নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনে দাগ কাটে এমন ১০টা বই

০১ লা মে, ২০২৩ রাত ১২:২৪



মনে দাগ কাটে এরকম বাংলা সাহিত্যের আমি একশ' টা বইয়ের তালিকা করেছি।
অন্যভাবে বলা যায়, যে বই গুলো মৃত্যুর আগে পড়তেই হবে, সে রকম একশ' বইয়ের তালিকা আমি করেছি। যাইহোক, আজ আমি আপাতত দশটা বইয়ের নাম বলে দিচ্ছি। এই বই গুলো পড়লে আপনি ঠকবেন না। এবং আপনার মনে হবে না যে আপনি সময়ের অপচয় করলেন। বই গুলো পড়লে আপনার দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করবে। এবং আপনার মনে হবে- লাইফ ইজ বিউটিফুল।

১। কবি - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।

২। বরফ গলা নদী- জহির রায়হান।

৩। শেষের কবিতা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৪। কোথাও কেউ নেই- হুমায়ূন আহমেদ।

৫। শবনম্‌ - সৈয়দ মুজতবা আলী।

৬। আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

৭। পার্থিব- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।

৮। দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

৯। দিবারাত্রির কাব্য- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।

১০। বকুল কথা- আশাপূর্ণা দেবী।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০২৩ ভোর ৬:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: ১,২,৩,ও ৮ পড়েছি।বাকিগুলো পড়া হয় নাই।বিশ্বাস ঘাতক লেখক নারায়ন সান্যাল কি পড়েছেন।আমি পড়িনাই।আমার একজন প্রিয় মানুষ কথা প্রসংগে এই বইয়ের কথা তোলেন তাই এ প্রশ্ন।ভাবলাম আপনিতো প্রচুর পড়াশুনা করা মানুষ হয়তো পড়তেও পারেন।
দীর্গদিন বেঁচে থাকার ইচ্ছা মানুষের একটি মৌলিক ইচ্ছা।একটা বই না পড়লেও এই ইচ্ছা মানুষের থাকবে।
৫,৬,৯ এর বিষয়ে অনেক প্রসিদ্ধ লেখকের আলোচনা পড়েছি।

০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্বাস ঘাতক পড়িনি। তবে এই বইটার অনেক সুনাম শুনেছি। বইটা অবশ্যই পড়বো।
আমার নিজের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে, আমার ছোট কন্যা ফারাজার জন্য। আমি মরে গেলে মেয়েটা ভীষন বিপদে পড়বে।

২| ০১ লা মে, ২০২৩ সকাল ৭:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পড়ার মত বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত কিছু বই এর তালিকা প্রনয়ন করেছেন জেনে ভাল লাগল ।
এখানে দেয়া তালিকায় থাকা সবকটি বই ই পড়া হয়েছে । অনেক আগেগার পড়া । তালিকায় থাকা
প্রথম বইটি সম্পর্কে কিছু কতা বলার জন্য বুক শেলফ হতে খুঁজে নিয়ে আবারো একটু দেখে নিলাম ।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (২৩ জুলাই, ১৮৯৮−সেপ্টেম্বর ১৪, ১৯৭১) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর এক বিশিষ্ট ভারতীয়
বাঙালি কথাসাহিত্যিক। তিনি ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি ছোটোগল্প-সংকলন, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধ-সংকলন, ৪টি
স্মৃতিকথা, ২টি ভ্রমণকাহিনি, একটি কাব্যগ্রন্থ এবং একটি প্রহসন রচনা করেন । কবি উপন্যাসটি তারাশঙ্কর
বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা দ্বাদশ উপন্যাস।

কবি উপন্যাসের উপজীব্য অন্ত্যজ শ্রেণির একজন কবিয়ালের জীবনগাথা। কয়িালের নাম নিতাইচরণ।
নিচু বংশে জন্মানো নিতাইচরণ গ্রামের সবাইকে চমকে দিয়ে কবি হয়ে ওঠে। নিতাইচরণের পারিবারিক পেশা
ছিল ডাকাতি; কিন্তু সে হল অন্যরকম। এমনকি মায়ের অনুরোধ বা মামার শাসনের পরেও সে পড়াশুনো ছেড়ে
ডাকাতির দলে নাম লেখায়নি। ঘরবাড়ি ছেড়ে স্টেশনে গিয়ে থাকে। এখানেই তার সাথে বন্ধুত্ব হয় স্টেশনের মুটে
রাজার ।এদিকে রাজারই এক আত্মীয়কে ঠাকুরঝি বলে ডাকত সে। বিবাহিত ঠাকুরঝি রোজ এসে দুধ বিক্রি করে
যেত। মেয়েটার গায়ের রং কাল ছিল বলে গ্রামের লোকজন তো বটেই, রাজা-ও নানা কথা শোনাত। কিন্তু এই
মেয়েটার জন্যই নিতাই এর মাথায় একটা পদ তৈরি হয়- 'কাল যদি মন্দ তবে চুল পাকিলে কান্দ কেনে?' জীবনের
সব জায়গায় অপমান পাওয়া ঠাকুরঝি এই পদ শুনে আন্দোলিত হয়। আর নিতাই এর মনে, অসম্ভব জেনেও,
ঠাকুরঝির জন্য গভীর প্রেম জন্মায়। একপর্যায়ে বিষয়টা জানাজানি হলে নিতাই গ্রাম ছেড়ে চলে যায়।
নিতাই যুক্ত হয় ঝুমুরদলের সাথে। এই দল অশ্লীল গান-বাজনা করে এবং নারীরা গানের সাথে নাচ করলেও
তারা মূলত দেহোপজীবিনী। সেখানে তার সাথে পরিচয় হয় বসন্ত (বা বসন) এর সাথে। বসনের মধ্যে সে
ঠাকুরঝির ছায়া দেখতে পায়। দুজনের মাঝে সখ্যতা গড়ে ওঠে।

রোগাক্রান্ত হয়ে একসময়ে বসন্তও মারা যায়। শোকে কাতর হয়ে ঝুমুরদল ছেড়ে দেয় নিতাই। সে কাশীসহ
অন্যান্য স্থান ঘোরে। কিন্তু তার মন না টেকায় একসময় আবারও সে নিজের আগের গ্রামে ফিরে আসে।
রাজা'র কাছ থেকে জানতে পারে ঠাকুরঝি আর বেঁচে নেই, নিতাই গ্রামছাড়ার পরে ঠাকুরঝি উন্মাদ
হয়ে মারা যায়। গভীর হতাশায় নিতাই প্রশ্ন করে- 'জীবন এত ছোট ক্যানে?'

সময় পেলে তালিকায় থাকা বাকি গ্রন্থ গুলি পাঠান্তে কিছু আলোচনা করে যাব ।

শুভেচ্ছা রইল

০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার সালাম গ্রহন করুণ।

দীর্ঘদিন ধরে আপনি নতুন কোনো লেখা দিচ্ছেন না। তবে ভালো লেখা গুলোতে আপনার মন্তব্য দেখতে পাই। আপনার আম্রপলি নিয়ে লেখাটার কথা আজও ভুলিনি।

আমার এই ছোট লেখাতে আপনি অনেক সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.