নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুখ ও বিবাহিত নারী

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩২



সুখ আপনাকে কেউ দিবে না।
সুখ আপনাকে অর্জন করতে হবে। হোক সেটা স্বামীর কাছ থেকে অথবা আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে। মূলত আমাদের সমাজের মেয়েরা কোথাও সুখী হয় না। তাঁরা শুধু মানিয়ে চলতে চেষ্টা করে। মেয়েদের অনেক কষ্ট। ঘরে বাইরে সব জাগায় মেয়েদের অনেক কষ্ট। অনেক অপমান অবহেলা সহ্য করতে হয়। এজন্য মেয়েদের স্বাবলম্বী হতে হবে। টাকা ইনকাম করা শিখতে হবে। পুরনো ধ্যান-ধারনা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। নারীরা হচ্ছে ধরনী। নারীরা হচ্ছে ভালোবাসার আঁধার।

স্বামীর কাছ থেকে ভালোবাসা আদায় করে নিতে হবে-
নিজের সমস্ত বুদ্ধি দিয়ে, সমস্ত সততা দিয়ে, সমস্ত ভালোত্ব দিয়ে। যদি পারেন তাহলেই আপনি জয়ী হবেন। নইলে আপনি পরাজিত হবেন। সুখ অর্জন করা খুব কঠিন কিছু না। তীব্র ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই সুখী হওয়া যায়। স্বামীর কাছ থেকে ফিরে আসা সঠিক কাজ হবে না। এটা কোনো সমাধান নয়। নাকি আপনি অন্য কাউকে ভালোবাসতেন? যে লোকটা দিনের পর দিন গাছ কাটে অথবা গাছের ব্যবসা করে, একদিন গাছের জন্যও তাঁরা মায়া লাগে।

আপনার স্বামী কি মানুষ হিসেবে উন্নত নয়?
সে কি পরকীয়া করে? মদ খায়? সে কি আপনাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে? আপনাকে কি জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে? এই সমাজে স্বামী পাশে থাকা মানে মাথার উপর বটগাছ থাকা। মেয়েরা ছায়া চায়, নিশ্চয়তা চায়, ভালোবাসা চায়। আনন্দ চায়। স্বচ্ছলতা চায়। হাসিখুশি ভাবে বেঁচে থাকতে চায়। আপনি বলুন, একটা মেয়ে আসলে কি চায়? কি পেলে সে নিজেকে সুখী মনে করে? সমস্যা হলো মানুষের চাহিদার শেষ নেই। এই বিপুল চাহিদাই মানুষকে সুখী হতে দেয় না।

সুখ আদায় করে নিতে শিখুন। হেরে যাওয়া যাবে না।
আপনাকে জয়ী হতে হবে। নিজের অবস্থান তৈরি করে নিতে হবে। একটা মেয়ের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে ভালোবাসা। এই ভালোবাসাই আপনাকে সুখের পথ দেখাবে। বাঙ্গালী পুরুষেরা বেশির ভাগই স্ত্রীর সাথে সুন্দর আচরণ করে না। আবার এই পুরুষেরাই অন্য নারীর সাথে মধুর আচরণ করে। আমি সব সময় বলি, প্রতিটা মেয়েকে অনেক পড়াশোনা করতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। একটা প্রতিষ্ঠিত নারীর সাথে পুরুষেরা মন্দ আচরণ করতে সাহস পায় না। অনেকে শিক্ষিত পুরুষ আজও মনে করে- নারী মানেই আতুর ঘর আর রান্না ঘর।

কোনো মানুষই জীবনে পুরোপুরি সুখী হতে পারে না।
অনেক বাঁধা, অনেক সমস্যা, অনেক অপমান, অবহেলা ডিঙ্গাতে হয় একজন নারীকে। এজন্য প্রতিটা মেয়ের উচিৎ নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলা। যেন বিয়ের আগে বাবা মা আর বিয়ের পর স্বামীর উপর ভরসা করতে না হয়। অনেক মেয়েকে দেখেছি, অনার্স, মাস্টার্স পাশ করে চাকরী বা বিজনেস করে না। ঘর সংসার করে। তাহলে এত লেখাপড়া করে লাভ কি? নারীদের উচিৎ সামনে এগিয়ে যাওয়া। সামনে এগোতে গেলে যে বা যারা বাঁধা দিবে প্রয়োজনে তাদের জীবন থেকে মাইনাস করে দিবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫৫

কামাল১৮ বলেছেন: হাজার হাজার বছরের কুসংস্কার থেকে নারী পুরুষ কেউ বের হয়ে আসতে পারে নাই।সেখানে নারীতো আরো একধাপ পেছনে।নারীকে সাবলম্বী হবার চিন্তার অধিকারী হতে অনেক সময় লাগবে।তবে ধীরগতিতে হলেও তারা এগুচ্ছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: নারীরা ভালো থাকলে পরিবারের সবাই ভালো থাকবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.