নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যানন্দ

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬


ছবিঃ আমার তোলা।

বিদ্যানন্দের ব্যাপারে আমার পর্যবেক্ষণ বলছি।
তার আগে আপনাদের শেক্সপিয়ার রচিত 'কিং লিয়ার' নাটকের হাস্যকর এবং কুটিল ভালোবাসা প্রকাশের টেকনোলজি সম্পর্কে মনে করিয়ে দিচ্ছি। অশীতিপর বৃদ্ধ রাজা লিয়ার অবসরে যাবেন এবং সমস্ত সম্পদরাজি তার তিন মেয়ের মাঝে ভাগ করে দেবেন। কিন্তু তিনি একটি জাকালো এবং জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন যেখানে তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেন তার মেয়েরা তাকে কেমন ভালোবাসে তা তারা সবার সামনে বিস্তারিত বলবে। সুযোগ পেয়ে সাপের মত কূটিল এবং শেয়ালের মত ধূর্ত বড় দুই কন্যা অনেক বড় বড় উপমা দিয়ে বর্ণনা করল তারা কত কত ভাবে বাবাকে ভালোবাসে।

মানব মন সম্পর্কে অজ্ঞ রাজা জাকজমকপূর্ণ জীবনযাপনের সাথে সাথে ভালোবাসার জাকজমকপূর্ণ সাড়ম্বর বর্ণনাও চাচ্ছিলেন। পাথর হৃদয় বড় দুই কন্যা ব্যাপারটা বুঝতে পেরে ইচ্ছামত ভালোবাসার বর্ণনা দিয়ে রাজ্যের তিন ভাগের দুই ভাগ বুঝে পেল। এবার পালা ছোট মেয়ের যাকে তিনি সবচেয়ে ভালোবাসেন। ছোট মেয়ে প্রকাশ্যে বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে কুন্ঠা বোধ করছিল। এরপর চাপাচাপিতে অত্যন্ত সহজ ভাষায় এবং সংক্ষেপে বাবার প্রতি কোনমতে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করল। কিন্তু বোকা রাজা এতে মানবেন কেন? বাগাড়াম্বরপূর্ণ ভালোবাসার বর্ণনা না পেয়ে শেষে তিনি ছোট মেয়েকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করেন এবং রাজ্য থেকে বিতাড়িত করেন।

এই বোকা রাজার সাথে আমার দেশী ভাইবোনের অনেক মিল খুজে পেলাম।
বিদ্যানন্দ এর মত বিশাল প্রতিষ্ঠানের পেজ চালাচ্ছেন নিতান্তই সহজ সরল একজন এডমিন যিনি ছোট কন্যা কর্ডেলিয়ার মতই নিরাভরণ এবং বাকপটু নন। তিনি সহজ সরল মানুষ। যিনি মানুষের বিচার বুদ্ধির প্রতি আস্থা রেখে প্রতিষ্ঠান কে প্রশ্নের মুখে দাড় করিয়েছেন। তার উচিত ছিল অসাধু অনলাইন ব্যবসায়ীদের মত ধূর্তামী করা, যারা কাস্টমার সেজে নিজেরাই নিজেদের পণ্যে ইতিবাচক রিভিউ দেয়...," আজকেই হাতে পেলাম আপনাদের মাখন। মাশাল্লাহ! এত ভালো মাখন বহুদিন খাইনি। আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুন।" প্রতিউত্তরে, ধূর্ত ব্যবসায়ী লিখে," জাজাকাল্লাহ খাইরান। " আর বোকা ক্রেতা ধর্মীয় সুড়সুড়ির এই বাহুল্যে আত্নহারা হয়ে ফরমায়েশ দিয়ে হাতে পায় ডালডা।

দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে মানুষ আর সরল নিরাভরণ কোন কিছুতে মুগ্ধ হয় না।
বিদ্যানন্দের পরিচালকের বক্তব্যের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম এতদিন। তার বক্তব্যে এটা পরিস্কার যে তারা এত বেশি সাহায্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন যে এগুলো পেইজে তুলে ধরাটা আবশ্যক মনে করেন না। মজিদ চাচা এবং কালো রঙ এর গরুর একাধিক পোস্ট যে রূপকার্থে দেয়া হয়েছে এবং তা যে ভোদাই বাঙ্গালী বুঝবে না, এটা না বোঝার মত ভোদাই হচ্ছে বিদ্যানন্দ পেইজ এর এডমিন। ওনার উচিত ছিল নানাবিধ দুঃখক্লিষ্ট মানুষের মুখোচ্ছবি দিয়ে পেইজ টিকে সাজানো যাতে করে মানুষগুলো অবমাননাকর পরিস্থিতিতে পরলেও যেন, যথেষ্ট দান পাওয়া যায়। এডমিন সাহেব মানবিক মূল্যবোধের পরিচয় দিয়ে ভালো করেন নি বোঝাই যাচ্ছে।

এবার যুক্ত হয়েছে ধর্মীয় ডাকাতের দল।
বিগত কয়েক বছর যাবত চরম আতংকের সাথে এরা প্রত্যক্ষ করেছে যে বিদ্যানন্দ নামক প্রতিষ্ঠান টি দরিদ্র ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে এক টাকায় আহার তুলে দিচ্ছে। মমতাশীল মানুষজন সাধ্যমত সাহায্য করছেন। ভয় পাচ্ছে এদের আয় কমে যেতে পারে। তাই এই রোজায় এরা বিভিন্ন বিষোদগার করছে। মানুষকে নিরুৎসাহিত করছে বিদ্যানন্দে দান করতে। কিন্তু ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়ার চেয়ে মধুর স্বর্গীয় আনন্দ আর হতে পারে না। তাই আশা করছি সমাজের ভালো মানুষ যারা সবাইকে সুখী দেখতে ভালোবাসেন, তারা পূর্বের ন্যায় তাদের সাহায্যের হাত বিদ্যানন্দের প্রতি বাড়িয়েই রাখবেন। জয় হোক মানবতার।

(এই পোস্ট টি আমার লেখা নয়। আমার ভাইয়ের লেখা। তিনি নোয়াখালির একটা স্কুলের শিক্ষক। লেখাটা আমার ভালো লেগেছে, তাই আমি শেয়ার করলাম।)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.