নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ইফতারীর পর আমি আর সুরভি গেলাম একটা রেস্টুরেন্টে।
ভাবলাম বিরানী খাবো। রাস্তায় সব সময়ের মতো জ্যাম। রেস্টুরেন্টে বসার পর ওয়েটার নিষ্ঠুর ভাবে বলল, বসে খাওয়া যাবে না। পানি নাই। পার্সেল নিয়ে যান। বাসায় গিয়ে খান। বললাম, বাসায় তো প্রতিদিনই খাই। রেস্টুরেন্টে তো আর প্রতিদিন খাই না। আরো অনেকেই দেখলাম রেস্টুরেন্টে এসে ফিরত চলে যাচ্ছে।
ছেলেটার নাম কামাল।
কামাল ভাইকে খুব অনুরোধ করলাম। সারাদিন রোজা রেখেছি। আমরা অনেক ক্ষুধার্ত। ইফতারীতে কিছু খাইনি, তোমাদের রেস্টুরেন্টে খাবো বলে। তোমাদের রেস্টুরেন্টের অনেক সুনাম শুনে এসেছি। ৫০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে এসেছি। আবার ৫০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে ফিরে যেতে হবে। কামাল কি করবে বুঝতে পারছে না।
কামালের দয়া হলো।
সে পানির ব্যবস্থা করে দুটা প্লেট ধুয়ে আমাদের খাবার দিলো। ঠান্ডা তেহারী। এই তেহারীকে দশে চার এর বেশি দেওয়া যাবে না। আমাদের ইচ্ছা ছিলো পোলাও আর গরুর চাপ খাবো। যাইহোক, ঠান্ডা তেহারি আমি আর সুরভি হাসি মুখে খেয়ে নিলাম। পাচ শ' টাকা বিল দিলাম। মনে হলো তিন শ' টাকা বেশি নিলো। এর আগেই এখানে খেয়েছি, ঠান্ডা তেহারী দিয়েছে। ঘটনা কি?
এরপর সুরভি আর আমি রাস্তায় দাড়িয়ে বাচ্চাদের মতো মাচো আইসক্রিম খেলাম।
অনেকদিন পর সুযোগ পাওয়া গেছে। কন্য্য গেছে তার চাচা চাচীর সাথে পূবাইল। আমি আর সুরভি কিছুক্ষণ হাটাহাটি করে, তারপর রিকশায় করে বাসায় চলে এলাম। ইচ্ছা ছিলো মার্কেটে যাবো। কিন্তু চারিদিকে ভিড়, তার উপর প্রচন্ড গরম। ভিড় ও গরম ছাড়াও চারিদিকে এক ধরনের আনন্দ বিরাজ করছে। এবং সবাই ব্যস্ত। সামনে ঈদ।
©somewhere in net ltd.