মহিলা একলোকের পেছনে দৌড়াচ্ছে টাকার জন্য। এই মহিলা কোনোদিন কাজ করবে না। যতদিন বাঁচবেন এভাবে তার যাবে ভিক্ষা করে করে। একজন বললেন, এই মহিলা এবারে দুই লাখ টাকা টার্গেট নিয়েছেন। এই রমজানে সে দুই লাখ টাকা সংগ্রহ করবেন। আমার ধারনা এই মহিলা যেভাবে মানুষকে ধরে সে তার টার্গেট পুরো করতে পারবে।
বাংলাদেশ একটা দরিদ্র দেশ।
এই দেশের বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র। বেশির ভাগ মানুষের পিতা মাতা অসুস্থ। তাদের টাকার দরকার। অনেক টাকা। এমন কেউ নেই যার টাকার দরকার নেই। এই সমাজে বহু লোক আছে মিথ্যা বলে টাকা নেয়। আমার বাবা অসুস্থ, আমার মা অসুস্থ। আমি অসুস্থ। চারিদিকে মিথ্যাবাদী ও প্রতারক দিয়ে ভরা। বিজ্ঞান যত উন্নত হয়েছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতারকরা নিজের স্টাইল বদলে নিয়েছে। যে করেই হোক টাকা আদায় করতে হবে। মানুষের কাছ থেকে নিতে হবে। প্রয়োজনে বাপ মায়ের অসুস্থতার কথা বলা হলেও। কারো কাছে হাত পাতা ভালো কাজ নয়। বরং মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ইনকাম করা অনেক বেশি আনন্দের। রিকশা চালান, মাটি কাটুন, গার্মেন্সে কাজ করুণ। কিন্তু কারো কাছে হাত পাতা ভালো নয়। আমি অনেক কঠিন সময় পার করেছি কিন্তু আমার জীবনে আমি কোনদিন কারো কাছে হাত পাতি নাই।
আপনাকে কেন সাহায্য করবো? আপনি কে?
আপনি যে নেশাখোর না তার প্রমান কি? আপনাকে টাকা দলে আপনি যে নেশা করবেন না তার প্রমান কি? আপনি যে জুয়া খেলবেন না তাঁরা প্রমান কি? আজকাল চতুর লোকজন সব জাগায় এসে হাত পাতে। ব্লগ, ফেসবুকও বাদ দেয় না। আমার নিজের টাকার দরকার আমি তো কোনোদিন কারো কাছে হাত পাতিনি। আপনাকে কেউ টাকা দিবে না। দেওয়াটা সঠিক কাজ হবে না। আপনি মানুষের কাছে কাজ চাইতে পারেন, টাকা নয়। শুনুন টাকা কেউ কাউকে দেয় না। টাকা ইনকাম করতে হয়। হ্যাঁ মানুষ ভিক্ষা দেয়। রমজান মাসে জাকাত ফেতরা দেয়। আর দেয় লোন। যা একটা সময়ে পরিশোধ করতে হয়। অজানা অচেনা মানুষকে কেউ টাকা দেয় না। দেয়া ঠিকও না। আমার পরিচিত কমপক্ষে ৫০ জন অসহায় ও দরিদ্র লোক আছে, আমি সাহায্য দিলে তাদের দিবো। নানান কাহিনী বলে, বাসে, লঞ্চে, ফেরীঘাটে, রাস্তায় বহু লোক এসে হাত পাতে। তাদের দশ টাকা বা একশ' টাকা ভিক্ষা দেওয়া যায়। কিন্তু আপনি বলছেন, আপনার অনেক টাকার দরকার। অনেক টাকা তো আমি দিতে পারবো না।
যাইহোক, যেহেতু আপনার বাবা অসুস্থ।
তাই সরকারী হাসপাতালে যান। চিকিৎসা করান। সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসা মান এখন বেশ উন্নত করা হয়েছে। লাখ লাখ দরিদ্র মানুষ সরকারী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। আর আপনি 'কাজ' করুণ। কাজ করলে টাকা পাবেন। সেই টাকা দিয়ে খেয়েপড়ে বেঁচে থাকুন। সহজ সরল সত্য কথা হলো- যেহেতু আপনি লেখাপড়া করেননি, নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলেননি, তাই আপনাকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে। মানুষের কাছে হাত পেতে পেতে আপনাকে আজীবন চলতে হবে। আর যদি আপনি পরিশ্রমী মানুষ হোন, তাহলে কাজ করুণ। অন্তত মোটামোটি খেয়েপড়ে বেঁচে থাকতে পারবেন। আপনি যদি সৎ এবং পরিশ্রমী মানুষ হতেন, তাহলে কারো কাছে হাত পাততেন না। দেখুন, রিকশা চালাচ্ছে তবু কারো কাছে হাত পাতে না। রাস্তায় সবজি বিক্রি করছে, তবু কারো আকছে হাত পাতে না।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:২৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
মহানবী (সা) আসল দরিদ্র মানুষ চেনার একটা উপায় বলে গিয়েছেন।
যাদের চাপা ভাঙ্গা এবং মুখ মাংসল নয়, চিকন, এরকম দরিদ্র লোক যদি আপনার কাছে আসে, তাহলে, তাঁকে সাহায্য করতে কুণ্ঠা বোধ করবেন না।