নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাওয়া গিয়ে ইলিশ খাওয়া

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪৭


ছবিঃ আমার তোলা।

এখন খুব সহজেই মাওয়া যাওয়া যায়।
কি সুন্দর রাস্তা হয়েছে। সময়ও অনেক কম লাগে। ঢাকাবাসী এখন খুব সহজেই মাওয়া যেতে পারে। ঢাকার লোকজন সময় পেলেই বন্ধু বান্ধব নিয়ে মাওয়া চলে যায়। ওখানে যাওয়ার প্রধান কারন হচ্ছে ইলিশ মাছ। লোকজন আগ্রহ নিয়ে দাম দিয়ে কিনে ইলিশ মাছ খায়। ঢাকায় যে ইলিশ পাওয়া যায়, মাওয়াতেও একই ইলিশ। কোনো প্রার্থক্য নেই। মাওয়া ফেরি ঘাটের ইলিশের স্বাদ বেশি না। বরং সেই ইলিশের মান ঢাকা থেকেও অনেক কম।

মাওয়ার লোকজন ঢাকা এসে ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে যায়।
আর আমরা ঢাকা থেকে মাওয়া গিয়ে ইলিশ মাছ খাই। কত বোকা আমরা! ঢাকা থেকে এত এত লোক যায় যে তাঁরা এখন সেখানে বিশাল ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। সেখানে একটা হোটেলও উন্নিত নয়। নয় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। সারাক্ষণ ধুলো ময়লা উড়ছে। তবু প্রতিদিন সেখানে প্রচুর লোক যাচ্ছে। আমি নিজেও অনেকবার গিয়েছি। আস্তো ইলিশ মাছ কিনতে হয়। কেনার পর সেটা তাঁরা কেটেকুটে ভেজে দেয়। বললে লেজের অংশটা ভরতা বানিয়ে দেয়। বাসায় যেভাবে মাছ পরিস্কার হয়, মাওয়ার হোটেলে সেভাবে মাছ পরিস্কার করে না।

মাওয়াতে ইলিশের দাম ঢাকার থেকেও অনেক বেশি।
লোকজন অযথা সেখানে যায়। দাম দিয়ে ইলিশ কিনে খায়। সেই ইলিশের স্বাদ নেই। কিন্তু বাঙ্গালীরা হুজুগে মেতে থাকতে পছন্দ করে। ভাবটা এরকম- ওরা মাওয়া গেছে, এখন আমাদেরও যেতে হবে। এই হচ্ছে মানুষের মানসিকতা। এই সুযোগটাই নিচ্ছে সেখানকার ব্যবসায়ীরা। সেখানে অনেক হোটেল গড়ে উঠেছে। তাদের ব্যবসা রমরমা। দল বেঁধে লোকজন মাওয়া যাচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছে। ছবি তুলছে। টিকটক করছে। এটাই তাদের মজা।

আমার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ।
আমার গ্রামের বাড়ি শ্রীনগর থেকে মাওয়া যেতে সময় লাগে বিশ মিনিট। কিছু কিছু মুভি আছে একবার দেখার মতো। ঠিক সেভাবে অভিজ্ঞতার জন্য আপনি একবার মাওয়া যেতে পারেন। ইলিশ মাছ খেয়ে দেখতে পারেন। এক হাজার টাকা দিয়ে ইলিশ মাছ কিনবেন। ওরা কেটে, ধুয়ে ভেজে দেবে। নিজেই পরখ করে দেখুন। আমার ধারনা একবার মাওয়া গিয়ে ইলিশ মাছ খাওয়ার পর আপনার আর মাওয়া গিয়ে ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছা করবে না। নিজের বাসায় আরাম করে বসে যেভাবে খাবেন, সেটা মাওয়া গিয়ে পাবেন না। অযথা কিছু টাকা নষ্ট হবে। এভাবে টাকা নষ্ট করার কোনো মানে হয় না।

সবচেয়ে ভালো হয়-
আপনি নিজে বাজার থেকে নয় শ' গ্রাম একটা ইলিশ মাছ কিনুন এক হাজার টাকা দিয়ে। তাঁরপর সেটা পরিবারের সবাইকে নিয়ে রান্না করে খান। কিছু ভাঁজা খাবেন। অনেক ভালো লাগবে, অনেক আনন্দ পাবেন। ইলিশ মাছ খুব সুস্বাদু মাছ। ইলিশ মাছের ডিম তো অসাধারণ। আমি মাওয়া গিয়ে ইলিশ মাছ খাওয়ার পক্ষে নই। এটা এক ধরনের বিলাসিতা। দরিদ্র দেশে বিলাসিতা করা অন্যায়। সরকারের উচিৎ মাওয়াতে থাকা রেস্টুরেন্ট গুলোর জরিমানা করা। তাহলে ওরা ওদের খাবারের মান ভালো করবে। তাতে জনসাধারন লাভবান হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

অধীতি বলেছেন: মাওয়ার ইলিশ ধোঁকাবাজি।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২১

রাজীব নুর বলেছেন: একদম সঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.